বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকতে হবে

আমি মনে করি, বাংলাদেশের মানুষের পক্ষে তাদের মত প্রকাশের ক্ষেত্রে আলোচনা, পর্যালোচনা, সমালোচনা ইত্যাদির দরকার আছে। আমরা লক্ষ্য করছি এর বিরুদ্ধে একটি ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বেশ কয়েক বছর ধরে। এমনকি বইপত্র লেখালেখি নিয়েও দেখা যাচ্ছে সমস্যা হচ্ছে। বইপত্রে কী লিখল, পত্রিকায় কী লিখল, কোথায় কী বলল, এগুলো নিয়েও সারাক্ষণ আতঙ্ক ও নজরদারির মধ্যেও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা তৈরি হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

এই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে গোয়েন্দা সংস্থা আছে, পুলিশ আছে, সরকারি দলের বিভিন্ন বাহিনী আছে, যেমন— ছাত্রলীগ, যুবলীগ এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে যারা সরকারি লোকজন তারা পর্যন্ত সংক্রামকের মতো এসবের সাথে জড়িয়ে পড়েছেন। সুশীল সমাজের জন্য বিষয়টি ভাবনার বিষয়। দেশে একটি নেটওয়ার্ক তৈরি হচ্ছে যাদের কাজই হচ্ছে, স্বাধীন মতামত প্রকাশ করতে না দেওয়া। এখন দেখা যাচ্ছে, ছাত্রলীগ, যুবলীগ তারা এই মামলা করছে। পুলিশ এসব মামলা হমালায় বেশ তৎপর। এগুলো পুরোটাই কার্যত আইন হিসেবে কোনো কাজ করে না। এখানে সবই আদেশ পালনে আজ্ঞাবহ।

আমার কথা হচ্ছে, জনগণ সমালোচনা করবে, পর্যালোচনা করবে, মতামত দেবে। সেখানে মতামতের সঠিক জবাব হলো সঠিক মতামত দেওয়া। সরকার যদি মনে করে যে মতামত সঠিক হয়নি, সেক্ষেত্রে তারা সঠিক মতামত দেবে।

আমরা দেখছি সেখানে কোনো সহিষ্ণুতা নেই বরং চরম অসহিষ্ণু পরিবেশ এবং চরম একটি ভীতিকর পরিবেশ বিরাজমান। সরকারেরতো উন্নয়নের কথা বলার জন্য বহু মানুষ আছে। টিভি, রেডিও, পত্রপত্রিকা সবই আছে, প্রতিদিনই আমরা সরকারের উন্নয়নের গল্প শুনি। সেটির ফাঁকে সাধারণ মানুষের কথা থাকবে তাদের জীবন যাপনের স্বাধীনতা থাকবে।

আমি মনে করি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মূলত মানুষের ডিজিটাল নিরাপত্তাহীনতার আইন। দেশের লুণ্ঠনকারী, দখলদার আর সম্পদ পাচারকারীদের নিরাপত্তার আইন। নিরাপত্তা আইনে বিভিন্ন ধারা আছে, যেখানে পরিষ্কারভাবে বলা আছে মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না, এমপিদের বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না, প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না, উন্নয়ন প্রকল্পের বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না, বিদেশি রাষ্ট্র যদি বাংলাদেশের উপর ভয়ংকর আগ্রাসনও চালায় কিংবা ক্ষতিকর বিভিন্ন চুক্তিতে আবদ্ধ হয় তার বিরুদ্ধেও কথা বলা যাবে না।

সুতরাং নিরাপত্তা দিচ্ছে তাদের যারা বাংলাদেশের জনগণের শত্রুপক্ষ। এটা বাংলাদেশের দুর্বৃত্ত গোষ্ঠী ও লুটেরা গোষ্ঠীর দায়মুক্তির আইন। এমন দায়মুক্তির আইন আরও আছে। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে লক্ষ কোটি টাকা লুটপাট হচ্ছে, সুন্দরবনসহ প্রাণ বিনাশী একের পর এক প্রকল্প হচ্ছে, ঋণনির্ভর প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভয়াবহ বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলা হচ্ছে—সেগুলো করা হচ্ছে একটি দায়মুক্তির আইন দিয়ে।’

আমি মনে করি, আমাদের পর্যালোচনা থাকবে আমাদের কী কী অর্জন হলো, কী কী সমস্যা হয়েছে, কী কী বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে ইত্যাদি পর্যালোচনা করেইতো মানুষ অগ্রসর হবে এবং সেখান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবে।

দেশে গরিব মানুষের অবস্থা ভালো নেই। নিম্ন মধ্যবিত্তরা বেকায়দায় আছে। মধ্যবিত্তদের জীবন যাপনে অনেক কাটছাঁট করতে হচ্ছে। সেসব নিয়ে লেখালেখি হতে পারে। পাল্টা লেখালেখি হতে পারে। কিন্তু জুলুম করা বলতে এই যে অন্যায়ভাবে জনমানুষের উপর অত্যাচার এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

আনু মুহাম্মাদ: অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

আরএ/

Header Ad

ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী

ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ভারতে পাচার হওয়া ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী। এদের মধ্যে ১৩ জন কিশোর ও ১১ জন কিশোরী রয়েছে। বুধবার (২০নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তাদেরকে ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

ফেরত আসাদের তিনটি এনজিও সংস্থা গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রাইটস যশোর ১১ জন, বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতি ৭ জন এবং জাস্টিস এন্ড কেয়ার ৬ জনকে গ্রহণ করেছে। এরা দেশের পটুয়াখালি,কক্সবাজার, সাতক্ষীরা জেলার বাসিন্দা।

জাস্টিস এন্ড কেয়ারের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মুহিত হোসেন বলেন, অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের পর সেদেশের পুলিশ বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করে। পরে তাদেরকে আদালতে পাঠায় পুলিশ। অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয় তাদের। সাজা শেষ হওয়ার পর ভারতীয় বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা তাদের নিজস্ব শেল্টারহোমে রাখে। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আজ বেনাপোল দিয়ে বাংলাদেশে হস্তান্তর করেন ভারতীয় পুলিশ।

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ ভূঞা জানান,পাচার হওয়া বাংলাদেশি ২৪ জনকে ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। সেখান থেকে তিনটি এনজিও সংস্থা তাদের গ্রহণ করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।

Header Ad

ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ

ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মহাখালী, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, গাবতলী ও ডেমরা এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা সড়ক অবরোধ করেছেন। এতে এসব এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষ।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে এসব এলাকায় রিকশাচালকরা জড়ো হন। পুলিশ তাদের সরে যেতে বললেও তারা সড়ক ছাড়েননি।

প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গাবতলীতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা। এর ফলে পাটুরিয়া ও যমুনা সেতু থেকে আসা গাড়ির আটকা আছে। ফলে রাজধানী থেকে কোনো গাড়ি বের হতে পারছে না এবং কোনো গাড়ি ঢুকতেও পারছে না।

এর আগে, বুধবারও (২০ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন রিকশাচালকরা।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ঢাকা মহানগর এলাকায় তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের আদেশ দিয়েছিলেন। এতে স্বরাষ্ট্র সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, আইজিপি, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের আদালতের এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

প্যাডেলচালিত রিকশা সংগঠন মালিক ঐক্যজোটের সভাপতি জহুরুল ইসলাম মাসুম ও সাধারণ সম্পাদক মো. মমিন আলী এ বিষয়ে রিট পিটিশনটি দায়ের করেছিলেন। রাজধানীতে বর্তমানে প্রায় ১২ লাখ রিকশা চলাচল করছে। যার বড় একটি অংশ ব্যাটারিচালিত।

Header Ad

গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গাজা ভূখণ্ডের উত্তরাঞ্চলে কমপক্ষে ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে মোট নিহত প্রায় ৪৪ হাজার ও আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী উত্তর গাজায় ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে এবং এই অঞ্চলের বেইত লাহিয়া ও গাজা শহরের শেখ রাদওয়ান পাড়ায় দুটি আক্রমণে ৮৮ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে বলে আল জাজিরা আরবি জানিয়েছে।

গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩ হাজার ৯৮৫ জনে পৌঁছেছে। এ সময়ে আরও অন্তত ১ লাখ ৪ হাজার ৯২ জন ব্যক্তিও আহত হয়েছেন।

এদিকে বেইত লাহিয়ায় ইসরায়েলের হামলার নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। বেইত লাহিয়ার কামাল আদওয়ান হাসপাতালের পরিচালক ডা. হুসাম আবু সাফিয়া আল জাজিরা আরবিকে বলেছেন, উত্তরাঞ্চলীয় এই শহরে ইসরায়েলের হামলার পরে কয়েক ডজন লোকের মৃতদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়াদের বাঁচানোর কোনো উপায় নেই। কারণ, ইসরায়েলি বাহিনী উত্তর গাজা অবরোধ করে রেখেছে এবং ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্সের জরুরি কর্মীদের ওই এলাকায় কাজ করতে বাধা দিয়েছে।

এর আগে, বেইত লাহিয়ায় ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৬৬ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ডজন খানেক মানুষ বলে জানানো হয়েছিল।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ধামরাইয়ে শ্রমিকবাহী বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪
শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ, বিশেষ মোনাজাতের মধ্যদিয়ে কর্মসূচি শুরু
সেন্টমার্টিনে যেতে নিবন্ধনসহ যা করতে হবে পর্যটকদের
সিটি কলেজ অন্যত্র সরিয়ে নেওয়াসহ ৯ দাবি ঢাকা কলেজ কর্তৃপক্ষের
ট্রাইব্যুনাল চাইলে বিচার কাজের অডিও ভিজ্যুয়াল প্রচার করতে পারবে
বিসিবির ঘোষিত পুরস্কারের অর্থ বুঝে পেলেন সাবিনারা
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৩৪
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিশাল নিয়োগ, নেবে ৫৩০ জন
খোদা বকশ-আলী ইমামরা গণতন্ত্রের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন : রিজভী
গোবিন্দগঞ্জে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে পথচারীর মৃত্যু
ব্যাংককে একান্তে সময় কাটাচ্ছেন রাফসান-জেফার!
নতুন আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পেলেন বাহারুল আলম
হাসিনা সরকার বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে ধ্বংস করে ফেলেছে: আমিনুল হক
ডিএমপির নতুন কমিশনার শেখ সাজ্জাদ আলী