সোমবার, ১৩ মে ২০২৪ | ৩০ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘নারী মানেই দুর্বলতা নয় একটি ইতিবাচক ও শক্তিশালী শব্দ'

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

উত্তরের কৃষি সমৃদ্ধ জেলা নওগাঁ ১১টি উপজেলা নিয়ে গঠিত। এ জেলায় আছে ৬টি সংসদীয় আসন। উপজেলা প্রশাসনের সবচেয়ে বড় পদ ইউএনও। এরপরেই আছে এসিল্যান্ড। জেলার ১১ উপজেলার মধ্যে ৬টি উপজেলায় ৬নারী নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিসেবে কাজ করছেন। এছাড়া ৪ উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে কর্মরত আছেন নারী। কাজের মান একটু কমবেশি হলেও, সকল কর্মকর্তাই সমানতালে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

উপজেলা প্রশাসনের সবচেয়ে বড় চেয়ারে বসে করে যাচ্ছেন দৈনন্দিন কাজকর্ম, আলো ছড়াচ্ছেন এসব নারী ইউএনওরা। লাল সবুজের পতাকা হাতে, উন্নয়ন আর অগ্রগতির দিকে এগিয়ে নিচ্ছেন নিজের কর্মক্ষেত্র এলাকাকে। নারীর মমতায় গড়ে তুলেছেন জনবান্ধব প্রশাসন।

উপজেলায় যে নারী ইউএনওরা কর্মরত রয়েছেন তারা সবাই নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে যোগ্যতার প্রমাণ দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তাদের আন্তরিকতাই তাদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে যাচ্ছে উঁচু মাত্রাই। সব মিলিয়ে এই নারী কর্মকর্তারা সময়ের সঙ্গে আরও উজ্জ্বল হয়ে জ্বলছেন। মেধা, দক্ষতা ও চ্যালেঞ্জ গ্রহণের পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা ও স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিত্বে পুরুষদের সমানতালে এখন নারীদের পদচারনণা। রীতিমতো পুরুষদের পেছনে ফেলেই নারীদের এই এগিয়ে চলা।

জেলার বৃহত্তম উপজেলা মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাঃ লায়লা আঞ্জুমান বানু গত বছরের ৪ এপ্রিল এখানে যোগদান। বিসিএস ৩৪ ব্যাচের এই কর্মকর্তা এর আগে সহকারী কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন ঢাকা কমিশনার অফিসে। পাশের জেলা নাটোরের বাগাতিপাড়ায় বেড়ে ওঠা এই সাহসী কর্মকর্তা গত ২৪ জানুয়ারি বিকেল ৪টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত উপজেলার পরানপুর ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া গ্রামে অভিযান পরিচালনা করেন। সেখানে মনছুর আলী নামে এক ব্যক্তি লাইসেন্স বিহীন গুদামে অবৈধভাবে প্রায় কোটি টাকার খাদ্য সামগ্রী মজুতের অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে খাদ্যসামগ্রী জব্দ এবং মাসুদ রানা নামে একজনকে আটক করেন।

মোসাঃ লায়লা আঞ্জুমান বানু বলেন, 'এটা নিশ্চই আমাদের জন্য সৌভাগ্য। অসহায় নারীরা যখন বিশ্বাস নিয়ে আমাদের কাছে আসেন, আমাদেরকে আপন মনে করে তাদের সব সমস্যার কথা অকপটে খুলে বলেন এবং ভরসা করেন ন্যায়বিচার পাওয়ার, তখন একজন নারী কর্মকর্তা হিসেবে প্রশান্তি পাই এবং সকল পরিশ্রম সার্থক বলে মনে হয়।'

মান্দার মোসাঃ লায়লা আঞ্জুমান বানু পাশাপাশি আত্রাই উপজেলায় সঞ্চিতা বিশ্বাস, রাণীনগরে উম্মে তাবাসসুম, বদলগাছীতে মোছা. আতিয়া খাতুন, ধামইরহাটে আসমা খাতুন এবং পত্নীতলা পপী খাতুন দায়িত্ব পালন করছেন।

আত্রাই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্চিতা বিশ্বাস গত বছরের ১০আগস্ট এই পদে যোগদান করেন। উপজেলাবাসীকে কাছে টেনে নিয়েছেন তিনি। সেখানকার সব মহলে তাঁর নামটি শ্রদ্ধার সঙ্গে উচ্চারিত হচ্ছে।

রাণীনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে উম্মে তাবাসসুম গত বছরের ১৯ নভেম্বর যোগদান করেন। বর্তমানে তিনিও সমান তালে করে যাচ্ছেন কাজ।

বদলগাছী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন তৃপ্তি কণা মন্ডল। তিনি গত বছর ৭ ডিসেম্বর সেখানে যোগদান করেন। সম্প্রতি এডিসি হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে আজ ৮ এপ্রিল জয়পুরহাট জেলায় যোগদান করছেন। তার জায়গায় উপজেলার সরকারি কমিশনার (ভূমি) মোছা. আতিয়া খাতুন ভারপ্রাপ্ত উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন।

ধামইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে আসমা খাতুন গত তারিখে যোগদার করেন আসমা খাতুন। তিনি বলেন, 'অনেকেই মনে করেন, নারী কর্মকর্তা মানেই এক ধরনের দুর্বলতা। কিন্তু আমি মনে করি, নারী কর্মকর্তা মানেই একটি ইতিবাচক ও শক্তিশালী শব্দ।'

পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে মাত্র কয়েক মাস আগে যোগদান করেন টুকটুক তালুকাদার। তিনি এর আগে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি এডিসি হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন।

নেত্রকোণা সদর উপজেলায় বেড়ে ওঠা ৩৩ ব্যাচের এই কর্মকর্তা বলেন, যখন আমি প্রথম যোগদান করি আমাদের সমাজ ব্যবস্থার প্রেক্ষিতে তখন হয়তো অনেকেরই প্রশ্ন ছিল, মেয়ে মানুষ কাজগুলো পারবো কিনা। আমার বিশ্বাস সময়ের সাথে সাথে এসব উত্তর হয়তো তারা পেয়ে গেছেন। কারণ আমরা নারীরাও পারি।

উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে ৬ নারীর পাশাপাশি ৪ সহকারী কমিশনার (ভূমি) হলেন, সাপাহারের শারমিন জাহান লুনা, ধামইরহাটের মোসাম্মৎ জেসমিন আক্তার, বদলগাছির মোছা. আতিয়া খাতুন এবং মহাদেবপুরে সহকারী কমিশনার ভূমি হিসেবে কর্মরত আছেন রিফাত আরা।

নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মিল্টন চন্দ্র রায় বলেন, সংবিধান এর ১৯(৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে মহিলাদের অংশগ্রহণ ও সুযোগের সমতা রাষ্ট্র নিশ্চিত করার বিষয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ। সাংবিধানিক এই অঙ্গীকারের মাধ্যমে বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিতের ক্ষেত্রে ইতোমধ্যেই অনুকরণীয় হিসাবে স্বীকৃত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘নারীর ক্ষমতায়নের অন্যতম অনুষঙ্গ হলো প্রজাতন্ত্রের কর্মে বিশেষ করে প্রশাসনে নারীদের অংশগ্রহণ। বাংলাদেশে প্রজাতন্ত্রের কর্মে ৩৮ শতাংশের অধিক সংখ্যক নারীদের অংশগ্রহণ রয়েছে। নওগাঁ জেলায় এই মুহূর্তে ০৬জন ইউএনও ও ০৪জন এসিল্যান্ড তাদের যোগ্যতা, মেধা ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।’

Header Ad

বিক্ষোভে অংশ নেয়ায় অর্ধশতাধিক মার্কিন অধ্যাপক গ্রেপ্তার

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে দেশে দেশে বিক্ষোভ পালিত হচ্ছে। ইসরাইলের অন্যতম মিত্র আমেরিকায়ও চলছে বিক্ষোভ। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিক্ষোভ বড় আকার ধারণ করেছে। ঘটেছে বিশ্ববিদ্যালয় দখল করে ফেলার মতো ঘটনাও। যাতে সমর্থন দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজের অধ্যাপকরাও।

চলমান এ আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের অন্তত ৫০ জন অধ্যাপককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসব কর্মকর্তাদের অনেকে পুলিশের কাছে মারধর ও হেনস্তার শিকারও হয়েছেন। শনিবার (১১ মে) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আন্দোলনে অংশ নেওয়া এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবি, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, জার্মানি, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড ও অস্ট্রিয়ায় এই দাবিতে কয়েক দিন ধরে বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভের জেরে ধরপাকড় ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৯ এপ্রিল ক্যাম্পাস থেকে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দেয়। এ সময় অন্তত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার করতে গেলে এগিয়ে আসেন আটলান্টার ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ক্যারলিন ফলিন। তবে পুলিশ তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। তাকে মাটিতে ফেলে হাঁটু দিয়ে চেপে ধরা হয়। এরপর তাকে আটকের পর পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া অভিযোগ করা হয়।

ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিভ তামারি নামের এক অধ্যাপককেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিক্ষোভের ভিডিও ধারণ করছিলেন ওই অধ্যাপক। তাকে অটকের সময় শারীরিক হেনস্তাও করা হয়। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পুলিশের মারধরে ওই অধ্যাপকের পাজর ও ডান হাত ভেঙে গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যাপকদের সংগঠন আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটি প্রফেসরস জানিয়েছেম অধ্যাপকদের হাতকড়া পরিয়ে ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

সিএনএন জানিয়েছে, গত ১৮ এপ্রিল থেকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ আন্দোলন চলছে। যা ইতোমধ্যে অন্তত ৫০ ক্যাম্পাস ছাড়িয়ে গেছে। এ সময়ে দুই হাজার ৪০০ এর বেশি শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে।

অধ্যাপকদের দাবি, কিছু ক্ষেত্রে তারা তাদের নিজস্ব বিশ্বাসের ভিত্তিতে প্রতিবাদে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছেন। এছাড়া অন্যরা বলেন যে তারা তাদের ছাত্রদের সমর্থন দেখানোর জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন।

প্রেম করলে শরীর ও মন ভালো থাকে: মন্দিরা

অভিনেত্রী মন্দিরা চক্রবর্তী। ছবি: সংগৃহীত

ঈদে মুক্তি পাওয়া গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত ‘কাজলরেখা’ সিনেমাটির নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মন্দিরা চক্রবর্তী। পর্দায় তার সঙ্গে ছিলেন অভিনেতা শরিফুল রাজ। এই সিনেমার পর থেকেই দুজনকে ঘিরে প্রেমের গুঞ্জন চলছে। যদিও এই বিষয়টি অস্বীকার করেছেন মন্দিরা।

তবে এবার সেই গুঞ্জন না থামতে প্রেম করছেন বলে অকপটে স্বীকার করলেন এই অভিনেত্রী। ‘কাজলরেখা’ সিনেমার পাশাপাশি ব্যক্তিজীবন নিয়েও বেশ আলোচনায় মন্দিরা।

অভিনেত্রী মন্দিরা চক্রবর্তী। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে প্রেমের বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি। অভিনেত্রী জানান, প্রেম করছেন তিনি। তবে কার সঙ্গে প্রেম করছেন, সেটা সাংবাদিকেরা যেন খুঁজে বের করেন।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এসে অভিনেত্রী বলেন, ‘প্রেম তো করছি, কার সঙ্গে করছি, কীভাবে করছি— এটা সাংবাদিকদের দায়িত্ব খুঁজে বের করার। আপনারাই খুঁজে বের করুন।’

প্রেম প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘বাস্তব জীবনে প্রেম আছে, প্রেম ছাড়া তো একজন মানুষ থাকতে পারে না। আমার মনে হয়, প্রত্যেক মানুষের জীবনে প্রেম থাকা জরুরি, প্রেম করা উচিত। প্রেম করলে মন ভালো থাকে, শরীর ভালো থাকে। এখন বিয়ে করার কোনো ইনটেনশন একদম নেই, পরিবার থেকেও এখন প্রেশার নেই। এখন কাজে মনযোগ দিতে চাই।’

এর আগে রাজ প্রসঙ্গে মন্দিরা জানিয়েছিলেন, তারা দুজন ভালো বন্ধু, বিভিন্ন সময় এ কথা বলেও থাকেন মন্দিরা।

তবে হঠাৎ করে তাদের দুজনের প্রেমের গুঞ্জনও নানাভাবে এসেছে। অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘আমরা খুবই ভালো বন্ধু। প্রেমটা হওয়ার সুযোগ নেই আসলে। বলতে পারি, সে আমার খুবই ভালো একজন বন্ধু হয়ে উঠেছে। শুটিংয়ের সময় সে আমার বন্ধু ছিল না। কারণ, তখন আমার সঙ্গে তার বেশি কথা হতো না, খুবই কম। আমাদের শুটিং হচ্ছিল ২০২২ সালে। এখন সে যে লাইফটা কাটাচ্ছে, তখন সে এই লাইফে ছিল না। তার তখন সন্তান হয়েছিল, সবকিছু মিলিয়ে সে তার মতো ছিল। তখন মাত্রই আমাদের প্রথম দেখা।’

অভিনেত্রী মন্দিরা চক্রবর্তী এবং অভিনেতা শরিফুল রাজ। ছবি: সংগৃহীত

উল্লেখ্য, আগামী ঈদে ‘নীলচক্র’ নামে একটি চলচ্চিত্র মুক্তির কথা রয়েছে মন্দিরার। সিনেমায় আরিফিন শুভর সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন তিনি। পাশাপাশি এরই মধ্যে নতুন আরেকটি চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধও হয়েছেন তিনি। তবে এই মুহূর্তে সিনেমা সম্পর্কে কিছু জানানো নিষেধ আছে বলেও জানান এই অভিনেত্রী।

এবার একীভূত হলো সোনালী ব্যাংক-বিডিবিএল

ছবি: সংগৃহীত

ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রায় সবক’টি উদ্যোগই যেন ভেস্তে গেছে। ইতোমধ্যেই স্পষ্ট হয়েছে, ইউসিবি ব্যাংকের সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংকের এবং সিটি ব্যাংকের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বেসিক ব্যাংকের একীভূতকরণ হচ্ছে না। তবে এরমধ্যেই তড়িঘড়ি করে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (বিডিবিএল) একীভূতকরণের সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

আর বিডিবিএল ব্যাংকের খেলাপি ৪৪ দশমিক ২২ শতাংশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ওই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। দুই ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্তারা এতে সই করেন। রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক বলছে, দুই ব্যাংক স্বেচ্ছায় একীভূত হচ্ছে। তবে বিডিবিএলের ভাষ্য, এখন না গেলে জোর করে একীভূত করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

জানা যায়, সোনালী ব্যাংকের বিতরণ করা ঋণের খেলাপি ১৬ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছাড়াও সোনালী ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সময়ে উপস্থিত ছিলেন। তবে প্রায় ঘণ্টাখানেক দেরি করে সেখানে আসে বিডিবিএলের প্রতিনিধি দল। যদিও অনুষ্ঠানে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কাউকে ডাকা হয়নি।

এই সমঝোতা স্বাক্ষরের পর কয়েক ধাপে পুরোপুরি সোনালী ব্যাংকে মিশে যেতে বিডিবিএলের সময় লাগবে অন্তত দুই বছর। তবে সমঝোতার পর নিজেদের ইচ্ছায় একীভূতকরণের প্রক্রিয়া শুরুর দাবি করেছে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম বলেন, অডিট ফার্ম নিয়োগ দেয়া হবে। এই অডিট ফার্ম দুটি ব্যাংকের সম্পদ আলাদাভাবে মূল্যায়ন করবে। এটার জন্য অন্তত ৩ থেকে ৬ মাস সময় লাগতে পারে। এরপর আরও কিছু আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া রয়েছে, সেগুলো পূর্ণ হলেই দুটি ব্যাংক পুরোপুরি একীভূত হবে।

সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিক বলেন, আমাদের দুই ব্যাংকের যে অভিজ্ঞতা, এই দুটো একত্রিত করবো। আমি মনে করি এটা আমাদের জন্য বড় একটা অর্জন হিসেবে ধরা দেবে। অনেক বিচার-বিবেচনা করেই আমরা এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি।

অন্যদিকে বিডিবিএলের চেয়ারম্যান শামীমা নার্গিস জানান, শুধু খেলাপি ঋণ ছাড়া অন্যান্য আর্থিক সূচকে এগিয়ে যাচ্ছিল প্রতিষ্ঠানটি। তবে সরকারের ইচ্ছায় এক হতে হচ্ছে। তিনি বলেন, এটা সরকারের সিদ্ধান্ত। সমঝোতা চুক্তির বিষয়টি কিন্তু আমাদের বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ১২ তারিখে জানানো হয়। এখন আমরা যদি একীভূতকরণে না আসি তাহলে সামনের বছরগুলোয় বাধ্যতামূলক একীভূতকরণে যেতে হবে।

সর্বশেষ সংবাদ

বিক্ষোভে অংশ নেয়ায় অর্ধশতাধিক মার্কিন অধ্যাপক গ্রেপ্তার
প্রেম করলে শরীর ও মন ভালো থাকে: মন্দিরা
এবার একীভূত হলো সোনালী ব্যাংক-বিডিবিএল
১৩ শিক্ষকের বিদ্যালয়ে ১৪ পরীক্ষার্থীর সবাই ফেল, প্রধান শিক্ষককে শোকজ
ইসরাইলের বিরুদ্ধে কঠিন সিদ্ধান্ত মিসরের
নিজের রেকর্ড ভেঙে ২৯ বার এভারেস্ট জিতলেন রিতা শেরপা
বাড়ি ফেরার পথে গরুবাহী ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন এক পুলিশ সদস্য
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
একসঙ্গে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে মা পেলেন জিপিএ ৪.৫৪, মেয়ে ২.৬৭
ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় রাশিয়ায় নিহত ১৫
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা মঙ্গলবার দুপুরে
চূড়ান্ত রায়ের আগে ফাঁসির আসামিকে কনডেম সেলে রাখা যাবে না: হাইকোর্ট
উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে গুলি করে হত্যা
ধর্ম নিয়ে কটূক্তি, জবি শিক্ষার্থী তিথি সরকারের ৫ বছর কারাদণ্ড
শূন্য রানে আউট হয়েও বিশ্বরেকর্ড গড়লেন বাবর আজম
স্পেনে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি যুবক নিহত
আওয়ামী লীগ পালানোর দল নয়: ওবায়দুল কাদের
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু হতে পারে ২৬ মে
রাজধানীতে ২৩ জন গ্রেপ্তার
এসএসসি পাস করেছে বিদ্যালয়ের একমাত্র পরীক্ষার্থী রুবিনা