করোনাকে দূরে ঠেলে উৎসবমুখর সারাদেশ
করোনার অভিঘাতে দুই বছর থমকে যাওয়া আনন্দ উৎসব আবারও ফিরছে স্বরূপে। উৎসব আবার উৎসবের রূপ নিয়েছে। প্রাণ ফিরেছে মানুষের মধ্যে। ইতিমধ্যে এবারের ঈদকে কেন্দ্র করে দেশের সবকটি পর্যটন স্পটে পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে।
ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার পাশাপাশি বিত্তশালীরা ঈদ উদযাপন করতে ছুটে গেছেন কক্সবাজার, কুয়াকাটা, সিলেট, মৌলভীবাজার, সুন্দরবন, পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি, বান্দরবন, খাগড়াছড়িসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়।
রাজধানী ঢাকার আশপাশের রিসোর্টগুলোও পর্যটকের উপস্থিতিতে সরগরম। বিনোদনকেন্দ্র গুলোর মধ্যে নগরীর চিড়িয়াখানা, বোটানিক্যাল গার্ডেন, বলধা গার্ডেন, নগরীর আশপাশের থিম পার্ক যেমন নন্দনপার্ক, আশুলিয়ার ফ্যান্টাসি কিংডম, মাধবদীর ড্রিম হলিডে পার্ক, তামান্না গার্ডেনসহ সবগুলো বিনোদকেন্দ্র প্রস্তুত এবারের ঈদ উদযাপনের জন্য।
গত ২৭ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে রাজধানীবাসীর ঈদ। চলছে আজ সোমবার (২ মে) পর্যন্ত। ঈদ উপলক্ষে সরকারি ছুটি শুরু হয়েছে গত শুক্রবার(২৮ এপ্রিল) থেকে। শুক্র ও শনিবার এই দুই দিনের সঙ্গে ১ মে মে দিবসের ছুটি। এরপর পরই আজ সোমবার থেকে শুরু হয়েছে ঈদের তিন দিনের ছুটি। আগামী বুধবার (৪ মে) পর্যন্ত সরকারি ছুটির পর ৫ মে একদিন কর্মদিবস। তারপর আবার শুক্র ও মনিবার দুই সাপ্তাহিক ছুটি।
দীর্ঘ এই ছুটিতে তাই অনেকেই ছুটে গেছেন দেশের বিভিন্ন পর্যটন স্পটে। ইতিমধ্যে কক্সবাজারে উপস্থিত হয়েছেন ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অনেক অনেক বেশি পর্যটক। হোটেল, মোটেল, কটেজ সবই পর্যটকদের উপস্থিতিতে সরগরম। লম্বা ছুটিতে তাই অনেককেই কক্সবাজারে কাটাতে হবে নানা কষ্টে ক্লিষ্টে।
দক্ষিণের সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায়ও পর্যটকের ভিড় বেড়েছে অন্য যে কোন সময়ে তুলনায় বেশি। সেখানে হোটেল মোটেল ও রিসোর্টগুলো ইতিমধ্যে বুকিং হয়ে গেছে। অনেকে ইতিমধ্যে ছুটে গেছেন কুয়াকাটায়।
পার্বত্য তিন জেলায়ও একই অবস্থা। পর্যটকের উপস্থিতিতে সরগরম।
অপরদিকে ঈদের টানা ছুটিতে ফাঁকা হয়ে যাওয়া রাজধানীতে যারা ঈদ উদযাপন করবেন তারা ঈদের দিন মঙ্গলবার (৩ মে) অনেকটা নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়াতে পারবেন নগরীরর একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।
নগরীর বিনোদকেন্দ্রগুলোতেও ভিড় থাকবে নগরীর সবস্তুরের মানুষের।
এবারের ঈদের ছুটিতে মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানায় দর্শনাথীদের ভিড় হতে পারে , সে কারণে এবার চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছেন।
চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ মজিবুর রহমান বলেছেন, “ঈদে এবার অনেক দর্শনার্থী হবে। আমাদের রুটিন কিছু প্রস্তুতি আছে। সেগুলোর করা হয়েছে। যেসব প্রাণি চিড়িয়াখানার বাসিন্দা, দর্শনার্থীদের কারণে তাদের ওপর যাতে চাপ না পড়ে সেজন্য খাদ্য ও সাপ্লিমেন্ট সরবরাহের দিকে আমরা বিশেষ নজর দিচ্ছি।”
একই সঙ্গে চিড়িয়াখানাকে পরিচ্ছন্ন রাখা এবং আগত দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টিও বিশেষ গুরুত্ত্বের সঙ্গে দেখা হবে।
এনএইচবি