শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

কুষ্টিয়ায় তালশাঁসের চাহিদা বাড়লেও কমছে তালগাছ

“ঐ দেখা যায় তাল গাছ
ঐ আমাদের গাঁ।
ঐ খানেতে বাস করে
কানা বগীর ছা।”

এ ছড়াটি পড়েননি বা শোনেননি এমন মানুষ এ দেশে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এ ছড়াতে তালগাছের মাধ্যমে কবি খান মুহাম্মদ মইনুদ্দীন তার গ্রামকে চিনিয়েছেন। তালগাছ দেখিয়ে কবির নিজ গ্রামকে চেনানোর মাধ্যমেই বোঝা যায় তালগাছের গুরুত্বের বিষয়টি। তবে সেই তালগাছ বর্তমানে দেশে বিলুপ্তপ্রায়। এখন আর আগের মতো তালগাছ চোখে পড়ে না। কালের বিবর্তনে সারাদেশ থেকেই ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে তালগাছ। তালগাছ বিলুপ্ত হওয়া থেকে বাদ পড়েনি সংস্কৃতির রাজধানী কুষ্টিয়া অঞ্চলও। এখন এ অঞ্চলে তালগাছ নেই বললেই চলে। তবে আশার ব্যাপার হলো সাধারণ মানুষ তালগাছের গুরুত্ব বুঝতে শুরু করেছে। তারা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে পরিবেশেকে বাঁচাতে বর্তমানে অনেকেই তালের বীজ বপন করতে উৎসাহী হচ্ছেন ইতোমধ্যে তারা তালের বীজ বপন করতেও শুরু করেছেন।

শুধুমাত্র গাছই নয় তালের রস ও কাঁচা-পাকা এই দুই অবস্থায় তাল মানুষের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তালের শাঁস ছোট, বড় সবারই পছন্দের একটি ফল। তালের শাঁসকে নারিকেলের মতোই পুষ্টিকর বলে বিবেচনা করা হয়। মিষ্টি স্বাদের সুস্বাদু এই ফল মানুষের শরীরের জন্য বিভিন্ন উপকারী উপাদান সরবরাহ করে। এসব উপাদান মানুষের শরীরকে নানা রোগ থেকে রক্ষা করাসহ রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।

মানব দেহের জন্য এতো উপকারী তালশাঁসের উপকারিতা সাধারণ মানুষ না জানলেও সুস্বাদু হওয়ায় এই তালশাঁস খাওয়া থেকে পিছিয়ে নেই মানুষ। বর্তমানে কুষ্টিয়া জেলার হাটে, বাজারে তালের শাঁসের চাহিদা বেড়েছে ব্যাপক হারে। মৌসুমি এ ফল মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষায় ভূমিকা পালনের সঙ্গে সঙ্গে গ্রামীণ অর্থনীতিতেও অবদান রাখছে বেশ ভালোভাবেই।

কুষ্টিয়ার শহরের ৬ রাস্তার মোড়, প্রেস ক্লাবের সামনে, কাটাইখানা মোড়, সিঙ্গার মোড়, মজমপুর গেট, চৌড়হাস, ট্রাফিক মোড়, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল চত্বর, বড় বাজার রেলগেট, মিউনিসিপ্যালিটি বাজারের সামনে, একতারা মোড়, হাসপাতাল মোড়, সরকারি কলেজের সামনে, জেলখানা মোড়, ডিসি কোর্ট চত্বর হাউজিং নিশান মোড়সহ শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে তাল বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এবার এলাকা এবং তালের আকার ভেদে তিন আঁটির (তালশাঁস) একেকটি তালের পাইকারি দাম ৬ টাকা থেকে ৭ টাকা পর্যন্ত পড়ে। কুষ্টিয়া শহরে খুচরা পর্যায়ে সেই তিন আঁটির (তালশাঁস) এবার একেকটি তাল বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা দামে। দাম বেশি হওয়ায় এবার তালশাঁস ক্রেতাও কম। ফলে মাঝে মাঝে তাল নষ্টও হচ্ছে। দাম বেশির কারণ হিসেবে তালের সরবরাহ কমের কথা বলছেন বিক্রেতারা তবে কয়েকদিন গেলে বাজারে পর্যাপ্ত তাল উঠলে দাম কমে যাবে বলেও জানিয়েছেন কয়েকজন বিক্রেতা।

কুষ্টিয়া শহরের জেলখানা মোড়ে তালশাঁস কিনতে আসা মজিদ ফকির জানান, তালশাঁস আমার পরিবারের সবাই খুব পছন্দ করে তাই পরিবারের সবার জন্য আমাকে প্রায় দিনই তালশাঁস কিনতে হয়। অস্বস্তিকর এই গরমে তালশাঁস খেলে একটু স্বস্তি বোধ করি। গত বারের চেয়ে এবার তালের দাম একটু বেশি। গত বছর ৩ আঁটির (তালশাঁস) ১৫ টাকা নিলে এবার সেই তালের দাম ২০ টাকা নিচ্ছেন বিক্রেতারা। সে জন্য এবার তাল একটু কম পরিমান কেনা পড়ছে।

আরেক তালশাঁস ক্রেতা মোছা. মরিয়ম আক্তার বলেন, আমার ছেলে মেয়েরা তালশাঁস খেতে খুব পছন্দ করে। সেই কারণে তাল বাজারে উঠার পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই তাল কিনি। এবছর তালের দাম একটু বেশি। তবে দাম বেশি হলেও সন্তানদের পছন্দের কথা চিন্তা করে তবুও কিনি।

কুষ্টিয়া শহরের মিউনিসিপ্যালিটি বাজারের সামনের তালশাঁস বিক্রেতা মো. তিজাম উদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, প্রতি বছর তালশাঁসের মৌসুমে তিনি বিভিন্ন এলাকা থেকে তাল সংগ্রহ করে কুষ্টিয়া মিউনিসিপ্যালিটি বাজার, সিঙ্গার মোড়সহ শহরের বিভিন্ন জায়গায় বসে তাল বিক্রি করেন। তালশাঁসের মৌসুম শেষ হলে তিনি অন্য সময় ডাব বিক্রি করেন এর পাশাপাশি ভ্যানও চালান।

তিনি আরও জানান, বর্তমানে কুষ্টিয়ায় তালগাছ কমে গেছে এখন চাহিদা অনুযায়ী তাল পাওয়া যায় না। তবুও যা তাল গাছ আছে সেই সব গাছ থেকেই তাল সংগ্রহ করতে হচ্ছে। গাছ থেকে গড় চুক্তিতে তাল কিনে নিয়ে বিক্রি করেন। গাছের তালের পরিমান অনুযায়ী একেক গাছ একেক দামে কিনতে হয়।

আবার ক্রেতাদের একেক জনের একেক রকম তালের শাঁস পছন্দ, কেউ একটু নরম তালশাঁস পছন্দ করেন, আবার কেউ একটু শক্ত তালশাঁস পছন্দ করেন। প্রতিদিন গড়ে তার ৩৫০ থেকে ৪০০ পিস তাল বিক্রি হয়। প্রতি বছর তালের মৌসুম এলেই তালশাঁস বিক্রি করে বাড়তি আয় করেন তিনি। এতে তার সংসার খরচ করেও বেশ কিছু টাকা সঞ্চয় করতে পারেন।

কুষ্টিয়া শহরের বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল চত্বর এলাকার তাল বিক্রেতা কুমারখালী উপজেলার সদকী ইউনিয়নের বানিয়াকান্দী এলকার মো. মোতালেব শেখ নামে আরেক তালশাঁস বিক্রেতা জানান, এবার গাছে তালের পরিমান কম তালগাছও কম এলাকায় তাল পাওয়া যায় না সে কারণে পাশের উপজেলা খোকসার আমবাড়িয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে তাল সংগ্রহ করে প্রতিদিন কুষ্টিয়া শহরে এসে তাল বিক্রি করেন। সে কারনে তালের দাম একটু বেশি পড়ে যাচ্ছে। এর জন্য বেশি দামে তাল বিক্রি করতে হচ্ছে৷ দাম বেশির কারনে তাল তেমন বিক্রিও হচ্ছে না। মাঝে মাঝে তাল নষ্টও হয়ে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে জানান, খাবার হিসেবে তাল অতুলনীয়। কাঁচা তাল শাঁস ও পাকা তালে অন্য ফলের তুলনায় ক্যালসিয়াম, লৌহ, ক্যালোরির পরিমান বেশি থাকে। তালের শাঁস সহজে হজম যোগ্য, আমাশয়, বহুমূত্র, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। তালগাছের বীজ বা চারা করে রোপন করা যায়, এ গাছ লাগানোর পর ফল পেতে ১০-১২ বছর সময় লাগে। সব ধরনের মাটিতে তালগাছ জন্মে। বজ্রপাতের হার কমাতে তালগাছের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বজ্রপাতের পরিমাণ বেড়ে গেছে যা আমাদের জন্য অশনিসংকেত। মূলত বজ্রপাতে বৈদ্যুতিক চার্জ হয়, বড় গাছ হিসেবে তালগাছের ওপর বজ্রপাত হলে সেই বজ্রপাতের বৈদ্যুতিক চার্জ তার কাণ্ড দিয়ে মাটিতে চলে যায়, অনেকটা আর্তিংয়ের মতো। দেশে তালগাছের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে সরকারের উদ্যোগ রয়েছে। ইতোমধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর দেশে প্রচুরসংখ্যক তাল গাছ রোপণ করেছে।

তিনি আরও জানান, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবেলয় তালগাছের রোপণের কোনো বিকল্প নাই। বাড়ির আশেপাশে ও পতিত জায়গায় তালগাছ রোপণ করে একদিকে খাদ্য পুষ্টিমান বৃদ্ধি করা যাবে। অন্যদিকে বজ্রপাতের মত জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা মোকাবেলায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে তালগাছ হবে বড় মাধ্যম।

এমএসপি

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত