বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইতিবাচক অগ্রগতি ধরে রাখতে চাই

বাংলাদেশ এখন অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় বিশ্বের সঙ্গে অনেক বেশি সংযুক্ত। অর্থনীতি, বিনিয়োগ, শিক্ষা, প্রযুক্তি সব মিলিয়ে বাংলাদেশ যে স্তরে পৌঁছেছে, সেটি ধরে রাখতে হলে বৈশ্বিক মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে হবে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের চর্চা নিশ্চিত করতে হলে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান সমুন্নত রাখার ব্যাপারে আমাদের আরও সচেতন হতে হবে।

আমাদের ভাবমূর্তি দেশের শক্তির বড় আধার। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি ইতিবাচক ঐকমত্য হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে। আমরা যদি ইতিবাচক অগ্রগতি ধরে রাখতে চাই এবং বৈশ্বিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত থেকে এগোতে চাই, তাহলে দেশের অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের যে চর্চা করি, তার মানোন্নয়ন ঘটাতে হবে।

বৈশ্বিক পর্যায়ের সঙ্গে এর সাযুজ্যও ঘটাতে হবে। আমরা নিজেদের যেভাবে দেখি এবং বাইরের বিশ্ব আমাদের যেভাবে দেখে, তার মাঝে যে বৈসাদৃশ্য রয়েছে, মার্কিন নতুন ভিসা নীতি তা আমাদের মনে করিয়ে দিল। আমরা এই ধরনের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে কী করতে পারি? কী করলে কী হবে? পরিণতি কোন দিকে যাবে, এই সিদ্ধান্ত থেকে তার আভাস পাওয়া যায়।

আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ঘাটতির বিষয়টা প্রকাশ্যে না এলে ভালো হতো। তবে মার্কিন এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়টিকে ইতিবাচক দেখা যেতে পারে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে সহায়তার জন্য এই পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেছেন। এখন পর্যন্ত সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। ফলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য একে ইতিবাচক ঐকমত্য হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে। তবে আমরা যেন মার্কিন এই সিদ্ধান্তকে নিজেদের রাজনৈতিক বিতর্ক বা বিভাজনের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার না করি, সেটাই বাঞ্ছনীয় হবে।

দুই দশক ধরে সন্ত্রাসবাদবিরোধী লড়াই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের মনোযোগের কেন্দ্রে। বিভিন্ন দেশ সন্ত্রাসবাদ দমনের কৌশলকে পুঁজি করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এর সুবিধা নিয়েছে। এর ফলে গণতান্ত্রিক চর্চা এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের উত্থান এবং ২০২০ সালের ঘটনাপ্রবাহের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরেই এর প্রতিফলন ঘটেছে।

এমন এক প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরের পাশাপাশি বৈশ্বিক প্রক্রিয়ায় গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে বাইডেন প্রশাসন মনোযোগ দিচ্ছে। হোয়াইট হাউসের কাছে বিশ্বজুড়ে গণতান্ত্রিক নির্বাচন, মানবাধিকার এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার এখন অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। গণতান্ত্রিক এই মূল্যবোধগুলোর ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান সমানভাবে মনোযোগ দিচ্ছে। এই প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে বিষয়গুলোকে কীভাবে সাড়া দেব, কতটা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেব, সেটা বড় প্রশ্ন।

ভবিষ্যতের দিকে তাকালে দেখি, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনের পর যে সরকার আসবে, তারাই বাংলাদেশকে ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নিয়ে যাবে। গত ৫২ বছরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যে সম্পর্ক রেখেছে বাংলাদেশ, তার একটা গুণগত পরিবর্তন আসবে। এখন যে সহযোগিতা বাংলাদেশ পাচ্ছে, ভবিষ্যতে তার পুনর্বিন্যাস হবে।

আমাদের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অনেক কিছু পেতে হবে। সারা বিশ্বের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের মৌলিক পুনর্বিন্যাস হবে। এই কাজটা কঠিন এবং এটি সরকারের একক কাজ নয়। জাতীয় ঐকমত্যের মাধ্যমে এটি করতে হবে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে নাগরিকরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারেন।

এম. হুমায়ুন কবীর: সাবেক রাষ্ট্রদূত

আরএ/

Header Ad

ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী

ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ভারতে পাচার হওয়া ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী। এদের মধ্যে ১৩ জন কিশোর ও ১১ জন কিশোরী রয়েছে। বুধবার (২০নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তাদেরকে ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

ফেরত আসাদের তিনটি এনজিও সংস্থা গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রাইটস যশোর ১১ জন, বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতি ৭ জন এবং জাস্টিস এন্ড কেয়ার ৬ জনকে গ্রহণ করেছে। এরা দেশের পটুয়াখালি,কক্সবাজার, সাতক্ষীরা জেলার বাসিন্দা।

জাস্টিস এন্ড কেয়ারের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মুহিত হোসেন বলেন, অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের পর সেদেশের পুলিশ বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করে। পরে তাদেরকে আদালতে পাঠায় পুলিশ। অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয় তাদের। সাজা শেষ হওয়ার পর ভারতীয় বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা তাদের নিজস্ব শেল্টারহোমে রাখে। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আজ বেনাপোল দিয়ে বাংলাদেশে হস্তান্তর করেন ভারতীয় পুলিশ।

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ ভূঞা জানান,পাচার হওয়া বাংলাদেশি ২৪ জনকে ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। সেখান থেকে তিনটি এনজিও সংস্থা তাদের গ্রহণ করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।

Header Ad

ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ

ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মহাখালী, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, গাবতলী ও ডেমরা এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা সড়ক অবরোধ করেছেন। এতে এসব এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষ।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে এসব এলাকায় রিকশাচালকরা জড়ো হন। পুলিশ তাদের সরে যেতে বললেও তারা সড়ক ছাড়েননি।

প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গাবতলীতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা। এর ফলে পাটুরিয়া ও যমুনা সেতু থেকে আসা গাড়ির আটকা আছে। ফলে রাজধানী থেকে কোনো গাড়ি বের হতে পারছে না এবং কোনো গাড়ি ঢুকতেও পারছে না।

এর আগে, বুধবারও (২০ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন রিকশাচালকরা।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ঢাকা মহানগর এলাকায় তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের আদেশ দিয়েছিলেন। এতে স্বরাষ্ট্র সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, আইজিপি, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের আদালতের এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

প্যাডেলচালিত রিকশা সংগঠন মালিক ঐক্যজোটের সভাপতি জহুরুল ইসলাম মাসুম ও সাধারণ সম্পাদক মো. মমিন আলী এ বিষয়ে রিট পিটিশনটি দায়ের করেছিলেন। রাজধানীতে বর্তমানে প্রায় ১২ লাখ রিকশা চলাচল করছে। যার বড় একটি অংশ ব্যাটারিচালিত।

Header Ad

গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গাজা ভূখণ্ডের উত্তরাঞ্চলে কমপক্ষে ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে মোট নিহত প্রায় ৪৪ হাজার ও আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী উত্তর গাজায় ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে এবং এই অঞ্চলের বেইত লাহিয়া ও গাজা শহরের শেখ রাদওয়ান পাড়ায় দুটি আক্রমণে ৮৮ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে বলে আল জাজিরা আরবি জানিয়েছে।

গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩ হাজার ৯৮৫ জনে পৌঁছেছে। এ সময়ে আরও অন্তত ১ লাখ ৪ হাজার ৯২ জন ব্যক্তিও আহত হয়েছেন।

এদিকে বেইত লাহিয়ায় ইসরায়েলের হামলার নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। বেইত লাহিয়ার কামাল আদওয়ান হাসপাতালের পরিচালক ডা. হুসাম আবু সাফিয়া আল জাজিরা আরবিকে বলেছেন, উত্তরাঞ্চলীয় এই শহরে ইসরায়েলের হামলার পরে কয়েক ডজন লোকের মৃতদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়াদের বাঁচানোর কোনো উপায় নেই। কারণ, ইসরায়েলি বাহিনী উত্তর গাজা অবরোধ করে রেখেছে এবং ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্সের জরুরি কর্মীদের ওই এলাকায় কাজ করতে বাধা দিয়েছে।

এর আগে, বেইত লাহিয়ায় ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৬৬ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ডজন খানেক মানুষ বলে জানানো হয়েছিল।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ধামরাইয়ে শ্রমিকবাহী বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪
শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ, বিশেষ মোনাজাতের মধ্যদিয়ে কর্মসূচি শুরু
সেন্টমার্টিনে যেতে নিবন্ধনসহ যা করতে হবে পর্যটকদের
সিটি কলেজ অন্যত্র সরিয়ে নেওয়াসহ ৯ দাবি ঢাকা কলেজ কর্তৃপক্ষের
ট্রাইব্যুনাল চাইলে বিচার কাজের অডিও ভিজ্যুয়াল প্রচার করতে পারবে
বিসিবির ঘোষিত পুরস্কারের অর্থ বুঝে পেলেন সাবিনারা
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৩৪
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিশাল নিয়োগ, নেবে ৫৩০ জন
খোদা বকশ-আলী ইমামরা গণতন্ত্রের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন : রিজভী
গোবিন্দগঞ্জে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে পথচারীর মৃত্যু
ব্যাংককে একান্তে সময় কাটাচ্ছেন রাফসান-জেফার!
নতুন আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পেলেন বাহারুল আলম
হাসিনা সরকার বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে ধ্বংস করে ফেলেছে: আমিনুল হক
ডিএমপির নতুন কমিশনার শেখ সাজ্জাদ আলী