সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪ | ২৪ আষাঢ় ১৪৩১
Dhaka Prokash

৭ মাসে ৩০ বিলিয়ন ডলার হারিয়েছেন ইলন মাস্ক

ছবি: সংগৃহীত

২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সাত মাসে ইলন মাস্কের সম্পদের পরিমাণে প্রায় ৩০ বিলিয়ন বা ৩ হাজার কোটি ডলার হ্রাস পেয়েছে। বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তি মাস্ক, এই সময়কালে এত বিশাল অঙ্কের সম্পদ হারানো একমাত্র বিলিওনিয়ার।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ফোর্বস সাময়িকীর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি মাস্কের মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ২৫১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু জুনের ২৮ তারিখে মার্কিন শেয়ার বাজারের তথ্য অনুযায়ী, তার সম্পদের পরিমাণ কমে ২২১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। অর্থাৎ সাত মাসে মাস্কের মোট সম্পদ হ্রাস পেয়েছে প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলার।

মাস্কের সম্পদ কমে যাওয়ার পেছনে প্রধান কারণ হলো টেসলার সাবেক কর্মচারীদের করা একটি মামলায় জানুয়ারি মাসে ক্ষতিপূরণ হিসেবে তাকে ৫১ বিলিয়ন বা ৫ হাজার ১০০ কোটি ডলার প্রদান করতে হয়েছিল। এই ক্ষতিপূরণ এখনো মাস্কের সম্পদে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে।

তবে এত অর্থ হারানোর পরও ইলন মাস্ক বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হিসেবে থাকছেন। ফোর্বস ম্যাগাজিন মাস্কের এই সম্পদ হ্রাসকে ‘বিরল লোকসান’ বলে উল্লেখ করেছে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বিরা এখনো তাকে অতিক্রম করতে পারেননি।

Header Ad

চুয়াডাঙ্গায় টিআর কর্মসূচীর আওতায় বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের চেক বিতরণ

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচীর আওতায় বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে চেক বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার (৮ জুলাই) বেলা ১২টায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে এ চেক বিতরণ অনুষ্ঠান হয়। 

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা-তুজ-জোহরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উপকারভোগীদের মধ্যে চেক বিতরণ করেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর। 

চেক বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর বলেন, শেখ হাসিনা সরকার বাংলদেশকে প্রতি মুহূর্তে উন্নয়নের চূড়ায় পৌঁছানোর পিছনে কাজ করে চলেছে এবং তা সফলের পথে। বর্তমান দেশে শিক্ষা, চিকিৎসা, খাদ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা, অর্থনীতিসহ সকল ক্ষেত্র আলোকিত করাতে এ সরকার সক্ষম হয়েছে, অন্যরা তা কোনো দিনই করতে পারেনি।

তিনি আরও বলেন, কোনো কুচক্রিমহল আওয়ামী লীগ সরকারকে দমাতে পারবে না। দেশের মানুষ দেশের উন্নয়নের স্বার্থে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য সরকার চায় না। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল দিক খেয়াল করেন। তিনি মানুষের কথা ভেবেই রাত দিন কাটান। তার প্রতিটি চিন্তা এ দেশের মানুেষের জন্য। আজ দেশের প্রতিটি মানুষ শান্তিতে আছে। আজ গ্রামেগঞ্জে পাকা রাস্তা হয়েছে। মানুষের জীবনমান দিন দিন উন্নত হচ্ছে। আমার চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের প্রায় সব জায়গায় পাকা রাস্তা হয়েছে। দু এক জায়গায় বাকি আছে, তাও কাজ চলছে। দ্রুতই তা শেষ হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম আশিস মোমতাজ, সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মাসুম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাসুমা খাতুন প্রমুখ। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হক, উপকারভোগী সংগঠনের প্রতিনিধি বেগমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হামিদুল্লাহ। উপজেলা পল্লী উন্নয়ন সমবায় কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনের পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা ত্রান ও পুনবার্সন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান।

 অনুষ্ঠানে ৩১টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ৫৫ হাজার, ৬০ হাজার ও ১ লাখ টাকা করে মোট ২০ লাখ টাকার চেক বিতরণ করা হয়।

নওগাঁয় ভটভটি উলটে প্রাণ গেল দুই গরু ব্যবসায়ীর

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর নিয়ামতপুরে ভটভটি উলটে দুই গরু ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় চালকসহ আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।

সোমবার (৮ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার নিয়ামপুর-টিএলবি সড়কের সাংশইল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের দামকুড়া গ্রামের শরিফ উদ্দিন (৬২) ও বনগাঁ গ্রামের শামীম রেজা (২৮)। নিহত ওই দুই ব্যক্তি গরু ব্যবসায়ী।

প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গরু ব্যবসায়ী শরিফ উদ্দিন ও শামীম গরু কেনার জন্য আজ দুপুরে ভটভটিতে করে উপজেলার ছাতড়া বাজারের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে নিয়ামতপুর -টিএলবি সড়কের সাংশইল মোড় এলাকায় বাঁক ঘুরার সময় ভটভটিটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে উলটে যায়। এতে গরু ব্যবসায়ী শরিফ উদ্দিন ও শামীম রেজা গাড়ির নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। গাড়ি থেকে ছিটকে পড়ে চালকসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে আহত দুইজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নিয়ামতপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) আল মামুন বলেন, সড়কের বাঁক ঘুরার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভটভটি উলটে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

পানিতে ভাসছে ঘরবাড়ি, বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকটে বানভাসি মানুষ

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে প্রমত্তা যমুনা নদীর পানি ভয়াবহ রুপ ধারণ করেছে। ধূ-ধূ বালু চরে এখন যে দিকে চোখ যায়, শুধু পানি আর পানি। কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল গাবসারা, অর্জুনা, গোবিন্দাসী ও নিকরাইল ইউনিয়নের ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

এদিকে পানি বৃদ্ধির ফলে পুরো চরাঞ্চল ও প্রত্যন্ত গ্রামগুলো পানিতে কানায়-কানায় পরিপূর্ণ। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে উপজেলার অসংখ্য ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে এবং অনেকের ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। পোকা-মাকড়ের আতঙ্কে নিঘুম রাত্রীযাপন করছেন বানভাসি লোকজন।

সরেজমিনে উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের কালিপুর, রুলীপাড়া, চন্ডিপুর, জয়পুর, পুংলীপাড়া, রেহাইগাবসারা ও ফজলের হাট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পুরো চরাঞ্চল পানিতে ভরপুর। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দির, ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। চরাঞ্চলের অনেকে নৌকায় বা স্বজনদের বাড়ি ও উঁচু জায়গা আশ্রয় নিয়েছেন।

গাবসারার কালিপুর গ্রামের সবুর আলী জানান- ‘৩/৪ দিন ধরে পানিবন্দি হয়ে আছি। ১২ জনের পরিবার, শিশু সন্তান ও বৃদ্ধদের নিয়ে চরম দুর্ভোগে রয়েছি। চরে সব জায়গায় পানি আর পানি। এছাড়া কাজকর্ম বন্ধ হয়ে গেছে। ঘরে খাবারও নেই, দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট। কোনো রকম খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছি’।

একই গ্রামের আছর উদ্দিন, শফিকুল ইসলামসহ অনেকে বলেন- ‘বাড়িতে পানি, যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। নৌকাতেই থাকতে হচ্ছে। নতুন পানিতে পোকা-মাকড়ের উপদ্রব বেড়ে গেছে। সবার মাঝে ভয় ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাদের অভিযোগ, কয়েকদনি ধরে পানিবন্দি থাকলেও এখনো কোনো ত্রাণ সহায়তা পাননি’।

এদিকে, রবিবার বিকালে উপজেলার অর্জুনা পরিষদ মাঠে বন্যা কবলিত অসহায়দের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে মানবিক সহায়তা সামগ্রী বিতরণ করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং জেলা প্রশাসন। এতে অতিথি ছিলেন- স্থানীয় সংসদ সদস্য ছোট মনির ও জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম প্রমুখ।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মামুনুর রশীদ বলেন- ‘বন্যার্তদের মাঝে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, খাবার স্যালাইন বিতরণ চলমান রয়েছে। এছাড়াও পানিবন্দিদের তালিকা সম্পন্ন। অতিদ্রুত তাদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা এবং ভাঙন কবলিত রাস্তায় যাতায়াতের জন্য আপাতত বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে দেওয়া হবে।

ক্যাপশন: পানিতে তলিয়ে গেছে যমুনা নদীর দুর্গম চরাঞ্চলের অসংখ্য ঘরবাড়ি। দুর্ভোগ পড়েছেন বানভাসি মানুষ। ছবিটি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের কোনাবাড়ী চর এলাকা থেকে তোলা।

সর্বশেষ সংবাদ

চুয়াডাঙ্গায় টিআর কর্মসূচীর আওতায় বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের চেক বিতরণ
নওগাঁয় ভটভটি উলটে প্রাণ গেল দুই গরু ব্যবসায়ীর
পানিতে ভাসছে ঘরবাড়ি, বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকটে বানভাসি মানুষ
র‌্যাবের চার ব্যাটালিয়নসহ পাঁচ পরিচালককে বদলি
কোটার বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত: শিক্ষামন্ত্রী
নিরাপত্তায় গানম্যান পেলেন ব্যারিস্টার সুমন
রথযাত্রায় আহতদের কেউই শঙ্কামুক্ত নন : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
কাস্টমস কমিশনার এনামুলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নিজ বাড়ির সামনে বৃদ্ধকে গলা কেটে হত্যা!
ডিএনএ নমুনা দিতে কলকাতায় যাচ্ছেন ডরিন
হঠাৎ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে ওবায়দুল কাদের
আজকের এই দিনেই ৭ গোল খেয়েছিল ব্রাজিল
সবচেয়ে বেশি স্মার্টফোনে আসক্ত এই ১০ দেশের মানুষ
কোটা বাতিলের দাবিতে এবার রেলপথ অবরোধ করলেন রাবি শিক্ষার্থীরা
কোটা বাতিল ইস্যুতে সরকার আন্তরিক: ওবায়দুল কাদের
চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে খালেদা জিয়া
চার বিভাগে টানা ৩ দিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে নিহত ১১, নিখোঁজ ১৯
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সূচি ফাঁস, বাংলাদেশের ম্যাচগুলো কবে কোথায়
অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে ড. ইউনূস