মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫ | ১১ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

উদ্যোক্তা হিসেবে সাফল্যের অমূল্য হাতিয়ার ‘স্টোরিটেলিং’

উদ্যোক্তা হিসেবে সাফল্যের অমূল্য হাতিয়ার ‘স্টোরিটেলিং’। ছবি: সংগৃহীত

উদ্যোক্তা হিসেবে আপনি কেবল একটি প্রোডাক্ট তৈরি করেন না, আপনি তৈরি করেন একটি গল্প। একটি ব্যবসার পেছনে থাকা উদ্দেশ্য, সমাধান এবং মূল্যবোধকে যতটা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা যায়, ততটাই শক্তিশালী হয় সেই ব্যবসার অবস্থান। আর এই কাজটি করতে গেলে আপনার প্রয়োজন স্টোরিটেলিং দক্ষতা।


স্টোরিটেলিং কী এবং কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ? স্টোরিটেলিং কেবল গল্প বলার মাধ্যম নয়। এটি হলো এমন একটি দক্ষতা, যা তথ্য, আবেগ, এবং অভিজ্ঞতাকে একত্রিত করে মানুষকে প্রভাবিত করে।স্টোরিটেলিংয়ের মাধ্যমে আপনি

• আপনার আইডিয়াকে বিনিয়োগকারীদের সামনে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করতে পারেন।

• কাস্টমারদের সঙ্গে একটি ব্যক্তিগত সংযোগ তৈরি করতে পারেন।

• আপনার ব্র্যান্ডের প্রতি মানুষের আস্থা এবং অনুপ্রেরণা জাগাতে পারেন।

গবেষণা বলছে, মানুষের মস্তিষ্ক তথ্যের পরিবর্তে গল্পের প্রতি বেশি প্রতিক্রিয়া দেখায়। স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, একটি তথ্যবহুল উপস্থাপনার চেয়ে একটি গল্পভিত্তিক উপস্থাপনা ২২ গুণ বেশি প্রভাব ফেলতে পারে।উদ্যোক্তা জীবনে স্টোরিটেলিংয়ের ভূমিকাউদ্যোক্তা হতে গেলে আপনাকে শুধু একটি প্রোডাক্ট বা সেবা তৈরি করলেই চলবে না। আপনাকে সেটি মানুষের কাছে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে হবে। আর এই জায়গায় স্টোরিটেলিং একটি অনন্য ভূমিকা পালন করে।

১. ব্র্যান্ড ভ্যালু তৈরিতে স্টোরিটেলিংব্র্যান্ডের মূল উদ্দেশ্য এবং মূল্যবোধ তুলে ধরতে স্টোরিটেলিং অতুলনীয়। উদাহরণস্বরূপ, Nike সবসময় তাদের বিজ্ঞাপনে শুধু প্রোডাক্ট নয়, বরং "মানুষের ইচ্ছাশক্তি এবং সাফল্যের গল্প" তুলে ধরে। এই গল্পগুলোই তাদের ব্র্যান্ডকে একটি বৈশ্বিক পরিচয়ে পরিণত করেছে।

২. বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করাযখন আপনি একটি প্রোডাক্ট নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সামনে যান, তারা শুধু আর্থিক দিকটাই দেখে না। তারা দেখে, আপনি কীভাবে আপনার ভিশনকে ব্যাখ্যা করছেন।

• আপনি যদি একটি আকর্ষণীয় গল্প বলতে পারেন, যেখানে আপনি সমস্যার গভীরতা এবং সমাধানের স্পষ্ট রূপরেখা তুলে ধরেন, তবে বিনিয়োগকারীরা আপনার আইডিয়াতে আস্থা রাখবে।

• উদাহরণ: Elon Musk তার Tesla এবং SpaceX-এর প্রেজেন্টেশনে শুধু প্রযুক্তি নয়, বরং তার ভিশন এবং মানবজাতির ভবিষ্যৎ উন্নতির গল্প শোনান।৩. কাস্টমারের মন জয় করাএকটি ভালো গল্প কাস্টমারদের প্রোডাক্টের সঙ্গে আবেগগতভাবে সংযুক্ত করে।

• উদাহরণ: Airbnb তাদের প্রাথমিক সময়ে শুধুমাত্র একটি ভাড়ার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে নিজেদের উপস্থাপন করেনি। তারা কাস্টমারদের "ঘরের মতো অনুভূতি" দেওয়ার গল্প বলেছে।৪. টিম বিল্ডিং এবং মোটিভেশনএকজন উদ্যোক্তা হিসেবে আপনার টিমকে উদ্বুদ্ধ করা এবং সঠিক লক্ষ্যের দিকে পরিচালিত করাও স্টোরিটেলিংয়ের মাধ্যমে সহজ হয়ে ওঠে।

• যখন আপনি একটি গল্পের মাধ্যমে আপনার ভিশন ব্যাখ্যা করেন, তখন টিমের সদস্যরা সেটিকে তাদের নিজের লক্ষ্য হিসেবে দেখতে শুরু করে।কীভাবে স্টোরিটেলিং দক্ষতা উন্নত করবেন?

১. একটি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করুনআপনার গল্পে সমস্যা এবং সমাধানকে মানবিক দৃষ্টিতে তুলে ধরুন।

• উদাহরণ: যদি আপনার প্রোডাক্ট স্বাস্থ্যসেবার জন্য হয়, তাহলে কেবল প্রযুক্তির কথা না বলে, বলুন কীভাবে এটি একজন রোগীর জীবন পরিবর্তন করবে।

২. দর্শকের মনোভাব বোঝার চেষ্টা করুনআপনার শ্রোতা কে, তারা কী চায়, এবং তাদের চাহিদা বা সমস্যার কী সমাধান আপনি দিতে পারেন এসব বুঝে গল্প তৈরি করুন।

৩. গল্পকে সহজ এবং সরল রাখুনআপনার গল্পে অপ্রয়োজনীয় তথ্য যোগ করবেন না। একটি সরল গল্প শ্রোতাদের মনে সহজেই জায়গা করে নেয়।

৪. প্রাক্টিস এবং রিভিউ করুনগল্প বলার আগে বারবার প্র্যাক্টিস করুন। প্রেজেন্টেশনের পর দর্শকদের প্রতিক্রিয়া নিয়ে নিজেকে আরও উন্নত করুন। উদ্যোক্তাদের জন্য বাস্তব উদাহরণ Steve Jobs এবং AppleApple যখন প্রথম iPhone লঞ্চ করেছিল, Steve Jobs শুধু একটি ডিভাইস দেখাননি। তিনি বলেছিলেন,"Today, we’re going to reinvent the phone.।’’

এই একটি বাক্যের মধ্যেই তিনি কাস্টমারদের মনে একটি গল্প বুনেছিলেন যে তারা এমন কিছু পেতে যাচ্ছে, যা তাদের জীবন বদলে দেবে।ব্র্যাক এবং গ্রামীণ ব্যাংকবাংলাদেশের ব্র্যাক এবং গ্রামীণ ব্যাংকের গল্প কেবল তাদের সেবা নয়, বরং গ্রামের মানুষের জীবনধারার উন্নতির একটি কাহিনী। এই গল্পগুলো তাদের আস্থা এবং গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়েছে।


স্টোরিটেলিং শুধু একটি স্কিল নয়; এটি উদ্যোক্তা জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। আপনার প্রোডাক্ট বা সেবাকে যদি মানুষের কাছে সঠিকভাবে তুলে ধরতে না পারেন, তবে সেটি যত ভালোই হোক না কেন, তা সাফল্যের মুখ দেখবে না।তাই স্টোরিটেলিং শিখুন, আপনার ব্যবসার গল্প তৈরি করুন, এবং সেটি এমনভাবে বলুন যেন এটি শুধু একটি পণ্য নয়, বরং একটি অভিজ্ঞতা এবং মূল্যবোধের প্রতীক হয়ে ওঠে।

লেখক: মীর হাসিব মাহমুদ

চীফ বিজনেজ অফিসার, গোইয়ারা লিমিটেড 

Header Ad
Header Ad

গণতন্ত্রের পথচলা নিশ্চিত করার সুযোগ এসেছে: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ফ্যাসিবাদের পতনের পর এখন সময় এসেছে বাংলাদেশের সব দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল, সংগঠন, ব্যক্তি এবং জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলা নিশ্চিত করার।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা হাজার বছরের সংগ্রামের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন। এ দিনে তিনি দেশবাসী ও প্রবাসীদের শুভেচ্ছা জানান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

তিনি বলেন, “মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমসহ সব জাতীয় নেতাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। যাদের জীবন-মরণ লড়াইয়ে আমরা বিজয় অর্জন করেছি, জাতি তাদের কখনো ভুলবে না।”

তারেক রহমান অভিযোগ করেন, গণতন্ত্রবিনাশী শক্তির চক্রান্ত এখনও অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, “বারবার ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী ও অবৈধ শক্তি আমাদের গণতান্ত্রিক লক্ষ্য পূরণে বাধা দিয়েছে। দেশি-বিদেশি চক্রান্তের ফলে আমাদের গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি হোঁচট খেয়েছে এবং স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার হীন লক্ষ্যে বর্তমান অবৈধ সরকার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠান ভেঙে ফেলেছে। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও দেশের মানুষ এর প্রকৃত সুফল পায়নি।”

তারেক রহমান বলেন, “ফ্যাসিবাদের পতনের পর এখন ঐক্যবদ্ধভাবে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সুযোগ এসেছে। এটি স্বাধীনতার মূল চেতনা। তাই আমি আহ্বান জানাই, জাতির সম্মিলিত ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ‘৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা বহুমত ও পথের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সমুন্নত রাখার জন্য।”

বাণীর শেষে তিনি দেশবাসীর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন।

Header Ad
Header Ad

৫৩ বছরেও দেশের মানুষ স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারেনি: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার হীন লক্ষ্যে পলাতক অবৈধ সরকার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠান ভেঙে ফেলেছে। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরে আজও তাই এ দেশের মানুষ স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারেনি।’

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যম দেওয়া এক বাণীতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের পতনের পর এখন সুযোগ এসেছে বাংলাদেশের সব দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল, সংগঠন, ব্যক্তি এবং জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলা নিশ্চিত করা এবং দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে সংহত করা। এটিই হচ্ছে স্বাধীনতার মূল চেতনা।

বলেন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে নবীন সূর্যোদয়ের মধ্য দিয়ে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা। হাজার বছরের সংগ্রাম মুখর এ জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন বাংলাদেশের স্বাধীনতা। আজকের এই দিনে আমি দেশবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশীসহ সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

তিনি বলেন, এই স্বাধীনতা দিবসে আনন্দোজ্জ্বল মুহূর্তের মধ্যে প্রথমেই যে কথা মনে পড়ে, তাহলো এ দেশের অগণিত দেশপ্রেমিক শহীদের আত্মদান, আমি এ মহান দিনে তাদের গভীর শ্রদ্ধা জানাই। যাদের অবিস্মরণীয় আত্মদানে অর্জিত হয়েছে দেশমাতৃকার মুক্তি। মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমসহ সব জাতীয় নেতার স্মৃতির প্রতি আমি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। যাদের জীবন মরণ লড়াইয়ে ৯ মাসে আমরা বিজয় লাভ করেছি সেইসব অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা জাতি কখনোই বিস্মৃত হবে না।

তিনি মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করা মা-বোনদের অবদানকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে বলেন, স্বাধিকার আর স্বাধীনতা সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে রক্তস্নাত পথে বিশ্ব মানচিত্রে উদ্ভাসিত হয় আমাদের মানচিত্র। এদিনে দেশমাতৃকার শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। তার ঐতিহাসিক ঘোষণায় সেই মুহূর্তে দিশেহারা জাতি পেয়েছিল মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার অভয়মন্ত্র।

একটি শোষণ, বঞ্চনাহীন, মানবিক সাম্যের উদার গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এদেশের মানুষ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। দুর্ভাগ্যক্রমে গণতন্ত্রবিনাশী শক্তির চক্রান্ত এখনও থেমে নেই। বারবার ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী ও অবৈধ শক্তি আমাদের সে লক্ষ্য পূরণ করতে দেয়নি। দেশি-বিদেশি চক্রান্তের ফলে আমাদের গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি হোঁচট খেয়েছে এবং স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হয়েছে।

তারেক রহমান বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমকে চক্রান্তমূলকভাবে হত্যার পরে গণতন্ত্রের আপোসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সফল ও সার্থক নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ধারা সূচিত হলেও গণতন্ত্রের শত্রুদের কারণে স্থায়ী ও মজবুত গণতান্ত্রিক কাঠামো তৈরি করা সম্ভব হয়নি। একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার হীন লক্ষ্যে পলাতক অবৈধ সরকার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভেঙ্গে ফেলেছে। আমি দেশবাসীর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে প্রার্থনা জানাই।

Header Ad
Header Ad

অবৈধ স্যাটেলাইট পে-চ্যানেল বন্ধে বিটিআরসির নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

দেশে অনুমোদনহীনভাবে স্যাটেলাইট পে-চ্যানেল প্রদর্শন বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। সম্প্রতি, কিছু ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান (আইএসপি) ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম অনুমোদন ছাড়া পে-চ্যানেল সম্প্রচার করছে, যা দেশের প্রচলিত আইন লঙ্ঘন করছে।

এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে বিটিআরসি, এবং আগামী ২৯ মার্চের মধ্যে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের কাছ থেকে করণীয় সম্পর্কে মতামত চেয়েছে।

বিটিআরসির এনফোর্সমেন্ট অ্যান্ড ইন্সপেকশন শাখার উপপরিচালক মো. হাসিবুল কবির স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জানানো হয়, কিছু আইএসপি অনুমোদিত প্রযুক্তি ব্যবহার না করেই বিদেশি চ্যানেলের পরিবেশকদের ডিস্ট্রিবিউট করা পে-চ্যানেলগুলো পাইরেসির মাধ্যমে ক্লিন ফিডবিহীনভাবে ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে বাসা-বাড়িতে প্রদর্শন করছে। একই ধরনের কার্যক্রম কিছু ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মেও চলছে, যা দেশের আইন পরিপন্থী।

বিটিআরসি জানায়, এসব অনিয়মের ফলে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিএল) মাধ্যমে বৈধ বিদেশি চ্যানেলের সম্প্রচার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং চ্যানেলের সংখ্যা কমছে।

বিটিআরসি জানিয়েছে, আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোর এই কার্যক্রম বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন, ২০০১-এর ৭৩ নম্বর ধারা এবং আইএসপি গাইডলাইনের অনুচ্ছেদ ৭.৬ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এছাড়া, গাইডলাইনের সঙ্গে সংযুক্ত এপেনডিক্স-৪-এর ২(ডি)(এক্স) ধারা অনুযায়ী করা হলফনামারও বরখেলাপ হয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে, পাইরেসি রোধ এবং ক্লিন ফিডবিহীন স্যাটেলাইট চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে (২৯ মার্চের মধ্যে) গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে বিটিআরসিকে অবহিত করতে বলা হয়েছে।

চিঠিটি আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি এবং সব জাতীয়, বিভাগীয়, জেলা ও থানা পর্যায়ের আইএসপিদের পাঠানো হয়েছে।

বিটিআরসির এই কঠোর নির্দেশনার ফলে দেশে অনুমোদনহীনভাবে পে-চ্যানেল সম্প্রচারের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গণতন্ত্রের পথচলা নিশ্চিত করার সুযোগ এসেছে: তারেক রহমান
৫৩ বছরেও দেশের মানুষ স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারেনি: তারেক রহমান
অবৈধ স্যাটেলাইট পে-চ্যানেল বন্ধে বিটিআরসির নির্দেশ
ওয়াসিম হত্যা মামলায় নওফেল-নাসিরসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বুধবার ভোরে সাভার-নবীনগর সড়কে যান চলাচল বন্ধ
৯০ দিনের মধ্যে দেশে স্টারলিংক চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে যা বললেন তামিম ইকবাল
অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান অব্যাহত থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
জিএম সুবক্তগীন এর কর্মদক্ষতায় রেলের পূর্বাঞ্চলে বইছে সুবাতাস
ছায়ানটের সভাপতি সন্‌জীদা খাতুন মারা গেছেন
যারা ১০০ গাড়ি নিয়ে ক্যাম্পেইন করতে যায়, তারা কী করবে তা ভালো বুঝি: ফখরুল
‘আওয়ামী লিগ’ নামে নতুন দল গঠিত, নিবন্ধনের আবেদন ইসিতে
ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১৫ নির্দেশনা
শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন দুই বিচারপতি
দেশে কোনো জরুরি অবস্থা জারি করা হয়নি: সেনাপ্রধান
১৩তম এনোবল এওয়ার্ড পেলেন মাওলা সোহরাব হোসাইন আতিকী  
আন্দোলনরত পোশাক শ্রমিকদের সচিবালয় অভিমুখে যাত্রা, পুলিশের বাধা
সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
কন্যা সন্তানের বাবা হলেন ক্রিকেটার কে এল রাহুল
বাংলাদেশে এখনও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়নি: প্রধান উপদেষ্টা