শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব -৩৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান

তার সামরিক বাহিনীর সহকর্মীরা বিমূঢ় হয়ে পড়ে। হঠাৎ দেখা এবং পরিচয়সূত্রে তারা ডাক্তার সাহেবের সহকর্মী ছিলেন। তাদের তিনি অদ্ভুত সহকর্মী বলেছেন। তাদের সব রকমের প্রতিকার ব্যবস্থা ফুরিয়ে যায়। তখন তারা একটা বুদ্ধি বের করে—রক্ত প্রবাহ ঠিক রাখতে নাচ চালু করে তারা।

প্রতি রাতে মৃতদের দাফনের মাঝখানে জীবিতরা বেহালার সুরে নাচতে থাকে। এরকম একটা অদ্ভূত ব্যবস্থা তারা মন্দ বের করেনি। সহজ সরল মানুষগুলো নাচের সময় শরীরে যা কিছু থাকত সব ঘামের মধ্য দিয়ে বের করে দিত। এভাবে চলতে চলতে এক সময় কলেরার মহামারি থেমে যায়। আবিষ্কার করার মতোই একটা বুদ্ধি বটে। তপ্ত-আর্দ্র রাতে অসুস্থ ঘুমন্ত রোগীদের কুঁড়ের মাঝখানে একজন বেহালা বাদক একটা ঝুড়ির উপর বসে। তার পাশে একটা বাতি আর চারপাশে ভনভন করছে মশা ও অন্যান্য কীটপতঙ্গ। তার সুরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিজেতারা লম্বা পোশাক এবং চাদর পরে বড় বড় ডালপালার আগুনের চারপাশে অবিচলিত ভঙ্গিতে নাচছে। তখন তাদের তাঁবুগুলোর চার কোণে পাহারায় থাকত কয়েকজন, যাতে রক্ষিত ব্যক্তিদের উপরে কালো কেশরঅলা সিংহ, গবাদিপশুর চোর, আরবের ডাকাত দল এবং মাঝে মধ্যে সরবরাহের অনুসন্ধানী ফরাসি অভিবাসীরা আক্রমণ করতে না পারে।

পরবর্তীতে তাদের টুকরো টুকরো বিচ্ছিন্ন জমি দেওয়া হয়েছিল, তবে কুঁড়ের এলাকা থেকে অনেক দূরে। পরে তারা সেসব জায়গায় গ্রাম গড়ে তুলেছিল মাটির দেয়াল তৈরি করে। কিন্তু অভিবাসীদের দুই তৃতীয়াংশই ততদিনে মারা গেছে, আলজেরিয়ার অন্য সব জায়গার মতোই সেখানেও অভিবাসী মানুষরা কোদাল কিংবা লাঙলে হাত রাখার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে। প্যারিস থেকে আসা আর যারা বেঁচেছিল মাঠে কাজ করার সময় তাদের মাথায় থাকত হ্যাট, কাঁধে বন্দুক এবং দাঁতের ফাঁকে পাইপ। শুধু পাইপ টানা ছাড়া সিগারেট ফোঁকার অনুমতি তাদের ছিল না। পকেটে থাকত কুইনাইন, বনের ক্যাফে এবং মনডোভির ক্যান্টিনে সাধারণ পানীয়ের মতোই বিক্রি হতো কুইনাইন। সঙ্গে থাকত রেশমী পোশাক পরিহিত তাদের স্ত্রীরা। তবে সব সময়ই থাকত বন্দুক আর সৈনিকরা। এমনকি সেবাউসে লন্ড্রির কাজকর্ম করতে গেলেও প্রতিরক্ষা সহচর দরকার হতো, বিশেষ করে পুরনো দিনে যারা রিউ ডি আর্কাইভসের ওয়াশহাউসে কাজ করার সময় ঝামেলাহীন অভ্যর্থনা কক্ষ চালাত তাদের জন্য। আর রাতের বেলা খোদ গ্রামটাই মাঝে মধ্যে আক্রমণের শিকার হত। ৫১ সালে বিদ্রোহের সময় যেমন হয়েছিল। সেবার দেয়ালের চারপাশ ঘিরে ফেলা বুর্নুস পরিহিত শত শত অশ্বারোহী সেনা ভয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল। কারণ পরিবেষ্টিত মানুষরা উনানের নল তাক করেছিল তাদের দিকে। দেখে তারা মনে করেছিল, তাদের দিকে কামান দাগা হবে বুঝি। দখলে আসতে অনিচ্ছুক এরকম একটা এলাকায় কাজ করা, ঘরবসতি তৈরি করা খুব কঠিন ছিল। সুযোগ পেলেই এলাকাটা যেন প্রতিশোধ নিতে চেষ্টা করত।

যখন বিমানটা কিছুটা উপরের দিকে উঠে গিয়ে নেমে আসছে তখন জ্যাকের মায়ের কথা মনে পড়ে গেল। মনের পর্দায় ছবির মতো জ্যাক দেখতে পায়, বন থেকে চলে আসা রাস্তাটায় ওয়াগনটা কেমন বার বার আটকে যাচ্ছে সামনে চলার সময়। বসতি স্থাপনকারীরা কোথাও সাহায্য পাওয়ার আশায় একজন সন্তানসম্ভবা নারীকে ফেলে গেছে এবং এসে দেখে তার পেট ফাঁড়ি দেওয়া এবং স্তন কেটে ফেলা হয়েছে।
ভেইলার্ড বলল, সময়টা ছিল যুদ্ধের।
ডাক্তার সাহেব বললেন, আমরা এখন নিরপেক্ষ হতে পারি। আমরা এখন তাদের সবাইকে বন্ধ করে রাখতে পারি। হ্যাঁ, অবশ্যই, অবশ্যই। তারা সবাই প্রথম নাপিতের বিচি কেটে দিয়েছিল। তারপর তোমরা সবাই প্রথম অপরাধীর নাম জানো, কাবিল। তার সময় থেইে যুদ্ধের সূত্রপাত। মানুষ আসলে জঘন্য, বিশেষ করে বর্বর সূর্যের নিচে যাদের অবস্থান।

সেদিন দুপুরের খাবারের পর তারা গ্রামের ভেতর দিয়ে হেঁটেছিল। সারাদেশের শত শত গ্রামের মতো এই গ্রামটাও, উনিশ শতকের শেষের দিকের সাধারণ ধাঁচে তৈরি শত শত ঘরবাড়ি রাস্তার ধারে দাঁড়ানো। রাস্তাগুলো এগিয়ে গিয়ে মিশেছে দালানকোঠাগুলোর সঙ্গে। সমবায় সমিতি, খামারের ব্যাংক, বিনোদনের হল সবকিছুই ক্যারাসেল কিংবা মেট্রোর প্রবেশ পথের মতো দেখতে বাদন মঞ্চের দিকে চলে গেছে। সেখানে বহুদিন ধরে গ্রামের লোকদের ঐকতানের ধর্মসংগীত কিংবা সামরিক দলের কনসার্ট হয়েছে। চারপাশে যুগলবৃন্দ তাদের সাধ্যমতো ভালো পোশাক পরে পায়চারি করে বেরিয়েছে এবং প্রচন্ড তাপ আর ধূলির মধ্যে অলস ভঙ্গিতে বাদামের খোসা ছড়িয়েছে। আজও রবিবার, তবে সামরিক বাহিনীর মনস্তাত্ত্বিক শাখা বাদন মঞ্চে লাউডস্পিকার খাটিয়েছে এবং উপস্থিত লোকদের বেশিরভাগই আরব। তারা স্কোয়ারের চারপাশে হাঁটাহাঁটি না করে দাঁড়িয়ে সংগীত শুনছে। একবার খানিক বক্তৃতা হচ্ছে। তারপর আবার সংগীত হচ্ছে। ভিড়ের মধ্যে প্রায় চোখে পড়ে না ধরনের ফরাসি লোকদের সবার চেহারা প্রায় একই রকম ভাবগম্ভীর। তারা যেন ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আছে অনেকদিন আগে লাব্রাডরে যারা এসেছিল ঠিক তাদের মতো। কিংবা অন্যদের মতো যারা একই রকম পরি¯ি’তিতে, একই রকম ভোগান্তির মধ্য দিয়ে অন্যান্য অঞ্চলে এসেছিল দারিদ্র এবং শাস্তি এড়াতে এবং পেয়েছিল দুঃখ আর পাথর, ঠিক তাদের মতো। জ্যাকের মায়ের পূর্বপুরুষ মাহুনের স্পেনীয়দের বেলায় এবং যারা জার্মান শাসন প্রত্যাখ্যান করে ফরাসি শাসন গ্রহণ করেছিল তাদের বেলায়ও একই রকম ঘটেছিল। তাদের ৭১ এর আরব বিদ্রোহীদের ভূমি দান করা হয়েছিল। কারণ ততদিনে ওরা হয় মারা গেছে, নয়তো জেলে গেছে। ভিন্ন মতাবলম্বীরা ভূমি গ্রহণের পর বিদ্রোহীদের দ্বারা পরিবেশ গরম রাখে। জ্যাকের বাবার পূর্বপুরুষরা এসেছেন যন্ত্রণাদানকারী-যন্ত্রণাপ্রাপ্তদের দিকে থেকে। চল্লিশ বছর পর তিনি ওই একই রকম ভাবগম্ভীর এবং দৃঢ়চেতা চেহারা নিয়ে এখানে এসেছিলেন। তার চিন্তাচেতনা ছিল ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত। যারা নিজেদের অতীত অপছন্দ করে এবং ভবিষ্যৎ ভালোবাসে ঠিক তাদের মতো ছিলেন তিনি। যারা এই ভূমিতে জীবনযাপন করেছে এবং কবরখানায় ভাঙাচোরা দাঁত বের করে হাসার মতো চেহারার পাথর ছাড়া আর কোনো চিহ্ন রেখে যেতে পারেনি তাদের মতো একজন অভিবাসী ছিলেন তিনি। ভেইলার্ড বিদায় নেওয়ার পরে দিনের শেষে বৃদ্ধ ডাক্তারের সঙ্গে জ্যাক এরকমই এক কবরখানায় গেল। একদিকে সাম্প্রতিক কালের দাফন কেতার উৎকট এবং নতুন নির্মাণকলা: সাম্প্রতিক কালে যে ধরনের সস্তা ধর্মীয় শিল্পের প্রদর্শন থাকে সেরকম। অন্যদিকে পুরনো সাইপ্রেস গাছের নিচে পায়ে চলা পথের মাঝে পাইনের সুচালো ফলা কিংবা সাইপ্রেসের কোণ বিছানো মাটিতে অথবা স্যাঁতসেতে দেয়ালের পাশে বেড়ে ওঠা ওক্সালিসের ফুলের ঝাড়ের পাশে পুরনো কবর ফলকগুলো যেন মাটির সমতল থেকে আলাদাভাবে চোখেই পড়ে না এমন অস্পষ্ট হয়ে গেছে।

প্রায় একশো বছরের বেশি সময় ধরে দলে দলে লোকজন এখানে এসেছে। জমিতে লাঙল চালিয়ে লাঙলের ফলার দাগ তৈরি করেছে মাটির বুকে। কোথাও কোথাও গভীর করে খুঁড়ে ফেলেছে মাটি। জমির কর্ষণের ধূলো তাদের গায়ে আস্তরণ না ফেলা পর্যন্ত এবং জমি বুনো গাছপালা আবাদের মতো অবস্থায় ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত কোথাও কোথাও খুব হালকা করে কর্ষণ করেই গেছে তারা। নিজেদের বংশবিস্তার ঘটিয়েছে এবং অবশেষে বিলীন হয়ে গেছে। তাদের পুত্রদের ক্ষেত্রে তেমনটিই ঘটেছে। তাদের পুত্ররা, নাতিরা তাদের মতোই নিজেদের দেখতে পেয়েছে এই ভূমির বুকে কোনো অতীত ছাড়া, ধর্ম ছাড়া, মূল্যবোধ-নীতি ছাড়া, পথপ্রদর্শন ছাড়াই। তাতেই খুশি থেকেছে তারা। রাত এবং মৃত্যুর সম্মুখে ভীতও থেকেছে তারা। কত রকমের জাতি থেকে কত সব প্রজন্মের মানুষ এখানে এই বিশাল আকাশতলে এসে জমায়েত হয়েছে। এখানে প্রথম গোধূলির আলামত ততক্ষণে শুরু হয়েও গেছে। নিজেদের মধ্যে যেন বন্দি অবস্থায় থেকেই তারা সবাই বিলীন হয়ে গেছে। কোনো চিহ্ন পর্যন্ত রেখে যায়নি। ব্যাপক অবয়ব নিয়ে তাদের উপরে পতিত হয়েছে এক বিশাল বিস্মৃতি। সেটাই যেন রাতের সঙ্গী হয়ে গ্রামে ফিরে আসা তিনজন মানুষের উপরেও পড়েছে। রাতের আগমন তাদের হৃদয় ছুঁয়ে দিয়েছে বলে সমুদ্রের উপরে, এবড়ো থেবেড়ো পর্বতের উপরে, মালভূমির উপরে হঠাৎ সন্ধ্যা নেমে এলে আফ্রিকার সব মানুষকে যে বিভীষিকা ছেয়ে ফেলে সেই বিভীষিকা তাদের হৃদয়কেও গ্রাস করে ফেলেছে। এরকম পবিত্র বিভীষিকা ডেলফির পর্বতের গায়েও পতিত হয়েছে একই রকম প্রভাব নিয়ে এবং তার ফলে সেখানে তৈরি হয়েছে মন্দির আর বেদী। কিন্তু আফ্রিকার এই ভূমিতে সব মন্দির ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। হৃদয়ের উপর ভর করে আছে শুধু এই দুর্বহ কোমল একটা বোঝা: তারা কীভাবে মারা গেছে, মারা যাচ্ছে। সবকিছু থেকে দূরে, নীরবতার মধ্যে, মাতৃভূমি থেকে অনেক দূরে দুর্বোধ্য এক ট্র্যাজেডির মধ্যে তারা মারা গেছে। তার বাবাও এরকম ট্র্যাজেডির মধ্যেই স্বাধীন ইচ্ছে-রহিত জীবনযাপন করা অবস্থায় মারা গেছেন, এতিমখানা থেকে হাসপাতাল পর্যন্ত, পথিমধ্যে শুধু অপরিহার্য বিয়ে। যুদ্ধে তার মৃত্যুবরণ করার আগ পর্যন্ত জীবন তার চারপাশে বেড়ে চলেছে। যুদ্ধে তিনি মারা গেছেন। কিন্তু নিকটজনেরা তার মৃত্যু সম্পর্কে, তার দাফন সম্পর্কে কোনোদিন কিছুই জানতে পারেনি। তার নিজের ছেলের কাছে তিনি অজানাই থেকে গেছেন চিরতরে। তার জাতির লোকদের সর্বশেষ ঠিকানা হয়েছিল বিশাল বিস্মৃতি।

চলবে…

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

Header Ad

জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি

ছবি: সংগৃহীত

ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর সাথে এবার জুটি বাধলেন বাংলাদেশের তারকা অভিনেত্রী আফসানা মিমি। বিপ্লবী দীনেশ গুপ্তর জীবনকাহিনি নিয়ে এই সিনেমা নির্মাণ করতে যাচ্ছেন ভারতের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা মানসমুকুল পাল।

জানা গেছে, হুমায়ূন আহমেদের একটি উপন্যাসকে কেন্দ্র করে সিনেমা বানাবেন নির্মাতা মানসমুকুল পাল। আগামীতে সেই সিনেমাতেই দেখা যাবে মিঠুনকে। শোনা যাচ্ছে, অভিনেতার বিপরীতে দেখা যেতে পারে বাংলাদেশি অভিনেত্রী আফসানা মিমিকে। যদিও নিশ্চিত করে কিছু জানাননি নির্মাতা। তবে ভারতের জাতীয় পুরস্কারজয়ী এই পরিচালক চিত্রনাট্য লেখার আগে বাংলাদেশ ভ্রমণ করবেন।

মূলত সিনেমার চিত্রনাট্য লেখার আগে হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসে থাকা জায়গাগুলো নিজে ঘুরে দেখতে চান মানসমুকুল। ভারতীয় গণমাধ্যমে এ প্রসঙ্গে নির্মাতা বলেন, হুমায়ূন আহমেদের যে উপন্যাস অবলম্বনে চিত্রনাট্য লেখা শুরু করছি তাতে বাংলাদেশের একাধিক জায়গার উল্লেখ রয়েছে।

তাই ঢাকা, কিশোরগঞ্জসহ অন্যান্য জায়গায় যাওয়ার কথা আছে। সেই জায়গাগুলো নিজে দেখলে উপলব্ধি থাকবে, আর তাতে চিত্রনাট্য লেখার কাজও সহজ হবে।

শুধু জায়গা পরিদর্শন নয়, বাংলাদেশে এসে অভিনেত্রী আফসানা মিমির সঙ্গেও দেখা করবেন মানসমুকুল। তিনি এ-ও জানান, সিনেমার অধিকাংশ শুটিং বাংলাদেশে হবে। কিন্তু এখনই নয়। বর্তমানে মানসমুকুলের হাতে ৩টি সিনেমার কাজ রয়েছে। সেসব চলচ্চিত্র শেষ করে তবেই তিনি এই সিনেমার কাজ শুরু করবেন।

Header Ad

দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জানিয়েছেন, দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে জেলা বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তারেক রহমান বলেন, সব রাজনৈতিক দল মিলে আমরা এই অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি। দেশের মানুষের হাতে ক্ষমতা ফিরে যেতে নির্বাচন প্রয়োজন।

তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য আরও ২ বছর আগে সংস্কারের প্রস্তাব ৩১ দফা দিয়েছি আমরা। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। একজন শুরু করবে, আরেকজন টেনে নিয়ে যাবে। অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ ও সত্যিকারের নির্বাচন আয়োজন করতে পারলে, জনগণ তবেই জনপ্রতিনিধি বাছাই করতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।

নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, অনেকের মনে প্রশ্ন আমরা কেন বারবার নির্বাচনের কথা বলছি। আমরা বিশ্বাস করি, অন্তর্বর্তী সরকার একটি নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে। এর ফলে সংসদের যারা জনপ্রতিনিধি বাছাই হয়ে আসবে, তারা সংসদে বসে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, কীভাবে দেশের প্রত্যেকটি সেক্টরের সমস্যা সমাধান করা যায়। সকল সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব প্রকৃত ও সত্যিকারের একটি নির্বাচনের মাধ্যমে।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দায়িত্ব নিতে হলে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে আশপাশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। যদি এই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারা যায়, তবেই মানুষ আপনাদের দায়িত্ব দিবে, অন্যথায় দ্বিতীয়বার ভাববে।

এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপির খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপি খুলনা বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. শরীফুজ্জামান শরীফ, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল প্রমুখ।

Header Ad

২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা

ফাইল ছবি

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. বজলুর রশিদের দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে

রোববার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়া সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া আগামী পাঁচদিনে আবহাওয়া পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান