শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ | ২৮ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

কুষ্টিয়ায় তালশাঁসের চাহিদা বাড়লেও কমছে তালগাছ

“ঐ দেখা যায় তাল গাছ
ঐ আমাদের গাঁ।
ঐ খানেতে বাস করে
কানা বগীর ছা।”

এ ছড়াটি পড়েননি বা শোনেননি এমন মানুষ এ দেশে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এ ছড়াতে তালগাছের মাধ্যমে কবি খান মুহাম্মদ মইনুদ্দীন তার গ্রামকে চিনিয়েছেন। তালগাছ দেখিয়ে কবির নিজ গ্রামকে চেনানোর মাধ্যমেই বোঝা যায় তালগাছের গুরুত্বের বিষয়টি। তবে সেই তালগাছ বর্তমানে দেশে বিলুপ্তপ্রায়। এখন আর আগের মতো তালগাছ চোখে পড়ে না। কালের বিবর্তনে সারাদেশ থেকেই ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে তালগাছ। তালগাছ বিলুপ্ত হওয়া থেকে বাদ পড়েনি সংস্কৃতির রাজধানী কুষ্টিয়া অঞ্চলও। এখন এ অঞ্চলে তালগাছ নেই বললেই চলে। তবে আশার ব্যাপার হলো সাধারণ মানুষ তালগাছের গুরুত্ব বুঝতে শুরু করেছে। তারা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে পরিবেশেকে বাঁচাতে বর্তমানে অনেকেই তালের বীজ বপন করতে উৎসাহী হচ্ছেন ইতোমধ্যে তারা তালের বীজ বপন করতেও শুরু করেছেন।

শুধুমাত্র গাছই নয় তালের রস ও কাঁচা-পাকা এই দুই অবস্থায় তাল মানুষের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তালের শাঁস ছোট, বড় সবারই পছন্দের একটি ফল। তালের শাঁসকে নারিকেলের মতোই পুষ্টিকর বলে বিবেচনা করা হয়। মিষ্টি স্বাদের সুস্বাদু এই ফল মানুষের শরীরের জন্য বিভিন্ন উপকারী উপাদান সরবরাহ করে। এসব উপাদান মানুষের শরীরকে নানা রোগ থেকে রক্ষা করাসহ রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।

মানব দেহের জন্য এতো উপকারী তালশাঁসের উপকারিতা সাধারণ মানুষ না জানলেও সুস্বাদু হওয়ায় এই তালশাঁস খাওয়া থেকে পিছিয়ে নেই মানুষ। বর্তমানে কুষ্টিয়া জেলার হাটে, বাজারে তালের শাঁসের চাহিদা বেড়েছে ব্যাপক হারে। মৌসুমি এ ফল মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষায় ভূমিকা পালনের সঙ্গে সঙ্গে গ্রামীণ অর্থনীতিতেও অবদান রাখছে বেশ ভালোভাবেই।

কুষ্টিয়ার শহরের ৬ রাস্তার মোড়, প্রেস ক্লাবের সামনে, কাটাইখানা মোড়, সিঙ্গার মোড়, মজমপুর গেট, চৌড়হাস, ট্রাফিক মোড়, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল চত্বর, বড় বাজার রেলগেট, মিউনিসিপ্যালিটি বাজারের সামনে, একতারা মোড়, হাসপাতাল মোড়, সরকারি কলেজের সামনে, জেলখানা মোড়, ডিসি কোর্ট চত্বর হাউজিং নিশান মোড়সহ শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে তাল বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এবার এলাকা এবং তালের আকার ভেদে তিন আঁটির (তালশাঁস) একেকটি তালের পাইকারি দাম ৬ টাকা থেকে ৭ টাকা পর্যন্ত পড়ে। কুষ্টিয়া শহরে খুচরা পর্যায়ে সেই তিন আঁটির (তালশাঁস) এবার একেকটি তাল বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা দামে। দাম বেশি হওয়ায় এবার তালশাঁস ক্রেতাও কম। ফলে মাঝে মাঝে তাল নষ্টও হচ্ছে। দাম বেশির কারণ হিসেবে তালের সরবরাহ কমের কথা বলছেন বিক্রেতারা তবে কয়েকদিন গেলে বাজারে পর্যাপ্ত তাল উঠলে দাম কমে যাবে বলেও জানিয়েছেন কয়েকজন বিক্রেতা।

কুষ্টিয়া শহরের জেলখানা মোড়ে তালশাঁস কিনতে আসা মজিদ ফকির জানান, তালশাঁস আমার পরিবারের সবাই খুব পছন্দ করে তাই পরিবারের সবার জন্য আমাকে প্রায় দিনই তালশাঁস কিনতে হয়। অস্বস্তিকর এই গরমে তালশাঁস খেলে একটু স্বস্তি বোধ করি। গত বারের চেয়ে এবার তালের দাম একটু বেশি। গত বছর ৩ আঁটির (তালশাঁস) ১৫ টাকা নিলে এবার সেই তালের দাম ২০ টাকা নিচ্ছেন বিক্রেতারা। সে জন্য এবার তাল একটু কম পরিমান কেনা পড়ছে।

আরেক তালশাঁস ক্রেতা মোছা. মরিয়ম আক্তার বলেন, আমার ছেলে মেয়েরা তালশাঁস খেতে খুব পছন্দ করে। সেই কারণে তাল বাজারে উঠার পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই তাল কিনি। এবছর তালের দাম একটু বেশি। তবে দাম বেশি হলেও সন্তানদের পছন্দের কথা চিন্তা করে তবুও কিনি।

কুষ্টিয়া শহরের মিউনিসিপ্যালিটি বাজারের সামনের তালশাঁস বিক্রেতা মো. তিজাম উদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, প্রতি বছর তালশাঁসের মৌসুমে তিনি বিভিন্ন এলাকা থেকে তাল সংগ্রহ করে কুষ্টিয়া মিউনিসিপ্যালিটি বাজার, সিঙ্গার মোড়সহ শহরের বিভিন্ন জায়গায় বসে তাল বিক্রি করেন। তালশাঁসের মৌসুম শেষ হলে তিনি অন্য সময় ডাব বিক্রি করেন এর পাশাপাশি ভ্যানও চালান।

তিনি আরও জানান, বর্তমানে কুষ্টিয়ায় তালগাছ কমে গেছে এখন চাহিদা অনুযায়ী তাল পাওয়া যায় না। তবুও যা তাল গাছ আছে সেই সব গাছ থেকেই তাল সংগ্রহ করতে হচ্ছে। গাছ থেকে গড় চুক্তিতে তাল কিনে নিয়ে বিক্রি করেন। গাছের তালের পরিমান অনুযায়ী একেক গাছ একেক দামে কিনতে হয়।

আবার ক্রেতাদের একেক জনের একেক রকম তালের শাঁস পছন্দ, কেউ একটু নরম তালশাঁস পছন্দ করেন, আবার কেউ একটু শক্ত তালশাঁস পছন্দ করেন। প্রতিদিন গড়ে তার ৩৫০ থেকে ৪০০ পিস তাল বিক্রি হয়। প্রতি বছর তালের মৌসুম এলেই তালশাঁস বিক্রি করে বাড়তি আয় করেন তিনি। এতে তার সংসার খরচ করেও বেশ কিছু টাকা সঞ্চয় করতে পারেন।

কুষ্টিয়া শহরের বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল চত্বর এলাকার তাল বিক্রেতা কুমারখালী উপজেলার সদকী ইউনিয়নের বানিয়াকান্দী এলকার মো. মোতালেব শেখ নামে আরেক তালশাঁস বিক্রেতা জানান, এবার গাছে তালের পরিমান কম তালগাছও কম এলাকায় তাল পাওয়া যায় না সে কারণে পাশের উপজেলা খোকসার আমবাড়িয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে তাল সংগ্রহ করে প্রতিদিন কুষ্টিয়া শহরে এসে তাল বিক্রি করেন। সে কারনে তালের দাম একটু বেশি পড়ে যাচ্ছে। এর জন্য বেশি দামে তাল বিক্রি করতে হচ্ছে৷ দাম বেশির কারনে তাল তেমন বিক্রিও হচ্ছে না। মাঝে মাঝে তাল নষ্টও হয়ে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে জানান, খাবার হিসেবে তাল অতুলনীয়। কাঁচা তাল শাঁস ও পাকা তালে অন্য ফলের তুলনায় ক্যালসিয়াম, লৌহ, ক্যালোরির পরিমান বেশি থাকে। তালের শাঁস সহজে হজম যোগ্য, আমাশয়, বহুমূত্র, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। তালগাছের বীজ বা চারা করে রোপন করা যায়, এ গাছ লাগানোর পর ফল পেতে ১০-১২ বছর সময় লাগে। সব ধরনের মাটিতে তালগাছ জন্মে। বজ্রপাতের হার কমাতে তালগাছের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বজ্রপাতের পরিমাণ বেড়ে গেছে যা আমাদের জন্য অশনিসংকেত। মূলত বজ্রপাতে বৈদ্যুতিক চার্জ হয়, বড় গাছ হিসেবে তালগাছের ওপর বজ্রপাত হলে সেই বজ্রপাতের বৈদ্যুতিক চার্জ তার কাণ্ড দিয়ে মাটিতে চলে যায়, অনেকটা আর্তিংয়ের মতো। দেশে তালগাছের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে সরকারের উদ্যোগ রয়েছে। ইতোমধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর দেশে প্রচুরসংখ্যক তাল গাছ রোপণ করেছে।

তিনি আরও জানান, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবেলয় তালগাছের রোপণের কোনো বিকল্প নাই। বাড়ির আশেপাশে ও পতিত জায়গায় তালগাছ রোপণ করে একদিকে খাদ্য পুষ্টিমান বৃদ্ধি করা যাবে। অন্যদিকে বজ্রপাতের মত জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা মোকাবেলায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে তালগাছ হবে বড় মাধ্যম।

এমএসপি

Header Ad
Header Ad

কুল-বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ মিরাজ, দর্শক পছন্দে সেরা ঋতুপর্ণা

ছবি: সংগৃহীত

২০২৪ সালের কুল-বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত জমকালো অনুষ্ঠানে তার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

অন্যদিকে, দর্শক ভোটে সর্বাধিক পছন্দের ক্রীড়াবিদ হিসেবে ‘পপুলার চয়েজ অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেন নারী সাফ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা জাতীয় নারী ফুটবল দলের মিডফিল্ডার ঋতুপর্ণা চাকমা।

এ বছর ‘স্পোর্টস পারসন অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার জয়ের দৌড়ে মিরাজ পেছনে ফেলেছেন ঋতুপর্ণা এবং ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকে কোয়ালিফাই করা আর্চার সাগর ইসলামকে। অপরদিকে, ‘পপুলার চয়েজ’ বিভাগে ঋতুপর্ণা এগিয়ে যান মিরাজ ও উদীয়মান পেসার নাহিদ রানাকে ছাড়িয়ে।

 

ছবি: সংগৃহীত

১৯৬৪ সাল থেকে ক্রীড়াবিদদের স্বীকৃতি জানিয়ে আসা দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ক্রীড়া সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ) এবছর ১৫টি বিভাগে মোট ১৩ ব্যক্তি, দল ও সংস্থাকে সম্মাননা দেয়। সংগঠনের সভাপতি রেজওয়ান উজ জামান রাজিবের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং স্কয়ার টয়লেট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী।

পুরস্কার গ্রহণ করে মিরাজ বলেন, “বিএসপিএকে ধন্যবাদ প্রতি বছর এমন আয়োজনের জন্য। এটা আমাদের খেলোয়াড়দের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।” ভুটানে লিগ খেলায় ব্যস্ত থাকায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে না পারলেও ভিডিও বার্তায় ঋতুপর্ণা জানান, “এই সম্মান আমাকে আরও ভালো করার অনুপ্রেরণা দেবে।”

Header Ad
Header Ad

রাজধানীর ওয়াসার পানিতে কিলবিল করছে পোকা, মগবাজার-মধুবাগে তীব্র ভোগান্তি

রাজধানীর ওয়াসার পানিতে কিলবিল করছে পোকা। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মগবাজার ও মধুবাগসহ বিভিন্ন এলাকায় ওয়াসার পানিতে পোকা ও ময়লার উপস্থিতি নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা। ট্যাপের পানি দুর্গন্ধযুক্ত ও অস্বচ্ছ হওয়ায় তা রান্না, গোসল ও দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করতে গিয়ে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বাসার পানির ট্যাঙ্ক একাধিকবার পরিষ্কার করেও মিলছে না সমাধান। ওয়াসার সাপ্লাই পাইপ থেকেই এই সমস্যার উৎপত্তি বলে মনে করছেন তারা।

মধুবাগ এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, “এই পানি দিয়ে রান্না ও গোসল সম্ভব না। আমাদের বাসার শিশুরা পানি খেতেই চায় না। বাধ্য হয়ে পাম্প থেকে পানি এনে ব্যবহার করতে হচ্ছে।” আরেকজন জানান, “ট্যাঙ্ক পরিস্কার করলে প্রথমে কিছুদিন ভালো থাকে, তারপর আবার পোকা দেখা দেয়।”

বিকল্প না থাকায়, অনেকেই ট্যাপের মুখে কাপড় বেঁধে পানি ব্যবহার করছেন। কিন্তু তারপরও পেটের অসুখ ও চর্মরোগের প্রকোপ বাড়ছে বলেও জানান স্থানীয়রা।

এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঢাকা ওয়াসার তিনজন কর্মকর্তা মধুবাগ এলাকায় পরিদর্শনে যান এবং কয়েকটি বাসা থেকে পানি সংগ্রহ করে পরীক্ষায় পোকা পাওয়ার কথা স্বীকার করেন। তবে দায় চাপান ট্যাঙ্ক ঠিকমতো পরিষ্কার না করাকে। ওয়াসার উপসহকারী প্রকৌশলী তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, “লাইনের পানি পরিষ্কার। ট্যাঙ্ক যদি নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়, তাহলে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে।”

তবে এই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নন এলাকাবাসী। তারা বলছেন, নিয়মিত ট্যাঙ্ক পরিষ্কারের পরও পানি দূষিত হচ্ছে, যা পাইপলাইনের সমস্যার ইঙ্গিত দেয়। এ অবস্থায় ওয়াসার কর্মকর্তারা পাইপের মান যাচাইয়ের আশ্বাস দিয়েছেন। এলাকাবাসী দ্রুত সমস্যার স্থায়ী সমাধান চেয়ে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Header Ad
Header Ad

বিদেশি আইনের আওতায় পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ: গভর্নর

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরাতে হবে বিদেশি আইনের মাধ্যমে এবং এ উদ্যোগ সম্পূর্ণ নতুন। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়াটি দেশের নয়, বরং বিদেশের আইনের সঙ্গে সংযোগ রেখে করতে হবে। এর জন্য আগে সংশ্লিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করতে হবে এবং এস্টেট (সম্পদ) ফ্রিজ করে আদালতের মাধ্যমে বাকি প্রক্রিয়া চালাতে হবে।”

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “প্রথমে এস্টেটগুলো ফ্রিজ করার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে, চিঠি পাঠানো হচ্ছে। আইন পরামর্শক নিয়োগে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এস্টেট ট্রেসিং ফার্মের সঙ্গেও আলোচনা চলছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এস্টেট ফ্রিজ করা গেলে এটিই হবে প্রথম সাফল্য।”

এক প্রশ্নের উত্তরে গভর্নর বলেন, “আমার ধারণা, প্রায় আড়াই থেকে তিন লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। শুধু বেক্সিমকো গ্রুপেরই প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার মতো অর্থ পাচার হয়েছে। এগুলো বড় গ্রুপের হিসাব, ছোট গ্রুপগুলো এখনো বিবেচনায় আনা হয়নি। ভবিষ্যতে যেন এমন না ঘটে, সে জন্য আমরা প্রয়োজনীয় নিয়ম-কানুন সংশোধনের উদ্যোগ নিচ্ছি।”

তিনি আরও বলেন, “সব সময় আদালতের মাধ্যমে সমাধান না করে, কিছু ক্ষেত্রে সমঝোতার ভিত্তিতেও (আউট অব কোর্ট সেটেলমেন্ট) টাকা ফেরত আনার চিন্তা করছি। তবে সেটার আগে সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকা জরুরি, না হলে আমরা ঠকে যাব।”

মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত এক প্রশ্নে গভর্নর বলেন, “অতীতে খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি ৯-১০ শতাংশ দেখানো হলেও বাস্তবে তা ছিল ১৩-১৪ শতাংশ। তবে এখন সেটি ৮-৯ শতাংশে নেমেছে। সামগ্রিকভাবে মুদ্রাস্ফীতি কমতির দিকেই। আগামী বছরে তা ৫ শতাংশ বা তার নিচে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।”

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. জামাল উদ্দিন, ফাইন্যান্স ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের পরিচালক মো. আনিসুর রহমানসহ চট্টগ্রাম কার্যালয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সঞ্চালনায় ছিলেন উপপরিচালক মো. জোবাইর হোসেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কুল-বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ মিরাজ, দর্শক পছন্দে সেরা ঋতুপর্ণা
রাজধানীর ওয়াসার পানিতে কিলবিল করছে পোকা, মগবাজার-মধুবাগে তীব্র ভোগান্তি
বিদেশি আইনের আওতায় পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ: গভর্নর
মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম বদল নয়, বরং ঐতিহ্যে ফেরত: ঢাবি উপাচার্য
তৃতীয় বিয়ের ইতি, রোশন সিংয়ের সঙ্গে আইনিভাবে বিচ্ছিন্ন শ্রাবন্তী
৬৪ জেলা নিয়ে তৃণমূল ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের ঘোষণা ক্রীড়া উপদেষ্টার
আগামীকাল শনিবার রাজধানীতে “মার্চ ফর গাজা”, পাঁচটি স্থান থেকে শোভাযাত্রা শুরু
অবশেষে নতুন চুক্তি সালাহর, লিভারপুলে থাকছেন ২০২৭ পর্যন্ত
পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রায় হাসিনার মুখাবয়ব
ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে মামলা করল ওপেনএআই
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মৃদু ভূমিকম্প
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নাগরিক কমিটির নেত্রী দিলশাদ আফরিন আটক
বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কায় ডলারের বড় পতন, রেকর্ড ছুঁয়েছে স্বর্ণের দাম
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে ১৪৭ দেশ, বাড়ছে বিশ্বজনমত
মার্কিন পণ্যে ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে চীনের পাল্টা জবাব
নারায়ণগঞ্জে দুই নারী ও এক শিশুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার
ফুটবল মাঠ পেরিয়ে হলিউডে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো
পুলিশের চাকরি পেতে সমন্বয়কদের পেছনে দৌড়ানো বন্ধ করুন: সারজিস
ড. ইউনূসের ৫ বছর ক্ষমতায় থাকার কোনও অধিকার নেই: সেলিমা রহমান
সিটি কর্পোরেশন হচ্ছে বগুড়া, গণশুনানির প্রস্তুতি শুরু