শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

অবহেলায় হারাতে বসেছে কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের স্মৃতিচিহ্ন

কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের জন্মস্থানের স্মৃতিচিহ্নগুলো দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে অযত্ন-অবহেলায়। খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটীতে কবির পুকুরসহ এক একরেরও বেশি জমি চলে গেছে অবৈধ দখলে।

ভৈরব নদের তীরে খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটীতে নীতিকবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার জন্মগ্রহণ করেন ১৮৩৪ সালের ১০ জুন। কবিতা লেখার পাশাপাশি শিক্ষকতা ও সাংবাদিকতা করেছেন কৃষ্ণচন্দ্র। তৎকালীন ঢাকাপ্রকাশ পত্রিকার প্রথম সম্পাদক ছিলেন তিনি। শিক্ষকতা করেছেন ১৯ বছর। কৃষ্ণচন্দ্র ১৮৫৪ সালে বরিশালের কীর্তিপাশা বাংলা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে তিনি ঢাকার নর্মাল স্কুলে যোগদান করেন, কিন্তু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিরোধ হওয়ায় চাকরি ছেড়ে তিনি ১৮৬০ সালে মডেল স্কুলে যোগ দেন। এভাবে তিনি বিভিন্ন স্কুলে দীর্ঘ ১৯ বছর শিক্ষকতা করেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনে তিনি ছিলেন খুবই নিষ্ঠাবান।

আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার পক্ষে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। মূলত কীর্তিপাশার জমিদারের অর্থানুকূল্যে তিনি জীবনযাপন করেন। তার প্রথম ও শ্রেষ্ঠ গ্রন্হ ‘সদ্ভাব শতক’ (ঢাকা, ১৮৬১)। বইটির অধিকাংশ কবিতা নীতিমূলক, যা সুফি ও হাফিজের ফার্সি কবিতার অনুসরণে রচিত। তার ছদ্মনাম ছিল রামচন্দ্র দাস, সংক্ষেপে রাম।

তাই পরিণত বয়সে ১৮৬৮ সালে তিনি রামের ইতিবৃত্ত নামে একটি আত্মচরিত রচনা করেন। মহাভারতের ‘বাসব-নহুষ-সংবাদ’ অবলম্বনে ১৮৭১ সালে রচিত তার আরেকটি গ্রন্হ হলো মোহভোগ। কৈবল্যতত্ত্ব নামে ১৮৮৩ সালে তিনি একটি দর্শনবিষয়ক গ্রন্হ লেখেন। ১৯০৭ সালের ১৩ জানুয়ারি পরপারে পাড়ি জমান বাংলা সাহিত্যের এ অমর কবি। নাটক রাবণবধ তার মৃত্যুর পরে প্রকাশিত হয়। তার অপ্রকাশিত গ্রন্হের সংখ্যা ১৫।

সরেজমিন দেখা গেছে, কবির জন্মস্থান সেনহাটী গ্রামের শিববাড়ি এলাকায় এখন শুধু একটি স্মৃতিস্তম্ভ, নামফলক, কংক্রিটের বেঞ্চ ও একটি ছোট্ট কামিনী গাছ ছাড়া আর কিছুই নেই। সেখানে আবার অবৈধভাবে ইট-বালু রেখে ব্যবসা করছেন দুই-তিনজন প্রভাবশালী। কৃষ্ণচন্দ্রের পুকুরসহ এক একরেরও বেশি জমি অবৈধ দখলে চলে গেছে। কবির বাড়িতে যে মন্দিরটি ছিল, সেটির অবস্থাও জরাজীর্ণ। কবির মৃত্যুর সাত বছর পর তার বাড়ির সামান্য দূরে ১৯১৪ সালে ৩৩ শতক জমির একাংশে গড়ে তোলা হয় 'কবি কৃষ্ণচন্দ্র ইনস্টিটিউট'। বাকি জায়গা খালি পড়ে আছে, সেটি এখন গরু-ছাগলের চারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে।

ইনস্টিটিউটের অবস্থাও জরাজীর্ণ, ছাদের ওপর জন্মেছে বট-পাকুড়ের গাছ। ইনস্টিটিউটের ভেতর ১০ থেকে ১২টি বই, একটি টেবিল, কয়েকটি চেয়ার ও দেওয়ালে কয়েকটি ছবি ছাড়া তেমন কিছুই নেই। কবির লেখা গ্রন্হগুলোও এখানে নেই।

কৃষ্ণচন্দ্র ইনস্টিটিউটের সাধারণ সম্পাদক শেখ মনিরুল ইসলাম বলেন, কবির বসতভিটা ও পুকুর অনেক আগেই অবৈধ দখলে চলে গেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এর আগে কয়েকবার অবৈধ দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা সফল হয়নি। কবি জীবদ্দশায় যে পুকুরে গোসল করতেন, সেটি এখন খাদির মার পুকুর নামে পরিচিত। এটা কখনও আমরা প্রত্যাশা করিনি।

তিনি আরও বলেন, কবি কৃষ্ণচন্দ্র ইনস্টিটিউটে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় দুই বছর আগে কিছু টাকা দেয়, যা দিয়ে মেঝে টাইলস করা হয়। এর বাইরে আর কোনো সংস্কার বা উন্নয়ন হয়নি।

ইনস্টিটিউটের সভাপতি মো. আকতার হোসেন বাবলু হতাশার সুরে বলেন, সেনহাটীতে কবির স্মৃতিচিহ্ন বলতে এখন শুধু স্মৃতিস্তম্ভ ও একটি ইনস্টিটিউট আছে। তার বংশধররাও কেউ এখন আর এখানে থাকেন না। প্রশাসনের উচিত এখনও কবির যে স্মৃতিচিহ্নগুলো অবশিষ্ট আছে তা সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া।

কবি কৃষ্ণচন্দ্রকে নিয়ে গবেষণা করছেন সেনহাটী এলাকার আলহাজ সারোয়ার খান ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ মো. আলতাফ হোসেন। তিনি বলেন, আগে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের পাঠ্যপুস্তকে কৃষ্ণচন্দ্রের বেশ কয়েকটি বিখ্যাত কবিতা ছিল। তার লেখা কবিতা দিয়ে ভাব সম্প্রসারণ পড়ানো হতো। কিন্তু এখন আর তা নেই।

গবেষক আলতাফ হোসেন আরও বলেন, যে বছর মাইকেল মধুসূদন দত্তের মেঘনাদ বধ কাব্য প্রকাশিত হয়, সেই ১৮৬১ সালেই কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের কাব্য সদ্ভাব শতক প্রকাশিত হয়।

ইনস্টিটিউটের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোল্লা মাকসুদুল ইসলাম বলেন, কবি কৃষ্ণচন্দ্র আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে যেতে বসেছেন। তাকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে পাঠ্যপুস্তকে তার জীবনী ও তার লেখা বিখ্যাত কবিতাগুলো স্থান দেওয়া প্রয়োজন।

কবির জন্মস্থানকে ঘিরে একটি মিউজিয়াম ও বহুমুখী কমপ্লেক্স গড়ে তোলার দাবি জানান ইনস্টিটিউটের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ আবদুল হাই। তিনি বলেন, যশোরের কেশবপুরে কবি মাইকেল মধুসূদন, খুলনার ফুলতলা উপজেলার দক্ষিণডিহিতে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্বশুরবাড়ি এবং রূপসার পিঠাভোগ গ্রামে কবিগুরুর পিতৃপুরুষের ভিটায় রবীন্দ্র কমপ্লেক্স গড়ে তোলা হয়েছে। সে রকমভাবে এখানেও কবি কৃষ্ণচন্দ্র কমপ্লেক্স গড়ে তোলা প্রয়োজন।

এ ব্যাপারে প্রত্নতত্ব অধিদপ্তর খুলনার আঞ্চলিক পরিচালক আফরোজা খান মিতা জানান, কবির জন্মস্থানটিকে গত ১০ মে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি ঘোষণা করা হয়েছে। শিগগিরই সেখানে নোটিশ বোর্ড ও পরিচিতি ফলক স্থাপন করা হবে, যাতে কবির সম্পর্কে নতুন প্রজন্ম, এলাকাবাসী ও দর্শনার্থীরা জানতে পারেন। এ ছাড়া জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় কবির স্মৃতিগুলো সংস্কার ও সংরক্ষণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

এসএন

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত