বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫ | ২১ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

হাল ছাড়ছে না ডেনমার্ক

দুই ম্যাচে মাত্র এক পয়েন্ট পেয়েছে ডেনমার্ক। আগামীকাল গ্রুপপর্বে তাদের শেষ ম্যাচ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে, যারা ৩ পয়েন্টে ‘ডি’ গ্রুপে সুবিধাজনক স্থানে (টেবিলের দুইয়ে) আছে। নকআউট নিশ্চিত করতে কাল আল জানুবে সকারুদের হারাতেই হবে তিনে থাকা ড্যানিশদের।

এই গ্রুপ থেকে সবার আগে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে ফ্রান্স। কাল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের মুখোমুখি হবে তিউনিশিয়া। যদি ম্যাচটি হেরে যায় আফ্রিকান দলটি, তাহলে জিতলেই পরের রাউন্ডে চলে ডেনমার্ক। যদি ড্র করে ড্যানিশরা, তবে নকআউটে খেলবে অস্ট্রেলিয়া। মজার বিষয় হলো দুটো ম্যাচই শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১টায়।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে ডেনমার্ক কোচ ক্যাসপার হুলমান্ড বলেন, ‘অবশ্যই ফ্রান্স-তিউনিসিয়া ম্যাচে আমাদের চোখ থাকবে। তবে সবার আগে আমাদের ম্যাচ জিততে হবে এবং আশা করি এটাই যথেষ্ট হবে। যদি দেখা যায় যে এটা যথেষ্ট নয়, কারণ তিউনিশিয়া জিতেছে এবং কিছু গোল করেছে, তাহলে আমাদেরও তেমন কিছু করতে হবে। অবশ্যই আমাদের সেই সামর্থ্য আছে।’

ড্যানিশরা তাদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে পারলে কপাল পুড়বে অস্ট্রেলিয়ার। তাই সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবে সকারুরা- এমনটা উল্লেখ করে অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক ম্যাথু লেকি বলেছেন, ‘নকআউটে ওঠতে একটি ম্যাচ বাকি। সেখানে থাকার জন্য আমরা কয়েক বছর ধরে কাজ করেছি.... প্রধান অনুভতিগুলা হলো প্রেরণা এবং উদ্দীপনা। আমরা জানি আমাদের কী করতে হবে।’

ম্যাচ ফ্যাক্ট
* বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বার মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া এবং ডেনমার্ক। ২০১৮ সংস্করণে প্রথম দেখায় গ্রুপপর্বের ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র করেছিল দুই দল।

* সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ডেনমার্কের বিপক্ষে চার ম্যাচে মাত্র একটিতে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া (১ ড্র, ২ হার)। ২০১০ জুনে প্রীতি ম্যাচে সকারুরা জিতেছিল ১-০ গোলে।

* বিশ্বকাপে ইউরোপিয়ান দলের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া তাদের সবশেষ ১১ ম্যাচের ৮টিতে হেরেছে অস্ট্রেলিয়া (১ জয়, ২ ড্র)। একটি ম্যাচেও ক্লিনশিট রাখতে পারেনি তারা।

* ডেনমার্ক বিশ্বকাপে তাদের সবশেষ পাঁচ ম্যাচের একটিতেও জয়ের দেখা পায়নি (৪ ড্র, ১ হার)।

* বিশ্বকাপে ছয় অংশগ্রহণে দ্বিতীয়বারের মতো নকআউট খেলার স্বপ্ন দেখছে অস্ট্রেলিয়া। প্রথমবার খেলেছিল ২০০৬ সালে সংস্করণে।

* দ্বিতীয়বারের মতো ব্যাক-টু-ব্যাক বিশ্বকাপে নকআউট খেলার অপেক্ষায় ডেনমার্ক। এর আগে ১৯৯৮ এবং ২০০২ সালে প্রথম রাউন্ডের বাধা টপকে গিয়েছিল ড্যানিশরা।

/এএস

Header Ad
Header Ad

নাগরিক পার্টি ছাড়লেন আবু হানিফ, ফিরে গেলেন গণ অধিকার পরিষদে

আবু হানিফ। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়কের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন আবু হানিফ। দল ছাড়ার পর তিনি তার আগের রাজনৈতিক সংগঠন গণ অধিকার পরিষদে ফিরে গেছেন, যেখানে তিনি উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

আজ বৃহস্পতিবার এনসিপির শীর্ষ নেতার কাছে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দেন আবু হানিফ। পদত্যাগের বিষয়ে তিনি বলেন, "আমি এনসিপি থেকে পদত্যাগ করে গণ অধিকার পরিষদের স্বপদে ফিরে এসেছি।"

আবু হানিফের ফিরে আসাকে স্বাগত জানিয়েছেন গণ অধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসান। বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, "গণ অধিকার পরিষদ যার হৃদয়ে, তারা কখনোই গণ অধিকার পরিষদ ছাড়া অন্য কোথাও থাকতে পারবে না।"

উল্লেখ্য, সম্প্রতি এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ এক টকশোতে দাবি করেন, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর তার দল বিলুপ্ত করে এনসিপিতে যোগ দিতে চান।

তবে, এ দাবি সম্পূর্ণ অসত্য বলে জানিয়েছেন নুরুল হক নুর ও তার দলের অন্যান্য নেতারা।

Header Ad
Header Ad

প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে চীন যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে চীন যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আগামী ২৬ মার্চ দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের পাঠানো বিশেষ ফ্লাইটে দেশটির উদ্দেশে রওয়ানা দেবেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সফরকালে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ২৮ মার্চ ড. ইউনূসের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

চীনের হাইনান প্রদেশে আগামী ২৫ থেকে ২৮ মার্চ বাউ (বিওএও) ফোরাম ফর এশিয়ার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনটিতে অংশ নিতে প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানায় চীন। এরপর বাংলাদেশ সবুজ সংকেত দিলে সফরটি চূড়ান্ত হয়।

এর আগে ২০ থেকে ২৪ জানুয়ারিতে প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে চীন যান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। সেই সফরের ধারাবাহিকতায় এবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চীনে যাচ্ছেন।

Header Ad
Header Ad

রোজায় বেড়েছে আনারসের চাহিদা, দ্রুত পাকাতে রাসায়নিক ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকি

টাঙ্গাইলের মধুপুরে পাহাড়ি অঞ্চলের নানা জাতের আনারস চাষ ও রাসায়নিক ব্যবহার। ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

পবিত্র মাহে রমজানে টাঙ্গাইলের মধুপুরের ‘জিআই’ পণ্য আনারসের চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। বর্তমানে হাট-বাজারে যেসব আনারস পাওয়া যাচ্ছে, তার অধিকাংশই জলডুগি জাতের। তবে চাষিরা ন্যায্যমূল্য না পেলেও পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বেশি দামে আনারস বিক্রি করছেন, এমন অভিযোগ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা।

অপরদিকে, দ্রুত লাভের আশায় কৃষকরা ব্যাপক হারে রাসায়নিক ব্যবহার করছেন, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে একদিকে যেমন আনারস দ্রুত বড় ও পাকছে, অন্যদিকে এর স্বাদ, গুণগতমান এবং নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

মধুপুর উপজেলার বিভিন্ন বাগানে প্রানোফিক্স, সুপারফিক্স, রাইপেন, ইথোফন, জিব্রেলিক এসিডসহ নানা রাসায়নিক ব্যবহার করা হচ্ছে। বিশেষ করে, ৬০ পাতা হওয়ার আগেই কৃত্রিমভাবে ফল ধরানোর জন্য রাসায়নিক প্রয়োগ করা হচ্ছে।

এক চাষি আক্কাস আলী বলেন, “প্রাকৃতিকভাবে আনারস একসঙ্গে পাকে না, কিন্তু রাসায়নিক ব্যবহার করলে সব আনারস একসঙ্গে পেকে যায়। এ কারণে শিয়াল, বানর, টগা, কটাবানরও এখন আর আনারস খায় না। মানুষও খাওয়া কমিয়ে দিয়েছে, তবে দেশের বাজারে ঠিকই বিক্রি হচ্ছে।”

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

একজন ব্যবসায়ী আব্দুল বারেক জানান, “রমজানের আগে বাগান কিনে নেই। কিন্তু ক্রেতারা বড় ও উজ্জ্বল রঙের আনারস চান, তাই রাসায়নিক ব্যবহার করতে বাধ্য হই। এতে লাভও বেশি হয়।”

ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও কৃষিবিদ আব্দুল লতিফ তালুকদার বলেন, “এভাবে রাসায়নিক ব্যবহারে মানবদেহে নানা জটিল রোগ সৃষ্টি হতে পারে, বিশেষ করে কিডনি ও লিভারের ক্ষতি হতে পারে। তাই অসময়ে রাসায়নিক মিশ্রিত আনারস না খাওয়াই ভালো।”

তিনি আরও বলেন, “টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী আনারস ‘জিআই’ পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। কৃষি বিভাগকে আরও কঠোর মনিটরিং করতে হবে, যাতে চাষিরা রাসায়নিকের অপব্যবহার না করেন।”

মধুপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রাকিব আল রানা জানান, “মধুপুরের আনারস সুস্বাদু ও রসালো। কিন্তু অনেকে দ্রুত পাকানোর জন্য রাসায়নিক ব্যবহার করছেন, যা স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে। আমরা কৃষকদের সচেতন করার পাশাপাশি বিভিন্ন ওষুধের দোকানও মনিটরিং করছি।”

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

রমজানে আনারসের চাহিদা বাড়লেও অতিরিক্ত রাসায়নিক ব্যবহারে এর গুণগতমান ও নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারি মনিটরিং বৃদ্ধি এবং চাষিদের সচেতনতা বাড়ানো না গেলে আনারসের ঐতিহ্য রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নাগরিক পার্টি ছাড়লেন আবু হানিফ, ফিরে গেলেন গণ অধিকার পরিষদে
প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে চীন যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
রোজায় বেড়েছে আনারসের চাহিদা, দ্রুত পাকাতে রাসায়নিক ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকি
সন্তানের জন্য ‘ডন থ্রি’ সিনেমা থেকে সরে দাঁড়ালেন কিয়ারা
অস্থিরতার কারণে এ বছর নির্বাচন কঠিন হবে: রয়টার্সকে নাহিদ ইসলাম
চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরলেন মির্জা ফখরুল
বিয়ে বাড়িতে প্রবেশের আগমুহূর্তে বরের মৃত্যু
মুশফিক অযু ছাড়া ব্যাট-বল স্পর্শ করতেন না: মুশফিকের স্ত্রী
বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে ভারত, পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও ভালো উন্নতি বাংলাদেশের
ছাত্র-জনতা কোথাও অভিযান চালাতে পারে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফ্রান্সে মুসলিম খেলোয়াড়দের রোজায় নিষেধাজ্ঞা
স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন আবরার ফাহাদসহ ৯ বিশিষ্ট ব্যক্তি
রাবিতে সভাপতি নিয়োগ নিয়ে দুই পক্ষের ধস্তাধস্তি
মিরপুরে মুশফিককে ‘গার্ড অব অনার’ দিল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব
‘ভালোবাসার মানুষের’ বাহুডোরে পরীমণি, আলোচনায় শেখ সাদী
আতিউর, বারাকাতসহ ২৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
কিশোরগঞ্জ বার নির্বাচনে আওয়ামীপন্থীদের জয়জয়কার
এনআইডি নির্বাচন কমিশনেই রাখা হোক: সিইসি
কুবি শাখা ছাত্রদলের উদ্যোগে নৈশপ্রহরীদের মাঝে সেহরি বিতরণ
পোশাক নিয়ে ঢাবি ছাত্রীকে হেনস্তা, কর্মচারী মোস্তফার জামিন