শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস র্পব-৩৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান

এখন জ্যাকের শ্বাস নেওয়া সহজ হয়ে গেছে। প্রথম পর্যায়ের অন্ধকারের প্রবাহ থেমে গেছে। জোয়ার ভাটার মতো এই প্রবাহ। পেছনে ফেলে গেছে তারার মেঘ। সারা আকাশ ছেয়ে আছে তারায় তারায়। এখন শুধু মোটরের বিকট শব্দ বিরক্তি ঘটাচ্ছে। পশু-খাদ্যের বৃদ্ধ ব্যবসায়ীর মুখটা স্মৃতিতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে সে। লোকটা তার বাবাকে চিনত। জ্যাকের বাবার চেহারা আবছা আবছা মনে আছে তার। লোকটা বার বার বলছিল, কথা বলতেন না। একদম কথা বলতেন না তিনি।

তবে হট্টোগোলের কারণে জ্যাকের চিন্তাশক্তি রহিত হয়ে যাচ্ছে; এই হট্টোগোল তাকে এক অসাড় অবস্থায় ফেলে দিয়েছে; বাবার চেহারাটা মনে আনার চেষ্টা করেও পারছে না। অনেক কল্পনা খাটিয়েও বাবাকে স্পষ্টরূপে পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি এই বিশাল এবং বৈরী দেশে নিরাকার হয়ে যাচ্ছেন। গ্রাম এবং সমতলভূমির অনামি ইতিহাসের মধ্যে তিনি গলিত হয়ে মিশে গেছেন। প্যারিসের বসতি স্থাপনকারীদের সলফেরিনোতে আনা হয়েছিল বজরায় করে। ওইসব বজরার মতোই ডাক্তারের ওখানে শোনা কথাবার্তার রেশ যেন ঢেউয়ে ঢেউয়ে ফিরে আসছে জ্যাকের মনে। তখন এদিকে কোনো ট্রেন ছিল না। একটা ট্রেন ছিল; শুধু লিয়নের দিকে যাতায়াত করত। বাছাই করা ঘোড়া দিয়ে টেনে নেওয়া হতো বজরাগুলো। নগরের পিতলনির্মিত বাদ্যযন্ত্র ব্যাবহারকারী বাদকদল ‘মার্সে’ এবং ‘চান্ট ডু ডিপার্ট’ বাজাত। বজরার যাত্রীরা কোনো এক যাদু বলে যে গ্রামের পত্তন করবে এমন একটা গ্রামের নাম লেখা ব্যানার হাতে সিন নদীর তীড়ে দাঁড়িয়ে একজন যাজক তাদের জন্য আশীর্বাদ প্রার্থনা করত, খোদা আপনাদের দায়িত্ব নেবেন।। ততক্ষণে বজরা যাত্রা শুরু করেছে; প্যারিস পেছনের দিকে সরে যেতে যেতে এক সময় অদৃশ্য হয়ে যেত। যাত্রীদের মধ্যে যাদের আত্মিক শক্তি প্রবল, যারা মনের দিক থেকে সবার চেয়ে শক্ত তারাও প্রচণ্ড রকমের দমে যেত, নিশ্চুপ হয়ে থাকত। তাদের শক্তিতে ভর করেই তাদের স্ত্রীরা ভরসা পেত। বজরার খোলে বিছানো খসখসে খড়ের মধ্যে তাদের ঘুমাতে হতো; চোখ বরাবর ময়লা পানির দৃশ্য। পোশাক বদলের সময় নারীরা পালাক্রমে বিছানার চাদরের আড়াল তৈরি করত। ওইসবের ভেতর তার বাবার অস্তিত্ব কোথায় জ্যাক বুঝে পায় না। কোথাও না। তবু বজরাগুলো শ খানেক বছর আগে শরতের শেষে খানাখন্দ, নালা পার হয়ে এগিয়ে যেত। মাসের পর মাস ধরে গাছের শেষ পাতার জমাট হয়ে থাকা ছোট বড় নদী পার হয়ে যেত। বাদাম আর উইলো গাছ সামনের দিকে হাতছানি দিয়ে ডেকে নিয়ে যেত। শহরাঞ্চলে পৌঁছুলে দামামা বাজিয়ে তাদের স্বাগত জানানো হতো। তাদের সঙ্গে আরও কোনো বজরা যোগ হতো আরো সব যাত্রী নিয়ে। সবারই গন্তব্য অজানা দেশ। বয়সী মানুষের এলোমেলো যে তথ্য সে সংগ্রহ করতে এসেছিল তার চেয়ে বরং সবার কাছ থেকে শোনা তথ্যে জ্যাক দেখতে পায়, সবাই তাকে সেন্ট ব্রিউকে মারা যাওয়া অল্প বয়সী এক যুবকের কথা বলে।

মোটর এখন গতি বদল করছে। রাতের ঘন অন্ধকারের পিণ্ডগুলো, রাতের স্থানচ্যুত তীক্ষ্ণ ফলার মতো টুকরোগুলো এখন কাবিলিয়ার উপরে। দেশের এই হিংস্র এলাকাটার দিকে, এই রক্তাক্ত এলাকাটার দিকেই যাত্রা করেছিল তার পূর্বপুরুষেরা একশ বছর আগে। ’৪৮ সালের শ্রমজীবি মানুষেরা একটা প্যাডেল করা চাকাঅলা বজরায় গাদাগাদি অবস্থায় যাত্রা করেছিল। ডাক্তার বলেছেন, বজরাটার নাম ছিল লাব্রাডর। কল্পনা করতে পারো, লাব্রাডর মশা আর সূর্যের আধিপত্যের এলাকায় যাবে? একদিকে লাব্রাডরের চাকার ব্লেড ঘুরতে ঘুরতে ঠাণ্ডা পানিতে ফেনা তুলছে। অন্যদিকে ঠাণ্ডা বাতাস সেখানে ঝড়ের পাঁয়তারা খুঁজছে। বজরার পাটাতন পাঁচ দিন পাঁচ রাত বিধৌত হয়েছে গোলার্ধের বাতাসে। আর বিজেতারা বজরার খোলে মৃতপ্রায় অসুস্থ অবস্থায় একে অপারের গায়ে বমি করতে করতে মরে যেতে উদ্যত। অবশেষে সকলেই তারা বন বন্দরে পৌঁছে। বন্দর তাদের স্বাগত জানাতে সংগীতের আয়োজন করেছে। ইউরোপের রাজধানী থেকে ততক্ষণে স্ত্রী সন্তানদের এবং পোটলাপুটলি যার যা ছিল সব নিয়ে তারা যেন খোঁড়াতে খোঁড়াতে পাঁচ সপ্তাহের দীর্ঘ ভ্রমণে বহুদূর এই দূরবর্তী নীলাভ পটভূমির দেশে চলে এসেছে। এসেই মুখোমুখি হয়েছে সার, মসলা আরও কত কিছুর।

জ্যাক তার আসনে পাশ ফিরল। আধো ঘুমে জ্যাক বাস্তবে না দেখা বাবাকে স্বপ্নে দেখল। বাবার উচ্চতা সম্পর্কেও তার কোনো ধারণা নেই। স্বপ্নে দেখল, বাবা অন্যান্য অভিবাসীদের মাঝে বন বন্দরে দাঁড়িয়ে আছেন। কপিকলের গুড়ি দিয়ে সবার জিনিসপত্রের যা কিছু টিকে আছে সেসব তুলে ধরা হচ্ছে। এরপর খোয়া যাওয়া জিনিসপত্র নিয়ে তর্কবিতর্ক শুরু হলো সবার মাঝে। বাবা খুব দৃঢ়চিত্তে ভাবগম্ভীর চেহারায় দাঁতে দাঁত আটকে দাঁড়িয়ে আছেন। যে রাস্তাটা দেখা যাচ্ছে এই রাস্তা ধরেই প্রায় চল্লিশ বছর আগে ওয়াগনে চড়ে এরকম একই শরতের আকাশের নিচে তিনি বন থেকে সলফেরিনো গিয়েছিলেন, তাই না? তবে অভিবাসীদের জন্য সেরকম কোনো রাস্তা আসলে ছিল না। নারী এবং শিশুদের সেনাবাহিনীর অস্ত্রের গাড়িতে এবং পুরুষদের পায়ে হেঁটে জলাপূর্ণ সমতলভূমি কিংবা কণ্টকিত ঝোপঝাড় পার হতে হয়েছে কিছুদূর পর পর দূরে দাঁড়িয়ে থাকা আরব পাহারাদারদের কড়া চোখের নজরদারির অধীনে। অভিবাসীদের সঙ্গী বলতে ছিল অবিরত ঘেউ ঘেউ করে যাওয়া কাবিলে কুকুরের দল। চল্লিশ বছর আগে তার বাবাও ওই দলের সঙ্গে দিনের শেষে পৌঁছেছিলেন ওই দেশেরই একটা এলাকায়। সেখানে চারপাশে দূরে দূরে পাহাড় পর্বত; কোথাও জনবসতি ছিল না, কোথাও একখণ্ড আবাদী জমি ছিল না; শুধু মাঝে মাঝে মেটে রঙের সামরিক তাবু চোখে পড়েছিল তাদের। বিশাল ফাঁকা জায়গা ছাড়া আর কিছু চোখের সামনে ছিল না। তাদের মনে হয়েছিল, জগতের শেষ প্রান্তে এসে গেছে তারা। ফাঁকা আকাশ আর বিপদসঙ্কুল ভূমির মাঝখানে আর কিছু দেখতে পায়নি তারা। ক্লান্তি, ভয় আর হতাশায় নারীরা সারারাত কান্নাকাটি করে কাটিয়েছে।

সেই একই রকম রাতে একটা হতভাগা বৈরী জায়গায় পৌঁছনো; সেই মানুষগুলোই, তারপর তারপর...,নাহ, বাবা সম্পর্কে জ্যাক আর কিছু জানে না। তবে শুধু এরকমই শুনেছে, তারা সবাই সৈনিকদের হাসি তামাশার সামনে নিজেদের একত্রিত করতে এবং তাঁবুতে বসতি স্থাপন করতে পেরেছে। বাড়িঘরের প্রসঙ্গ পরে এসেছে। বাড়িঘর তৈরি করতে হয়েছে; জমি ভাগাভাগি হয়েছে; কাজ করতে হয়েছে। হ্যাঁ কাজই তখন পবিত্র কর্ম ছিল নিজেদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য। ভেইলার্ড বলেছে, তারা কাজ করতেও পারেনি ঠিক মতো। কারণ বৃষ্টি, আলজেরিয়ার কঠিন বৃষ্টি ঝড়েছে একটানা আট নয় দিন। ব্যাপক বৃষ্টি পতনের যেন কোনো শেষ ছিল না। গোটা সেবাউস প্লাবিত হয়েছে। তাঁবু পর্যন্ত পানি উঠেছে। তারা বাইরে বের হতে পারেনি। যেখানে সেখানে তৈরি আবর্জনাপূর্ণ বড় বড় তাঁবু বিরামহীন অশেষ বৃষ্টির নিচে অনুরণন তুলতে থাকে। ভেতরের আবদ্ধ অবস্থার দুর্গন্ধ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তারা ফাঁপা নল খাগড়া কেটে নালার মতো ব্যবহার করতে থাকে যাতে তাদের শরীরিক বর্জ্য ভেতর থেকে বাইরে বের করে দিতে পারে। বৃষ্টি থামলে শেষে তারা ছুতারের আদেশ অনুসারে হালকা পলকা ঘরবাড়ি তৈরি করতে কাজে বের হয়।

ভেইলার্ড হাসতে হাসতে বলেছে, আহা, সহজ সরল মানুষগুলো। বসন্তকালে তাদের বাড়িঘর তৈরির কাজ শেষ করে। তারপরই তারা কলেরার তালিকাভুক্ত হয়ে যায়। আমার বুড়ো বাবার কথা যদি বিশ্বাস করি তাহলে বলতে পারি, আমাদের পূর্বপুরুষ যিনি ছুতার ছিলেন এভাবেই তিনি তার স্ত্রী এবং মেয়েকে হারান। তারা ওই ভ্রমণে যেতে অনিচ্ছুক ছিলেন।

এদিক ওদিক পদচারণা করতে করতে বৃদ্ধ তবে টান টান শরীরের ডাক্তার বললেন, হ্যাঁ, তারা গড়ে দিনে দশ জনের মতো মারা গেছে। গরমের মৌসুম আগে আগেই শুরু হয়ে যায়। আর তারা সবাই কুঁড়ে ঘরগুলোতে তাপে ভাজা ভাজা হতে থাকে। স্বাস্থ্য বিষয়ক ব্যাপার, কী বলব আর...,সব দিক থেকে তারা দিনে দশ জন করে মারা যায়।

চলবে...

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

এমএমএ/

 

Header Ad

জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি

ছবি: সংগৃহীত

ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর সাথে এবার জুটি বাধলেন বাংলাদেশের তারকা অভিনেত্রী আফসানা মিমি। বিপ্লবী দীনেশ গুপ্তর জীবনকাহিনি নিয়ে এই সিনেমা নির্মাণ করতে যাচ্ছেন ভারতের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা মানসমুকুল পাল।

জানা গেছে, হুমায়ূন আহমেদের একটি উপন্যাসকে কেন্দ্র করে সিনেমা বানাবেন নির্মাতা মানসমুকুল পাল। আগামীতে সেই সিনেমাতেই দেখা যাবে মিঠুনকে। শোনা যাচ্ছে, অভিনেতার বিপরীতে দেখা যেতে পারে বাংলাদেশি অভিনেত্রী আফসানা মিমিকে। যদিও নিশ্চিত করে কিছু জানাননি নির্মাতা। তবে ভারতের জাতীয় পুরস্কারজয়ী এই পরিচালক চিত্রনাট্য লেখার আগে বাংলাদেশ ভ্রমণ করবেন।

মূলত সিনেমার চিত্রনাট্য লেখার আগে হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসে থাকা জায়গাগুলো নিজে ঘুরে দেখতে চান মানসমুকুল। ভারতীয় গণমাধ্যমে এ প্রসঙ্গে নির্মাতা বলেন, হুমায়ূন আহমেদের যে উপন্যাস অবলম্বনে চিত্রনাট্য লেখা শুরু করছি তাতে বাংলাদেশের একাধিক জায়গার উল্লেখ রয়েছে।

তাই ঢাকা, কিশোরগঞ্জসহ অন্যান্য জায়গায় যাওয়ার কথা আছে। সেই জায়গাগুলো নিজে দেখলে উপলব্ধি থাকবে, আর তাতে চিত্রনাট্য লেখার কাজও সহজ হবে।

শুধু জায়গা পরিদর্শন নয়, বাংলাদেশে এসে অভিনেত্রী আফসানা মিমির সঙ্গেও দেখা করবেন মানসমুকুল। তিনি এ-ও জানান, সিনেমার অধিকাংশ শুটিং বাংলাদেশে হবে। কিন্তু এখনই নয়। বর্তমানে মানসমুকুলের হাতে ৩টি সিনেমার কাজ রয়েছে। সেসব চলচ্চিত্র শেষ করে তবেই তিনি এই সিনেমার কাজ শুরু করবেন।

Header Ad

দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জানিয়েছেন, দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে জেলা বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তারেক রহমান বলেন, সব রাজনৈতিক দল মিলে আমরা এই অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি। দেশের মানুষের হাতে ক্ষমতা ফিরে যেতে নির্বাচন প্রয়োজন।

তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য আরও ২ বছর আগে সংস্কারের প্রস্তাব ৩১ দফা দিয়েছি আমরা। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। একজন শুরু করবে, আরেকজন টেনে নিয়ে যাবে। অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ ও সত্যিকারের নির্বাচন আয়োজন করতে পারলে, জনগণ তবেই জনপ্রতিনিধি বাছাই করতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।

নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, অনেকের মনে প্রশ্ন আমরা কেন বারবার নির্বাচনের কথা বলছি। আমরা বিশ্বাস করি, অন্তর্বর্তী সরকার একটি নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে। এর ফলে সংসদের যারা জনপ্রতিনিধি বাছাই হয়ে আসবে, তারা সংসদে বসে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, কীভাবে দেশের প্রত্যেকটি সেক্টরের সমস্যা সমাধান করা যায়। সকল সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব প্রকৃত ও সত্যিকারের একটি নির্বাচনের মাধ্যমে।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দায়িত্ব নিতে হলে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে আশপাশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। যদি এই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারা যায়, তবেই মানুষ আপনাদের দায়িত্ব দিবে, অন্যথায় দ্বিতীয়বার ভাববে।

এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপির খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপি খুলনা বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. শরীফুজ্জামান শরীফ, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল প্রমুখ।

Header Ad

২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা

ফাইল ছবি

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. বজলুর রশিদের দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে

রোববার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়া সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া আগামী পাঁচদিনে আবহাওয়া পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান