শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

খুম, খুম, খুম, আমিয় খুম

আমি অবিশ্বাস্য সুন্দর দেখেছি। তাদের সংরক্ষণ করব আগামী প্রজম্মের জন্য। যেন বুক ভরা নি:শ্বাস নিয়ে গর্ব করে বিশ্ববাসীকে বলতে পারে- দেখ, দেখ-এই আমার বাংলাদেশ। কত সুন্দর তার নয়নাভিরাম প্রকৃতি। তেমন অমিয়খুম জলপ্রপাত দেখা ও আসা, যাওয়া, প্রকৃতির ভালোবাসার গল্প লিখেছেন ‘দে-ছুট ভ্রমণ সংঘ’র প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ জাভেদ হাকিম। ছবি : দে-ছুট ভ্রমণ সংঘ।

খুম, খুম, খুম, আমিয় খুম- একটি আদিবাসী শব্দ। দেশকে যারা ভালবাসেন, দেশের উন্নয়ন নিয়ে যারা চিন্তা করেন, বিদেশ ভ্রমণের চেয়ে মাতৃভূমির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনুসন্ধানে যারা বেশি আগ্রহী, তাদের জন্য আমিয় খুম মহান আল্লাহ্ পাকের সৃষ্ট অনন্য নিদর্শন।

ভ্রমণ বিষয়ক ফিচার লেখক এক পরিচিতজনের মাধ্যমে আমিয় খুমের সৌন্দর্যের বর্ণনা যখন জানতে পারি, সেই থেকেই শুরু যাওয়ার প্রস্তুতি।

বান্দরবান বলতে অনেকেই মনে করেন, দু-চারবার সেখানে গেলেই সব প্রাকৃতিক নিদর্শনই বুঝি ঘুরে শেষ করা সম্ভব। এরকম ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। বান্দরবান এমন একটি জেলা, যার পরতে, পরতে ধারণ করা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে যেতে হবে কম করে হলেও শতবার।

‘দে-ছুট ভ্রমণ সংঘ’র এবারের অভিযান ছিল বান্দরবানের দুর্গম অঞ্চলের প্রকৃতি ও মানুষ। যত বেশি দুর্গমে যাওয়া যাবে, তত মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে থাকা যাবে। আরো বেশি পাহাড়ী মানুষের যাপিত জীবন সম্পর্কে নতুন ধারণা নেয়া যাবে।

পাঁচ বন্ধু মিলে এবার তিন রাত-দুদিন পার করে গিয়েছি অবিশ্বাস্য সৌন্দর্যের রাণী আমিয় খুম। যাওয়া এবং ফেরার দিন দুইরাত কাটিয়েছি আদিবাসী ত্রিপুরা অধ্যুষিত যিন্নাপাড়া। রাতে পাড়ার বাসিন্দা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বদ্বীতাকারী বিলাসের ঘরে আশ্রয় নিয়েছি। সেখানটার নতুন প্রজন্মের ছেলে, মেয়েরা সবাই স্কুল-কলেজ এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। চলনে-বলনে আধুনিক অথচ পাড়ায় স্যানিটেশন ব্যবস্থা নেই! খোলা আকাশের নিচে ঝোপ-ঝাড়ে প্রকৃতির ডাকের সমাধা করতে হয়। বিষয়টি খুব খারাপ বৈকি। শহর থেকে যাওয়া ভ্রমন পিপাসুদের জন্য বিব্রতকরও।

বিলাসের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে বুঝতে পারলাম, খোলা আকাশের নিচে মলত্যাগ নিয়ে তারা তেমন ভাবুক নয়। সেসঙ্গে ঘরের ভেতর টকটক নামের প্রাণীর বিচরণ তো সারারাতের ঘুমকে করেছে হারাম।

তারপরও খুব সকালে রওনা হলাম মূল গন্তব্যে। বাঁশের লাঠি সম্বল। হেঁটে যাচ্ছি একের পর এক পাহাড় ডিঙ্গিয়ে। বিশ্রাম নিলাম-বছর পাঁচেক যাবৎ গড়ে উঠা অতিরাম পাড়ায়। সেখান থেকে তাজিংডং পাহাড় ষ্পষ্ট দেখা যায়। আমরা দেখলাম। পাড়ায় বসে যখন নুডুলস ও অন্যান্য খাবার খাচ্ছি, তখন বেশ ভালো লাগল। ছোট ছোট বাচ্চারা দূরে দাঁড়িয়ে রইল। কাউকে ডেকে দিলে নিচ্ছে, অন্যথায় নয়। পরে জানতে পেরেছি, তাদের বেশির ভাগই অভুক্ত। অথচ কত ধৈর্য্য সবার।

পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন অতিরাম পাড়া পিছনে ফেলে আবার হাটছি। বিশাল-বিশাল পাহাড়, জঙ্গল, ঝিরি মাড়িয়ে হেঁটেই চলছি। দীর্ঘপথ পরিক্রমায় সঙ্গী উজাড় করে দেওয়া প্রকৃতি তার ভেতরেও বেঁচে থাকা বুনো ফুলগুলোর সুবাস। মাঝেমধ্যে জনমানবহীন পাহাড়ে গড়ে তোলা ঝুম ঘরে বিশ্রাম নিয়েছি। এরমধ্যে দু-চারটে জোঁক দেহকে আলিঙ্গন করেছে। কামাল তো জোঁকের ভয়ে দ্রুত হেঁটেও শেষ রক্ষা পায়নি। অবশেষে তার ব্রেকড্যান্স, ভ্রমণে বাড়তি আনন্দ দিয়েছে।

আমিয় খুম যাওয়ার পথের চারপাশের প্রকৃতি খুব সুন্দর। উদার করে দেয়া প্রকৃতির পরশে পাাহাড়গুলোও খুব সুন্দর সাজে সেজেছে। প্রায় পাঁচ ঘন্টা হাঁটার পর পাহাড়ের উপর হতে আমিয় খুম প্রপাতের পানির নিয়মিত ছন্দের আওয়াজ কানে ভেসে এল। নিস্তব্ধ প্রকৃতিতে অসাধারণ লাগল। এবার খাড়া এক পাহাড় হতে নিচে নামছি। একটুু এদিক, সেদিক হলেই আলুর দম। ফলে খুব সাবধানে নামতে হল। প্রায় ৩০ মিনিট হাঁটার পর পেয়ে গেলাম এই মহা আনন্দের ক্ষণ। ওহ ! আল্লাহ্ তোমার দরবারে অশেষ শুকরিয়া। এত সুন্দর প্রাকৃতিক নিয়ামত তুমি আমাদের করেছ দান।

দুুপাশে দিগন্ত ছোঁয়া খাড়া পাহাড়। পাহাড়গুলোতে বড়, বড় গাছ আছে। নিচে বিশাল, বিশাল হরেক আকৃতির পাথর। তার মাঝে বয়ে চলছে অবিরাম ধারায় আমিয় খুম জলপ্রপাত। প্রপাতের পাথুরে পাহাড় এমনভাবে খাঁজকাটা, মনে হয়, কোন ডিজাইনার বেশ যত্ন নিয়ে সৌন্দর্যের ব্যাপ্তি ঘটিয়েছেন। প্রকৃতির খেয়ালে গড়া তার প্রমাণ পানি পড়ার এই দৃশ্যগুলো বর্ণনাতীত। হৃদয় ছোঁয়া প্রপাতের ছন্দময় শব্দ ভ্রমণের সব ক্লান্তি দূর করে দিল নিমিষে। এত সুন্দর জলপ্রপাত অথচ এদেশের অনেকেই তা জানেন না। ছবি দেখালে বিশ্বাসই করতে চান না না, এটি আমাদের গর্ব বান্দরবানের একটি অংশ। তারা না জানার কারণে কৃত্রিম প্রপাত দেখার জন্য পর্যটক হয়ে বিদেশ পাড়ি জমান। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট বিশেষ আবেদন, তারা যেন আমিয় খুমের যোগাযোগ ব্যবস্থা পর্যটনবান্ধব করতে উদ্যোগী হন।

আমিয় খুমের জলে মন ভরে অবগাহন। অতঃপর মুগ্ধতার আবেশে দুপুরকে বিকেল ভেবে ফেরার পালা।

যোগাযোগ : ঢাকা হতে বান্দরবান। বান্দরবান হতে বাসে চাঁদের গাড়িতে থানচি। থানচি হতে ট্রলারে রেমাক্রি। রেমাক্রি হতে পায়ে হেঁটে যিন্নাপাড়া। এরপর অতিরাম পাড়া। অতিরামপাড়া হতে ঘন্টা পাচেক চড়াই, উৎরাইয়ের পর ওয়াও-আমিয় খুম!
খাওয়া-থাকা : পর্যাপ্ত পরিমাণ শুকনো খাবার ও স্যালাইন এবং প্রয়োজনীয় ঔষধ। জুম চাউলের ভাত আর মোরগ-ভুনা খেতে হলে সঙ্গে যাওয়া গাইডের সাথে আলাপ করুন। রোমাঞ্চকর আমিয় খুম ট্রেইল করতে খরচ হবে জনপ্রতি ছয় থেকে সাত হাজার টাকা। প্রথম ও দ্বিতীয় রাত কাটাবেন যিন্নাপাড়া। মাথা পিছু থাকা-খাওয়া বাবদ নেবেন তারা জনপ্রতি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা।
আমাদের চাওয়া : চলার পথে কোন জীব-জন্তুকে আঘাত করবেন না # গাছ উপড়ে ফেলা বা অকারণে গাছের ডাল কাটবেন না # সঙ্গে নেয়া বিভিন্ন খাবারের মোড়ক, যেখানে সেখানে না ফেলে একটি ব্যাগে করে নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলুন # আদিবাসীদের সাথে সুন্দর আচরণ করুন তাদেরকে প্রায় উলঙ্গ বা অর্ধ উলঙ্গ অবস্থায় দেখলে যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন # গাইডের পরামর্শ ছাড়া কোন কিছু করার চেষ্টা করবেন না।
উল্লেখ্য : ইদানীং পাড়াগুলো বেশ পর্যটনবান্ধব করা হয়েছে। এখন রেমাক্রী হতে থুইসা পাড়া হয়েও আমিয়খুম যাওয়া যায়।

ওএস।

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত