সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫ | ২৪ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৫৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান

বাস্তবে কাজটা অতো সহজ ছিল না। অবশ্য খবরের কাগজে নিম্নমান কেরানি কিংবা ফাইফরমাস খাটার কাজের জন্য বিজ্ঞাপন থাকত। নাপিতের দোকানের পাশে গোয়ালিনী বারটট বেগমের একটা দোকানঘর ছিল। সেখান থেকে মাখনের গন্ধ আসত, বিশেষ করে তেলের গন্ধে যাদের নাক অভ্যস্ত তাদের কাছে গন্ধটা বেশ উপভোগ্য ছিল। যা হোক, বারটট বেগমকে নানি আগে থেকে বলে রেখেছিলেন। নানির হয়ে তিনি খবরের কাগজের বিজ্ঞাপন দেখে রাখতেন। কিন্তু চাকরিদাতারা চাইতেন চাকরি-প্রার্থীর বয়স কমপক্ষে পনেরো বছর হতে হবে। তেরো বছরের জ্যাকের জন্য মিথ্যে বলাটাও অসম্ভব ছিল। তাছাড়া চাকরিদাতারা চাইতেন চাকরি-প্রার্থীরা তাদের প্রতিষ্ঠানে থেকে যাবে; অন্য কোথাও চলে যাবে না। অখ্যাত ওড়না পরা অবস্থায় নানি প্রথম যাদের কাছে জ্যাককে নিয়ে গেলেন তারা দেখলেন, তাদের কাজের জন্য জ্যাক আসলে খুব ছোট হয়ে যায়। তারা প্রায় না করেই দিলেন। কারণ মাত্র দুমাসের জন্য তাকে চাকরি দেওয়া সম্ভব নয়।
নানি বললেন, তুই বলবি ওদের ওখানে থেকে যাবি।
কিন্তু সে কথা তো সত্যি নয়।
তাতে কিছু যায় আসে না। ওরা তোর কথা বিশ্বাস করবে।

জ্যাক তাদের বিশ্বাস করা না করা নিয়ে ভাবেনি। তারা তাকে বিশ্বাস করুক তাও সে চায়নি। তার কাছে বড় কথা হচ্ছে মিথ্যে বলতে গেলেই তো তার গলায় আটকে যাবে কথা। অবশ্য বাড়িতে মিথ্যে সে বলেছে কখনও কখনও, শাস্তি থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য, দুপয়সা বাঁচানোর জন্য এবং বন্ধুদের সঙ্গে ভাব নিয়ে আড্ডাবাজি করার কারণে। পরিবারের মানুষদের কাছে ছোটখাটো মিথ্যে বললে সেটা ছিল মার্জনীয়। কিন্তু বাইরের কারো কাছে মিথ্যে বলা মানে মারাত্বক। কোনো এক অজানা কারণে জ্যাক বুঝতে পেরেছিল, যাদের ভালোবাসা যায় তাদের কাছে অপরিহার্য এবং গুরুতর বিষয়ে মিথ্যে কথা বলা যায় না। যদি সেরকম বিষয়ে মিথ্যে বলাই হয়ে থাকে তাহলে তাদের সঙ্গে বসবাস করা যায় না, তাদেরকে ভালোবাসাও যায় না। চাকরিদাতারা তার সম্পর্কে যা কিছু জানবে সব তার মুখে শুনেই জানবে। সুতরাং সে যদি মিথ্যে বলে তাহলে তারা তাকে ঠিক মতো চিনতেই পারবে না। মিথ্যেটা ধ্রুব হয়েই থাকবে। একদিন বারটট বেগম খবর দিলেন, আঘা ডিসট্রিক্ট এলাকার একটা বড় ধাতব সামগ্রীর দোকানে অল্পবয়সী একজন ফাইলিং কেরানি চেয়েছে। নানি তার ওড়নার গিট বাঁধতে বাঁধতে বললেন, চল যাই। কেন্দ্রীয় ডিসট্রিক্টের দিকে যেসব ঢাল উঠে গেছে সেগুলোর একটার পাশেই ছিল দোকানটা। মধ্য জুলাইয়ের সূর্যটা রাস্তাটাকে ভাজাভাজা করে চলছে এবং রাস্তা থেকে উঠে আসা প্রস্রাবের আর অ্যাসফল্টের গন্ধটা আরো তীব্র করে তুলছে। রাস্তার সমান উচ্চতায় একটা সরু তবে গভীর গুদামঘর জাতীয় দোকান। মাঝখানের একটা কাউন্টার লম্বা পথটাকে দুভাগ করেছে। লোহার বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, হুড়কা ইত্যাদির নমুনা রাখা হয়েছে কাউন্টারে। দেয়ালের অনেকটা জুড়ে অনেকগুলো ড্রয়ার। ড্রয়ারগুলোতে রহস্যময় সব লেবেল লাগানো। প্রবেশ পথের ডান দিকে কাউন্টারের ওপরে জানালার সঙ্গে ক্যাশিয়ারের জন্য পেটা লোহার গ্রিল বসানো হয়েছে। গ্রিলের অপর পাশ থেকে দিবাস্বপ্নে বিভোর এক মহিলা জ্যাকের নানিকে দ্বিতীয় তলায় অফিসে যেতে বলল। দোকানের শেষ মাথায় একটা কাঠের সিঁড়ি একটা বড় অফিসরুমের মাথা পর্যন্ত চলে গেছে। দোকানের চেহারার সঙ্গে অফিসের চেহারায় পুরোপুরি সাদৃশ্য আছে। রুমের মাঝখানে একটা বড় টেবিলে পাঁচ ছয়জন নারী পুরুষ কর্মী বসে আছে। বড় রুমের এক পাশে একটা দরজা ম্যানেজারের রুমের দিকে গেছে।

প্রচণ্ড গরমে ঘামে ভিজে ওঠা শরীরে ম্যানেজার কলার খোলা শার্ট পরে আছেন। তার পেছন পাশে একটা জানালা; জানালা দিয়ে উঠোন দেখা যায়। সেখানে বেলা দুটোর সময়েও রোদ পড়েনি। লোকটার চেহারা মোটাসোটা তবে খাটো। তার ঘাড়ের ওপরে গলানো ফিতা বৃদ্ধাঙ্গুল দিয়ে উঁচু করে ধরে আছেন। লোকটার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। তার মুখ দেখা যাচ্ছে না, তবে নিশ্বাস আটকানো মুখের ভেতর থেকে জ্যাকের নানির বসার আহ্বান বের হয়ে এল। জ্যাকের মনে হলো, গোটা ভবনে লোহার গন্ধ ছড়িয়ে আছে। জ্যাক বুঝতে পারল, ম্যানেজারের অনড় অবস্থায় বসে থাকা মানে লোকটা তাদেরকে সন্দেহের চোখে দেখছে। ভয় জাগানিয়া চেহারার ক্ষমতাধর লোকটার সামনে মিথ্যে বলতে হবে ভাবতেই জ্যাকের পা কাঁপা শুরু করল। নানির চেহারা দেখে জ্যাক বুঝতে পারল, নানির মধ্যে কোনো রকম কাঁপাকাঁপি নেই। তখনকার আসল কথা হচ্ছে, জ্যাকের বয়স পনেরো বছর হতে যাচ্ছে। খুব তাড়াতাড়িই চাকরিটা তার চাই। ম্যানেজারের মন্তব্য অনুসারে জ্যাকের চেহারা পনেরো বছরের বলে মনে হয় না। তবে সে বুদ্ধিমান হলে..... আর তার কি সার্টিফিকেট দু এদুতেস আছে? না, বৃত্তি আছে। কিসের বৃত্তি? ডলসের। ও, তাহলে সে লিসেতে পড়ছিল? কোন ক্লাসে? চতুর্থ বর্ষে। সে তাহলে লিসে ছেড়ে আসবে? ম্যানেজার আরো অনড় হয়ে বসলেন; এবার মুখটা ভালো করে দেখা যাচ্ছে। তার গোলাকার দুধেল রঙের চোখ এবার নানির ওপর থেকে জ্যাকের ওপর চলে এল। তার চাহনির নিচে জ্যাক কেঁপে উঠতে লাগল।
নানি বললেন, হ্যাঁ। আমরা খুব গরিব মানুষ।

বোঝা যায় কি যায় না এমনভাবে নরম হলেন ম্যানেজার। তিনি বললেন, খুব দুর্ভাগ্যের কথা। ছেলে তো মেধাবী। অবশ্য ব্যবসায়েও ভালো পদবী পাওয়া যেতে পারে।
আবার একথাও সত্য ‘ভালো পদবী’ শুরুতে ছোটখাটোই থাকে। দিনে আট ঘণ্টা কাজ করে মাসে ১৫০ ফ্রাঁ পাবে জ্যাক। পরের দিনই কাজ শুরু করতে পারে।
পথে বের হয়ে নানি বললেন, দেখলি, ওরা আমাদের কথা বিশ্বাস করেছে!
কিন্তু চাকরি ছেড়ে যাওয়ার সময় সব সত্য কীভাবে ব্যাখ্যা করবো তাদের কাছে?
ওটা আমার ওপর ছেড়ে দে।

হাল ছেড়ে দিয়ে জ্যাক বলল, ঠিক আছে। মাথার ওপরে গ্রীষ্মের আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবতে লাগল অফিসের কথা: সেখানে লোহার গন্ধ ছড়িয়ে আছে অফিসজুড়ে; সবটাজুড়ে ছায়া। আগামীকাল তাকে ভোরে উঠতে হবে। তার ছুটি শুরু না হতেই শেষ হয়ে গেল।
পর পর দুবছর জ্যাক গ্রীষ্মের ছুটির সময় চাকরি করে ফেলল। প্রথমে যন্ত্রপাতির দোকানে, তার পরে একটা জাহাজের দালালি প্রতিষ্ঠানে। দুজায়গাতেই ১৫ সেপ্টেম্বর নিয়ে তার ভয় ছিল। ওই দিনই তাকে চাকরি ছাড়ার কথা জানাতে হয়েছিল।

কাজ শেষ হয়ে গেছে সেটাই বড় কথা। অবশ্য গ্রীষ্ম আগের মতো কড়া তাপ বিকিরণ করেছে, প্রচণ্ড একঘেয়েমি শরীর মনের ওপর চেপে বসেছে। তবে আগে গ্রীষ্মকে যে সব বিষয় আদর্শ রূপদান করেছে সেসব বিষয় গ্রীষ্মের ভেতর থেকে হারিয়ে গেছে বলে মনে হয়ে জ্যাকের। গ্রীষ্মের আকাশ, খোলা পরিসর এবং কলরব কোনো কিছু আর আগের মতো মনে হয়নি তার। পাড়া মহল্লার লাগামহীন দারিদ্রের মধ্যে আর জ্যাক দিন যাপন করেনি। তার সময় কেটেছে শহরের নিম্নাঞ্চলে যেখানে দরিদ্রদের ছোট পাথরের প্লাস্টারের পরিবর্তে ধনীদের সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে বাড়িগুলোকে আলাদা এবং ধূসর ও বিষন্ন চেহারা দান করার জন্য। সকাল আটটার সময় জ্যাক যখন লোহার গন্ধ আর আবছা অন্ধকার দোকানে প্রবেশ করল তার মনের ভেতর থেকে একটা আলো নিভে গেল। আকাশটা বিলীন হয়ে গেল। ক্যাশিয়ারকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সে দ্বিতীয় তলার আবছা আলোকিত অফিসে উঠে গেল। প্রধান টেবিলে তার জন্য আর ফাঁকা জায়গা ছিল না। সারাদিন হাতে বানানো সিগারেট টানতে টানতে প্রধান হিসাবরক্ষকের গোঁফ হলুদ হয়ে গেছে। সহকারী হিসাবরক্ষকের মাথার অর্ধেকখানি টাক হয়ে গেছে, মুখ এবং বুকের গড়ন ষাঁড়ের মতো। অল্পবয়সী দুজন কেরানির মধ্যে একজনের চেহারা হালকা পাতলা, চুল বাদমী, সোজা সাপটা চেহারায় তার মধ্যে পৌরুষের ছাপ বেশ স্পষ্ট। অফিসে ঢোকার সময় প্রতিবারই দেখা গেছে তার শার্ট ভিজে গায়ের সঙ্গে লেপ্টে আছে। তার শরীর থেকে সমুদ্রের ঘ্রাণ বের হতো। কারণ অফিসের মধ্যে নিজেকে সারাদিনের জন্য পুঁতে ফেলার আগে তিনি সাঁতার অনুশীলন করে আসতেন। আরেকজন ছিলেন মোটা এবং সদাহাসিখুশি। নিজের হাসিখুশি প্রাণচঞ্চল ভাব তিনি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারতেন না। সর্বশেষ জন বেগম রাসলিন, তিনি ম্যানেজারের সহকারী, মুখের গড়ন ঘোড়ার মতো লম্বা হলেও মজবুত সুতি আর পশমি পোশাকে হাসিখুশি বলেই মনে হতো। সব সময় গোলাপী রঙের পোশাক পরতেন। জগতের প্রতি চাহনি যেন খুব কড়া ছিল তার। নিজেদের ফাইলপত্র, হিসাবরক্ষণ খাতা এবং যন্ত্রপাতি নিয়ে তারা সবাই টেবিলের সবটুকু জায়গা দখল করেছিল। সুতরাং জ্যাকের জায়গা হলো ম্যানেজারের রুমের দরজার ডান পাশের একটা চেয়ারে। তার কাজ হলো চালান কিংবা ব্যবসায়িক চিঠিপত্র জানালার উভয়পশের কার্ডসূচির একটা ফাইলে তুলে রাখা। ঠেলা দিয়ে খোলা এবং বন্ধ করা যায় এমন ড্রয়ার খুলে জ্যাক কার্ডগুলোর কাগজ এবং আঠার গন্ধ শুকত। প্রথম দিকে ভালো লাগলেও পরে সে গন্ধটা তার কাছে একঘেয়ে মনে হতো। কখনও কখনও তাকে সবগুলো কার্ড ভালো করে আরেকবার পরীক্ষা করে দেখতে বলা হতো। এই কাজটা সে করত চেয়ারে বসে কাজের জিনিসগুলো কোলের ওপর ফেলে। মাঝে মাঝে সহকারী হিসাবরক্ষক সংখ্যা মেলানোর কাজে তাকে সাহায্য করতে বলতেন। জ্যাক তার পাশে দাঁড়িয়ে মেলাত আর তিনি বিষণ্ন মুখে সংখ্যাগুলো নিচু স্বরে বলে যেতেন যেন তার সহকর্মীদের বিরক্তি উৎপাদন করতে চান না। জানালা দিয়ে বাইরের রাস্তা এবং রাস্তার ওপারের বাড়িঘর দেখা যেত। তবে আকাশ দেখা যেতো না। মাঝে মধ্যে জ্যাককে বাইরের কাজেও পাঠানো হতো: কখনও নিকটস্থ দোকান থেকে অফিসের কোনো জিনিসের সরবরাহ আনতে যেতে হতো। মাঝে মাঝে মানি অর্ডার পাঠাতে পোস্ট অফিসে যেতে হতো। কেন্দ্রীয় পোস্ট অফিস ছিল দুশো মিটার দূরত্বের মধ্যে। বন্দর থেকে ওপরের দিকে যে পাহাড়ের ওপরে শহর অবস্থিত সেই পাহাড় পর্যন্ত বিস্তৃত প্রশস্ত প্রধান সড়কের ওপরে অবস্থিত ছিল পোস্ট অফিসটা। ওই সড়কে আসলে জ্যাক পুনরায় আবিষ্কার করতে পারত ফাঁকা জায়গা এবং আলো। একটা বড় গোলাকার দালানে অবস্থিত পোস্ট অফিসটায় আলো আসত তিনটা দরজা এবং একটা ছোট গম্বুজের ভেতর দিয়ে। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রায়ই জ্যাককে পোস্ট অফিসে যেতে হতো দিনের শেষে অফিসের কাজ শেষ করার পর। তার মানে তাকে আরো বেশি পরিশ্রম করতে হতো। পোস্ট অফিসের দিকে দৌড়ে যেতে হতো। কারণ তখন দিনের আলো ফিকে হয়ে আসত। সেখানে অনেক লোকের ভীড়ে তাকে লাইনে দাঁড়াতে হতো। অর্থাৎ তার কর্মদিবস আরও দীর্ঘ হয়ে যেত। গ্রীষ্মের লম্বা সময়টা জ্যাকের এভাবেই কোনো রকম আলোর ছটার ছোঁয়া ছাড়াই তুচ্ছ কাজ করে কেটে যেত।

নানি বলতেন, কাজ না করে তো তুই আলস্যে সময় পার করতে পারিস না। কিন্তু জ্যাকের মনে হতো, অফিসে সে যে সব কাজ করে সেগুলো কোনো কাজই নয়। সে কাজ করতে অনিচ্ছুক ছিল তা তো নয়; তবে সমুদ্রে যাওয়া কিংবা কুবাতে খেলতে যাওয়ার স্থলে অন্য কিছুকে আনা যাবে না। তার মতে, আসল কাজ বলতে যা বোঝায় সেগুলো তার মামার কারখানার উৎপাদনশীল কাজের মতো হতে হবে। কাজের মধ্যে থাকবে দীর্ঘ সময়ের শারীরিক প্রচেষ্টা, হাতের দ্রুত এবং কঠিন সঞ্চালনের দ্বারা দক্ষ এবং যথাযথ কাজের ধারাবাহিকতা। কর্মী নিজের চোখের সামনে দেখতে পাবে তার পরিশ্রম একটা নির্দিষ্ট আকার নিচ্ছে: যেমন কোনো রকম ফাটল কিংবা দাগ ছাড়াই একটা নতুন পিপার মতো কিছু। সে জিনিসটা নিয়ে কর্মী আগে থেকে পরিকল্পনা পর্যন্ত করে রাখতে পারবে।

চলবে…

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৫২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৫১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৫০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান:পর্ব-৪৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

আরএ/

Header Ad
Header Ad

সাবেক নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

সাবেক নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সন্দেহভাজন লেনদেনের অভিযোগে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর নামে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রায় ৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ও সাড়ে ১৩ কোটি টাকার বেশি সন্দেহভাজন লেনদেনের অভিযোগ পেয়েছে দুদক।

সোমবার (৭ এপ্রিল) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১–এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিন ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দিনাজপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খালিদ জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৫ কোটি ৭৩ লাখ ৮২ হাজার ৬৮৭ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। এ ছাড়া নিজের নামে ১১টি ব্যাংক হিসাব ও পাঁচটি কার্ড হিসাবে ১৩ কোটি ৬৮ লাখ ২৩ হাজার ৫১০ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন বলেও অভিযোগ করা হয়।

Header Ad
Header Ad

ভারত থেকে ৪০টি রেফ্রিজারেটেড মিল্ক ভ্যান আমদানি করছে সেনাবাহিনী

রেফ্রিজারেটেড মিল্ক ভ্যান। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ভারত থেকে ৪০টি রেফ্রিজারেটেড মিল্ক ভ্যান আমদানি করছে। রোববার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় প্রথম চালানে ৪০টির মধ্যে ১০ টি রেফ্রিজারেটেড মিল্ক ভ্যান ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে বেনাপোল বন্দরের কার্গোভেহিকেল টার্মিনালে প্রবেশ করেছে।

আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বাকি ৩০ টি মিল্ক ভ্যান ঢুকবে বলে জানা গেছে। রেফ্রিজারেটেড ভিল্ক ভ্যানের আমদানিকারক ডাইরেক্টোরেট জেনারেল পারসেজ বিডি। রফতানি কারক ভারতের অশোক লিলেন্ড লিমিটেড।

১০টি মিল্ক ভ্যানের আমদানি মূল্য দেখানো হয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার ৫৩ ইউ,এস ডলার। পণ্য চালানটি বন্দর থেকে ছাড়করণের কাজ করছেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এম আর লজিস্টিক।

বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) রাসেদুল সজীব নাজির জানান, আমদানিকৃত ১০টি মিল্কভ্যান বন্দরের কার্গোভেহিকেল টার্মিনালে নিরাপত্তার মধ্যে রাখা হয়েছে। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র দাখিল করলে দ্রুত খালাসে সহযোগিতা করা হবে।

উল্লেখ্য, এর আগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ১১টি মাইন প্রটেকটেড ভেহিকেল আমদানি করেছিলেন।

Header Ad
Header Ad

ফিলিস্তিনের পক্ষে মিছিল: ৫ বাংলাদেশিসহ ৪ শতাধিক শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করলো যুক্তরাষ্ট্র

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন জানাতে এবং ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত পাঁচ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীসহ ৪০০ বিদেশি শিক্ষার্থীর স্টুডেন্ট ভিসা বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। এই শিক্ষার্থীরা গত দুই বছর ধরে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলা ও হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মার্ক রুবিও শুক্রবার এক ঘোষণায় জানান, ভিসা বাতিল হওয়া শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্দোলন করার সময় সহিংস কার্যকলাপে জড়িয়েছিলেন। প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোর সহযোগিতায় তাদের চিহ্নিত করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এদিকে, ট্রাম্প প্রশাসন শুধু বিদেশি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েই থেমে থাকেনি; সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিকত্ব গ্রহণ করা অনেকেরও ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ করার কারণে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

গত ৭ দিনের মধ্যে ৪০০ বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল হয়েছে, যার মধ্যে পাঁচজন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী রয়েছেন। তাদের মধ্যে সিলেটের ২ জন, ঢাকা ও বগুড়ার ১ জন করে শিক্ষার্থী রয়েছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

গত বছর ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিলের অংশ হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন। এদের মধ্যে অনেকেই যুক্তরাষ্ট্রে লেখাপড়া করছেন, যেখানে প্রায় ৩০ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে পড়াশোনা করছেন।

বাংলাদেশি আমেরিকান অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী জানান, একজন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর স্টুডেন্ট ভিসা বাতিল হয়েছে এবং তিনি তার আইনগত সহায়তার জন্য আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন। মঈন চৌধুরী আরও বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তাদের কোনও আইন ভঙ্গ বা অপরাধে জড়ানো যাবে না এবং স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ শেষ না হওয়ার বিষয়টি নজর রাখতে হবে।

এছাড়া, গত সপ্তাহে ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্বের প্রখ্যাত হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ জন শিক্ষার্থী ও ২ জন সদ্য গ্র্যাজুয়েটের ভিসা বাতিল করে এবং তাদের গ্রেফতার করে ডিপোর্টেশনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। একইভাবে, কেন্ট স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ জন এবং ইউনিভার্সিটি অব অ্যাক্রন এর ২ জন শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া, মিনেসোটার স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ জন শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করা হয়েছে, যাদের আগামী ৬০ দিনের মধ্যে ডিপোর্ট হতে বলা হয়েছে।

বিভিন্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৮ জন শিক্ষার্থীর ভিসাও বাতিল করা হয়েছে, অনেককে গ্রেফতার করে ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয়েছে। ইমিগ্রেশন অ্যাডভোকেসি গ্রুপগুলো এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং এটি যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান বিরোধী বলে দাবি করেছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সাবেক নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ভারত থেকে ৪০টি রেফ্রিজারেটেড মিল্ক ভ্যান আমদানি করছে সেনাবাহিনী
ফিলিস্তিনের পক্ষে মিছিল: ৫ বাংলাদেশিসহ ৪ শতাধিক শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করলো যুক্তরাষ্ট্র
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ: পাঁচ জেলায় বাটা-কেএফসিতে হামলা-ভাঙচুর
ঈদের ছুটি শেষে দর্শনা বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
নওগাঁয় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ
লাঠিপেটা না করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ, রাষ্ট্রপতি পদক পাচ্ছেন সেই পুলিশ কনস্টেবল
ইন্ডিয়ান আইডলের শিরোপা জিতলেন কলকাতার মানসী ঘোষ
প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা পেলেন বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী
নতুন শুল্ক প্রস্তাব স্থগিত করতে ট্রাম্পকে প্রধান উপদেষ্টার চিঠি
ঢাকায় মার্কিন নাগরিকদের জন্য চলাচলে সতর্কতা জারি
ইসরায়েলি বর্বরতা ও গণহত্যার নিন্দা জানালো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে অন্নপূর্ণা–১ জয় করলেন বাবর আলী
বৈশাখে যারা ইলিশ কিনে খাবেন তারা আইনের লঙ্ঘন করবেন: উপদেষ্টা ফরিদা
ঢাকা-রংপুর ৪ লেন প্রকল্পে পলাশবাড়ীতে এক জমি দুইবার বিক্রি, গাইবান্ধা ডিসি অফিসের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ১৫ কোটি টাকার অধিক লুটপাটের চেষ্টা
ফিলিস্তিনের পতাকা ওড়ানোয় ভারতে বিদ্যুৎ বিভাগের 'মুসলিম কর্মী' বরখাস্ত
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে বেনাপোল ও শার্শায় বিক্ষোভ মিছিল
গাজার কর্মসূচি নিয়ে হুমকি, চাকরি হারালেন ড্যাফোডিলের সেই শিক্ষিকা
নওগাঁয় নিজ বাড়ি থেকে ভাই-বোনের মরদেহ উদ্ধার
ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ