শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ | ২৮ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

রংপুর অঞ্চলের মঙ্গা জয়ের চেষ্টা চা চাষ দিয়ে

 

রংপুর বিভাগের পঞ্চগড়, ঠাকুরগাও, নীলফামারীর পাশাপাশি রংপুর ও লালমনিরহাটেও চা চাষ শুরু হয়েছে। এসব এলাকায় ৬ হাজার একর জমিতে চা চাষ হচ্ছে।

রংপুর জেলার তারাগঞ্জ ও নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলাসহ রংপুর বিভাগের কিভিন্ন এলাকায় পরিত্যক্ত ও উঁচু জমিতে চা চাষ করে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। এতে ওই এলাকার চাষিদের মাঝে অর্থনৈতিক উন্নতিতে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে।

রংপুরে বাণিজ্যিকভাবে চা চাষের উদ্যোগ নেয় সিনহা অ্যাগ্রো বেইজড ইন্ডাস্ট্রিজ। ২০১৫ সালের জুন মাসে রংপুরের তারাগঞ্জ ও নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় পরীক্ষমূলক চা চারা গাছ লাগানো হয়। চারাগাছগুলো থেকে চা পাতা সংগ্রহের উপযোগী হওয়া পর্যন্ত সময় লাগে এক বছর। এক বছরে দেড় একর জমিতে ব্যয় হয় প্রায় দেড় লাখ টাকা। এক বছর পর এ বাগান থেকে সংগ্রহ করা হয় প্রায় ৩২২ কেজি চা পাতা। যার মূল্য আসে প্রায় ১০ লাখ ৩ হাজার ১৬৮ টাকা।

এরপর পর্যায়ক্রমে জমির পরিমাণ বাড়ানো হয়। বর্তমানে তারাগঞ্জ উপজেলায় একটি ও নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় বাহাগিলি ও দুরাকুঠিতে দুটি বাগান রয়েছে। এরমধ্যে উপজেলায় বাহাগিলিতে রয়েছে ৭ একর এবং দুরাকুঠিতে টি-প্ল্যান্টেশন রয়েছে ১৯ একর ও চা বাগান রয়েছে ২ একর জমিতে। এ তিনটি চা বাগান থেকে প্রতি বছর ৯ থেকে ১০ বার রাউন্ড দিয়ে চা পাতা সংগ্রহ করা হয়। আর প্রতি কেজি চা বিক্রি করা হয় ৩২ থেকে ৩৫ টাকা মূল্য পর্যন্ত। আর এ চা পাতা বিক্রি পঞ্চগড় জেলায় অবস্থিত নর্থ বেঙ্গল সেন্ট্রাল টি ইন্ডাস্ট্রিজ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে।

বাংলাদেশ স্মল টি গার্ডেন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিরুল হক খোকন বলেন, রংপুর বিভাগের রংপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী ও লালমনিরহাটে চা চাষ সম্প্রসারণ হচ্ছে। এসব এলাকার আবাদি জমির পরিমাণ ৬ হাজার একর।

তিনি বলেন, ক্ষুদ্র চা বাগান আটটি আর মাঝারি ১২টি। এতে ৩ হাজার চাষি চা চাষের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। কারখানা রয়েছে ১৩টি। প্রতি বছর প্রস্তুত করা চায়ের পরিমাণ ৮০ লাখ কেজি। কাঁচা চা পাতার মূল্য নির্ধারণ হয় চলতি বাজারের ওপর। ফলে চা বাগান মালিকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তিনি সরকারকে সরাসরি চা বাগান মালিকদের কাছ থেকে কেনার আহ্বান জানান।

কথা হয় সিনহা অ্যাগ্রো বেইজড ইন্ডাস্ট্রিজের টি গার্ডেনের ম্যানেজার রিফাত হোসেনের সঙ্গে। তিনি রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার ইকরচালী ইউয়িনের বালাপাড়া গ্রামের বরাতির সেতুর পাশে প্রায় দেড় একর জমি চা বাগান এবং নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলির ৭ একর জমিতে চাষ করা চা বাগান ঘুরে দেখান।

এ সময় তিনি বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠনটি ২০১৫ সালের জুন মাসে প্রথম পরীক্ষামূলক চা উৎপাদন শুরু করে। এ উপজেলায় চা বোর্ডের কোনো অফিস নেই। ফলে আমি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত চা বোর্ডের অফিসে যোগাযোগ করি। তারা আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন।

এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ চা বোর্ডের কর্মকর্তা জায়েদ ইসলাম সিদ্দিকীর সঙ্গে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলেন তিনি বলেন, চা চাষ একটি অত্যন্ত সহজ ও লাভজনক কৃষি। যেসব জমিতে অন্য কোনো ফসল হয় না, সেসব জমিতে সহজেই চা চাষ করে লাভবান হওয়া যায়। তারাগঞ্জের বালাপাড়া, কিশোরগঞ্জের বাহাগিলি ও দরাকুঠির এলাকায় সিনহা অ্যাগ্রো বেইজড ইন্ডাস্ট্রিজের চায়ের চাষ দেখে এ অঞ্চলের যুবকরা এখন চা চাষের দিকে ঝুঁকছেন। আমরা তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি।

লালমনিরহাটে বাংলাদেশ ব্যাংক ও স্থানীয় চা বাগান মালিকের যৌথ উদ্যোগে গড়ে উঠেছে সোমা অ্যান্ড সোমা টি প্রসেসিং লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান। পরীক্ষামূলক চায়ের চাষ হয় হাতীবান্ধা উপজেলার পূর্ব বিছনদই এলাকায়। শাহানারা বেগম সোমা শখ করেই চা গাছের চারা নিয়ে বাড়ির আঙ্গিনায় রোপন করেন। আস্তে আস্তে তিনি বাড়ির উঠানে গড়ে তোলেন চায়ের বাগান। এনজিও’র চাকরি ছেড়ে দিয়ে এ কাজেই মনোযোগ দেন সোমা বেগম ও তার স্বামী ফেরদৌস আলম।

শাহানারা বেগম সোমা জানান, প্রথম দিকে অনেকটা শখ করেই চা বাগান শুরু করেন। সেই শখই একদিন চা শিল্প গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখায়। সেই স্বপ্নকে লালন করেই সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে চলেছেন তিনি। তারা মনে করেন চা শিল্পের পুরোপুরি বিকাশ ঘটলে দেশের অর্থনীতিতে যথেষ্ট প্রভাব ফেলবে লালমনিরহাটের চা। একই সঙ্গে জেলাবাসীর আর্থসামাজিক অবস্থারও ইতবাচক পরিবর্তন ঘটবে।

এ দম্পতির প্রচেষ্টায় গড়ে উঠা চা বাগান দেখে এ অঞ্চলের অনেকেই চা বাগান করায় আগ্রহী হয়ে উঠেন। এসব আগ্রহী চাষিদের সুবিধার জন্য এ দম্পতি গড়ে তোলেন দুটি চা গাছ নার্সারি। সেখান থেকে সুলভ মূল্যে চারা সংগ্রহ করে এখন অনেক কৃষকই গড়ে তুলেছেন চা বাগান। নতুন আরও অনেকেই এগিয়ে আসছেন চা বাগান করার পরিকল্পনা নিয়ে।

হাতীবান্ধা উপজেলার পারুলিয়া এলাকার চা বাগান মালিক বদিউজ্জামান ভেলু বলেন, চা বাগানে একবার চারা রোপন করে পরিচর্যা করলেই কম খরচে অনেক মুনাফা পাওয়া যায়। আমি এখন তামাক চাষ ছেড়ে দিয়ে ২ একর জমিতে চা বাগান করেছি।

পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা জমগ্রামের চাষি তাজুল ইসলাম, ছিট মহল দহগ্রামের চাষি বেলাল হোসেনসহ অনেক চাষি জানান, স্বল্প পরিশ্রমে ও কম খরচে অধিক মুনাফা পেতে চা চাষের বিকল্প নেই। বর্তমানে নিজ জেলায় টি প্রেসেসিং কোম্পানি হওয়ায় বিক্রি করতেও ঝামেলা নেই। তাই দিন দিন এ জেলায় চা চাষির সংখ্যা বাড়ছে বলেও মনে করেন তারা। চা শিল্পের প্রসারে লালমনিরহাটে একটি চা বোর্ড গঠনের দাবি জানান চা চাষিরা।

পাঁচ উপজেলায় ২০০ একর জমিতে গড়ে উঠেছে চা বাগান। নতুন করে আরও ৫০০ একর জমিতে চা বাগান করার প্রক্রিয়াও চলছে বলে জানান সোমা টি প্রসেসিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফেরদৌস আলম। এসব বাগানের পাতা সংগ্রহ ও পরিচর্যা করে গ্রামীণ অনেক নারী-পুরুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

ফেরদৌস আলম আরও জানান, এ অঞ্চলে প্রতি একর জমিতে চা উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ৭ মেট্রিকটন। সে অনুযায়ী বর্তমানে ২০০ একর জমিতে মোট এক হাজার ৪০০ মেট্রিকটন চা উৎপান হচ্ছে লালমনিরহাটের ৫ উপজেলায়। আর ২০০ একর জমির চা চাষি রয়েছেন ৭৫ জন। প্রথম দিকে এ অঞ্চলের চাষিদের উৎপাদিত চা পাতা বিক্রি হতো পঞ্চগড় জেলায়। দূরে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করতে চাষিদের পরিবহন খরচ মেটানোর পর তেমন একটা মুনাফা হতো না। তাই তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করে যৌথ উদ্যোগে নিজ গ্রামে গড়ে তুলেন সোমা অ্যান্ড সোমা টি প্রসেসিং লিমিটেড নামে চা পাতা শোধনাগার। যার কার্যক্রম শুরু হয় গত বছরের নভেম্বরে। বর্তমানে এ অঞ্চলের চাষিরা প্রতি কেজি ১৮ টাকা দরে সোমা টি প্রসেসিং এ কাঁচা চা পাতা সরবরাহ করছেন।

রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরি টিটু বলেন, রংপুর অ্যাগ্রোবেজ এলাকায় যে চায়ের চাষ শুরু হয়েছে তার গুণগত মান অত্যন্ত ভালো। ভারতের দারজিলিংয়ের চায়ের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। চা শিল্পের সঙ্গে বর্তমান সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় চা চাষের জন্য সম্প্রসারণ করা যায় তাহলে মঙ্গা কবলিত বৃহত্তর রংপুরের বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের দ্বার উন্মোচন হবে। তিনি সরকারের চা বোর্ডকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

বেকারদের প্রশিক্ষণ ও বিনা সুদে ঋণ প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

রংপুর অঞ্চল বিভাগ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ আলী জানান, রংপুর বিভাগের আট জেলার মধ্যে ৭ জেলায় চা চাষ হচ্ছে। চায়ের ফলনও বাম্পার হয়েছে। এ অঞ্চলের যে জমিতে ভালো ফসল ফলে না ওই জমিতে চা চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। পঞ্চগড় ও লালমনিহাট জেলায় ব্যাপকভাবে চা চাষ হচ্ছে। পরিত্যক্ত জমিতে চা চাষ করে ভালো ফলন পাচ্ছেন চা চাষিরা।

এসএন

Header Ad
Header Ad

কুল-বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ মিরাজ, দর্শক পছন্দে সেরা ঋতুপর্ণা

ছবি: সংগৃহীত

২০২৪ সালের কুল-বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত জমকালো অনুষ্ঠানে তার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

অন্যদিকে, দর্শক ভোটে সর্বাধিক পছন্দের ক্রীড়াবিদ হিসেবে ‘পপুলার চয়েজ অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেন নারী সাফ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা জাতীয় নারী ফুটবল দলের মিডফিল্ডার ঋতুপর্ণা চাকমা।

এ বছর ‘স্পোর্টস পারসন অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার জয়ের দৌড়ে মিরাজ পেছনে ফেলেছেন ঋতুপর্ণা এবং ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকে কোয়ালিফাই করা আর্চার সাগর ইসলামকে। অপরদিকে, ‘পপুলার চয়েজ’ বিভাগে ঋতুপর্ণা এগিয়ে যান মিরাজ ও উদীয়মান পেসার নাহিদ রানাকে ছাড়িয়ে।

 

ছবি: সংগৃহীত

১৯৬৪ সাল থেকে ক্রীড়াবিদদের স্বীকৃতি জানিয়ে আসা দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ক্রীড়া সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ) এবছর ১৫টি বিভাগে মোট ১৩ ব্যক্তি, দল ও সংস্থাকে সম্মাননা দেয়। সংগঠনের সভাপতি রেজওয়ান উজ জামান রাজিবের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং স্কয়ার টয়লেট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী।

পুরস্কার গ্রহণ করে মিরাজ বলেন, “বিএসপিএকে ধন্যবাদ প্রতি বছর এমন আয়োজনের জন্য। এটা আমাদের খেলোয়াড়দের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।” ভুটানে লিগ খেলায় ব্যস্ত থাকায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে না পারলেও ভিডিও বার্তায় ঋতুপর্ণা জানান, “এই সম্মান আমাকে আরও ভালো করার অনুপ্রেরণা দেবে।”

Header Ad
Header Ad

রাজধানীর ওয়াসার পানিতে কিলবিল করছে পোকা, মগবাজার-মধুবাগে তীব্র ভোগান্তি

রাজধানীর ওয়াসার পানিতে কিলবিল করছে পোকা। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মগবাজার ও মধুবাগসহ বিভিন্ন এলাকায় ওয়াসার পানিতে পোকা ও ময়লার উপস্থিতি নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা। ট্যাপের পানি দুর্গন্ধযুক্ত ও অস্বচ্ছ হওয়ায় তা রান্না, গোসল ও দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করতে গিয়ে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বাসার পানির ট্যাঙ্ক একাধিকবার পরিষ্কার করেও মিলছে না সমাধান। ওয়াসার সাপ্লাই পাইপ থেকেই এই সমস্যার উৎপত্তি বলে মনে করছেন তারা।

মধুবাগ এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, “এই পানি দিয়ে রান্না ও গোসল সম্ভব না। আমাদের বাসার শিশুরা পানি খেতেই চায় না। বাধ্য হয়ে পাম্প থেকে পানি এনে ব্যবহার করতে হচ্ছে।” আরেকজন জানান, “ট্যাঙ্ক পরিস্কার করলে প্রথমে কিছুদিন ভালো থাকে, তারপর আবার পোকা দেখা দেয়।”

বিকল্প না থাকায়, অনেকেই ট্যাপের মুখে কাপড় বেঁধে পানি ব্যবহার করছেন। কিন্তু তারপরও পেটের অসুখ ও চর্মরোগের প্রকোপ বাড়ছে বলেও জানান স্থানীয়রা।

এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঢাকা ওয়াসার তিনজন কর্মকর্তা মধুবাগ এলাকায় পরিদর্শনে যান এবং কয়েকটি বাসা থেকে পানি সংগ্রহ করে পরীক্ষায় পোকা পাওয়ার কথা স্বীকার করেন। তবে দায় চাপান ট্যাঙ্ক ঠিকমতো পরিষ্কার না করাকে। ওয়াসার উপসহকারী প্রকৌশলী তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, “লাইনের পানি পরিষ্কার। ট্যাঙ্ক যদি নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়, তাহলে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে।”

তবে এই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নন এলাকাবাসী। তারা বলছেন, নিয়মিত ট্যাঙ্ক পরিষ্কারের পরও পানি দূষিত হচ্ছে, যা পাইপলাইনের সমস্যার ইঙ্গিত দেয়। এ অবস্থায় ওয়াসার কর্মকর্তারা পাইপের মান যাচাইয়ের আশ্বাস দিয়েছেন। এলাকাবাসী দ্রুত সমস্যার স্থায়ী সমাধান চেয়ে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Header Ad
Header Ad

বিদেশি আইনের আওতায় পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ: গভর্নর

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরাতে হবে বিদেশি আইনের মাধ্যমে এবং এ উদ্যোগ সম্পূর্ণ নতুন। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়াটি দেশের নয়, বরং বিদেশের আইনের সঙ্গে সংযোগ রেখে করতে হবে। এর জন্য আগে সংশ্লিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করতে হবে এবং এস্টেট (সম্পদ) ফ্রিজ করে আদালতের মাধ্যমে বাকি প্রক্রিয়া চালাতে হবে।”

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “প্রথমে এস্টেটগুলো ফ্রিজ করার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে, চিঠি পাঠানো হচ্ছে। আইন পরামর্শক নিয়োগে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এস্টেট ট্রেসিং ফার্মের সঙ্গেও আলোচনা চলছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এস্টেট ফ্রিজ করা গেলে এটিই হবে প্রথম সাফল্য।”

এক প্রশ্নের উত্তরে গভর্নর বলেন, “আমার ধারণা, প্রায় আড়াই থেকে তিন লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। শুধু বেক্সিমকো গ্রুপেরই প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার মতো অর্থ পাচার হয়েছে। এগুলো বড় গ্রুপের হিসাব, ছোট গ্রুপগুলো এখনো বিবেচনায় আনা হয়নি। ভবিষ্যতে যেন এমন না ঘটে, সে জন্য আমরা প্রয়োজনীয় নিয়ম-কানুন সংশোধনের উদ্যোগ নিচ্ছি।”

তিনি আরও বলেন, “সব সময় আদালতের মাধ্যমে সমাধান না করে, কিছু ক্ষেত্রে সমঝোতার ভিত্তিতেও (আউট অব কোর্ট সেটেলমেন্ট) টাকা ফেরত আনার চিন্তা করছি। তবে সেটার আগে সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকা জরুরি, না হলে আমরা ঠকে যাব।”

মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত এক প্রশ্নে গভর্নর বলেন, “অতীতে খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি ৯-১০ শতাংশ দেখানো হলেও বাস্তবে তা ছিল ১৩-১৪ শতাংশ। তবে এখন সেটি ৮-৯ শতাংশে নেমেছে। সামগ্রিকভাবে মুদ্রাস্ফীতি কমতির দিকেই। আগামী বছরে তা ৫ শতাংশ বা তার নিচে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।”

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. জামাল উদ্দিন, ফাইন্যান্স ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের পরিচালক মো. আনিসুর রহমানসহ চট্টগ্রাম কার্যালয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সঞ্চালনায় ছিলেন উপপরিচালক মো. জোবাইর হোসেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কুল-বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ মিরাজ, দর্শক পছন্দে সেরা ঋতুপর্ণা
রাজধানীর ওয়াসার পানিতে কিলবিল করছে পোকা, মগবাজার-মধুবাগে তীব্র ভোগান্তি
বিদেশি আইনের আওতায় পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ: গভর্নর
মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম বদল নয়, বরং ঐতিহ্যে ফেরত: ঢাবি উপাচার্য
তৃতীয় বিয়ের ইতি, রোশন সিংয়ের সঙ্গে আইনিভাবে বিচ্ছিন্ন শ্রাবন্তী
৬৪ জেলা নিয়ে তৃণমূল ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের ঘোষণা ক্রীড়া উপদেষ্টার
আগামীকাল শনিবার রাজধানীতে “মার্চ ফর গাজা”, পাঁচটি স্থান থেকে শোভাযাত্রা শুরু
অবশেষে নতুন চুক্তি সালাহর, লিভারপুলে থাকছেন ২০২৭ পর্যন্ত
পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রায় হাসিনার মুখাবয়ব
ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে মামলা করল ওপেনএআই
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মৃদু ভূমিকম্প
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নাগরিক কমিটির নেত্রী দিলশাদ আফরিন আটক
বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কায় ডলারের বড় পতন, রেকর্ড ছুঁয়েছে স্বর্ণের দাম
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে ১৪৭ দেশ, বাড়ছে বিশ্বজনমত
মার্কিন পণ্যে ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে চীনের পাল্টা জবাব
নারায়ণগঞ্জে দুই নারী ও এক শিশুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার
ফুটবল মাঠ পেরিয়ে হলিউডে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো
পুলিশের চাকরি পেতে সমন্বয়কদের পেছনে দৌড়ানো বন্ধ করুন: সারজিস
ড. ইউনূসের ৫ বছর ক্ষমতায় থাকার কোনও অধিকার নেই: সেলিমা রহমান
সিটি কর্পোরেশন হচ্ছে বগুড়া, গণশুনানির প্রস্তুতি শুরু