সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫ | ২৪ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৪৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান

দিনের শেষে আলো আর পৃথিবী গ্রাসকারী অন্ধকার নেমে এলে লিসে থেকে ফিরে আসার সময় মৃত্যুর মতো অজানা ভয় জ্যাকের নিত্যসঙ্গী হতো। তার নানি ঝুলন্ত বাতিটা না জ্বালানো পর্যন্ত ওই অন্ধকার কিছুতেই শেষ হতো না। কাচের চিমনি খাবার টেবিলের ওপর নামিয়ে পায়ের আঙুলের ওপর শরীরের ভর রেখে একটুখানি উঁচু হয়ে টেবিলের কোণায় উরু ঠেকিয়ে সামনের দিকে ঝুঁকে মাথা ওপরের দিকে তুলে ছাউনির নিচের বার্নার দেখতেন নানি।

এক হাতে বাতির নিচের দস্তার চাবি ধরে আরেক হাতে জ্বলন্ত ম্যাচের কাঠি দিয়ে সলিতার পোড়া অংশ খসে পড়ে উজ্জ্বল আলো না জ্বলা পর্যন্ত ঘষা দিতে থাকতেন। তারপর তিনি চিমনি ঠিক জায়গায় বসিয়ে দিতেন। দস্তার প্রকোষ্ঠের খাঁজকাটা পটির সঙ্গে চিমনির ঘষা লেগে চিক চিক শব্দ উঠত। চিমনিটা ওখানে বসিয়ে দিয়ে তিনি আবার টেবিলের পাশে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে একহাত ওপরের দিকে তুলে সলিতা ঠিক করে দিতেন। নিচে টেবিলের ওপরে কড়া হলুদ আলো পড়ত নিখুঁত গোলাকার হয়ে। টেবিলক্লথের ওপরে আলোর প্রতিফলন পড়ে নানির মুখের ওপর এবং টেবিলের অন্য প্রান্তে দাঁড়িয়ে নানির কাজ পর্যবেক্ষণরত জ্যাকের মুখের ওপর পড়ত। আলো যত বেশি উজ্জ্বল হতো তার মনটাও তত হালকা হয়ে আসত।

নানি যখন তাকে অন্ধকার উঠোন থেকে মুরগি আনার আদেশ দিতেন ওই একই রকম ভয় সে জয় করার চেষ্টা করত নিজের ভেতরের অহংকার অথবা গর্বের দ্বারা। এরকম দায়িত্ব পালন করতে হতো ইস্টার কিংবা বড় দিনের আগের রাতে। কিংবা আর্থিক দিক থেকে অবস্থাপন্ন কোনো আত্মীয়ের আগমন উপলক্ষে। তাদের চোখে পরিবারের আসল অবস্থা প্রকাশ না করে বরং মার্জিত ও শালীন অবস্থা প্রকাশ করার চেষ্টা থাকত। কাজটা তাকে করতে হতো সাধারণত রাতের বেলা। জ্যাকের লিসেতে পড়ার প্রথম দিকে নানি একবার যোসেফিন মামাকে বলেছিলেন, মামার রবিবারের ব্যবসায়িক অভিযানের সময় যেন নানির জন্য কয়েকটা আরবের মুরগি এনে দেন।

আর্নেস্ট মামাকে ধরে নানি উঠোনের কোণার দিকে প্যাঁচপেঁচে কাদা মাটির ওপরে একটা মুরগির খাঁচা তৈরি করে নিলেন। নানি সেখানে পাঁচ-ছয়টা মুরগি পুষতেন। মুরগিগুলো নিয়মিত ডিম দিত এবং মাঝে মাঝে এরকম অবস্থায় প্রাণ দিয়ে দিত। প্রথমবার যেদিন নানি একটা মুরগির প্রাণদণ্ড কার্যকর করতে চেয়েছিলেন সেদিন পরিবারের সবাই রাতের খাবার খেতে বসেছিল। তিনি তার বড় নাতিকে হুকুম করলেন দণ্ডিতকে নিয়ে আসতে। কিন্তু লুই (জ্যাকের বড় ভাইকে কখনও কখনও হেনরি বলা হতো, কখনও কখনও লুই বলে ডাকা হতো) সোজাসুজি বলে ফেলল, সে পারবে না। তার ভয় লাগে। নানি এখনকার সময়ের আদুরে বাচ্চাদের প্রতি বিদ্রুপ করলেন এবং উল্লেখ করলেন, তার সময়ের বাচ্চারা বনে জঙ্গলে যেতে ভয় পেত না। তারা কোনো কিছুতেই ভয় পেত না। তিনি জ্যাকের উদ্দেশে বললেন, ওসব বাচ্চাদের চেয়ে জ্যাক অনেক সাহসী। যা, তুই গিয়ে নিয়ে আয়। আসলে জ্যাক অন্য কারো চেয়ে বেশি সাহসী ছিল সেটা সত্যি নয়। তবে হুকুম একবার হয়ে গেছে মানে সে আর না করতে পারবে না। তাকে যেতেই হবে। যা হোক, সে রাতেই প্রথম জ্যাক মুরগি আনতে গেল। অন্ধকারে সিঁড়ি ভেঙে বাম দিকে ঘুরে সব সময় অন্ধকারে থাকা হলরুম পার হয়ে হাতড়াতে হাতড়াতে উঠোনের দিকের দরজাটা খুলে ফেলল। হলরুমের অন্ধকার বাইরের রাতের অন্ধকারের চেয়ে বেশি ঘন। সেজন্য উঠোনে নামার জন্য সবুজ হয়ে যাওয়া চারটে সিঁড়ি বরং আবছা হলেও দেখা যাচ্ছিল। ডান দিকের নাপিত পরিবার এবং আরব পরিবারের ঘরটার খড়খড়ি দিয়ে দুর্বল আলো এসে পড়েছে উঠোনে। উঠোনের এই পাশ থেকেই অন্য প্রান্তে মাটিতে কিংবা নিজেদের বিষ্ঠার স্তম্ভের ওপর ঘুমিয়ে থাকা মুরগিগুলোর ছোপ ছোপ রং আবছা আবছা দেখা যাচ্ছে। মুরগির খাঁচার কাছে পৌঁছে জ্যাক জাল ঘেরা আচ্ছাদনের ওপর হাত রাখতেই মৃদু কককক শব্দ শুরু হয়ে গেল। তখনই তার নাকের সামনে ঝাপটা মারল বিষ্ঠা থেকে বের হয়ে আসা বমি উদ্রেককারী উষ্ণ দুর্গন্ধ। মাটি লাগোয়া জাফরির দরজা খুলে নিচু হয়ে ভেতরের দিকে হাত বাড়িয়ে দিতেই ভেতরের নরম এবং আঠালো পদার্থের ওপর হাত পড়ল। তখনই জ্যাক ছিটকে পিছিয়ে এসে হাত বের করে নিয়ে এল। দোদুল্যমান খাঁচাটায় মুরগিগুলোর পাখা ঝাঁপটানোর আকস্মিক শব্দ, দৌড়াদৌড়ি আর সোরগোলের কারণে জ্যাক চমকে ওঠে ভয়ে। তবু তাকে মন শক্ত করতেই হবে। কারণ তাকে অন্যদের থেকে বেশি সাহসী বলে পদবী দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওই আবর্জনাময় অন্ধকার জায়গার মুরগিগুলোর ভেতর জেগে ওঠা হৈচৈ আর উত্তেজনায় জ্যাক ত্রস্ত হয়ে পড়ে। তার পাকস্থলী উল্টে যাওয়ার উপক্রম হয়। মাথার ওপরের পরিষ্কার আকাশের দিকে তাকিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে। আকাশজুড়ে পরিচ্ছন্ন প্রশান্ত তারকারাজি। তারপর এগিয়ে গিয়ে খাঁচার মধ্যে হাত ঢুকিয়ে নাগালের মধ্যে প্রথম যে পাটা ধরতে পারে সেটা ধরেই একটা সন্ত্রস্ত মুরগি ছোট দরজার কাছে টেনে নিয়ে আসে। আরেক হাত দিয়ে মুরগির আরেক পা ধরে মুরগিটা খাঁচার বাইরে নিয়ে আসে। দরজার পাল্লার সঙ্গে ঘষা লেগে ইতোমধ্যে মুরগিটার কয়েকটা পালক বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ততক্ষণে খাঁচার প্রায় সবগুলো মুরগির ভীত-সন্ত্রস্ত কককক শব্দে কান ঝালাপালা হওয়ার অবস্থা। পাশের ঘরের বৃদ্ধ আরব লোকটা আলো নিয়ে সতর্ক অবস্থায় বের হয়ে এসে জ্যাককে দেখতে পায় এবং জ্যাক তাকে দেখে নিষ্পৃহ কণ্ঠে বলে ওঠে, আমি, এম তাহার। নানির জন্য একটা মুরগি নিতে এসেছি।

লোকটা বলে, ও তুমি! আমি ভাবলাম চোর ডাকাত কি না। বলেই লোকটা ভেতরে চলে যায়। উঠোন আবার অন্ধকারে ডুবে যায়। এবার জ্যাক দৌড়ানো শুরু করে, হাতের মধ্যে মুরগিটা ছটফট করতে থাকে। হলরুমের দেয়াল আর সিঁড়ির ধাপের সঙ্গে বাড়ি খেতে থাকে। হাতের মধ্যে মুরগিটার ঠাণ্ডা, মোটা এবং ক্রমহ্রস্ব পাদুটো নিয়ে জ্যাক আরও দ্রুত দৌড়াতে থাকে। হলরুম পার হয়ে বীরের মতো ভঙ্গিতে ঢুকে পড়ে খাবার ঘরে। দরজায় দাঁড়ানো জ্যাকের চুল উস্কোখুস্কো, উঠোনের শ্যাওলা লেগে হাঁটুর কাছে সবুজ হয়ে গেছে, মুরগিটাকে যতদূর সম্ভব নিজের শরীর থেকে দূরে ধরে আছে। তার মুখটা ভয়ে ফ্যাকাশে। জ্যাকের বড় ভাইকে শুনিয়ে নানি বললেন, দ্যাখ, ও তোর চেয়ে ছোট। কিন্তু ওর সাহসের প্রমাণ দিয়ে তোকে লজ্জায় ফেলে দিয়েছে। নানি মুরগিটা নিজের হাতে নিয়ে শক্ত করে ধরার আগ পর্যন্ত নিজের গর্বে নিজেকে ভালো করে প্রদর্শনের চেষ্টা করতে থাকে জ্যাক। মুরগিটা এবার হঠাৎ শান্ত হয়ে যায়। মনে হয় বুঝতে পারে, এবার আর কোনো রক্ষা নেই। নির্মম এবং সর্বশেষ হাতে এসে পড়েছে বলে। জ্যাকের ভাই নিরবে ফলার খেতে থাকে। মাঝে দু-একবার জ্যাকের দিকে তাকায় শুধু ভেংচি কাটার জন্য। তাতে জ্যাকের গর্ব এবং সন্তুষ্টি আরও বেড়ে যায়। তবে সেই সš‘ষ্টি খুব সংক্ষিপ্ত হয়। নাতিদের মধ্যে সাহসী হিসেবে একজনকে পাওয়া গেছে দেখে নানি জ্যাককে রান্না ঘরে ডাকেন মুরগিটা জবাই করার কাজে তার সঙ্গে হাত লাগাতে। তিনি ততক্ষণে ঢিলাঢালা এবং বড় একটা নীল রঙের অ্যাপ্রোন পরে নিয়েছেন। মুরগিটা এক হাতে শক্ত করে ধরে আরেক হাত দিয়ে মেঝেতে একটা মাটির গামলা রাখলেন। তার হাতে রান্নাঘরের একটা ছুরি। আর্নেস্ট মামা ওই ছুরিটাতে মাঝে মাঝে একটা লম্বা কালো পাথরের ওপর ঘষে ধার দিয়ে রাখেন। নানি জ্যাককে বললেন, ওই পাশে যা। জ্যাক রান্নাঘরের অপর প্রান্তে গিয়ে দাঁড়ালে নানি দরজার দিকে পেছন ফিরে দাঁড়ালেন। মনে হলো, তিনি জ্যাকের এবং মুরগিটার পথ আটকে দাঁড়িয়েছেন। পেছনের দিকে সিঙ্ক আর বামপাশে দেয়াল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে দুরু দুরু বুকে জ্যাক উৎসর্গকারীর সুনিশ্চিত নড়াচড়া দেখতে থাকে। একটা কাঠের টেবিলের ওপরে রাখা বাতিটার নিচে প্লেটটা এগিয়ে রাখলেন নানি। মুরগিটা মাটিতে শুইয়ে দিয়ে হাঁটু মুড়ে বসে তিনি মুরগির পা শক্ত করে ধরলেন যাতে ঝাঁপটাঝাঁপটি করতে না পারে। তারপর বাম হাত দিয়ে মাথাটা ধরে প্লেটের ওপরে নিয়ে এলেন। ধারালো ছুরি দিয়ে পুরুষ মানুষের যে জায়গাটাতে কণ্ঠমণি থাকে মুরগিটার ঠিক সেখানে ধীরে ধীরে কাটতে লাগলেন। মুরগির মাথাটা এদিক ওদিক ঘুরিয়ে ভয়ংকর শব্দের সঙ্গে ছুরি চালালেন। প্রবল বেগে আক্ষেপরত মুরগিটাকে তখনও তিনি খুব শক্ত করে ধরে রেখেছেন। টকটকে লাল রক্ত গড়িয়ে গামলাটাতে পড়ছে। রক্তের দিকে তাকিয়ে থাকতে জ্যাকের মনে হলো, তার নিজের রক্ত গড়িয়ে পড়ছে; ভয়ে পা কাঁপছে। নানি বললেন, গামলাটা সরিয়ে নিয়ে যা। জ্যাকের মনে হলো, নানি অনেক দীর্ঘ সময় পর কথা বলছেন। মুরগিটার রক্ত পড়া তখন বন্ধ হয়ে গেছে। জ্যাক গামলাটা সযত্নে টেবিলের ওপর রাখল। গামলার ভেতরের রক্ত ততক্ষণে গাঢ় লাল থেকে কিছুটা কালচে বর্ণ ধারণ করেছে। নানি মুরগিটা গামলার পাশে ধপাস করে রাখলেন। মুরগির পালক চকচকে বর্ণ হারিয়ে অনেকটা বিবর্ণ হয়ে গেছে। চোখের কোঁচকানো পাতা চোখের ওপরে বন্ধ হয়ে গেছে। জ্যাক মুরগিটার নিথর দেহের দিকে তাকিয়ে থাকে: পায়ের নখগুলো কুঁকড়ে জড়ো হয়ে আছে। মাথার ঝুঁটিটা বিবর্ণ হয়ে শিথিল হয়ে গেছে। জ্যাক বুঝতে পারে, মৃত্যু হলো এই। তারপর সে খাবার রুমে চলে গেল।

চলবে

আগের পর্বগুলো পড়ুন

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

আরএ/

Header Ad
Header Ad

সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় বিজিবির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় বিজিবির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গায় সীমান্ত এলাকার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিজিবির আয়োজনে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৭ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় দর্শনা আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভার শুরুতে বিজিবি চুয়াডাঙ্গা ৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল নাজমুল হাসান উপস্থিত সকলের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
সীমান্ত এলাকায় বসবাস কারী জনসাধারণের জীবনযাত্রা মান উন্নয়ন, অবৈধ কর্মকাণ্ড ও সীমান্ত অতিক্রম রোধ, আন্ত সীমান্ত অপরাধ দমন এবং আঞ্চলিক উন্নয়নে অবদান রাখার বিষয়ে মতবিনিময় সভা আরম্ভ করেন।

পরবর্তীতে সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি এর ভূমিকা, চোরাচালান প্রতিরোধ কর্মকাণ্ডে সম্মিলিত প্রয়াস, সীমান্ত এলাকার মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা, সীমান্ত উন্নয়ন ও নিরাপত্তায় সম্মিলিত প্রয়াস, অর্থ সামাজিক উন্নয়নের সম্মিলিত প্রয়াস, সমস্যা চিহ্নিতকরণ, সম্ভাব্য সমাধান ও সম্মিলিত প্রচেষ্টা, কারিগরি ও কর্মমুক্তি প্রশিক্ষণ, কৃষি ও পশু পালন খাতে সহায়তা, নারী উন্নয়ন কর্মসূচি, বেসরকারি সংস্থা ও কর্পোরেটর সংযোগ ইত্যাদি বিষয়ের উপর আলোকপাত করেন। শেষে উপস্থিত- দামুড়হুদা ইউএনও, এসিল্যান্ড, ওসি সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকদের মাঝে পয়েন্ট আহ্বান করেন।

সীমান্ত এলাকায় বাল্যবিবাহ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দমন করা, মহিলা বিষয়ক বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা, ইভটিজিংয়ের পরিমাণ বর্তমানে একটু কম যাতে না বাড়তে পারে সেদিকে সর্বপ্রকার সম্মিলিত প্রচেষ্টা, মাদক নিয়ন্ত্রণের জন্য সর্বপ্রকার তথ্য দিয়ে সকল প্রশাসনকে সহযোগিতা করা, এছাড়াও যেকোনো প্রকার অসঙ্গতিপূর্ণ কাজের তথ্য দিয়ে প্রশাসনকে সহায়তা করা। সীমান্তবর্তী এলাকায় সকল প্রকার অটো বাইক, অটো ভ্যান পৌরসভার মাধ্যমে লাইসেন্স কার্ড করা যাতে তার নাম ঠিকানা সকল তথ্য থাকে এবং যে কোন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তল্লাশির জন্য ডাকলে সহজে তারা এগিয়ে আসে এবং নাম পরিচয় সহজে যাতে পাওয়া যায়।

মাদক ব্যবসায়ীদের ধর্মীয় ভয়-ভীতি দেখানো, মাদক ব্যবসায়ীরা অভিনব কায়দায় ছোট ছেলেমেয়েদের বাহক হিসেবে ব্যবহার করছেন, শিক্ষকদের মাধ্যমে জনশ্বাসনতা বৃদ্ধি করা, জনসংযোগ বৃদ্ধি করা, মাদক ব্যবসায়ীদের মূল গডফাদারকে ধরার ব্যবস্থা গ্রহণ করা, সচেতন ব্যক্তিবর্গ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মাদক প্রতিরোধ করা, প্রতিপক্ষ ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী নাগরিকদের সাথে কি ধরনের আচরণ করেন সেই সম্পর্কে ধারণা গ্রহণ করা, কুরআন ও হাদিসের আলোকে সীমান্ত পাহারায় সুফল সম্পর্কে, মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারী পরকালে তাদের অবস্থান সম্পর্কে জানানো, ১৬ বছরের নিচে প্রকাশ্যে বিড়ি-সিগারেট সেবনকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা, মাদকসহ বিভিন্ন চোরাকারবারিদের অন্য কোন কর্মসংস্থানের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা, চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) দর্শনা চেকপোস্ট এবং মহেশপুর ব্যাটালিয়ন (৫৮ বিজিবি) এর নিমতলা বিওপির মধ্যবর্তী স্থানে বিজিবি চেক পোস্ট বসানো, দর্শনা কেউ কোম্পানি হতে মদ চোরাকারবারিরা যাহাতে নিতে না পারে তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা, ধর্মীয় শিক্ষার মাধ্যমে মাদক এর কুফল সম্পর্কে জনসাধারণ এর মাঝে জানানো, মাদক ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে তাদের বাড়িতে গিয়ে ভয়-ভীতি দেখানো, ১৫ হতে ১৬ বছরের ছেলে মেয়ে মাদক ব্যবসায়ী এবং ইভটিজিং এর সাথে জড়িত হচ্ছে তাদের প্রতি নজরদারি বৃদ্ধি করা, বাল্য বিবাহের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

এছাড়াও দৃশ্যমান শাস্তি প্রদান করা, স্বর্ণ এবং রূপ্য চোরাকারবারিদের গডফাদার দের চিহ্নিত করা, দারিদ্র বিমোচনের জন্য প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে দক্ষ করে গড়ে তোলা, সীমান্তবর্তী এলাকায় বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে মাদকসহ বিভিন্ন চোরাকারবারি নির্মূলে কমিটি গঠন করা, মাঝে মাঝে এ ধরনের সেমিনার মত বিনিময় সবার আয়োজন করা, সীমান্ত এলাকায় এনজিওদের মাধ্যমে উন্নয়নমূলক প্রোগ্রাম ও সেমিনারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা, বিভিন্ন চোরাকারবারিদের ব্যবসা পরিচালনাকারীদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা, সীমান্ত এলাকায় দেড়শো গজের মধ্যে তিন ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট ফসল আবাদ না করা এবং ভারতের ১৫০ গজ সীমান্ত এলাকায় কলাগাছের বাগান তৈরিতে বাধা দেওয়া যাতে চোরাকারবারিরা ব্যবহার করতে না পারে- এই বিষয়গুলো মতবিনিময় সভায় উপস্থিত সুধীজনের আলোচনায় উঠে আসে।

মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা ইউএনও তিথী মিত্র, চুয়াডাঙ্গা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আজিজুর রহমান, এসি ল্যান্ড তাসফিকুর রহমান, বিজিবি ৬ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক হায়দার আলী, দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমীর, বিজিবির দর্শনা আইসিপি কমান্ডার জাকির হোসেন প্রমুখ।

এ ছাড়াও মসজিদের ইমাম, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী, শিক্ষক, এনজিও কর্মী এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানালো বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত গণহত্যা ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ। সোমবার (৭ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘বাংলাদেশ সরকার ইসরায়েলকে অবিলম্বে সব সামরিক অভিযান বন্ধ ও সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করতে এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলার দাবি জানিয়েছে।’’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে,নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ‘‘জাতিগত নির্মূল’’ অভিযান চালানোর জন্য গাজার ঘনবসতিপূর্ণ বেসামরিক এলাকায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর বিমান থেকে নির্বিচার বোমাবর্ষণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে বাংলাদেশ।

গত মাসে একতরফা যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পর থেকে ইসরায়েলের চলমান হামলায় বহু ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া গাজায় মানবিক সহায়তা ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে, যা ওই অঞ্চলটিকে মানবিক বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আন্তর্জাতিকভাবে ইসরায়েলের প্রতি বারবার আহ্বান জানানো হলেও তারা এতে কোনো গুরুত্বই দেয়নি; বরং তারা ক্রমবর্ধমান হত্যাযজ্ঞে লিপ্ত হয়েছে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে জাতিসংঘের কাছে নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের জন্য তাৎক্ষণিক ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে তাদের নৈতিক ও আইনি দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।

বেসামরিক নাগরিকদের জীবন রক্ষা ও অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য সেখানে সব ধরনের যুদ্ধবিরতি বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফিলিস্তিনি জনগণের সব ন্যায্য অধিকার, আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ১৯৬৭ সালের আগের সীমান্তের ভিত্তিতে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতি বাংলাদেশ সরকারের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে।

বাংলাদেশ সরকার মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় আলোচনার প্রয়োজনীয়তার বিষয় পুনর্ব্যক্ত করে বিবৃতিতে বলেছে, এটা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ফিলিস্তিনিদের ওপর সহিংসতা ও তাদের দুর্ভোগের অবসান ঘটাতে কূটনীতি ও সংলাপের পথে নিজেদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘের প্রস্তাব এবং শান্তি, মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের জন্য ফিলিস্তিনিদের আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে ফিলিস্তিনের সমস্যার দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি বাংলাদেশ তার আহ্বানে অবিচল ও দ্ব্যর্থহীন।

Header Ad
Header Ad

সতর্কতার মাত্রা বাড়াল ইরান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে প্রকাশ্য হুমকি

ছবি: সংগৃহীত

ইরান তার নিরাপত্তা সতর্কতার স্তর সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলকে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছে। ইসরায়েলি সংবাদপত্র ইয়েদিওথ আহরোনোথ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি নিশ্চিত করেছেন, দেশটির সেনাবাহিনীকে উচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে।

এক বিবৃতিতে, পরিস্থিতির গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে ‘বহিরাগত হুমকির’ সম্ভাব্য পরিণতি সম্পর্কেও সতর্ক করেছেন খামেনি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের প্রতি হুমকির পাশাপাশি ইরাক, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, তুরস্ক এবং বাহরাইনের মতো নিজের প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতিও সরাসরি সতর্কবার্তা জারি করেছে ইরান।

তেহরানের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, আকাশসীমা বা আঞ্চলিক ক্ষেত্র ব্যবহারসহ ইরানের মাটিতে আক্রমণ শুরু করতে যুক্তরাষ্ট্রকে যেকোনো সহায়তা দেয়া হলে তা একটি ‘শত্রুতাপূর্ণ কাজ’ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং সেই দেশগুলোকে ‘আক্রমণের তালিকায়’ রাখবে ইরান।

অঞ্চলটিতে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই এমন বার্তা দিলো তেহরান, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে সম্ভাব্য যেকোনো সংঘাতে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় বিজিবির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানালো বাংলাদেশ
সতর্কতার মাত্রা বাড়াল ইরান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে প্রকাশ্য হুমকি
সাবেক নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ভারত থেকে ৪০টি রেফ্রিজারেটেড মিল্ক ভ্যান আমদানি করছে সেনাবাহিনী
ফিলিস্তিনের পক্ষে মিছিল: ৫ বাংলাদেশিসহ ৪ শতাধিক শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করলো যুক্তরাষ্ট্র
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ: পাঁচ জেলায় বাটা-কেএফসিতে হামলা-ভাঙচুর
ঈদের ছুটি শেষে দর্শনা বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
নওগাঁয় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ
লাঠিপেটা না করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ, রাষ্ট্রপতি পদক পাচ্ছেন সেই পুলিশ কনস্টেবল
ইন্ডিয়ান আইডলের শিরোপা জিতলেন কলকাতার মানসী ঘোষ
প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা পেলেন বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী
নতুন শুল্ক প্রস্তাব স্থগিত করতে ট্রাম্পকে প্রধান উপদেষ্টার চিঠি
ঢাকায় মার্কিন নাগরিকদের জন্য চলাচলে সতর্কতা জারি
ইসরায়েলি বর্বরতা ও গণহত্যার নিন্দা জানালো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে অন্নপূর্ণা–১ জয় করলেন বাবর আলী
বৈশাখে যারা ইলিশ কিনে খাবেন তারা আইনের লঙ্ঘন করবেন: উপদেষ্টা ফরিদা
ঢাকা-রংপুর ৪ লেন প্রকল্পে পলাশবাড়ীতে এক জমি দুইবার বিক্রি, গাইবান্ধা ডিসি অফিসের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ১৫ কোটি টাকার অধিক লুটপাটের চেষ্টা
ফিলিস্তিনের পতাকা ওড়ানোয় ভারতে বিদ্যুৎ বিভাগের 'মুসলিম কর্মী' বরখাস্ত
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে বেনাপোল ও শার্শায় বিক্ষোভ মিছিল