থার্টি ফার্স্টে বাড়ির ছাদে গান-বাজনা, আতশবাজি নিষিদ্ধ: ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর
ছবি: সংগৃহীত
থার্টি ফার্স্ট নাইটে উন্মুক্ত স্থানে বা বাড়ির ছাদে গানবাজনা ও আতশবাজি ফোটানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। এ ছাড়া যে কোনো ধরনের ডিজে পার্টিও নিষিদ্ধ থাকবে বলে জানান তিনি।
বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষ থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে গতকাল আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমন্বয় সভা হয়। ডিএমপি হেড কোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।
এ সময় তিনি বলেন, ২৫ ডিসেম্বর খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উদযাপিত হতে যাচ্ছে। এ ছাড়া ইংরেজি ক্যালেন্ডারের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর দেশব্যাপী থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করা হবে। এ দুটি বড় উৎসব ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে টিম ডিএমপি রাজধানীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
উৎসবগুলো শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে নগরবাসীর কাছে সর্বাত্মক সহযোগিতা চাই। সভায় ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) বিপ্লব কুমার পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে সার্বিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।
বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটে গৃহীত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে প্রত্যেকটি চার্চে ইউনিফর্মে ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য থাকবে। প্রতিটি চার্চে আর্চওয়ে দিয়ে দর্শনার্থী ঢুকতে দেওয়া হবে। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে ও ম্যানুয়ালি তল্লাশি করা হবে। অনুষ্ঠানস্থল ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। নিরাপত্তায় থাকবে ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা। চার্চ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা থাকবে। চার্চ এলাকায় কোনো ভাসমান দোকান বা হকার বসতে দেওয়া হবে না। কোনো প্রকার ব্যাগ নিয়ে চার্চে আসা যাবে না।
ডিএমপির সভায় বলা হয়, থার্টি ফার্স্ট নাইটে আইডি কার্ড ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। গাড়ি প্রবেশের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকার থাকতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে শাহবাগ ও নীলক্ষেত এলাকা ব্যবহার করতে হবে।