বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হলেই নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য বলা যায় না

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে ঠিকই, তবে গ্রহণযোগ্য হয়নি। নির্বাচনে বিরোধী দল না থাকলে সেই নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য বলা যায় না। আর বিএনপিই এখানে প্রথম বিরোধী দল। তাদের কোনো প্রার্থী নির্বাচনে ছিল না।

২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী যেভাবে হয়রানি, নির্যাতন, হামলা, মামলার শিকার হয়েছিলেন, তাতে তারা নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতেই পারে। আর যেখানে বিরোধী দলের প্রার্থী নেই, সেখানে সত্যিকার চয়েস (বেছে নেওয়ার সুযোগ) থাকে না। তাই এ নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বলা যাবে না।

কয়েকটি কারণে গাজীপুরে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে বলা যায়। ২০১৮ সালে বিএনপি প্রার্থীকে মাঠছাড়া করা হয়েছিল, এবার তেমন প্রতিপক্ষ ছিল না। যেহেতু বিরোধী দলের প্রার্থী ছিল না, তাই দলীয়ভাবে অনুগত প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা বোধ করেনি। সরকারি দলের নেতা-কর্মীরাও বাড়াবাড়ি করেনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতিতে পরিবর্তনও নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে বড় ভূমিকা রেখেছে। কারণ, সরকারি দলের নেতা-কর্মী বা যারাই নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন, তাদের মাথার ওপর ভিসানীতির খড়গটা ছিল। নির্বাচনী অপরাধে লিপ্ত হলে তারা নিজেরা ও পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাওয়ার সুযোগ হারাতে পারেন। আর এই ভিসাটা সবার কাছে আকর্ষণীয়।

প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনে ফলাফল যে কারও পক্ষেই যেতে পারে, যা পুরোপুরি প্রার্থীদের ভোটারদের সমর্থন আদায়ের উপর নির্ভর করে। যেসব নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয় সেগুলোতে ভোট পড়ার হারও বেশি হয়। পক্ষান্তরে, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ না হলে বা একতরফা হলে ভোটাররাও ভোট প্রদানে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। একাদশ সংসদ নির্বাচন-পরবর্তী নির্বাচনগুলো যার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হলে ভোটারদের সামনে প্রার্থী বেছে নেওয়ার অর্থপূর্ণ বিকল্প থাকে, ফলে ভোটারদের প্রদত্ত ভোট নির্বাচনের ফলাফলের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব রাখতে পারে।

এদিকে জাতীয় নির্বাচনে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার রদবদল হবে। সেখানে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। অর্থাৎ যিনি দলের প্রধান, তিনিই সরকারপ্রধান, তিনিই সংসদের প্রধান এবং তার মন্ত্রিসভার অধীনে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সেখানে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে তা কোনোভাবেই বলা যায় না। তবে মার্কিন ভিসানীতি যেহেতু জাতীয় নির্বাচনেও প্রযোজ্য, তাই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হলেও হতে পারে। তবে নিশ্চয়তা দেওয়া যাবে না। বরিশালে সরকারি দলের মধ্যেই বিভক্তি আছে। সেখানে শক্তিশালী বিরোধী প্রার্থী আছে। সেখানেও নির্বাচন শাক্তিপূর্ণ হবে নিশ্চিত করে বলা যাবে না।

মনে রাখতে হবে, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য অনেকগুলো স্টেক হোল্ডার বা অংশীজন থাকে। যার মধ্যে নির্বাচন কমিশন হলো সবচেয়ে বড় অংশীজন। নির্বাচন কমিশনকে অগাধ ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে। বুঝতে হবে এটা সাংবিধানিকভাবে স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। কাজেই এই প্রতিষ্ঠানে সঠিক ব্যক্তি নিয়োগ পাওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। আমরা বিশ্বাস করি যে, আইন প্রণয়নের মাধ্যমে, আইনের বিধি-নিষেধের মাধ্যমে একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় যদি কয়েকজন ব্যক্তিকে নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ দেওয়া হয় তাহলে নির্বাচন কমিশনের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরে আসবে। সেক্ষেত্রে আশা করা যায় যে, আগামীতে আমরা একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন পেতে পারি।

বদিউল আলম মজুমদার: সম্পাদক, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)

আরএ/

Header Ad

লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত

লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত। ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ লেবাননে এক হামলায় ৭১ বছর বয়সী গবেষক জিভ এরলিচ এবং দুই ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় এরলিচ ও একজন সেনা নিহত হন, আর গোলানি ব্রিগেডের একজন অফিসার গুরুতর আহত হয়েছেন। এছাড়া অপর এক ঘটনায় ২২ বছর বয়সী এক সৈন্য নিহত হয়েছেন।

এই দুই সৈন্যের মৃত্যুর ফলে গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত লেবাননে আট শতাধিক ইসরায়েলি সেনার মৃত্যু হলো। খবর জেরুজালেম পোস্টের।

বুধবার (২০ নভেম্বর) ইসরায়েলি বাহিনী জানায়, ২২ বছর বয়সী এক সৈন্য দক্ষিণ লেবাননে যুদ্ধের সময় নিহত হয়েছেন। পরে আইডিএফ জানায়, গোলানি ব্রিগেডের চিফ অফ স্টাফ কর্নেল ইয়োভ ইয়ারম, ইসরায়েলি ট্যুর গাইড এবং ইসরায়েল ল্যান্ডের প্রত্নতাত্ত্বিক বিশেষজ্ঞ ৭১ বছর বয়সী জিভ এরলিচকে একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানে প্রাচীন দুর্গ পরীক্ষা করার জন্য দক্ষিণ লেবাননের পশ্চিম সেক্টরে প্রবেশের অনুমতি দেন। তবে ওই এলাকায় আগে থেকেই দুই হিজবুল্লাহ যোদ্ধা লুকিয়ে ছিল।

যোদ্ধারা এই গবেষক, ইসরায়েলি সিনিয়র অফিসার এবং তাদের সাথে থাকা অন্যান্য সৈন্যদের উপর গুলি চালায়। এ ঘটনায় জিব এবং একজন সেনা সদস্য নিহত হন। তবে ওই সেনা সদস্যের বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি আইডিএফ। কর্তব্যরত সৈনিক বা সংরক্ষিত অবস্থায় না থাকা সত্ত্বেও, সশস্ত্র অবস্থায় এবং আইডিএফ ইউনিফর্মে এরলিচ দক্ষিণ লেবাননে প্রবেশ করেছিলেন। "গুরুতর এই ঘটনার" তদন্ত করছে আইডিএফ।

ইতান বেন আমি নামের ২২ বছর বয়সী ইসরায়েলি সার্জেন্টের মৃত্যুর বিষয়ে আইডিএফ বলছে, বুধবার ভোরে অপারেশন চলাকালীন কমান্ডোরা দক্ষিণ লেবাননের একটি গ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত এক ভবনের মধ্য দিয়ে হাঁটছিলেন। তখন ভবনটি ধসে এই সেনার মৃত্যু হয়। পূর্বে ওই এলাকায় ইসরায়েলি হামলায় ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এবং আবহাওয়ার কারণে এটি ধসে পড়েছে বলে দাবি করেছে আইডিএফ। এ ঘটনায় আহত অপর এক সেনা সদস্যকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

Header Ad

ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী

ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ভারতে পাচার হওয়া ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী। এদের মধ্যে ১৩ জন কিশোর ও ১১ জন কিশোরী রয়েছে। বুধবার (২০নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তাদেরকে ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

ফেরত আসাদের তিনটি এনজিও সংস্থা গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রাইটস যশোর ১১ জন, বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতি ৭ জন এবং জাস্টিস এন্ড কেয়ার ৬ জনকে গ্রহণ করেছে। এরা দেশের পটুয়াখালি,কক্সবাজার, সাতক্ষীরা জেলার বাসিন্দা।

জাস্টিস এন্ড কেয়ারের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মুহিত হোসেন বলেন, অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের পর সেদেশের পুলিশ বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করে। পরে তাদেরকে আদালতে পাঠায় পুলিশ। অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয় তাদের। সাজা শেষ হওয়ার পর ভারতীয় বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা তাদের নিজস্ব শেল্টারহোমে রাখে। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আজ বেনাপোল দিয়ে বাংলাদেশে হস্তান্তর করেন ভারতীয় পুলিশ।

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ ভূঞা জানান,পাচার হওয়া বাংলাদেশি ২৪ জনকে ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। সেখান থেকে তিনটি এনজিও সংস্থা তাদের গ্রহণ করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।

Header Ad

ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ

ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মহাখালী, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, গাবতলী ও ডেমরা এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা সড়ক অবরোধ করেছেন। এতে এসব এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষ।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে এসব এলাকায় রিকশাচালকরা জড়ো হন। পুলিশ তাদের সরে যেতে বললেও তারা সড়ক ছাড়েননি।

প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গাবতলীতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা। এর ফলে পাটুরিয়া ও যমুনা সেতু থেকে আসা গাড়ির আটকা আছে। ফলে রাজধানী থেকে কোনো গাড়ি বের হতে পারছে না এবং কোনো গাড়ি ঢুকতেও পারছে না।

এর আগে, বুধবারও (২০ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন রিকশাচালকরা।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ঢাকা মহানগর এলাকায় তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের আদেশ দিয়েছিলেন। এতে স্বরাষ্ট্র সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, আইজিপি, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের আদালতের এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

প্যাডেলচালিত রিকশা সংগঠন মালিক ঐক্যজোটের সভাপতি জহুরুল ইসলাম মাসুম ও সাধারণ সম্পাদক মো. মমিন আলী এ বিষয়ে রিট পিটিশনটি দায়ের করেছিলেন। রাজধানীতে বর্তমানে প্রায় ১২ লাখ রিকশা চলাচল করছে। যার বড় একটি অংশ ব্যাটারিচালিত।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ধামরাইয়ে শ্রমিকবাহী বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪
শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ, বিশেষ মোনাজাতের মধ্যদিয়ে কর্মসূচি শুরু
সেন্টমার্টিনে যেতে নিবন্ধনসহ যা করতে হবে পর্যটকদের
সিটি কলেজ অন্যত্র সরিয়ে নেওয়াসহ ৯ দাবি ঢাকা কলেজ কর্তৃপক্ষের
ট্রাইব্যুনাল চাইলে বিচার কাজের অডিও ভিজ্যুয়াল প্রচার করতে পারবে
বিসিবির ঘোষিত পুরস্কারের অর্থ বুঝে পেলেন সাবিনারা
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৩৪
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিশাল নিয়োগ, নেবে ৫৩০ জন
খোদা বকশ-আলী ইমামরা গণতন্ত্রের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন : রিজভী
গোবিন্দগঞ্জে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে পথচারীর মৃত্যু
ব্যাংককে একান্তে সময় কাটাচ্ছেন রাফসান-জেফার!
নতুন আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পেলেন বাহারুল আলম
হাসিনা সরকার বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে ধ্বংস করে ফেলেছে: আমিনুল হক