শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ | ২৮ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

অবহেলায় হারাতে বসেছে কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের স্মৃতিচিহ্ন

কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের জন্মস্থানের স্মৃতিচিহ্নগুলো দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে অযত্ন-অবহেলায়। খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটীতে কবির পুকুরসহ এক একরেরও বেশি জমি চলে গেছে অবৈধ দখলে।

ভৈরব নদের তীরে খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটীতে নীতিকবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার জন্মগ্রহণ করেন ১৮৩৪ সালের ১০ জুন। কবিতা লেখার পাশাপাশি শিক্ষকতা ও সাংবাদিকতা করেছেন কৃষ্ণচন্দ্র। তৎকালীন ঢাকাপ্রকাশ পত্রিকার প্রথম সম্পাদক ছিলেন তিনি। শিক্ষকতা করেছেন ১৯ বছর। কৃষ্ণচন্দ্র ১৮৫৪ সালে বরিশালের কীর্তিপাশা বাংলা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে তিনি ঢাকার নর্মাল স্কুলে যোগদান করেন, কিন্তু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিরোধ হওয়ায় চাকরি ছেড়ে তিনি ১৮৬০ সালে মডেল স্কুলে যোগ দেন। এভাবে তিনি বিভিন্ন স্কুলে দীর্ঘ ১৯ বছর শিক্ষকতা করেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনে তিনি ছিলেন খুবই নিষ্ঠাবান।

আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার পক্ষে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। মূলত কীর্তিপাশার জমিদারের অর্থানুকূল্যে তিনি জীবনযাপন করেন। তার প্রথম ও শ্রেষ্ঠ গ্রন্হ ‘সদ্ভাব শতক’ (ঢাকা, ১৮৬১)। বইটির অধিকাংশ কবিতা নীতিমূলক, যা সুফি ও হাফিজের ফার্সি কবিতার অনুসরণে রচিত। তার ছদ্মনাম ছিল রামচন্দ্র দাস, সংক্ষেপে রাম।

তাই পরিণত বয়সে ১৮৬৮ সালে তিনি রামের ইতিবৃত্ত নামে একটি আত্মচরিত রচনা করেন। মহাভারতের ‘বাসব-নহুষ-সংবাদ’ অবলম্বনে ১৮৭১ সালে রচিত তার আরেকটি গ্রন্হ হলো মোহভোগ। কৈবল্যতত্ত্ব নামে ১৮৮৩ সালে তিনি একটি দর্শনবিষয়ক গ্রন্হ লেখেন। ১৯০৭ সালের ১৩ জানুয়ারি পরপারে পাড়ি জমান বাংলা সাহিত্যের এ অমর কবি। নাটক রাবণবধ তার মৃত্যুর পরে প্রকাশিত হয়। তার অপ্রকাশিত গ্রন্হের সংখ্যা ১৫।

সরেজমিন দেখা গেছে, কবির জন্মস্থান সেনহাটী গ্রামের শিববাড়ি এলাকায় এখন শুধু একটি স্মৃতিস্তম্ভ, নামফলক, কংক্রিটের বেঞ্চ ও একটি ছোট্ট কামিনী গাছ ছাড়া আর কিছুই নেই। সেখানে আবার অবৈধভাবে ইট-বালু রেখে ব্যবসা করছেন দুই-তিনজন প্রভাবশালী। কৃষ্ণচন্দ্রের পুকুরসহ এক একরেরও বেশি জমি অবৈধ দখলে চলে গেছে। কবির বাড়িতে যে মন্দিরটি ছিল, সেটির অবস্থাও জরাজীর্ণ। কবির মৃত্যুর সাত বছর পর তার বাড়ির সামান্য দূরে ১৯১৪ সালে ৩৩ শতক জমির একাংশে গড়ে তোলা হয় 'কবি কৃষ্ণচন্দ্র ইনস্টিটিউট'। বাকি জায়গা খালি পড়ে আছে, সেটি এখন গরু-ছাগলের চারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে।

ইনস্টিটিউটের অবস্থাও জরাজীর্ণ, ছাদের ওপর জন্মেছে বট-পাকুড়ের গাছ। ইনস্টিটিউটের ভেতর ১০ থেকে ১২টি বই, একটি টেবিল, কয়েকটি চেয়ার ও দেওয়ালে কয়েকটি ছবি ছাড়া তেমন কিছুই নেই। কবির লেখা গ্রন্হগুলোও এখানে নেই।

কৃষ্ণচন্দ্র ইনস্টিটিউটের সাধারণ সম্পাদক শেখ মনিরুল ইসলাম বলেন, কবির বসতভিটা ও পুকুর অনেক আগেই অবৈধ দখলে চলে গেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এর আগে কয়েকবার অবৈধ দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা সফল হয়নি। কবি জীবদ্দশায় যে পুকুরে গোসল করতেন, সেটি এখন খাদির মার পুকুর নামে পরিচিত। এটা কখনও আমরা প্রত্যাশা করিনি।

তিনি আরও বলেন, কবি কৃষ্ণচন্দ্র ইনস্টিটিউটে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় দুই বছর আগে কিছু টাকা দেয়, যা দিয়ে মেঝে টাইলস করা হয়। এর বাইরে আর কোনো সংস্কার বা উন্নয়ন হয়নি।

ইনস্টিটিউটের সভাপতি মো. আকতার হোসেন বাবলু হতাশার সুরে বলেন, সেনহাটীতে কবির স্মৃতিচিহ্ন বলতে এখন শুধু স্মৃতিস্তম্ভ ও একটি ইনস্টিটিউট আছে। তার বংশধররাও কেউ এখন আর এখানে থাকেন না। প্রশাসনের উচিত এখনও কবির যে স্মৃতিচিহ্নগুলো অবশিষ্ট আছে তা সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া।

কবি কৃষ্ণচন্দ্রকে নিয়ে গবেষণা করছেন সেনহাটী এলাকার আলহাজ সারোয়ার খান ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ মো. আলতাফ হোসেন। তিনি বলেন, আগে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের পাঠ্যপুস্তকে কৃষ্ণচন্দ্রের বেশ কয়েকটি বিখ্যাত কবিতা ছিল। তার লেখা কবিতা দিয়ে ভাব সম্প্রসারণ পড়ানো হতো। কিন্তু এখন আর তা নেই।

গবেষক আলতাফ হোসেন আরও বলেন, যে বছর মাইকেল মধুসূদন দত্তের মেঘনাদ বধ কাব্য প্রকাশিত হয়, সেই ১৮৬১ সালেই কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের কাব্য সদ্ভাব শতক প্রকাশিত হয়।

ইনস্টিটিউটের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোল্লা মাকসুদুল ইসলাম বলেন, কবি কৃষ্ণচন্দ্র আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে যেতে বসেছেন। তাকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে পাঠ্যপুস্তকে তার জীবনী ও তার লেখা বিখ্যাত কবিতাগুলো স্থান দেওয়া প্রয়োজন।

কবির জন্মস্থানকে ঘিরে একটি মিউজিয়াম ও বহুমুখী কমপ্লেক্স গড়ে তোলার দাবি জানান ইনস্টিটিউটের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ আবদুল হাই। তিনি বলেন, যশোরের কেশবপুরে কবি মাইকেল মধুসূদন, খুলনার ফুলতলা উপজেলার দক্ষিণডিহিতে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্বশুরবাড়ি এবং রূপসার পিঠাভোগ গ্রামে কবিগুরুর পিতৃপুরুষের ভিটায় রবীন্দ্র কমপ্লেক্স গড়ে তোলা হয়েছে। সে রকমভাবে এখানেও কবি কৃষ্ণচন্দ্র কমপ্লেক্স গড়ে তোলা প্রয়োজন।

এ ব্যাপারে প্রত্নতত্ব অধিদপ্তর খুলনার আঞ্চলিক পরিচালক আফরোজা খান মিতা জানান, কবির জন্মস্থানটিকে গত ১০ মে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি ঘোষণা করা হয়েছে। শিগগিরই সেখানে নোটিশ বোর্ড ও পরিচিতি ফলক স্থাপন করা হবে, যাতে কবির সম্পর্কে নতুন প্রজন্ম, এলাকাবাসী ও দর্শনার্থীরা জানতে পারেন। এ ছাড়া জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় কবির স্মৃতিগুলো সংস্কার ও সংরক্ষণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

এসএন

Header Ad
Header Ad

কুল-বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ মিরাজ, দর্শক পছন্দে সেরা ঋতুপর্ণা

ছবি: সংগৃহীত

২০২৪ সালের কুল-বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত জমকালো অনুষ্ঠানে তার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

অন্যদিকে, দর্শক ভোটে সর্বাধিক পছন্দের ক্রীড়াবিদ হিসেবে ‘পপুলার চয়েজ অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেন নারী সাফ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা জাতীয় নারী ফুটবল দলের মিডফিল্ডার ঋতুপর্ণা চাকমা।

এ বছর ‘স্পোর্টস পারসন অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার জয়ের দৌড়ে মিরাজ পেছনে ফেলেছেন ঋতুপর্ণা এবং ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকে কোয়ালিফাই করা আর্চার সাগর ইসলামকে। অপরদিকে, ‘পপুলার চয়েজ’ বিভাগে ঋতুপর্ণা এগিয়ে যান মিরাজ ও উদীয়মান পেসার নাহিদ রানাকে ছাড়িয়ে।

 

ছবি: সংগৃহীত

১৯৬৪ সাল থেকে ক্রীড়াবিদদের স্বীকৃতি জানিয়ে আসা দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ক্রীড়া সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ) এবছর ১৫টি বিভাগে মোট ১৩ ব্যক্তি, দল ও সংস্থাকে সম্মাননা দেয়। সংগঠনের সভাপতি রেজওয়ান উজ জামান রাজিবের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং স্কয়ার টয়লেট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী।

পুরস্কার গ্রহণ করে মিরাজ বলেন, “বিএসপিএকে ধন্যবাদ প্রতি বছর এমন আয়োজনের জন্য। এটা আমাদের খেলোয়াড়দের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।” ভুটানে লিগ খেলায় ব্যস্ত থাকায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে না পারলেও ভিডিও বার্তায় ঋতুপর্ণা জানান, “এই সম্মান আমাকে আরও ভালো করার অনুপ্রেরণা দেবে।”

Header Ad
Header Ad

রাজধানীর ওয়াসার পানিতে কিলবিল করছে পোকা, মগবাজার-মধুবাগে তীব্র ভোগান্তি

রাজধানীর ওয়াসার পানিতে কিলবিল করছে পোকা। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মগবাজার ও মধুবাগসহ বিভিন্ন এলাকায় ওয়াসার পানিতে পোকা ও ময়লার উপস্থিতি নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা। ট্যাপের পানি দুর্গন্ধযুক্ত ও অস্বচ্ছ হওয়ায় তা রান্না, গোসল ও দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করতে গিয়ে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বাসার পানির ট্যাঙ্ক একাধিকবার পরিষ্কার করেও মিলছে না সমাধান। ওয়াসার সাপ্লাই পাইপ থেকেই এই সমস্যার উৎপত্তি বলে মনে করছেন তারা।

মধুবাগ এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, “এই পানি দিয়ে রান্না ও গোসল সম্ভব না। আমাদের বাসার শিশুরা পানি খেতেই চায় না। বাধ্য হয়ে পাম্প থেকে পানি এনে ব্যবহার করতে হচ্ছে।” আরেকজন জানান, “ট্যাঙ্ক পরিস্কার করলে প্রথমে কিছুদিন ভালো থাকে, তারপর আবার পোকা দেখা দেয়।”

বিকল্প না থাকায়, অনেকেই ট্যাপের মুখে কাপড় বেঁধে পানি ব্যবহার করছেন। কিন্তু তারপরও পেটের অসুখ ও চর্মরোগের প্রকোপ বাড়ছে বলেও জানান স্থানীয়রা।

এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঢাকা ওয়াসার তিনজন কর্মকর্তা মধুবাগ এলাকায় পরিদর্শনে যান এবং কয়েকটি বাসা থেকে পানি সংগ্রহ করে পরীক্ষায় পোকা পাওয়ার কথা স্বীকার করেন। তবে দায় চাপান ট্যাঙ্ক ঠিকমতো পরিষ্কার না করাকে। ওয়াসার উপসহকারী প্রকৌশলী তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, “লাইনের পানি পরিষ্কার। ট্যাঙ্ক যদি নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়, তাহলে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে।”

তবে এই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নন এলাকাবাসী। তারা বলছেন, নিয়মিত ট্যাঙ্ক পরিষ্কারের পরও পানি দূষিত হচ্ছে, যা পাইপলাইনের সমস্যার ইঙ্গিত দেয়। এ অবস্থায় ওয়াসার কর্মকর্তারা পাইপের মান যাচাইয়ের আশ্বাস দিয়েছেন। এলাকাবাসী দ্রুত সমস্যার স্থায়ী সমাধান চেয়ে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Header Ad
Header Ad

বিদেশি আইনের আওতায় পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ: গভর্নর

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরাতে হবে বিদেশি আইনের মাধ্যমে এবং এ উদ্যোগ সম্পূর্ণ নতুন। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়াটি দেশের নয়, বরং বিদেশের আইনের সঙ্গে সংযোগ রেখে করতে হবে। এর জন্য আগে সংশ্লিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করতে হবে এবং এস্টেট (সম্পদ) ফ্রিজ করে আদালতের মাধ্যমে বাকি প্রক্রিয়া চালাতে হবে।”

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “প্রথমে এস্টেটগুলো ফ্রিজ করার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে, চিঠি পাঠানো হচ্ছে। আইন পরামর্শক নিয়োগে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এস্টেট ট্রেসিং ফার্মের সঙ্গেও আলোচনা চলছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এস্টেট ফ্রিজ করা গেলে এটিই হবে প্রথম সাফল্য।”

এক প্রশ্নের উত্তরে গভর্নর বলেন, “আমার ধারণা, প্রায় আড়াই থেকে তিন লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। শুধু বেক্সিমকো গ্রুপেরই প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার মতো অর্থ পাচার হয়েছে। এগুলো বড় গ্রুপের হিসাব, ছোট গ্রুপগুলো এখনো বিবেচনায় আনা হয়নি। ভবিষ্যতে যেন এমন না ঘটে, সে জন্য আমরা প্রয়োজনীয় নিয়ম-কানুন সংশোধনের উদ্যোগ নিচ্ছি।”

তিনি আরও বলেন, “সব সময় আদালতের মাধ্যমে সমাধান না করে, কিছু ক্ষেত্রে সমঝোতার ভিত্তিতেও (আউট অব কোর্ট সেটেলমেন্ট) টাকা ফেরত আনার চিন্তা করছি। তবে সেটার আগে সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকা জরুরি, না হলে আমরা ঠকে যাব।”

মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত এক প্রশ্নে গভর্নর বলেন, “অতীতে খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি ৯-১০ শতাংশ দেখানো হলেও বাস্তবে তা ছিল ১৩-১৪ শতাংশ। তবে এখন সেটি ৮-৯ শতাংশে নেমেছে। সামগ্রিকভাবে মুদ্রাস্ফীতি কমতির দিকেই। আগামী বছরে তা ৫ শতাংশ বা তার নিচে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।”

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. জামাল উদ্দিন, ফাইন্যান্স ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের পরিচালক মো. আনিসুর রহমানসহ চট্টগ্রাম কার্যালয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সঞ্চালনায় ছিলেন উপপরিচালক মো. জোবাইর হোসেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কুল-বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ মিরাজ, দর্শক পছন্দে সেরা ঋতুপর্ণা
রাজধানীর ওয়াসার পানিতে কিলবিল করছে পোকা, মগবাজার-মধুবাগে তীব্র ভোগান্তি
বিদেশি আইনের আওতায় পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ: গভর্নর
মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম বদল নয়, বরং ঐতিহ্যে ফেরত: ঢাবি উপাচার্য
তৃতীয় বিয়ের ইতি, রোশন সিংয়ের সঙ্গে আইনিভাবে বিচ্ছিন্ন শ্রাবন্তী
৬৪ জেলা নিয়ে তৃণমূল ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের ঘোষণা ক্রীড়া উপদেষ্টার
আগামীকাল শনিবার রাজধানীতে “মার্চ ফর গাজা”, পাঁচটি স্থান থেকে শোভাযাত্রা শুরু
অবশেষে নতুন চুক্তি সালাহর, লিভারপুলে থাকছেন ২০২৭ পর্যন্ত
পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রায় হাসিনার মুখাবয়ব
ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে মামলা করল ওপেনএআই
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মৃদু ভূমিকম্প
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নাগরিক কমিটির নেত্রী দিলশাদ আফরিন আটক
বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কায় ডলারের বড় পতন, রেকর্ড ছুঁয়েছে স্বর্ণের দাম
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে ১৪৭ দেশ, বাড়ছে বিশ্বজনমত
মার্কিন পণ্যে ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে চীনের পাল্টা জবাব
নারায়ণগঞ্জে দুই নারী ও এক শিশুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার
ফুটবল মাঠ পেরিয়ে হলিউডে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো
পুলিশের চাকরি পেতে সমন্বয়কদের পেছনে দৌড়ানো বন্ধ করুন: সারজিস
ড. ইউনূসের ৫ বছর ক্ষমতায় থাকার কোনও অধিকার নেই: সেলিমা রহমান
সিটি কর্পোরেশন হচ্ছে বগুড়া, গণশুনানির প্রস্তুতি শুরু