ইকুয়েডরকে বিদায় করে নকআউটে সেনেগাল
প্রথম রাউন্ডের বাধা টপকাতে ড্র-ই যথেষ্ট ছিল ইকুয়েডরের। খলিফা স্টেডিয়ামে সহজ এই সমীকরণ মেলাতে পারেনি লাতিন অঞ্চলের দলটি। উল্টো কঠিন চাপের মুখেও শ্বাসসরুদ্ধকর ম্যাচে ইকুয়েডরে কাঁদিয়ে নকআউটে নাম লিখিয়েছে সেনেগাল।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) বাঁচা-মরার লড়াইয়ে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে ইকুয়েডরের বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতেছে সেনেগাল। ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম আফ্রিকান দল হিসেবে কাতার বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে উঠেছে তারা। সমান ম্যাচ শেষে ৪ পয়েন্ট নিয়ে বাড়ি ফেরার বিমান ধরবে ইকুয়েডরের ফুটবলাররা।
খলিফা স্টেডিয়ামে নিজেদের ভুলেই প্রথম গোল হজম করে লাতিনের দলটি। নিজেদের ডি-বক্সে ইসমাইলা সারকে পেছন থেকে ফাউল করেন ইকুয়েডর ডিফেন্ডার পিয়েরো হিনক্যাপি। সঙ্গে সঙ্গেই পেনাল্টি বাঁশি বাজান রেফারি। ৪৪ মিনিটে সেই শট নিতে এসে ভুল করেননি সার (১-০)।
দ্বিতীয়ার্ধে ইকুয়েডর শিবিরে স্বস্তি ফেরান ময়েসেস কাইসেডো। ৬৭ মিনিটে ফার্নান্দো তোরেসের অ্যাসিস্টে দলকে সমতায় ফেরান এই মিডফিল্ডার। কিন্তু সেই স্বস্তি তিন মিনিটের বেশি স্থায়ী হয়নি ইকুয়েডর শিবিরে। ৭০ মিনিটে ফের দলকে এগিয়ে নেন কালিদৌ কুলিবালি (২-১)।
টুর্নামেন্টে টিকে থাকার লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত লড়ে গেছে ইকুয়েডর। অপরদিকে এগিয়ে থাকায় শেষ মুহূর্তে রক্ষণে মনোযোগী ছিল সাদিও মানেহীন সেনেগাল। তারই উপহারস্বরূপ নকআউটে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে আফ্রিকার দলটি। বিশ্বকাপে তৃতীয় অংশগ্রহণে দ্বিতীয়বারের মতো গ্রুপপর্বের বাধা টপকে গেল তারা।
ফিফার মেগা ইভেন্টে ২০০২ সালে প্রথম অংশগ্রহণে কোয়াটার ফাইনাল পর্যন্ত ছুটেছিল সেনেগাল। রাশিয়ায় সবশেষ সংস্করণে ছিটকে যায় গ্রুপপর্ব থেকে। এবার কাতারে সেরা ফরোয়ার্ড মানেকে হারিয়েও শেষ ষোলোতে খেলার টিকেট হাতে পেল আফ্রিকার দেশটি।
/এএস