শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ | ২৮ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

খুম, খুম, খুম, আমিয় খুম

আমি অবিশ্বাস্য সুন্দর দেখেছি। তাদের সংরক্ষণ করব আগামী প্রজম্মের জন্য। যেন বুক ভরা নি:শ্বাস নিয়ে গর্ব করে বিশ্ববাসীকে বলতে পারে- দেখ, দেখ-এই আমার বাংলাদেশ। কত সুন্দর তার নয়নাভিরাম প্রকৃতি। তেমন অমিয়খুম জলপ্রপাত দেখা ও আসা, যাওয়া, প্রকৃতির ভালোবাসার গল্প লিখেছেন ‘দে-ছুট ভ্রমণ সংঘ’র প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ জাভেদ হাকিম। ছবি : দে-ছুট ভ্রমণ সংঘ।

খুম, খুম, খুম, আমিয় খুম- একটি আদিবাসী শব্দ। দেশকে যারা ভালবাসেন, দেশের উন্নয়ন নিয়ে যারা চিন্তা করেন, বিদেশ ভ্রমণের চেয়ে মাতৃভূমির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনুসন্ধানে যারা বেশি আগ্রহী, তাদের জন্য আমিয় খুম মহান আল্লাহ্ পাকের সৃষ্ট অনন্য নিদর্শন।

ভ্রমণ বিষয়ক ফিচার লেখক এক পরিচিতজনের মাধ্যমে আমিয় খুমের সৌন্দর্যের বর্ণনা যখন জানতে পারি, সেই থেকেই শুরু যাওয়ার প্রস্তুতি।

বান্দরবান বলতে অনেকেই মনে করেন, দু-চারবার সেখানে গেলেই সব প্রাকৃতিক নিদর্শনই বুঝি ঘুরে শেষ করা সম্ভব। এরকম ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। বান্দরবান এমন একটি জেলা, যার পরতে, পরতে ধারণ করা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে যেতে হবে কম করে হলেও শতবার।

‘দে-ছুট ভ্রমণ সংঘ’র এবারের অভিযান ছিল বান্দরবানের দুর্গম অঞ্চলের প্রকৃতি ও মানুষ। যত বেশি দুর্গমে যাওয়া যাবে, তত মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে থাকা যাবে। আরো বেশি পাহাড়ী মানুষের যাপিত জীবন সম্পর্কে নতুন ধারণা নেয়া যাবে।

পাঁচ বন্ধু মিলে এবার তিন রাত-দুদিন পার করে গিয়েছি অবিশ্বাস্য সৌন্দর্যের রাণী আমিয় খুম। যাওয়া এবং ফেরার দিন দুইরাত কাটিয়েছি আদিবাসী ত্রিপুরা অধ্যুষিত যিন্নাপাড়া। রাতে পাড়ার বাসিন্দা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বদ্বীতাকারী বিলাসের ঘরে আশ্রয় নিয়েছি। সেখানটার নতুন প্রজন্মের ছেলে, মেয়েরা সবাই স্কুল-কলেজ এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। চলনে-বলনে আধুনিক অথচ পাড়ায় স্যানিটেশন ব্যবস্থা নেই! খোলা আকাশের নিচে ঝোপ-ঝাড়ে প্রকৃতির ডাকের সমাধা করতে হয়। বিষয়টি খুব খারাপ বৈকি। শহর থেকে যাওয়া ভ্রমন পিপাসুদের জন্য বিব্রতকরও।

বিলাসের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে বুঝতে পারলাম, খোলা আকাশের নিচে মলত্যাগ নিয়ে তারা তেমন ভাবুক নয়। সেসঙ্গে ঘরের ভেতর টকটক নামের প্রাণীর বিচরণ তো সারারাতের ঘুমকে করেছে হারাম।

তারপরও খুব সকালে রওনা হলাম মূল গন্তব্যে। বাঁশের লাঠি সম্বল। হেঁটে যাচ্ছি একের পর এক পাহাড় ডিঙ্গিয়ে। বিশ্রাম নিলাম-বছর পাঁচেক যাবৎ গড়ে উঠা অতিরাম পাড়ায়। সেখান থেকে তাজিংডং পাহাড় ষ্পষ্ট দেখা যায়। আমরা দেখলাম। পাড়ায় বসে যখন নুডুলস ও অন্যান্য খাবার খাচ্ছি, তখন বেশ ভালো লাগল। ছোট ছোট বাচ্চারা দূরে দাঁড়িয়ে রইল। কাউকে ডেকে দিলে নিচ্ছে, অন্যথায় নয়। পরে জানতে পেরেছি, তাদের বেশির ভাগই অভুক্ত। অথচ কত ধৈর্য্য সবার।

পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন অতিরাম পাড়া পিছনে ফেলে আবার হাটছি। বিশাল-বিশাল পাহাড়, জঙ্গল, ঝিরি মাড়িয়ে হেঁটেই চলছি। দীর্ঘপথ পরিক্রমায় সঙ্গী উজাড় করে দেওয়া প্রকৃতি তার ভেতরেও বেঁচে থাকা বুনো ফুলগুলোর সুবাস। মাঝেমধ্যে জনমানবহীন পাহাড়ে গড়ে তোলা ঝুম ঘরে বিশ্রাম নিয়েছি। এরমধ্যে দু-চারটে জোঁক দেহকে আলিঙ্গন করেছে। কামাল তো জোঁকের ভয়ে দ্রুত হেঁটেও শেষ রক্ষা পায়নি। অবশেষে তার ব্রেকড্যান্স, ভ্রমণে বাড়তি আনন্দ দিয়েছে।

আমিয় খুম যাওয়ার পথের চারপাশের প্রকৃতি খুব সুন্দর। উদার করে দেয়া প্রকৃতির পরশে পাাহাড়গুলোও খুব সুন্দর সাজে সেজেছে। প্রায় পাঁচ ঘন্টা হাঁটার পর পাহাড়ের উপর হতে আমিয় খুম প্রপাতের পানির নিয়মিত ছন্দের আওয়াজ কানে ভেসে এল। নিস্তব্ধ প্রকৃতিতে অসাধারণ লাগল। এবার খাড়া এক পাহাড় হতে নিচে নামছি। একটুু এদিক, সেদিক হলেই আলুর দম। ফলে খুব সাবধানে নামতে হল। প্রায় ৩০ মিনিট হাঁটার পর পেয়ে গেলাম এই মহা আনন্দের ক্ষণ। ওহ ! আল্লাহ্ তোমার দরবারে অশেষ শুকরিয়া। এত সুন্দর প্রাকৃতিক নিয়ামত তুমি আমাদের করেছ দান।

দুুপাশে দিগন্ত ছোঁয়া খাড়া পাহাড়। পাহাড়গুলোতে বড়, বড় গাছ আছে। নিচে বিশাল, বিশাল হরেক আকৃতির পাথর। তার মাঝে বয়ে চলছে অবিরাম ধারায় আমিয় খুম জলপ্রপাত। প্রপাতের পাথুরে পাহাড় এমনভাবে খাঁজকাটা, মনে হয়, কোন ডিজাইনার বেশ যত্ন নিয়ে সৌন্দর্যের ব্যাপ্তি ঘটিয়েছেন। প্রকৃতির খেয়ালে গড়া তার প্রমাণ পানি পড়ার এই দৃশ্যগুলো বর্ণনাতীত। হৃদয় ছোঁয়া প্রপাতের ছন্দময় শব্দ ভ্রমণের সব ক্লান্তি দূর করে দিল নিমিষে। এত সুন্দর জলপ্রপাত অথচ এদেশের অনেকেই তা জানেন না। ছবি দেখালে বিশ্বাসই করতে চান না না, এটি আমাদের গর্ব বান্দরবানের একটি অংশ। তারা না জানার কারণে কৃত্রিম প্রপাত দেখার জন্য পর্যটক হয়ে বিদেশ পাড়ি জমান। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট বিশেষ আবেদন, তারা যেন আমিয় খুমের যোগাযোগ ব্যবস্থা পর্যটনবান্ধব করতে উদ্যোগী হন।

আমিয় খুমের জলে মন ভরে অবগাহন। অতঃপর মুগ্ধতার আবেশে দুপুরকে বিকেল ভেবে ফেরার পালা।

যোগাযোগ : ঢাকা হতে বান্দরবান। বান্দরবান হতে বাসে চাঁদের গাড়িতে থানচি। থানচি হতে ট্রলারে রেমাক্রি। রেমাক্রি হতে পায়ে হেঁটে যিন্নাপাড়া। এরপর অতিরাম পাড়া। অতিরামপাড়া হতে ঘন্টা পাচেক চড়াই, উৎরাইয়ের পর ওয়াও-আমিয় খুম!
খাওয়া-থাকা : পর্যাপ্ত পরিমাণ শুকনো খাবার ও স্যালাইন এবং প্রয়োজনীয় ঔষধ। জুম চাউলের ভাত আর মোরগ-ভুনা খেতে হলে সঙ্গে যাওয়া গাইডের সাথে আলাপ করুন। রোমাঞ্চকর আমিয় খুম ট্রেইল করতে খরচ হবে জনপ্রতি ছয় থেকে সাত হাজার টাকা। প্রথম ও দ্বিতীয় রাত কাটাবেন যিন্নাপাড়া। মাথা পিছু থাকা-খাওয়া বাবদ নেবেন তারা জনপ্রতি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা।
আমাদের চাওয়া : চলার পথে কোন জীব-জন্তুকে আঘাত করবেন না # গাছ উপড়ে ফেলা বা অকারণে গাছের ডাল কাটবেন না # সঙ্গে নেয়া বিভিন্ন খাবারের মোড়ক, যেখানে সেখানে না ফেলে একটি ব্যাগে করে নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলুন # আদিবাসীদের সাথে সুন্দর আচরণ করুন তাদেরকে প্রায় উলঙ্গ বা অর্ধ উলঙ্গ অবস্থায় দেখলে যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন # গাইডের পরামর্শ ছাড়া কোন কিছু করার চেষ্টা করবেন না।
উল্লেখ্য : ইদানীং পাড়াগুলো বেশ পর্যটনবান্ধব করা হয়েছে। এখন রেমাক্রী হতে থুইসা পাড়া হয়েও আমিয়খুম যাওয়া যায়।

ওএস।

Header Ad
Header Ad

কুল-বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ মিরাজ, দর্শক পছন্দে সেরা ঋতুপর্ণা

ছবি: সংগৃহীত

২০২৪ সালের কুল-বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত জমকালো অনুষ্ঠানে তার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

অন্যদিকে, দর্শক ভোটে সর্বাধিক পছন্দের ক্রীড়াবিদ হিসেবে ‘পপুলার চয়েজ অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেন নারী সাফ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা জাতীয় নারী ফুটবল দলের মিডফিল্ডার ঋতুপর্ণা চাকমা।

এ বছর ‘স্পোর্টস পারসন অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার জয়ের দৌড়ে মিরাজ পেছনে ফেলেছেন ঋতুপর্ণা এবং ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকে কোয়ালিফাই করা আর্চার সাগর ইসলামকে। অপরদিকে, ‘পপুলার চয়েজ’ বিভাগে ঋতুপর্ণা এগিয়ে যান মিরাজ ও উদীয়মান পেসার নাহিদ রানাকে ছাড়িয়ে।

 

ছবি: সংগৃহীত

১৯৬৪ সাল থেকে ক্রীড়াবিদদের স্বীকৃতি জানিয়ে আসা দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ক্রীড়া সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ) এবছর ১৫টি বিভাগে মোট ১৩ ব্যক্তি, দল ও সংস্থাকে সম্মাননা দেয়। সংগঠনের সভাপতি রেজওয়ান উজ জামান রাজিবের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং স্কয়ার টয়লেট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী।

পুরস্কার গ্রহণ করে মিরাজ বলেন, “বিএসপিএকে ধন্যবাদ প্রতি বছর এমন আয়োজনের জন্য। এটা আমাদের খেলোয়াড়দের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।” ভুটানে লিগ খেলায় ব্যস্ত থাকায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে না পারলেও ভিডিও বার্তায় ঋতুপর্ণা জানান, “এই সম্মান আমাকে আরও ভালো করার অনুপ্রেরণা দেবে।”

Header Ad
Header Ad

রাজধানীর ওয়াসার পানিতে কিলবিল করছে পোকা, মগবাজার-মধুবাগে তীব্র ভোগান্তি

রাজধানীর ওয়াসার পানিতে কিলবিল করছে পোকা। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মগবাজার ও মধুবাগসহ বিভিন্ন এলাকায় ওয়াসার পানিতে পোকা ও ময়লার উপস্থিতি নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা। ট্যাপের পানি দুর্গন্ধযুক্ত ও অস্বচ্ছ হওয়ায় তা রান্না, গোসল ও দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করতে গিয়ে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বাসার পানির ট্যাঙ্ক একাধিকবার পরিষ্কার করেও মিলছে না সমাধান। ওয়াসার সাপ্লাই পাইপ থেকেই এই সমস্যার উৎপত্তি বলে মনে করছেন তারা।

মধুবাগ এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, “এই পানি দিয়ে রান্না ও গোসল সম্ভব না। আমাদের বাসার শিশুরা পানি খেতেই চায় না। বাধ্য হয়ে পাম্প থেকে পানি এনে ব্যবহার করতে হচ্ছে।” আরেকজন জানান, “ট্যাঙ্ক পরিস্কার করলে প্রথমে কিছুদিন ভালো থাকে, তারপর আবার পোকা দেখা দেয়।”

বিকল্প না থাকায়, অনেকেই ট্যাপের মুখে কাপড় বেঁধে পানি ব্যবহার করছেন। কিন্তু তারপরও পেটের অসুখ ও চর্মরোগের প্রকোপ বাড়ছে বলেও জানান স্থানীয়রা।

এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঢাকা ওয়াসার তিনজন কর্মকর্তা মধুবাগ এলাকায় পরিদর্শনে যান এবং কয়েকটি বাসা থেকে পানি সংগ্রহ করে পরীক্ষায় পোকা পাওয়ার কথা স্বীকার করেন। তবে দায় চাপান ট্যাঙ্ক ঠিকমতো পরিষ্কার না করাকে। ওয়াসার উপসহকারী প্রকৌশলী তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, “লাইনের পানি পরিষ্কার। ট্যাঙ্ক যদি নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়, তাহলে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে।”

তবে এই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নন এলাকাবাসী। তারা বলছেন, নিয়মিত ট্যাঙ্ক পরিষ্কারের পরও পানি দূষিত হচ্ছে, যা পাইপলাইনের সমস্যার ইঙ্গিত দেয়। এ অবস্থায় ওয়াসার কর্মকর্তারা পাইপের মান যাচাইয়ের আশ্বাস দিয়েছেন। এলাকাবাসী দ্রুত সমস্যার স্থায়ী সমাধান চেয়ে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Header Ad
Header Ad

বিদেশি আইনের আওতায় পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ: গভর্নর

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরাতে হবে বিদেশি আইনের মাধ্যমে এবং এ উদ্যোগ সম্পূর্ণ নতুন। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়াটি দেশের নয়, বরং বিদেশের আইনের সঙ্গে সংযোগ রেখে করতে হবে। এর জন্য আগে সংশ্লিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করতে হবে এবং এস্টেট (সম্পদ) ফ্রিজ করে আদালতের মাধ্যমে বাকি প্রক্রিয়া চালাতে হবে।”

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “প্রথমে এস্টেটগুলো ফ্রিজ করার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে, চিঠি পাঠানো হচ্ছে। আইন পরামর্শক নিয়োগে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এস্টেট ট্রেসিং ফার্মের সঙ্গেও আলোচনা চলছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এস্টেট ফ্রিজ করা গেলে এটিই হবে প্রথম সাফল্য।”

এক প্রশ্নের উত্তরে গভর্নর বলেন, “আমার ধারণা, প্রায় আড়াই থেকে তিন লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। শুধু বেক্সিমকো গ্রুপেরই প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার মতো অর্থ পাচার হয়েছে। এগুলো বড় গ্রুপের হিসাব, ছোট গ্রুপগুলো এখনো বিবেচনায় আনা হয়নি। ভবিষ্যতে যেন এমন না ঘটে, সে জন্য আমরা প্রয়োজনীয় নিয়ম-কানুন সংশোধনের উদ্যোগ নিচ্ছি।”

তিনি আরও বলেন, “সব সময় আদালতের মাধ্যমে সমাধান না করে, কিছু ক্ষেত্রে সমঝোতার ভিত্তিতেও (আউট অব কোর্ট সেটেলমেন্ট) টাকা ফেরত আনার চিন্তা করছি। তবে সেটার আগে সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকা জরুরি, না হলে আমরা ঠকে যাব।”

মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত এক প্রশ্নে গভর্নর বলেন, “অতীতে খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি ৯-১০ শতাংশ দেখানো হলেও বাস্তবে তা ছিল ১৩-১৪ শতাংশ। তবে এখন সেটি ৮-৯ শতাংশে নেমেছে। সামগ্রিকভাবে মুদ্রাস্ফীতি কমতির দিকেই। আগামী বছরে তা ৫ শতাংশ বা তার নিচে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।”

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. জামাল উদ্দিন, ফাইন্যান্স ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের পরিচালক মো. আনিসুর রহমানসহ চট্টগ্রাম কার্যালয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সঞ্চালনায় ছিলেন উপপরিচালক মো. জোবাইর হোসেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কুল-বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ মিরাজ, দর্শক পছন্দে সেরা ঋতুপর্ণা
রাজধানীর ওয়াসার পানিতে কিলবিল করছে পোকা, মগবাজার-মধুবাগে তীব্র ভোগান্তি
বিদেশি আইনের আওতায় পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ: গভর্নর
মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম বদল নয়, বরং ঐতিহ্যে ফেরত: ঢাবি উপাচার্য
তৃতীয় বিয়ের ইতি, রোশন সিংয়ের সঙ্গে আইনিভাবে বিচ্ছিন্ন শ্রাবন্তী
৬৪ জেলা নিয়ে তৃণমূল ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের ঘোষণা ক্রীড়া উপদেষ্টার
আগামীকাল শনিবার রাজধানীতে “মার্চ ফর গাজা”, পাঁচটি স্থান থেকে শোভাযাত্রা শুরু
অবশেষে নতুন চুক্তি সালাহর, লিভারপুলে থাকছেন ২০২৭ পর্যন্ত
পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রায় হাসিনার মুখাবয়ব
ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে মামলা করল ওপেনএআই
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মৃদু ভূমিকম্প
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নাগরিক কমিটির নেত্রী দিলশাদ আফরিন আটক
বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কায় ডলারের বড় পতন, রেকর্ড ছুঁয়েছে স্বর্ণের দাম
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে ১৪৭ দেশ, বাড়ছে বিশ্বজনমত
মার্কিন পণ্যে ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে চীনের পাল্টা জবাব
নারায়ণগঞ্জে দুই নারী ও এক শিশুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার
ফুটবল মাঠ পেরিয়ে হলিউডে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো
পুলিশের চাকরি পেতে সমন্বয়কদের পেছনে দৌড়ানো বন্ধ করুন: সারজিস
ড. ইউনূসের ৫ বছর ক্ষমতায় থাকার কোনও অধিকার নেই: সেলিমা রহমান
সিটি কর্পোরেশন হচ্ছে বগুড়া, গণশুনানির প্রস্তুতি শুরু