রোজা রেখেই মাঠে নামছেন লামিনে ইয়ামাল, থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা

লামিনে ইয়ামাল। ছবি: সংগৃহীত
ইউরোপিয়ান ফুটবলের সেরা মঞ্চে মুসলিম ফুটবলারদের জন্য রোজা পালন করা এক চ্যালেঞ্জ। দিনের বেলায় রোযা, রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বা লা লিগার মতো উচ্চ পর্যায়ের ম্যাচে মাঠে নামার দায়িত্ব। মোহাম্মাদ সালাহ, নাসের মাজরাউই, ওমর মারমৌশ সহ আরও অনেক ফুটবলার রোজা রেখে খেলেন। সেই তালিকায় যোগ হয়েছেন ফুটবলের উঠতি তারকা, বার্সেলোনার তরুণ সেনসেশন লামিনে ইয়ামাল।
বাবা মরক্কোর, মা গিনির। স্পেনে জন্মগ্রহণ করা লামিনে ইয়ামাল মুসলিম পরিবারের সন্তান এবং এখন হ্যান্সি ফ্লিকের বার্সেলোনা দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। সম্প্রতি শুরু হওয়া পবিত্র রমজান মাসে বিশ্বের অন্য মুসলমানদের মতো তিনিও রোজা পালন করছেন। এবং তবুও, লা লিগা কিংবা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে মাঠে নামছেন।

তবে সম্প্রতি গুঞ্জন উঠেছে যে, ক্লাব কর্তৃপক্ষ ইয়ামালের রোজা রাখার বিষয়ে কোনো বাধা সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে, বেনফিকার বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম লেগে তাকে দ্রুত তুলে নেওয়া নিয়ে অনেকেই মনে করেন, এটি রমজানের রোজা রাখার কারণে হতে পারে। তবে স্প্যানিশ গণমাধ্যম ডিয়ারিও এএস জানিয়েছে, কোচ ফ্লিক ওই ম্যাচে ইয়ামালকে ট্যাকটিকাল কারণে উঠিয়ে নেন।
এদিকে, ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, রোজা রাখার বিষয়ে ইয়ামালকে কোনো বিধিনিষেধের মধ্যে পড়তে হচ্ছে না। বরং, ক্লাবের মেডিক্যাল টিম তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ইয়ামালের সাহরি ও ইফতারের জন্য ক্লাবের পুষ্টিবিদ বিশেষ মেন্যু নির্ধারণ করেছেন, যাতে তিনি সঠিক পুষ্টি পান।
বার্সেলোনায় আগে ফ্র্যাংক কেসি এবং ওসমান ডেম্বেলে রমজান মাসে রোজা রেখেই মাঠে নেমেছেন এবং সফলভাবে খেলে আসছেন। এমনকি ক্লাব কর্তৃপক্ষ ম্যাচের দিনেও ইয়ামালের জন্য ইফতারের ব্যবস্থা করছে, যাতে তিনি রোজা রাখার পরেও খেলায় প্রস্তুত থাকতে পারেন।
ইয়ামাল বর্তমানে বার্সেলোনার লা মাসিয়া থেকে তার দাদি ফাতিমা এবং চাচা আব্দুলের বাড়িতে অবস্থান করছেন। রমজানে ইফতার এখানেই করা হচ্ছে, আর ক্লাবও ম্যাচের সময় ইফতার করার ব্যবস্থা রাখছে। আজ রাতে বেনফিকার বিপক্ষে ম্যাচের আগে যদি ইয়ামাল শুরুর একাদশে থাকেন, তাহলে রোজা রেখে খেলতে নামতে হবে তাকে, এবং খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে থাকাকালীন সময়ে তাকে ইফতার করার সুযোগ দেয়া হবে।
