যাত্রীর অপেক্ষায় সদরঘাটে শত লঞ্চ
একেবারে শেষ মুহুর্তেও সদরঘাটে উল্লেখ করার মতো ভিড় নেই। যাত্রীদের জন্য অপেক্ষায় শত শত লঞ্চ। ঘাটে নোঙর ফেলে যাত্রীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন লঞ্চের কর্মীরা। নানা কাজে গত কয়েক দিনে যারা যেতে পারেননি তারাই শেষ মুহুর্তে লঞ্চঘাটে ছুটছেন।
সোমবার (২ মে) দুপুরে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায় ঘরে ফেরা মানুষের পদচারণা। ঘাটে নোঙর ফেলা অধিকাংশ লঞ্চ সন্ধ্যার পর ঘাট ছেড়ে যাবে। তাই দুপুরের দিকে ততোটা ভিড় দেখা যায়নি। তবে বিকালে ভিড় বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
ঈদের আগ মুহুর্তে বরাবরই যাত্রীর চাপ কম থাকে বলে জানিয়ে এমভি জাহিদের মাস্টার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঈদের আগের দিন সব সময় যাত্রী কম থাকে। আমাদের লঞ্চ সন্ধ্যা ৭টায় ছেড়ে যাবে ভিআইপিসহ যে সকল কেবিন রয়েছে তার অধিকাংশই ফাঁকা।
এখন আসলে কেবিনের যাত্রী নেই বললেই চলে। শেষ মুহুর্তে মূলত বিভিন্ন মার্কেটের কর্মী, পোশাক কারখানার শ্রমিকসহ শ্রমজীবী মানুষের ভিড় থাকে। তাই কেবিনের যাত্রী পাওয়া দুষ্কর। ডেকে যত যাত্রী দেখছেন আরও বাড়বে। কিন্তু কেবিন হয়তো ফাঁকায় যাবে।’
এমভি জাহিদ লঞ্চের ডেকে বসে কথা হয় এক নারী যাত্রীর সঙ্গে। তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে জানান, কখন ছাড়বে জানি না। এসে লঞ্চ ফাঁকা পেয়েছি মেয়ে নাতনিসহ উঠে পড়েছি। এবার ঘাটে এসে ভালো লেগেছে কারণ তেমন ভিড় নেই। খুব সহজেই লঞ্চে উঠতে পারছি কোনো ধাক্কা ধাক্কি নাই।
শুধু এমভি জাহিদ না অধিকাংশ লঞ্চেই দেখা গেছে কেবিনে যাত্রী শূন্য তবে ডেকে যাত্রীদের চাপ কিছুটা বেশি। তবে কেবিন বা ডেক যেটাই চাহিদা থাক কোনটার ঘাটে গেলে মিলছে অনায়সে। আগে থেকে কারও লঞ্চের টিকিট সংগ্রহ করতে হচ্ছে না। ঘাটে গেলেই টিকিট মিলছে যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে।
ভোলার যাত্রী আব্দুর রহমান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, এখনো কোনো টিকিট নেইনি। যেটা পাব সেটাতেই উঠে পড়ব। ঘাটে এসে ভিড় কম দেখে খুব ভালোই লাগছে। ঈদ ছাড়া অন্যান্য দিনে যে ভিড় থাকে আজ সেটাই নেই। একেবারে ফাঁকা। টার্মিনাল দিয়ে প্রবেশ করার সময়ও নেই পীড়াপীড়ি। এবারের মতো স্বস্তির ঈদ যাত্রা আগে দেখিনি।
এসএম/এমএমএ/