মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫ | ৬ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হলেই নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য বলা যায় না

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে ঠিকই, তবে গ্রহণযোগ্য হয়নি। নির্বাচনে বিরোধী দল না থাকলে সেই নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য বলা যায় না। আর বিএনপিই এখানে প্রথম বিরোধী দল। তাদের কোনো প্রার্থী নির্বাচনে ছিল না।

২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী যেভাবে হয়রানি, নির্যাতন, হামলা, মামলার শিকার হয়েছিলেন, তাতে তারা নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতেই পারে। আর যেখানে বিরোধী দলের প্রার্থী নেই, সেখানে সত্যিকার চয়েস (বেছে নেওয়ার সুযোগ) থাকে না। তাই এ নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বলা যাবে না।

কয়েকটি কারণে গাজীপুরে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে বলা যায়। ২০১৮ সালে বিএনপি প্রার্থীকে মাঠছাড়া করা হয়েছিল, এবার তেমন প্রতিপক্ষ ছিল না। যেহেতু বিরোধী দলের প্রার্থী ছিল না, তাই দলীয়ভাবে অনুগত প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা বোধ করেনি। সরকারি দলের নেতা-কর্মীরাও বাড়াবাড়ি করেনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতিতে পরিবর্তনও নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে বড় ভূমিকা রেখেছে। কারণ, সরকারি দলের নেতা-কর্মী বা যারাই নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন, তাদের মাথার ওপর ভিসানীতির খড়গটা ছিল। নির্বাচনী অপরাধে লিপ্ত হলে তারা নিজেরা ও পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাওয়ার সুযোগ হারাতে পারেন। আর এই ভিসাটা সবার কাছে আকর্ষণীয়।

প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনে ফলাফল যে কারও পক্ষেই যেতে পারে, যা পুরোপুরি প্রার্থীদের ভোটারদের সমর্থন আদায়ের উপর নির্ভর করে। যেসব নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয় সেগুলোতে ভোট পড়ার হারও বেশি হয়। পক্ষান্তরে, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ না হলে বা একতরফা হলে ভোটাররাও ভোট প্রদানে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। একাদশ সংসদ নির্বাচন-পরবর্তী নির্বাচনগুলো যার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হলে ভোটারদের সামনে প্রার্থী বেছে নেওয়ার অর্থপূর্ণ বিকল্প থাকে, ফলে ভোটারদের প্রদত্ত ভোট নির্বাচনের ফলাফলের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব রাখতে পারে।

এদিকে জাতীয় নির্বাচনে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার রদবদল হবে। সেখানে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। অর্থাৎ যিনি দলের প্রধান, তিনিই সরকারপ্রধান, তিনিই সংসদের প্রধান এবং তার মন্ত্রিসভার অধীনে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সেখানে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে তা কোনোভাবেই বলা যায় না। তবে মার্কিন ভিসানীতি যেহেতু জাতীয় নির্বাচনেও প্রযোজ্য, তাই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হলেও হতে পারে। তবে নিশ্চয়তা দেওয়া যাবে না। বরিশালে সরকারি দলের মধ্যেই বিভক্তি আছে। সেখানে শক্তিশালী বিরোধী প্রার্থী আছে। সেখানেও নির্বাচন শাক্তিপূর্ণ হবে নিশ্চিত করে বলা যাবে না।

মনে রাখতে হবে, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য অনেকগুলো স্টেক হোল্ডার বা অংশীজন থাকে। যার মধ্যে নির্বাচন কমিশন হলো সবচেয়ে বড় অংশীজন। নির্বাচন কমিশনকে অগাধ ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে। বুঝতে হবে এটা সাংবিধানিকভাবে স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। কাজেই এই প্রতিষ্ঠানে সঠিক ব্যক্তি নিয়োগ পাওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। আমরা বিশ্বাস করি যে, আইন প্রণয়নের মাধ্যমে, আইনের বিধি-নিষেধের মাধ্যমে একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় যদি কয়েকজন ব্যক্তিকে নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ দেওয়া হয় তাহলে নির্বাচন কমিশনের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরে আসবে। সেক্ষেত্রে আশা করা যায় যে, আগামীতে আমরা একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন পেতে পারি।

বদিউল আলম মজুমদার: সম্পাদক, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)

আরএ/

Header Ad
Header Ad

মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় কাউকে হয়রানি করা যাবে না : জামায়াত আমির

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় কাউকে হয়রানি করা উচিত নয়। তিনি সোমবার রাজধানীর মগবাজারে দৈনিক সংগ্রামের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন।

তিনি অভিযোগ করেন যে, ফ্যাসিবাদী শাসনামলে অনেকেই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। প্রকৃত সত্য প্রকাশ পায়নি এবং এখনো কিছু ক্ষেত্রে সেই পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তবে জামায়াত নির্যাতিত সাংবাদিকদের পাশে থাকবে বলে আশ্বাস দেন।

ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, আওয়ামী লীগ শহীদের নতুন সংজ্ঞা তৈরি করেছিল। তাদের সংজ্ঞা অনুযায়ী, যে কারো শহীদ হওয়ার স্বীকৃতি নির্ধারিত হতো। তিনি দাবি করেন, ফ্যাসিবাদী শাসনের সময়ে জাতি এবং সংবাদমাধ্যমের ওপর তাণ্ডব চালানো হয়েছে। যদি সাংবাদিকরা তাদের প্রকৃত দায়িত্ব পালন করতেন, তাহলে ফ্যাসিবাদী শাসন জাতির ওপর এত শক্তভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারতো না।

তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যমের কাজ সত্য প্রকাশ করা। সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলাই সাংবাদিকতার মূল নীতি। কিন্তু ফ্যাসিবাদী শাসন এই নীতিকে ব্যাহত করেছিল, যার কিছু প্রভাব এখনো বিদ্যমান।

Header Ad
Header Ad

রাজশাহীকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে চিটাগং কিংসের পঞ্চম জয়

ছবি: সংগৃহীত

চিটাগং কিংসের জন্য আজকের জয় ছিল স্বস্তির। তারা রাজশাহীকে ১১১ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে পঞ্চম জয় নিশ্চিত করেছে। চট্টগ্রামে প্রথম দুই ম্যাচে জয় পেলেও পরবর্তীতে দুইটি হারে জয়ের জন্য মুখিয়ে ছিল তারা।

আজকের ম্যাচে তাদের বোলার এবং ফিল্ডারদের কৃতিত্বের পাশাপাশি, রাজশাহীর ফিল্ডারদের দুর্বলতা ম্যাচের ফলাফলকে প্রভাবিত করেছে। চিটাগংয়ের ব্যাটসম্যানদের একাধিক সহজ ক্যাচ রাজশাহী ফিল্ডাররা ফেলে দেন, যার মধ্যে তাসকিন আহমেদের বলেই দুটি ক্যাচ পড়েছে।

রাজশাহী আজ অধিনায়ক পরিবর্তন করে খেলেছিল, কিন্তু দলের ফিল্ডিংয়ের অবস্থা তাদের জন্য বিপদজনক ছিল। সানজামুল ইসলাম ও রায়ান বার্ল ইনিংসের প্রথম ও ১৯তম ওভারে সহজ ক্যাচ ফেলেন, এবং বার্ল হাঁটুর চোট পেয়ে মাঠ ছেড়ে যেতে বাধ্য হন। এর ফলে রাজশাহীকে আরও বিপদে ফেলেছিল।

চিটাগংয়ের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনের জন্যও ছিল কিছুটা ভাগ্য, কারণ তিনি দুটি জীবন পেয়েছেন। তাসকিন ও বার্লের ক্যাচ ফেলায় মিঠুন তার ইনিংসে ২০ বল খেলে ৩২ রান করেন। অপরদিকে, চিটাগংয়ের ব্যাটসম্যান নাঈম উদযাপন করেছেন নিজের ফিফটিতে, যার মধ্যে তিনটি ছক্কা ও পাঁচটি চার ছিল।

বিপরীতে, রাজশাহীর ব্যাটিং খুবই ধীর গতিতে চলছিল এবং তারা ১৯১ রানের টার্গেট তাড়ায় মাত্র ৮০ রানে অল আউট হয়ে যায়। চিটাগংয়ের বোলাররা বিশেষ করে শরীফুল ইসলাম ও নাঈম দুর্দান্ত বোলিং করেন এবং রাজশাহীর ব্যাটসম্যানদের চাপের মধ্যে ফেলেন।

এই জয়ে চিটাগং কিংস দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে, যেখানে রাজশাহী ষষ্ঠ হার তুলে নিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

খাগড়াছড়িতে অবৈধভাবে পরিচালিত ১৬টি ইট ভাটা বন্ধ

ছবি: সংগৃহীত

খাগড়াছড়িতে অবৈধভাবে পরিচালিত ১৬টি ইট ভাটা বন্ধ করেছে প্রশাসন। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকালে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা, মাটিরাঙা, রামগড়, এবং দীঘিনালা উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এই অভিযানে দুটি ইট ভাটা বন্ধ করা হয়, যেগুলোর অনুমোদন ছিল না। এর মধ্যে দীঘিনালায় দুটি ভাটাকে বন্ধ করার পাশাপাশি জরিমানা করা হয়। কর্ণফুলী ব্রিকস ও ফোর বি ভাটাকে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়, এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উপস্থিত থেকে আগুন নিভিয়ে দেন।

রামগড় উপজেলায়, অনুমোদনহীন ৫টি ভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে প্রতিটি ভাটাকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়, যার মোট পরিমাণ দাঁড়ায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এসব ভাটার চিমনি ও কাঠ জব্দ করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন জানায়, এ অভিযানটি একদিনেই ১৬টি অবৈধ ভাটা বন্ধ এবং প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে।

এর আগে ২৩ ডিসেম্বর ১৫টি ভাটায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছিল, কিন্তু কিছু ভাটা মালিক এসব ভাটা পুনরায় চালু করে। সোমবারের অভিযানে তাদের বন্ধ করা হয়। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ অনুযায়ী এসব ভাটাগুলো বন্ধ করা হয়েছে এবং জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় কাউকে হয়রানি করা যাবে না : জামায়াত আমির
রাজশাহীকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে চিটাগং কিংসের পঞ্চম জয়
খাগড়াছড়িতে অবৈধভাবে পরিচালিত ১৬টি ইট ভাটা বন্ধ
ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণ নিয়ে আওয়ামী লীগের উচ্ছ্বাস কতটা বাস্তবিক?
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন: সফল আয়োজনের লক্ষ্যে তিনটি কমিটি গঠন
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কোটার ফলাফল স্থগিত
ফেসবুকে মাশরাফির মৃত্যু নিয়ে গুঞ্জন, যা জানা গেল
রিসোর্ট থেকে ১৬ ছাত্র-ছাত্রী আটক, কাজী ডেকে ৪ যুগলের বিয়ে
'সুগার মাম্মি' হতে চান অভিনেত্রী হুমায়রা সুবাহ
নমরুদের মতো ক্ষমতা ছিলো শেখ হাসিনার: রিজভী
১০ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস পেলেন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন
৩০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ: বাহার ও মেয়ের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সরকারি-বেসরকারি চাকরি পাবেন গণঅভ্যুত্থানে আহতরা, সিভি আহ্বান
নিজে প্রাথমিক সদস্যপদ নবায়ন করে দলের কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন তারেক রহমান
বাংলাদেশিদের বের করে দিন, হাসিনাকে দিয়ে শুরু করুন: শিবসেনা নেতা
কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে টিস্যু পেপারে চিঠি লিখলেন দীপু মনি
সিলেটকে ৬ রানে হারিয়ে ঢাকা ক্যাপিটালসের রোমাঞ্চকর জয়
সমস্যা পোশাকে নয়, সিস্টেমে: সারজিস আলম
‘মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করতে পারে রাষ্ট্র, মন্ত্রণালয় নয়’
মেজর ডালিমের পর এবার সাংবাদিক ইলিয়াসের টকশোতে আসছে কর্নেল রাশেদ চৌধুরী