আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তৌহিদ হৃদয়ের অভিষেক
মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি পেয়ে গিয়েছিলেন বিপিএলে মাত করা তৌহিদ হৃদয় টি-টোয়েন্টির আগে ওয়ানডে দলে জায়গা পেয়ে। অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন তার ওয়ানডে অভিষেকও হয়ে যাবে। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে তার আর অভিষেক হয়নি।
ওয়ানডেতে তৌহিদ হৃদয়ের অভিষেক হলে সেটি হতো তার জন্য বোনাস। কিন্তু অভিষেক না হওয়াতে তিনি আর সেই বোনাস পাননি। কিন্তু বিপিএল পারফরম্যান্স দিয়ে তিনি যখন ওয়ানডে দলে ডুকে পড়েন, তখন টি-টোয়েন্টি দলে ডাক পাওয়া এবং সেরা একাদশে খেলা ছিল সহজেই অনুমেয়।
কিছু কিছু বিষয় থাকে যা সহজেই পূর্বানুমান করা যায়। কিন্তু সব ক্ষেত্রে আবার তা সম্ভব হয় না। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের জন্য ঘোষিত দলে ৫ জনকে পরিবর্তন করা হয়। কিন্তু এই ৫ জনের পরিবর্তে সুযোগ পাওয়াদের মাঝে একমত্র তৌহিদ হৃদয়ের সেরা একাদশে খেলা যতটা নিশ্চিতভাবে অনুধাবন করা গেছে, ততটা আবার করা যায়নি বাকি ৪ জনের ক্ষেত্রে। শামীম হোসেন ও রনি তালুকদর একাদশে ফিরলেও তৌহিদের মত অভিষেক হয়নি রেজাউর রহমান ও তানভীর ইসলামের।
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ী দলের গর্বিত সদস্য তৌহিদ হৃদয় এবারের বিপিএল ৫টি হাফ সেঞ্চুরিতে ৪০৩ রান করে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী হয়েছিলেন। শুরুতে বিপিএল মাতিয়ে তিনিই ছিলেন সবার উপরে। কিন্তু ইনজুরির কারণে তিনি। দুইটি ম্যাচ খেলতে পারেননি।
তৌহিদ হৃদয় বিপিএল মাতিয়েছিলেন টানা তিন ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করে তিনটিতেই ম্যাচ সেরা পুরস্কার জিতে। এই তিনিই কিন্তু শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে কোনো রান করতে পারননি। এবারের বিপিএলে তার ইন্সিগুলো ছিল ৫৫,৫৬, ৮৪, ৪, ০, ১৫ ,৭৪. ৮৫*, ৫.০.২৫.০। প্রথম ম্যাচে তিনি ব্যাটিং করার সুযোগ পাননি। ১৩ ম্যাচের ১২ ইনিংসে ব্যাট করে ১৪০.৪১ স্ট্রাইকরেটে তিনি রান করেছিলেন ৪০৩ রান। তার উপরে ছিলন রনি তালুকদার (৪২৫) ও নাজমুল হোসেন শান্ত (৫১৬)।
এবার শুরু হলো তার আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পথ চলা। সেই পথ মসৃন হবে, না কঠিন হবে তা তৌহিদ হৃদয় নিজেকেই তৈরি করে নিতে হবে। রান করতে পারলে মসৃন, না করতে পারলে পিচ্ছিল!
এমপি/এমএমএ/