শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৫৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান

বাস্তবে কাজটা অতো সহজ ছিল না। অবশ্য খবরের কাগজে নিম্নমান কেরানি কিংবা ফাইফরমাস খাটার কাজের জন্য বিজ্ঞাপন থাকত। নাপিতের দোকানের পাশে গোয়ালিনী বারটট বেগমের একটা দোকানঘর ছিল। সেখান থেকে মাখনের গন্ধ আসত, বিশেষ করে তেলের গন্ধে যাদের নাক অভ্যস্ত তাদের কাছে গন্ধটা বেশ উপভোগ্য ছিল। যা হোক, বারটট বেগমকে নানি আগে থেকে বলে রেখেছিলেন। নানির হয়ে তিনি খবরের কাগজের বিজ্ঞাপন দেখে রাখতেন। কিন্তু চাকরিদাতারা চাইতেন চাকরি-প্রার্থীর বয়স কমপক্ষে পনেরো বছর হতে হবে। তেরো বছরের জ্যাকের জন্য মিথ্যে বলাটাও অসম্ভব ছিল। তাছাড়া চাকরিদাতারা চাইতেন চাকরি-প্রার্থীরা তাদের প্রতিষ্ঠানে থেকে যাবে; অন্য কোথাও চলে যাবে না। অখ্যাত ওড়না পরা অবস্থায় নানি প্রথম যাদের কাছে জ্যাককে নিয়ে গেলেন তারা দেখলেন, তাদের কাজের জন্য জ্যাক আসলে খুব ছোট হয়ে যায়। তারা প্রায় না করেই দিলেন। কারণ মাত্র দুমাসের জন্য তাকে চাকরি দেওয়া সম্ভব নয়।
নানি বললেন, তুই বলবি ওদের ওখানে থেকে যাবি।
কিন্তু সে কথা তো সত্যি নয়।
তাতে কিছু যায় আসে না। ওরা তোর কথা বিশ্বাস করবে।

জ্যাক তাদের বিশ্বাস করা না করা নিয়ে ভাবেনি। তারা তাকে বিশ্বাস করুক তাও সে চায়নি। তার কাছে বড় কথা হচ্ছে মিথ্যে বলতে গেলেই তো তার গলায় আটকে যাবে কথা। অবশ্য বাড়িতে মিথ্যে সে বলেছে কখনও কখনও, শাস্তি থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য, দুপয়সা বাঁচানোর জন্য এবং বন্ধুদের সঙ্গে ভাব নিয়ে আড্ডাবাজি করার কারণে। পরিবারের মানুষদের কাছে ছোটখাটো মিথ্যে বললে সেটা ছিল মার্জনীয়। কিন্তু বাইরের কারো কাছে মিথ্যে বলা মানে মারাত্বক। কোনো এক অজানা কারণে জ্যাক বুঝতে পেরেছিল, যাদের ভালোবাসা যায় তাদের কাছে অপরিহার্য এবং গুরুতর বিষয়ে মিথ্যে কথা বলা যায় না। যদি সেরকম বিষয়ে মিথ্যে বলাই হয়ে থাকে তাহলে তাদের সঙ্গে বসবাস করা যায় না, তাদেরকে ভালোবাসাও যায় না। চাকরিদাতারা তার সম্পর্কে যা কিছু জানবে সব তার মুখে শুনেই জানবে। সুতরাং সে যদি মিথ্যে বলে তাহলে তারা তাকে ঠিক মতো চিনতেই পারবে না। মিথ্যেটা ধ্রুব হয়েই থাকবে। একদিন বারটট বেগম খবর দিলেন, আঘা ডিসট্রিক্ট এলাকার একটা বড় ধাতব সামগ্রীর দোকানে অল্পবয়সী একজন ফাইলিং কেরানি চেয়েছে। নানি তার ওড়নার গিট বাঁধতে বাঁধতে বললেন, চল যাই। কেন্দ্রীয় ডিসট্রিক্টের দিকে যেসব ঢাল উঠে গেছে সেগুলোর একটার পাশেই ছিল দোকানটা। মধ্য জুলাইয়ের সূর্যটা রাস্তাটাকে ভাজাভাজা করে চলছে এবং রাস্তা থেকে উঠে আসা প্রস্রাবের আর অ্যাসফল্টের গন্ধটা আরো তীব্র করে তুলছে। রাস্তার সমান উচ্চতায় একটা সরু তবে গভীর গুদামঘর জাতীয় দোকান। মাঝখানের একটা কাউন্টার লম্বা পথটাকে দুভাগ করেছে। লোহার বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, হুড়কা ইত্যাদির নমুনা রাখা হয়েছে কাউন্টারে। দেয়ালের অনেকটা জুড়ে অনেকগুলো ড্রয়ার। ড্রয়ারগুলোতে রহস্যময় সব লেবেল লাগানো। প্রবেশ পথের ডান দিকে কাউন্টারের ওপরে জানালার সঙ্গে ক্যাশিয়ারের জন্য পেটা লোহার গ্রিল বসানো হয়েছে। গ্রিলের অপর পাশ থেকে দিবাস্বপ্নে বিভোর এক মহিলা জ্যাকের নানিকে দ্বিতীয় তলায় অফিসে যেতে বলল। দোকানের শেষ মাথায় একটা কাঠের সিঁড়ি একটা বড় অফিসরুমের মাথা পর্যন্ত চলে গেছে। দোকানের চেহারার সঙ্গে অফিসের চেহারায় পুরোপুরি সাদৃশ্য আছে। রুমের মাঝখানে একটা বড় টেবিলে পাঁচ ছয়জন নারী পুরুষ কর্মী বসে আছে। বড় রুমের এক পাশে একটা দরজা ম্যানেজারের রুমের দিকে গেছে।

প্রচণ্ড গরমে ঘামে ভিজে ওঠা শরীরে ম্যানেজার কলার খোলা শার্ট পরে আছেন। তার পেছন পাশে একটা জানালা; জানালা দিয়ে উঠোন দেখা যায়। সেখানে বেলা দুটোর সময়েও রোদ পড়েনি। লোকটার চেহারা মোটাসোটা তবে খাটো। তার ঘাড়ের ওপরে গলানো ফিতা বৃদ্ধাঙ্গুল দিয়ে উঁচু করে ধরে আছেন। লোকটার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। তার মুখ দেখা যাচ্ছে না, তবে নিশ্বাস আটকানো মুখের ভেতর থেকে জ্যাকের নানির বসার আহ্বান বের হয়ে এল। জ্যাকের মনে হলো, গোটা ভবনে লোহার গন্ধ ছড়িয়ে আছে। জ্যাক বুঝতে পারল, ম্যানেজারের অনড় অবস্থায় বসে থাকা মানে লোকটা তাদেরকে সন্দেহের চোখে দেখছে। ভয় জাগানিয়া চেহারার ক্ষমতাধর লোকটার সামনে মিথ্যে বলতে হবে ভাবতেই জ্যাকের পা কাঁপা শুরু করল। নানির চেহারা দেখে জ্যাক বুঝতে পারল, নানির মধ্যে কোনো রকম কাঁপাকাঁপি নেই। তখনকার আসল কথা হচ্ছে, জ্যাকের বয়স পনেরো বছর হতে যাচ্ছে। খুব তাড়াতাড়িই চাকরিটা তার চাই। ম্যানেজারের মন্তব্য অনুসারে জ্যাকের চেহারা পনেরো বছরের বলে মনে হয় না। তবে সে বুদ্ধিমান হলে..... আর তার কি সার্টিফিকেট দু এদুতেস আছে? না, বৃত্তি আছে। কিসের বৃত্তি? ডলসের। ও, তাহলে সে লিসেতে পড়ছিল? কোন ক্লাসে? চতুর্থ বর্ষে। সে তাহলে লিসে ছেড়ে আসবে? ম্যানেজার আরো অনড় হয়ে বসলেন; এবার মুখটা ভালো করে দেখা যাচ্ছে। তার গোলাকার দুধেল রঙের চোখ এবার নানির ওপর থেকে জ্যাকের ওপর চলে এল। তার চাহনির নিচে জ্যাক কেঁপে উঠতে লাগল।
নানি বললেন, হ্যাঁ। আমরা খুব গরিব মানুষ।

বোঝা যায় কি যায় না এমনভাবে নরম হলেন ম্যানেজার। তিনি বললেন, খুব দুর্ভাগ্যের কথা। ছেলে তো মেধাবী। অবশ্য ব্যবসায়েও ভালো পদবী পাওয়া যেতে পারে।
আবার একথাও সত্য ‘ভালো পদবী’ শুরুতে ছোটখাটোই থাকে। দিনে আট ঘণ্টা কাজ করে মাসে ১৫০ ফ্রাঁ পাবে জ্যাক। পরের দিনই কাজ শুরু করতে পারে।
পথে বের হয়ে নানি বললেন, দেখলি, ওরা আমাদের কথা বিশ্বাস করেছে!
কিন্তু চাকরি ছেড়ে যাওয়ার সময় সব সত্য কীভাবে ব্যাখ্যা করবো তাদের কাছে?
ওটা আমার ওপর ছেড়ে দে।

হাল ছেড়ে দিয়ে জ্যাক বলল, ঠিক আছে। মাথার ওপরে গ্রীষ্মের আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবতে লাগল অফিসের কথা: সেখানে লোহার গন্ধ ছড়িয়ে আছে অফিসজুড়ে; সবটাজুড়ে ছায়া। আগামীকাল তাকে ভোরে উঠতে হবে। তার ছুটি শুরু না হতেই শেষ হয়ে গেল।
পর পর দুবছর জ্যাক গ্রীষ্মের ছুটির সময় চাকরি করে ফেলল। প্রথমে যন্ত্রপাতির দোকানে, তার পরে একটা জাহাজের দালালি প্রতিষ্ঠানে। দুজায়গাতেই ১৫ সেপ্টেম্বর নিয়ে তার ভয় ছিল। ওই দিনই তাকে চাকরি ছাড়ার কথা জানাতে হয়েছিল।

কাজ শেষ হয়ে গেছে সেটাই বড় কথা। অবশ্য গ্রীষ্ম আগের মতো কড়া তাপ বিকিরণ করেছে, প্রচণ্ড একঘেয়েমি শরীর মনের ওপর চেপে বসেছে। তবে আগে গ্রীষ্মকে যে সব বিষয় আদর্শ রূপদান করেছে সেসব বিষয় গ্রীষ্মের ভেতর থেকে হারিয়ে গেছে বলে মনে হয়ে জ্যাকের। গ্রীষ্মের আকাশ, খোলা পরিসর এবং কলরব কোনো কিছু আর আগের মতো মনে হয়নি তার। পাড়া মহল্লার লাগামহীন দারিদ্রের মধ্যে আর জ্যাক দিন যাপন করেনি। তার সময় কেটেছে শহরের নিম্নাঞ্চলে যেখানে দরিদ্রদের ছোট পাথরের প্লাস্টারের পরিবর্তে ধনীদের সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে বাড়িগুলোকে আলাদা এবং ধূসর ও বিষন্ন চেহারা দান করার জন্য। সকাল আটটার সময় জ্যাক যখন লোহার গন্ধ আর আবছা অন্ধকার দোকানে প্রবেশ করল তার মনের ভেতর থেকে একটা আলো নিভে গেল। আকাশটা বিলীন হয়ে গেল। ক্যাশিয়ারকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সে দ্বিতীয় তলার আবছা আলোকিত অফিসে উঠে গেল। প্রধান টেবিলে তার জন্য আর ফাঁকা জায়গা ছিল না। সারাদিন হাতে বানানো সিগারেট টানতে টানতে প্রধান হিসাবরক্ষকের গোঁফ হলুদ হয়ে গেছে। সহকারী হিসাবরক্ষকের মাথার অর্ধেকখানি টাক হয়ে গেছে, মুখ এবং বুকের গড়ন ষাঁড়ের মতো। অল্পবয়সী দুজন কেরানির মধ্যে একজনের চেহারা হালকা পাতলা, চুল বাদমী, সোজা সাপটা চেহারায় তার মধ্যে পৌরুষের ছাপ বেশ স্পষ্ট। অফিসে ঢোকার সময় প্রতিবারই দেখা গেছে তার শার্ট ভিজে গায়ের সঙ্গে লেপ্টে আছে। তার শরীর থেকে সমুদ্রের ঘ্রাণ বের হতো। কারণ অফিসের মধ্যে নিজেকে সারাদিনের জন্য পুঁতে ফেলার আগে তিনি সাঁতার অনুশীলন করে আসতেন। আরেকজন ছিলেন মোটা এবং সদাহাসিখুশি। নিজের হাসিখুশি প্রাণচঞ্চল ভাব তিনি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারতেন না। সর্বশেষ জন বেগম রাসলিন, তিনি ম্যানেজারের সহকারী, মুখের গড়ন ঘোড়ার মতো লম্বা হলেও মজবুত সুতি আর পশমি পোশাকে হাসিখুশি বলেই মনে হতো। সব সময় গোলাপী রঙের পোশাক পরতেন। জগতের প্রতি চাহনি যেন খুব কড়া ছিল তার। নিজেদের ফাইলপত্র, হিসাবরক্ষণ খাতা এবং যন্ত্রপাতি নিয়ে তারা সবাই টেবিলের সবটুকু জায়গা দখল করেছিল। সুতরাং জ্যাকের জায়গা হলো ম্যানেজারের রুমের দরজার ডান পাশের একটা চেয়ারে। তার কাজ হলো চালান কিংবা ব্যবসায়িক চিঠিপত্র জানালার উভয়পশের কার্ডসূচির একটা ফাইলে তুলে রাখা। ঠেলা দিয়ে খোলা এবং বন্ধ করা যায় এমন ড্রয়ার খুলে জ্যাক কার্ডগুলোর কাগজ এবং আঠার গন্ধ শুকত। প্রথম দিকে ভালো লাগলেও পরে সে গন্ধটা তার কাছে একঘেয়ে মনে হতো। কখনও কখনও তাকে সবগুলো কার্ড ভালো করে আরেকবার পরীক্ষা করে দেখতে বলা হতো। এই কাজটা সে করত চেয়ারে বসে কাজের জিনিসগুলো কোলের ওপর ফেলে। মাঝে মাঝে সহকারী হিসাবরক্ষক সংখ্যা মেলানোর কাজে তাকে সাহায্য করতে বলতেন। জ্যাক তার পাশে দাঁড়িয়ে মেলাত আর তিনি বিষণ্ন মুখে সংখ্যাগুলো নিচু স্বরে বলে যেতেন যেন তার সহকর্মীদের বিরক্তি উৎপাদন করতে চান না। জানালা দিয়ে বাইরের রাস্তা এবং রাস্তার ওপারের বাড়িঘর দেখা যেত। তবে আকাশ দেখা যেতো না। মাঝে মধ্যে জ্যাককে বাইরের কাজেও পাঠানো হতো: কখনও নিকটস্থ দোকান থেকে অফিসের কোনো জিনিসের সরবরাহ আনতে যেতে হতো। মাঝে মাঝে মানি অর্ডার পাঠাতে পোস্ট অফিসে যেতে হতো। কেন্দ্রীয় পোস্ট অফিস ছিল দুশো মিটার দূরত্বের মধ্যে। বন্দর থেকে ওপরের দিকে যে পাহাড়ের ওপরে শহর অবস্থিত সেই পাহাড় পর্যন্ত বিস্তৃত প্রশস্ত প্রধান সড়কের ওপরে অবস্থিত ছিল পোস্ট অফিসটা। ওই সড়কে আসলে জ্যাক পুনরায় আবিষ্কার করতে পারত ফাঁকা জায়গা এবং আলো। একটা বড় গোলাকার দালানে অবস্থিত পোস্ট অফিসটায় আলো আসত তিনটা দরজা এবং একটা ছোট গম্বুজের ভেতর দিয়ে। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রায়ই জ্যাককে পোস্ট অফিসে যেতে হতো দিনের শেষে অফিসের কাজ শেষ করার পর। তার মানে তাকে আরো বেশি পরিশ্রম করতে হতো। পোস্ট অফিসের দিকে দৌড়ে যেতে হতো। কারণ তখন দিনের আলো ফিকে হয়ে আসত। সেখানে অনেক লোকের ভীড়ে তাকে লাইনে দাঁড়াতে হতো। অর্থাৎ তার কর্মদিবস আরও দীর্ঘ হয়ে যেত। গ্রীষ্মের লম্বা সময়টা জ্যাকের এভাবেই কোনো রকম আলোর ছটার ছোঁয়া ছাড়াই তুচ্ছ কাজ করে কেটে যেত।

নানি বলতেন, কাজ না করে তো তুই আলস্যে সময় পার করতে পারিস না। কিন্তু জ্যাকের মনে হতো, অফিসে সে যে সব কাজ করে সেগুলো কোনো কাজই নয়। সে কাজ করতে অনিচ্ছুক ছিল তা তো নয়; তবে সমুদ্রে যাওয়া কিংবা কুবাতে খেলতে যাওয়ার স্থলে অন্য কিছুকে আনা যাবে না। তার মতে, আসল কাজ বলতে যা বোঝায় সেগুলো তার মামার কারখানার উৎপাদনশীল কাজের মতো হতে হবে। কাজের মধ্যে থাকবে দীর্ঘ সময়ের শারীরিক প্রচেষ্টা, হাতের দ্রুত এবং কঠিন সঞ্চালনের দ্বারা দক্ষ এবং যথাযথ কাজের ধারাবাহিকতা। কর্মী নিজের চোখের সামনে দেখতে পাবে তার পরিশ্রম একটা নির্দিষ্ট আকার নিচ্ছে: যেমন কোনো রকম ফাটল কিংবা দাগ ছাড়াই একটা নতুন পিপার মতো কিছু। সে জিনিসটা নিয়ে কর্মী আগে থেকে পরিকল্পনা পর্যন্ত করে রাখতে পারবে।

চলবে…

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৫২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৫১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৫০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান:পর্ব-৪৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

আরএ/

Header Ad
Header Ad

খিলগাঁওয়ের আগুনে পুড়ে ছাই ২০টি দোকান ও দুটি স’মিল

ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানীর খিলগাঁওয়ের তালতলা মার্কেটের পাশের একটি স’মিলে শুক্রবার রাত ৭টা ৩০ মিনিটে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট ৯টা ৩৫ মিনিটে এই আগুন নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়। আগুনে প্রায় ২০টি দোকান ও দুটি স’মিল পুড়ে গেছে।

আগুন নিয়ন্ত্রণের পর ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশনস) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, কেমিক্যাল ড্রাম বিস্ফোরণে স’মিলে লাগা আগুন চারদিক ছড়িয়ে পড়ে।

তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘খিলগাঁওয়ের আগুনে আনুমানিক ২০টি দোকান এবং দুটি স মিল পুড়েছে। আগুনে হয়তো কেমিক্যাল ড্রাম বিস্ফোরিত হয়েছে; যার ফলে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের নয়টি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে আরো চারটি ইউনিট ছিল, তবে সেগুলোকে কাজ করতে হয়নি।

লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আগুনে কেউ নিখোঁজ রয়েছে এমন কোনো সংবাদ আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত আসেনি। এ ছাড়া আমরা এখন পর্যন্ত আহত ও নিহতের কোনো সংবাদ পাইনি।’

আগুনের উৎসটি কি ছিল প্রাথমিকভাবে জানা গেছে কিনা প্রশ্ন করা হলে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এই মুহূর্তে এ বিষয়ে বলা যাবে না তদন্ত ছাড়া। সিগারেটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে নাকি স্যাবোটেজ হয়েছে— এই প্রত্যেকটা বিষয়ে আমাদের তদন্ত করে দেখতে হবে।

অনেকগুলো সোর্স থেকে আগুনের সৃষ্টি হতে পারে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকেও আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। তাই তদন্ত ছাড়া এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।’
এদিকে, দুই ঘণ্টা ধরে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ জানান, ‘শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সেখানে আগুন লাগার খবর পাই।

প্রথমে আমাদের দুটি ইউনিট কাজ শুরু করে। পরে আরো সাতটি ইউনিট যোগ দেয়। এরপর রাত ৯টা ৩৫ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন লাগার পরে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করতে ছুটে আসেন সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‍্যাবের সদস্যরা।’

তবে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স মিল থেকে আগুন গাড়ির গ্যারেজে ছড়িয়ে পড়ে। পরে গ্যারেজে থাকা বিভিন্ন গাড়িতে আগুন লেগে সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। এ সময় আশপাশের মানুষ ছোটাছুটি করতে থাকে। উৎসুক জনতার ভিড়ে ফায়ার সার্ভিসকে আগুন নিয়ন্ত্রণে বেশ বেগ পেতে হয়।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, ওই এলাকায় একটি গাড়ির গ্যারেজ ও রাবারের কাঁচামালের গোডাউন রয়েছে। কিছু গাড়ি বের করা সম্ভব হলেও অনেক গাড়ি পুড়ে গেছে।

খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দাউদ হোসেন বলেন, ‘ওই স মিল খিলগাঁও থানার কাছেই। পাশের একটি গাড়ির গ্যারেজেও আগুন ছড়িয়েছে। ক্রাউডের কারণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের কাজ করতে সমস্যা হচ্ছিল।

 

Header Ad
Header Ad

পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার  

ব্যবসায়ী আবুল বাসার ওরফে মিন্টু। ছবিঃ সংগৃহীত

রাজশাহী নগরীর পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো একটি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকালে নগরীর লালন শাহ মুক্তমঞ্চ সংলগ্ন এলাকার কাশবন থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা, হত্যা করে কাশবনে ফেলে দেওয়া হয়েছে লাশটি।

নিহত ব্যক্তির নাম আবুল বাসার ওরফে মিন্টু (৩৫)। পেশায় ব্যবসায়ী মিন্টু নগরীর মির্জাপুর পূর্বপাড়া মহল্লার বাসিন্দা। বিনোদপুর বাজারে তার ইলেকট্রিক ব্যবসার দোকান আছে।

নগরীর রাজপাড়া থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম জানান, কাশবনে ঘুরতে আসা কয়েকজন লাশটি দেখে পুলিশে খবর দেয়। ঘুরতে আসা অনেকে লাশের ছবিটি সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে শেয়ার করে। জানাজানির পর নিহতের পরিবার ঘটনাস্থলে এসে লাশটি শনাক্ত করে।

আশরাফুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে মিন্টুর খোঁজ পাচ্ছিল না পরিবার। কাশবনে তার মুখ পলিথিন দিয়ে ঢাকা ছিল। পলিথিনের ওপর স্কচটেপ প্যাঁচানো ছিল।

ওসি আরও বলেন, ‘আলামত দেখে মনে হয়েছে এটি হত্যাকাণ্ড। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে হত্যা মামলা হবে।’

Header Ad
Header Ad

সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রশ্নে বাংলাদেশকে যে বার্তা দিলো ভারত

ওমানের মাসকটে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি ওমানের রাজধানী মাস্কাটে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার ( ২১ ফেব্রুয়ারি) নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ভারত- বাংলাদেশের মধ্যকার উক্ত বৈঠকের আলোচ্য বিষয়ে কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল।

তিনি বলেন, মাস্কাটে ওই বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রসঙ্গটি তুলেছিলেন। দক্ষিণ এশিয়ার সবাই জানে কোন দেশ ও তার কী ধরনের কর্মকাণ্ড সার্ককে কোণঠাসা করে রেখেছে। তৌহিদ হোসেনকে জয়শঙ্কর এ কথাও বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের স্বাভাবিকীকরণ করাটা বাংলাদেশের উচিত নয়।

ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের কোনো কোনো উপদেষ্টার কিছু কিছু মন্তব্য নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। জবাবে রণধীর জয়সোয়াল বলেন, ভারত এসব মন্তব্য নজরে রেখেছে। ওই ধরনের মন্তব্য ও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজকর্মে তার প্রভাব–প্রতিক্রিয়ার বিষয়ও ভারতের গোচরে রয়েছে।

তিনি বলেন, এ ধরনের মন্তব্য অবশ্যই সহায়ক নয়। এর প্রতিক্রিয়া কী, তা তাদেরই ভেবে দেখা দরকার।

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালকদের বৈঠক সদ্য শেষ হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, বাংলাদেশে ৫ আগস্টের পালাবদলের পর সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগগুলো অতিরঞ্জিত, মিডিয়ার সৃষ্টি।

এ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে জয়সোয়াল বলেন, গত কয়েক মাসে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কী হয়েছে, সে বিষয়ে সবাই অবগত। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগ বারবার প্রকাশ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সম্প্রতি ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। যুক্তরাষ্ট্রকেও এ বিষয়ে ভারতের উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খিলগাঁওয়ের আগুনে পুড়ে ছাই ২০টি দোকান ও দুটি স’মিল
পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার  
সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রশ্নে বাংলাদেশকে যে বার্তা দিলো ভারত
জামায়াতের আমিরকে যানজট মুক্ত করতে গিয়ে প্রাণ দিলেন কর্মী
সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা  
একুশে টিভির জিডি, কর্মচারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে জামায়াত  
আফ্রিকার রানের চাপে বড় ব্যবধানে হারলো আফগানিস্তান
আগামীকাল দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে
অপারেশন ডেভিল হান্ট: ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ৪৬১
খিলগাঁওয়ে স-মিলে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১০ ইউনিট
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
পশ্চিম তীরে নতুন করে হামলার নির্দেশ দিলেন নেতানিয়াহু
মেসির অটোগ্রাফ চেয়ে শাস্তি পেলেন রেফারি
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বেনাপোলে হয়নি দুই বাংলার মিলন মেলা
মাতৃভাষার গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে যা বললেন ড. ইউনূস
চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি: তিন দিন পর মামলা, আতঙ্কে যাত্রীরা
বিপ্লবের আত্মত্যাগ উন্নত বাংলাদেশের পথে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে : পররাষ্ট্রসচিব
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ২০২৪ সালে আওয়ামী সরকারের পতনের কারণ উদঘাটন
চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ডে মাসে ৪০ কোটি টাকা বেতন পাবেন হামজা চৌধুরী
পবিপ্রবিতে আবাসিক হলগুলোর নাম পরিবর্তন, মুছে ফেলা হলো শেখ পরিবারের নাম