অবশেষে কমছে বেসরকারি চাকরিজীবীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের কর
ফাইল ছবি
অবশেষে নানা আলোচনা-সমালোচনার পর বেসরকারি চাকরিজীবীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের আয়ের ওপর আরোপিত কর কমাতে যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। কর হার সাড়ে ২৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করতে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মোহাম্মদ রহমাতুল মুনিম। বোর্ডের কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে বেসরকারি চাকরিজীবীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের আয়ে কর বাড়িয়ে ১০ শতাংশ থেকে সাড়ে ২৭ শতাংশ করে এনবিআর। এর জেরে, কর্মীদের অবসরকালীন সুবিধা কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়।
এই আইন বৈষম্যমূলক বলেও অভিযোগ ওঠে। কারণ বেসরকারি চাকরিজীবীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের আয়ে কর আদায় করা হলেও সরকারি চাকরিজীবীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের আয় করমুক্ত।
অর্থমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে এনবিআর বলেছে, কর হার কমালে বেসরকারি চাকরিজীবীদের ওপর করের ভার কমবে। দেশে সঞ্চয় উৎসাহিত হবে।
২০১৬ সালের আগ পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি কোনো খাতের প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্র্যাচুইটি ফান্ডকে আয়কর দিতে হতো না। ২০১৬ সালের পর থেকে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগের মুনাফার ওপর উৎসে কর হিসেবে ৫ থেকে ১০ শতাংশ কর কেটে রাখা হতো।
সম্প্রতি অনুমোদিত আয়কর আইন ২০২৩-এ প্রভিডেন্ট ফান্ডের ওপর কর আরোপের নতুন বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আইন অনুযায়ী এই অর্থবছর থেকেই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রফিডেন্ট ফান্ড থেকে অর্জিত আয়ের ওপর কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে। একই সঙ্গে প্রফিডেন্ট ফান্ডের অর্থ কোথাও বিনিয়োগ করা হলে ওই আয়ের ওপর ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।
কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার সময় ব্যক্তির আয় থেকে প্রতি মাসে মূল বেতনের ৭ থেকে ১০ শতাংশ কেটে একটি তহবিলে রাখা হয়। একই পরিমাণ অর্থ প্রতিষ্ঠানও ওই তহবিলে জমা রাখে। এর মাধ্যমে যে অর্থ জমা হয় তা কর্মী চাকরি শেষে পান। টাকা জমা রাখা এই তহবিলকেই বলা হয় প্রভিডেন্ট ফান্ড।