সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৫৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান

বাস্তবে কাজটা অতো সহজ ছিল না। অবশ্য খবরের কাগজে নিম্নমান কেরানি কিংবা ফাইফরমাস খাটার কাজের জন্য বিজ্ঞাপন থাকত। নাপিতের দোকানের পাশে গোয়ালিনী বারটট বেগমের একটা দোকানঘর ছিল। সেখান থেকে মাখনের গন্ধ আসত, বিশেষ করে তেলের গন্ধে যাদের নাক অভ্যস্ত তাদের কাছে গন্ধটা বেশ উপভোগ্য ছিল। যা হোক, বারটট বেগমকে নানি আগে থেকে বলে রেখেছিলেন। নানির হয়ে তিনি খবরের কাগজের বিজ্ঞাপন দেখে রাখতেন। কিন্তু চাকরিদাতারা চাইতেন চাকরি-প্রার্থীর বয়স কমপক্ষে পনেরো বছর হতে হবে। তেরো বছরের জ্যাকের জন্য মিথ্যে বলাটাও অসম্ভব ছিল। তাছাড়া চাকরিদাতারা চাইতেন চাকরি-প্রার্থীরা তাদের প্রতিষ্ঠানে থেকে যাবে; অন্য কোথাও চলে যাবে না। অখ্যাত ওড়না পরা অবস্থায় নানি প্রথম যাদের কাছে জ্যাককে নিয়ে গেলেন তারা দেখলেন, তাদের কাজের জন্য জ্যাক আসলে খুব ছোট হয়ে যায়। তারা প্রায় না করেই দিলেন। কারণ মাত্র দুমাসের জন্য তাকে চাকরি দেওয়া সম্ভব নয়।
নানি বললেন, তুই বলবি ওদের ওখানে থেকে যাবি।
কিন্তু সে কথা তো সত্যি নয়।
তাতে কিছু যায় আসে না। ওরা তোর কথা বিশ্বাস করবে।

জ্যাক তাদের বিশ্বাস করা না করা নিয়ে ভাবেনি। তারা তাকে বিশ্বাস করুক তাও সে চায়নি। তার কাছে বড় কথা হচ্ছে মিথ্যে বলতে গেলেই তো তার গলায় আটকে যাবে কথা। অবশ্য বাড়িতে মিথ্যে সে বলেছে কখনও কখনও, শাস্তি থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য, দুপয়সা বাঁচানোর জন্য এবং বন্ধুদের সঙ্গে ভাব নিয়ে আড্ডাবাজি করার কারণে। পরিবারের মানুষদের কাছে ছোটখাটো মিথ্যে বললে সেটা ছিল মার্জনীয়। কিন্তু বাইরের কারো কাছে মিথ্যে বলা মানে মারাত্বক। কোনো এক অজানা কারণে জ্যাক বুঝতে পেরেছিল, যাদের ভালোবাসা যায় তাদের কাছে অপরিহার্য এবং গুরুতর বিষয়ে মিথ্যে কথা বলা যায় না। যদি সেরকম বিষয়ে মিথ্যে বলাই হয়ে থাকে তাহলে তাদের সঙ্গে বসবাস করা যায় না, তাদেরকে ভালোবাসাও যায় না। চাকরিদাতারা তার সম্পর্কে যা কিছু জানবে সব তার মুখে শুনেই জানবে। সুতরাং সে যদি মিথ্যে বলে তাহলে তারা তাকে ঠিক মতো চিনতেই পারবে না। মিথ্যেটা ধ্রুব হয়েই থাকবে। একদিন বারটট বেগম খবর দিলেন, আঘা ডিসট্রিক্ট এলাকার একটা বড় ধাতব সামগ্রীর দোকানে অল্পবয়সী একজন ফাইলিং কেরানি চেয়েছে। নানি তার ওড়নার গিট বাঁধতে বাঁধতে বললেন, চল যাই। কেন্দ্রীয় ডিসট্রিক্টের দিকে যেসব ঢাল উঠে গেছে সেগুলোর একটার পাশেই ছিল দোকানটা। মধ্য জুলাইয়ের সূর্যটা রাস্তাটাকে ভাজাভাজা করে চলছে এবং রাস্তা থেকে উঠে আসা প্রস্রাবের আর অ্যাসফল্টের গন্ধটা আরো তীব্র করে তুলছে। রাস্তার সমান উচ্চতায় একটা সরু তবে গভীর গুদামঘর জাতীয় দোকান। মাঝখানের একটা কাউন্টার লম্বা পথটাকে দুভাগ করেছে। লোহার বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, হুড়কা ইত্যাদির নমুনা রাখা হয়েছে কাউন্টারে। দেয়ালের অনেকটা জুড়ে অনেকগুলো ড্রয়ার। ড্রয়ারগুলোতে রহস্যময় সব লেবেল লাগানো। প্রবেশ পথের ডান দিকে কাউন্টারের ওপরে জানালার সঙ্গে ক্যাশিয়ারের জন্য পেটা লোহার গ্রিল বসানো হয়েছে। গ্রিলের অপর পাশ থেকে দিবাস্বপ্নে বিভোর এক মহিলা জ্যাকের নানিকে দ্বিতীয় তলায় অফিসে যেতে বলল। দোকানের শেষ মাথায় একটা কাঠের সিঁড়ি একটা বড় অফিসরুমের মাথা পর্যন্ত চলে গেছে। দোকানের চেহারার সঙ্গে অফিসের চেহারায় পুরোপুরি সাদৃশ্য আছে। রুমের মাঝখানে একটা বড় টেবিলে পাঁচ ছয়জন নারী পুরুষ কর্মী বসে আছে। বড় রুমের এক পাশে একটা দরজা ম্যানেজারের রুমের দিকে গেছে।

প্রচণ্ড গরমে ঘামে ভিজে ওঠা শরীরে ম্যানেজার কলার খোলা শার্ট পরে আছেন। তার পেছন পাশে একটা জানালা; জানালা দিয়ে উঠোন দেখা যায়। সেখানে বেলা দুটোর সময়েও রোদ পড়েনি। লোকটার চেহারা মোটাসোটা তবে খাটো। তার ঘাড়ের ওপরে গলানো ফিতা বৃদ্ধাঙ্গুল দিয়ে উঁচু করে ধরে আছেন। লোকটার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। তার মুখ দেখা যাচ্ছে না, তবে নিশ্বাস আটকানো মুখের ভেতর থেকে জ্যাকের নানির বসার আহ্বান বের হয়ে এল। জ্যাকের মনে হলো, গোটা ভবনে লোহার গন্ধ ছড়িয়ে আছে। জ্যাক বুঝতে পারল, ম্যানেজারের অনড় অবস্থায় বসে থাকা মানে লোকটা তাদেরকে সন্দেহের চোখে দেখছে। ভয় জাগানিয়া চেহারার ক্ষমতাধর লোকটার সামনে মিথ্যে বলতে হবে ভাবতেই জ্যাকের পা কাঁপা শুরু করল। নানির চেহারা দেখে জ্যাক বুঝতে পারল, নানির মধ্যে কোনো রকম কাঁপাকাঁপি নেই। তখনকার আসল কথা হচ্ছে, জ্যাকের বয়স পনেরো বছর হতে যাচ্ছে। খুব তাড়াতাড়িই চাকরিটা তার চাই। ম্যানেজারের মন্তব্য অনুসারে জ্যাকের চেহারা পনেরো বছরের বলে মনে হয় না। তবে সে বুদ্ধিমান হলে..... আর তার কি সার্টিফিকেট দু এদুতেস আছে? না, বৃত্তি আছে। কিসের বৃত্তি? ডলসের। ও, তাহলে সে লিসেতে পড়ছিল? কোন ক্লাসে? চতুর্থ বর্ষে। সে তাহলে লিসে ছেড়ে আসবে? ম্যানেজার আরো অনড় হয়ে বসলেন; এবার মুখটা ভালো করে দেখা যাচ্ছে। তার গোলাকার দুধেল রঙের চোখ এবার নানির ওপর থেকে জ্যাকের ওপর চলে এল। তার চাহনির নিচে জ্যাক কেঁপে উঠতে লাগল।
নানি বললেন, হ্যাঁ। আমরা খুব গরিব মানুষ।

বোঝা যায় কি যায় না এমনভাবে নরম হলেন ম্যানেজার। তিনি বললেন, খুব দুর্ভাগ্যের কথা। ছেলে তো মেধাবী। অবশ্য ব্যবসায়েও ভালো পদবী পাওয়া যেতে পারে।
আবার একথাও সত্য ‘ভালো পদবী’ শুরুতে ছোটখাটোই থাকে। দিনে আট ঘণ্টা কাজ করে মাসে ১৫০ ফ্রাঁ পাবে জ্যাক। পরের দিনই কাজ শুরু করতে পারে।
পথে বের হয়ে নানি বললেন, দেখলি, ওরা আমাদের কথা বিশ্বাস করেছে!
কিন্তু চাকরি ছেড়ে যাওয়ার সময় সব সত্য কীভাবে ব্যাখ্যা করবো তাদের কাছে?
ওটা আমার ওপর ছেড়ে দে।

হাল ছেড়ে দিয়ে জ্যাক বলল, ঠিক আছে। মাথার ওপরে গ্রীষ্মের আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবতে লাগল অফিসের কথা: সেখানে লোহার গন্ধ ছড়িয়ে আছে অফিসজুড়ে; সবটাজুড়ে ছায়া। আগামীকাল তাকে ভোরে উঠতে হবে। তার ছুটি শুরু না হতেই শেষ হয়ে গেল।
পর পর দুবছর জ্যাক গ্রীষ্মের ছুটির সময় চাকরি করে ফেলল। প্রথমে যন্ত্রপাতির দোকানে, তার পরে একটা জাহাজের দালালি প্রতিষ্ঠানে। দুজায়গাতেই ১৫ সেপ্টেম্বর নিয়ে তার ভয় ছিল। ওই দিনই তাকে চাকরি ছাড়ার কথা জানাতে হয়েছিল।

কাজ শেষ হয়ে গেছে সেটাই বড় কথা। অবশ্য গ্রীষ্ম আগের মতো কড়া তাপ বিকিরণ করেছে, প্রচণ্ড একঘেয়েমি শরীর মনের ওপর চেপে বসেছে। তবে আগে গ্রীষ্মকে যে সব বিষয় আদর্শ রূপদান করেছে সেসব বিষয় গ্রীষ্মের ভেতর থেকে হারিয়ে গেছে বলে মনে হয়ে জ্যাকের। গ্রীষ্মের আকাশ, খোলা পরিসর এবং কলরব কোনো কিছু আর আগের মতো মনে হয়নি তার। পাড়া মহল্লার লাগামহীন দারিদ্রের মধ্যে আর জ্যাক দিন যাপন করেনি। তার সময় কেটেছে শহরের নিম্নাঞ্চলে যেখানে দরিদ্রদের ছোট পাথরের প্লাস্টারের পরিবর্তে ধনীদের সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে বাড়িগুলোকে আলাদা এবং ধূসর ও বিষন্ন চেহারা দান করার জন্য। সকাল আটটার সময় জ্যাক যখন লোহার গন্ধ আর আবছা অন্ধকার দোকানে প্রবেশ করল তার মনের ভেতর থেকে একটা আলো নিভে গেল। আকাশটা বিলীন হয়ে গেল। ক্যাশিয়ারকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সে দ্বিতীয় তলার আবছা আলোকিত অফিসে উঠে গেল। প্রধান টেবিলে তার জন্য আর ফাঁকা জায়গা ছিল না। সারাদিন হাতে বানানো সিগারেট টানতে টানতে প্রধান হিসাবরক্ষকের গোঁফ হলুদ হয়ে গেছে। সহকারী হিসাবরক্ষকের মাথার অর্ধেকখানি টাক হয়ে গেছে, মুখ এবং বুকের গড়ন ষাঁড়ের মতো। অল্পবয়সী দুজন কেরানির মধ্যে একজনের চেহারা হালকা পাতলা, চুল বাদমী, সোজা সাপটা চেহারায় তার মধ্যে পৌরুষের ছাপ বেশ স্পষ্ট। অফিসে ঢোকার সময় প্রতিবারই দেখা গেছে তার শার্ট ভিজে গায়ের সঙ্গে লেপ্টে আছে। তার শরীর থেকে সমুদ্রের ঘ্রাণ বের হতো। কারণ অফিসের মধ্যে নিজেকে সারাদিনের জন্য পুঁতে ফেলার আগে তিনি সাঁতার অনুশীলন করে আসতেন। আরেকজন ছিলেন মোটা এবং সদাহাসিখুশি। নিজের হাসিখুশি প্রাণচঞ্চল ভাব তিনি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারতেন না। সর্বশেষ জন বেগম রাসলিন, তিনি ম্যানেজারের সহকারী, মুখের গড়ন ঘোড়ার মতো লম্বা হলেও মজবুত সুতি আর পশমি পোশাকে হাসিখুশি বলেই মনে হতো। সব সময় গোলাপী রঙের পোশাক পরতেন। জগতের প্রতি চাহনি যেন খুব কড়া ছিল তার। নিজেদের ফাইলপত্র, হিসাবরক্ষণ খাতা এবং যন্ত্রপাতি নিয়ে তারা সবাই টেবিলের সবটুকু জায়গা দখল করেছিল। সুতরাং জ্যাকের জায়গা হলো ম্যানেজারের রুমের দরজার ডান পাশের একটা চেয়ারে। তার কাজ হলো চালান কিংবা ব্যবসায়িক চিঠিপত্র জানালার উভয়পশের কার্ডসূচির একটা ফাইলে তুলে রাখা। ঠেলা দিয়ে খোলা এবং বন্ধ করা যায় এমন ড্রয়ার খুলে জ্যাক কার্ডগুলোর কাগজ এবং আঠার গন্ধ শুকত। প্রথম দিকে ভালো লাগলেও পরে সে গন্ধটা তার কাছে একঘেয়ে মনে হতো। কখনও কখনও তাকে সবগুলো কার্ড ভালো করে আরেকবার পরীক্ষা করে দেখতে বলা হতো। এই কাজটা সে করত চেয়ারে বসে কাজের জিনিসগুলো কোলের ওপর ফেলে। মাঝে মাঝে সহকারী হিসাবরক্ষক সংখ্যা মেলানোর কাজে তাকে সাহায্য করতে বলতেন। জ্যাক তার পাশে দাঁড়িয়ে মেলাত আর তিনি বিষণ্ন মুখে সংখ্যাগুলো নিচু স্বরে বলে যেতেন যেন তার সহকর্মীদের বিরক্তি উৎপাদন করতে চান না। জানালা দিয়ে বাইরের রাস্তা এবং রাস্তার ওপারের বাড়িঘর দেখা যেত। তবে আকাশ দেখা যেতো না। মাঝে মধ্যে জ্যাককে বাইরের কাজেও পাঠানো হতো: কখনও নিকটস্থ দোকান থেকে অফিসের কোনো জিনিসের সরবরাহ আনতে যেতে হতো। মাঝে মাঝে মানি অর্ডার পাঠাতে পোস্ট অফিসে যেতে হতো। কেন্দ্রীয় পোস্ট অফিস ছিল দুশো মিটার দূরত্বের মধ্যে। বন্দর থেকে ওপরের দিকে যে পাহাড়ের ওপরে শহর অবস্থিত সেই পাহাড় পর্যন্ত বিস্তৃত প্রশস্ত প্রধান সড়কের ওপরে অবস্থিত ছিল পোস্ট অফিসটা। ওই সড়কে আসলে জ্যাক পুনরায় আবিষ্কার করতে পারত ফাঁকা জায়গা এবং আলো। একটা বড় গোলাকার দালানে অবস্থিত পোস্ট অফিসটায় আলো আসত তিনটা দরজা এবং একটা ছোট গম্বুজের ভেতর দিয়ে। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রায়ই জ্যাককে পোস্ট অফিসে যেতে হতো দিনের শেষে অফিসের কাজ শেষ করার পর। তার মানে তাকে আরো বেশি পরিশ্রম করতে হতো। পোস্ট অফিসের দিকে দৌড়ে যেতে হতো। কারণ তখন দিনের আলো ফিকে হয়ে আসত। সেখানে অনেক লোকের ভীড়ে তাকে লাইনে দাঁড়াতে হতো। অর্থাৎ তার কর্মদিবস আরও দীর্ঘ হয়ে যেত। গ্রীষ্মের লম্বা সময়টা জ্যাকের এভাবেই কোনো রকম আলোর ছটার ছোঁয়া ছাড়াই তুচ্ছ কাজ করে কেটে যেত।

নানি বলতেন, কাজ না করে তো তুই আলস্যে সময় পার করতে পারিস না। কিন্তু জ্যাকের মনে হতো, অফিসে সে যে সব কাজ করে সেগুলো কোনো কাজই নয়। সে কাজ করতে অনিচ্ছুক ছিল তা তো নয়; তবে সমুদ্রে যাওয়া কিংবা কুবাতে খেলতে যাওয়ার স্থলে অন্য কিছুকে আনা যাবে না। তার মতে, আসল কাজ বলতে যা বোঝায় সেগুলো তার মামার কারখানার উৎপাদনশীল কাজের মতো হতে হবে। কাজের মধ্যে থাকবে দীর্ঘ সময়ের শারীরিক প্রচেষ্টা, হাতের দ্রুত এবং কঠিন সঞ্চালনের দ্বারা দক্ষ এবং যথাযথ কাজের ধারাবাহিকতা। কর্মী নিজের চোখের সামনে দেখতে পাবে তার পরিশ্রম একটা নির্দিষ্ট আকার নিচ্ছে: যেমন কোনো রকম ফাটল কিংবা দাগ ছাড়াই একটা নতুন পিপার মতো কিছু। সে জিনিসটা নিয়ে কর্মী আগে থেকে পরিকল্পনা পর্যন্ত করে রাখতে পারবে।

চলবে…

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৫২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৫১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৫০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান:পর্ব-৪৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

আরএ/

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধের আশঙ্কায় পাকিস্তানকে সরাসরি সামরিক সহায়তা দিচ্ছে তুরস্ক। ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ইতোমধ্যে তুরস্ক থেকে সাতটি অস্ত্রবাহী সামরিক বিমান পাকিস্তানে পৌঁছেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৭ এপ্রিল তুরস্কের বিমান বাহিনীর একটি হারকিউলিস সি-১৩০ কার্গো বিমান করাচিতে অবতরণ করে, যাতে নানা ধরনের সামরিক সরঞ্জাম ছিল। এ ঘটনাকে তুরস্কের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের জন্য বৃহত্তর প্রতিরক্ষা সহায়তার অংশ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে।

শুধু একটি বিমানই নয়, ইসলামাবাদের সামরিক ঘাঁটিতেও তুরস্কের আরও ছয়টি কার্গো বিমান অবতরণ করেছে, যেগুলোতেও সামরিক সরঞ্জাম ছিল বলে নিশ্চিত করেছে তুর্কি ও পাকিস্তানি সূত্র।

টাইমস অফ ইন্ডিয়া বিশ্লেষণ করে বলছে, ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক হামলার ঘটনার পর দিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে বেড়ে চলা উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে তুরস্কের এই পদক্ষেপ এসেছে।

তুরস্কের পাশাপাশি পাকিস্তান চীনের সঙ্গেও সামরিক সম্পর্ক জোরদার করছে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে চীন প্রায় ৪০টি দেশে অস্ত্র রপ্তানি করেছে, যার মধ্যে ৮২ শতাংশেরও বেশি অস্ত্র গেছে পাকিস্তানে।

এদিকে, ভারতের সাথে যুদ্ধ শুরু হলে পাকিস্তানের পক্ষে লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছে খালিস্তানপন্থী শিখরা। খালিস্তানি নেতা গুরপাতওয়ান্ত সিং পান্নু হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যুদ্ধ বাধলে দুই কোটি শিখ পাকিস্তানের পক্ষে অপ্রতিরোধ্য দেয়াল হয়ে দাঁড়াবে এবং ভারতীয় সেনাদের পাঞ্জাব পার হতে দেওয়া হবে না। পান্নু আরও দাবি করেন, ভারতের বিজেপি সরকার রাজনৈতিক স্বার্থে কাশ্মীরে হামলার নাটক সাজিয়েছে এবং হিন্দুদের হত্যা করে নির্বাচনী ফায়দা তুলতে চাইছে।

তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে সতর্ক করে বলেন, ইন্দিরা গান্ধীর পরিণতি তাদেরও হতে পারে।

Header Ad
Header Ad

বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন—জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল—আগামী ৯ মে থেকে ২৮ মে পর্যন্ত দেশজুড়ে বিভাগীয় পর্যায়ে সেমিনার ও সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সোমবার (২৮ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না।

তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় তিন সংগঠন সম্মিলিতভাবে ১০টি সাংগঠনিক বিভাগকে ৪টি বৃহত্তর অঞ্চলে ভাগ করে এ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। উদ্দেশ্য হলো—তরুণদের ক্ষমতায়ন, রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং একটি আধুনিক, মানবিক বাংলাদেশ নির্মাণে তরুণ প্রজন্মের মতামত ও চিন্তা সংগ্রহ করা।

প্রথম দিন: "তারুণ্যের ভবিষ্যৎ ভাবনা, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ" শীর্ষক সেমিনার।
দ্বিতীয় দিন: "তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ"।

সেমিনারে তরুণ প্রতিনিধি, শিক্ষার্থী, চিন্তাবিদ ও উদ্যোক্তারা কর্মসংস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, প্রযুক্তি, পরিবেশ ও রাজনৈতিক অধিকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন। এ কর্মসূচি বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখা ও তারেক রহমানের রাজনৈতিক দর্শনের আলোকে পরিচালিত হবে।

চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা বিভাগ:
▪ ৯ মে — কর্মসংস্থান ও শিল্পায়ন নিয়ে সেমিনার
▪ ১০ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

খুলনা ও বরিশাল বিভাগ:
▪ ১৬ মে — শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মৌলিক অধিকার নিয়ে সেমিনার
▪ ১৭ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ:
▪ ২৩ মে — কৃষি উন্নয়ন, পরিবেশ রক্ষা ও নাগরিক সমস্যা নিয়ে সেমিনার
▪ ২৪ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

ঢাকা, ফরিদপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ:
▪ ২৭ মে — তরুণদের অর্থনৈতিক মুক্তি ও রাজনৈতিক ভাবনা নিয়ে সেমিনার
▪ ২৮ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

মোনায়েম মুন্না বলেন, এই কর্মসূচিগুলোর মাধ্যমে তরুণদের প্রত্যাশা, মতামত ও ভাবনাকে রাজনৈতিক নীতিতে যুক্ত করে একটি জনমুখী, অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র গঠনের পথ তৈরি করবে বিএনপি।

Header Ad
Header Ad

পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

দেশের পাঁচটি জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার ও সোমবার (২৭ ও ২৮ এপ্রিল) দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। কুমিল্লার মুরাদনগর ও বরুড়া উপজেলায় চারজন, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও মিঠামইনে তিনজন, নেত্রকোনার কলমাকান্দা ও মদনে দুজন, সুনামগঞ্জের শাল্লায় একজন এবং চাঁদপুরের কচুয়ায় একজন প্রাণ হারিয়েছেন।

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার পূর্বধইর পূর্ব ইউনিয়নের কোরবানপুর পূর্বপাড়া এলাকায় ধান কাটতে গিয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বজ্রপাতে দুজন কৃষক নিহত হন। নিহতরা হলেন নিখিল দেবনাথ (৫৮) ও জুয়েল ভূঁইয়া (৩০)।

একই জেলার বরুড়া উপজেলার খোসবাস উত্তর ইউনিয়নের পয়েলগচ্ছ গ্রামে দুপুর ১২টার দিকে ঘুড়ি ওড়ানোর সময় বজ্রপাতে মারা যায় দুই কিশোর—মোহাম্মদ জিহাদ (১৪) ও মো. ফাহাদ (১৩)। এ সময় আবু সুফিয়ান (সাড়ে ৭) নামের একটি শিশু আহত হয় এবং তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে খয়েরপুর আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের হাওরে ধান কাটার সময় সকালে বজ্রপাতে প্রাণ হারান দুই কৃষক—ইন্দ্রজিৎ দাস (৩০) ও স্বাধীন মিয়া (১৫)। একই সময়ে মিঠামইন উপজেলার শান্তিগঞ্জ হাওরে ধানের খড় শুকাতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত হন ফুলেছা বেগম (৬৫) নামের এক নারী।

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ধনুন্দ গ্রামে রবিবার রাত ১০টার দিকে বজ্রপাতে আহত হয়ে পরে হাসপাতালে মারা যান দিদারুল ইসলাম (২৮)। তিনি একটি ইফতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন।
আজ সকাল ৭টার দিকে মদন উপজেলার তিয়োশ্রী গ্রামে মাদ্রাসাগামী শিশু মো. আরাফাত (১০) বজ্রপাতে মারা যায়।

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার আটগাঁও গ্রামের বুড়িগাঙ্গাল হাওরে গরু চরাতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান রিমন তালুকদার। তিনি শাল্লা ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার নাহারা গ্রামে সকালে বজ্রপাতের বিকট শব্দে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান বিশাখা রানী (৩৫)। তিনি কৃষক হরিপদ সরকারের স্ত্রী। চিকিৎসক জানান, বজ্রপাতের সরাসরি আঘাতের কোনো চিহ্ন ছিল না, শব্দের প্রভাবে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক
বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি