রবিবার, ৩০ মার্চ ২০২৫ | ১৬ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত

এ সময়ে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি একটি অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত। এটির কারণে মূল্যস্ফীতি হবে। ব্যয় অনেক বাড়বে। সবার যদি সমানভাবে আয় বাড়ত তাহলে মূল্যস্ফীতি সমস্যা ছিল না। অর্থনীতি নিয়ে মানুষের ভিতর একটি আতঙ্ক আছে। মানুষের চিন্তা দুশ্চিন্তা আছে। ডলার মূল্য বাড়ল। মূল্যস্ফীতি হবে। মানুষ কীভাবে সংসার চালাবে এগুলো নিয়ে মানুষ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত এখন।

এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকারের অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত। এটি বৃদ্ধি করতে পারত ১০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত। কারণ টাকার মূল্য যতটুকু কমেছে ততটুকু বৃদ্ধি করলেই হত। আমদানি ব্যয় ততটুকুই বেড়েছে। কয়েক বছর আগে যখন পেট্রল ডিজেল অকটেনের দাম বাড়ানো হয়েছে তখন ১০০ডলারের দোহাই দেওয়া হয়েছে।

এখন আমাদের টাকার মূল্য হারিয়েছে সেটিও ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ।সেখানে ৫১ শতাংশ বাড়ানোর কথা না। এতে প্রত্যেকটি লোক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পরিবহন ব্যয় বাড়বে। কৃষকের সারের খরচ বাড়বে। বিদ্যুৎ খরচ বাড়বে। কলকারখানা কতগুলো আছে সেগুলির ব্যয় বেড়ে যাবে। এসবই ভোক্তাদের বহন করতে হবে। সারা পৃথিবী কিন্তু ভর্তুকি দিলে জ্বালানি তেলেই দেয়। অন্যখাতে তেমন একটা দেয় না। বাংলাদেশ হচ্ছে উল্টানীতিতে বিশ্বাসী। জ্বালানি তেলে তো দেবেই না। ভর্তুকি দিচ্ছে বাংলাদেশ বিমানে। জ্বালানি তেল কম ব্যবহার করা মানে কম কাজ করেন। তাহলে তখন উৎপাদনশীলতা কোথায় যাবে? এখন মানুষ যদি মুভমেন্ট না করে তাহলে তো উৎপাদনশীলতা হবে না। এগুলো আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এটি একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত ছাড়া আর কিছুই না। এটি নিয়ে তর্ক বিতর্ক আলোচনা হওয়া দরকার ছিল। কাউকে কিছু না বলে এধরনের সিদ্ধান্ত খুবই দুঃখজনক। মূল্যস্ফীতির হিসেবের মধ্যেও তারা পরিবর্তন এনেছে। দেখানো ছয়মাস আগের তুলনায় কতটুকু কি হয়েছে? কিন্তু দেখতে হবে তিন বছর আগের তুলনায় আমাদের মূল্যস্ফীতি কত? তিন বছর আগে চালের দাম কত ছিল এখন কত? তাহলে বোঝা যেত মূল্যস্ফীতি আসলে কতটা বৃদ্ধি পেয়েছে অথবা বাজার আক্রান্ত হয়েছে।

এই সিদ্ধান্তগুলো সরকার এককভাবে নিতে পারে না। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সরকারকে জনগণের সঙ্গে কথা বলতে হয়। জনস্বার্থ বিবেচনা করতে হয়। তারপর একটি যুক্তি বের হয়ে আসে। এখানে সেই চর্চাটুকু নেই। পার্লামেন্টে সবাই সরকারেরই লোক। তবুও আলোচনা করত। সেটি না করে খেয়াল খুশি মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া কোনোভাবেই উচিত না। মানুষ ভেতরে ভেতরে খুবই অসন্তুষ্ট। অনেকেই সরকারের বিরোধিতা করছে। আমি এমন লোক দেখিনাই যে সরকারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছে। এমনকি যারা সরকারি দলের সঙ্গে শক্তভাবে আছে তারাও অপছন্দ করছে এবং বলছে যে, এটি একেবারেই ঠিক হয় নাই। কারণ, প্রত্যেকেই ভুক্তভোগি।

এক শ্রেণির লোক যথেষ্ট পরিমাণে লুটতরাজ করছে। সরকার যদি এখনো সচেতন না হয়, সাবধানতা অবলম্বন না করে তাহলে আমাদের কপালে দুঃখ আছে। শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের জায়গায় আমরা নেই। কিন্তু সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে আমাদেরও সেই পথেই হাটতে হবে সেকথা বলার অপেক্ষা রাখে না।

লেখক: অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

Header Ad
Header Ad

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাবাহিনী প্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাবাহিনী প্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আজ রবিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। এ সময় তারা দেশের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা, সেনাবাহিনীর চলমান কার্যক্রম এবং আসন্ন ঈদ উপলক্ষে গৃহীত বিশেষ পদক্ষেপগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।

সাক্ষাৎকালে সেনাপ্রধান জানান, ঈদ উপলক্ষে সাধারণ মানুষের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বিশেষ করে লঞ্চ টার্মিনাল, ট্রেন স্টেশন ও বাসস্ট্যান্ডগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে, যাতে যাত্রীরা নির্বিঘ্নে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন। পাশাপাশি দেশের প্রধান সড়ক ও মহাসড়কে যান চলাচল নির্বিঘ্ন রাখার বিষয়েও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক ও মালিকদের মধ্যে বোঝাপড়া বজায় রাখতে সেনাবাহিনী সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। এতে করে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে এবং শ্রমিকদের মধ্যে কোনো অস্থিরতা তৈরি হবে না।

জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান আরও জানান, গত জুলাই মাসে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সম্মানে দেশের প্রতিটি সেনানিবাসে ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি, আহত যোদ্ধা এবং শহীদদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর এই মানবিক ও পেশাদার ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে একইভাবে নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাবে।

সাক্ষাতের শেষ পর্যায়ে সেনাপ্রধান প্রধান উপদেষ্টাকে আগাম ঈদ শুভেচ্ছা জানান এবং ভবিষ্যতেও সেনাবাহিনী দেশের সেবায় নিয়োজিত থাকবে বলে আশ্বস্ত করেন।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশের আকাশে চাঁদ দেখা গেছে, সোমবার উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের আকাশে আজ রবিবার সন্ধ্যায় পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। এর ফলে আগামীকাল সোমবার সারাদেশে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর।

রবিবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম মসজিদের পূর্ব চত্বরে অনুষ্ঠিত জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি ও ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।

সভায় ১৪৪৬ হিজরি সনের শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা সংক্রান্ত তথ্য পর্যালোচনা করা হয়। সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে চাঁদ দেখার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

এদিকে, ঈদুল ফিতর উদযাপনে ইতোমধ্যে দেশের প্রতিটি এলাকায় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আগামীকাল সারাদেশে ঈদের প্রধান জামাতসহ স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

 

Header Ad
Header Ad

ফিলিস্তিনের আল-আকসায় ঈদের নামাজে মুসল্লিদের ঢল

ছবি: সংগৃহীত

দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও জেরুজালেমের পবিত্র আল-আকসা মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম এই মসজিদে ঈদের নামাজে ঢল নামে হাজারো মুসল্লির।

ব্যাপক কড়াকড়ি সত্ত্বেও রমজানের শেষে রবিবার ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ে জড়ো হন হাজার হাজার মুসল্লি। শেষ রোজার দিনও আল-আকসা প্রাঙ্গণে প্রায় ৭৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করেন।

ইরান প্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঈদের নামাজে অংশ নিতে আসা মুসল্লিরা ইসরায়েলি বাহিনীর ব্যাপক তল্লাশির মুখে পড়েন, তবে শেষ পর্যন্ত তারা নামাজ আদায় করতে সক্ষম হন। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ঈদুল ফিতর আনন্দঘন পরিবেশে পালিত হলেও, ফিলিস্তিনিদের জন্য দিনটি আতঙ্ক ও শঙ্কার ছায়া বয়ে এনেছে। গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে, আর জেরুজালেমেও ঈদের দিন কঠোর অবস্থান নিয়েছে দখলদার বাহিনী।

মুসলমানদের অন্যতম বড় উৎসব ঈদুল ফিতর মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপিত হলেও ফিলিস্তিনের মুসলমানদের জন্য দিনটি ছিল উদ্বেগময়। গাজা উপত্যকায় চলমান হামলা ও আল-আকসায় ইসরায়েলি সেনাদের কড়াকড়ি উপস্থিতি ঈদের আনন্দ ম্লান করে দিয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে আল-আকসায় প্রায় ৪০ হাজার মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করেন। এর আগের বছর, ইসরায়েলি আগ্রাসনের মধ্যেও ১০ লাখের বেশি মুসল্লি এই পবিত্র মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাবাহিনী প্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ
বাংলাদেশের আকাশে চাঁদ দেখা গেছে, সোমবার উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর
ফিলিস্তিনের আল-আকসায় ঈদের নামাজে মুসল্লিদের ঢল
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ঈদের আমন্ত্রণ জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
ধ্বংসস্তূপের মধ্যে গাজাবাসীর ঈদুল ফিতরের নামাজ
জাতীয় ঈদগাহে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত: ডিএমপি কমিশনার
৮ বছর পর পরিবারের সঙ্গে লন্ডনে ঈদ উদযাপন করলেন খালেদা জিয়া
ইসরাইলে হুথি বিদ্রোহীদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
তিস্তা প্রকল্প নিয়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন
কারাগারে ঈদ: জেলে বন্দি নেতারা কেমন কাটাবেন ঈদের দিন?
শিল্পকলায় ‘চাঁদ রাতের আনন্দ অনুষ্ঠান’ থাকছে মাইজভান্ডারী গানের পরিবেশনা  
নিজেদের নয়, প্রকৃতিকে ঈদ উপহার দেওয়া উচিৎ : পরিবেশ উপদেষ্টা  
যমুনা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় ৪৫ হাজার ৪৭৮টি যান পারাপার  
রেলের কেউ কালোবাজারিতে জড়াতে সাহস পায়নি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা    
রাজধানীতে কখন কোথায় ঈদ জামাত
জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ পড়বেন প্রধান উপদেষ্টা  
ছোট সাজ্জাদকে গ্রেপ্তারের জেরে প্রাইভেটকারে এলোপাতাড়ি গুলি, নিহত ২  
খুলনায় আ.লীগ নেতাদের চাঁদায় এনসিপির ব্যানারে ইফতার  
খুলনায় মধ্যরাতে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যৌথ বাহিনীর গোলাগুলি  
নির্বাচনে থাকছেনা পোস্টার, প্রার্থীর প্রচারে থাকবে কাপড়ের ব্যানার