মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫ | ১৮ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

সাক্ষাৎকার

প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট হকি খেলোয়াড় তৈরি করতে চান সাঈদ

ক্রীড়াঙ্গনের প্রাণ কেন্দ্র পল্টন ময়দান। এক সময় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম নিয়ে যখন ফুটবল ও ক্রিকেটের মধ্যে কাড়াকাড়ি চলেছে, তখন মাওলানা ভাসানী স্টেডিয়াম এককভাবে হকির জন্য বরাদ্দ। কিন্তু এ রকম একটি স্টেডিয়াম পেয়েও হকিতে প্রাণচাঞ্চল্য নিয়ে আসা সম্ভব হয়নি। লিগ হয়ে পড়ে অনিয়মিত। অনেক বিলম্বে সেখানে ফিরে আসে প্রাণচাঞ্চল্য। আর এটি সম্ভব হয়েছে ২০১৯ সালে হকি ফেডারেশনের নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মুমিনুল হক সাঈদ সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আসার পর। কিন্তু মাঝে তিনি বেশ কিছু দিন সময় দিতে না পারায় আবার ঝিমিয়ে পড়েছিল। এরই মাঝে তিনি বাংলাদেশ থেকে প্রথমবারের মতো এশিয়ান হকি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি আবার ফিরে আসাতে, ফিরে আসতে শুরু করেছে হকির সেই প্রাণচাঞ্চল্য।

হকিতে আবার ফিরে আসার পর অনূর্ধ্ব-১৯ হকি দল বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব খেলতে যাওয়ার আগে ভারত পাঠিয়ে অনুশীলন ও ম্যাচ খেলার ব্যবস্থা করেছেন। মেয়েদের হকি লিগ শুরু করতে যাচ্ছেন সহসাই। দ্বিতীয় বিভাগের ক্লাবগুলকে নিজেরে পকেটের টাকা দিয়ে লিগ খেলার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশে তৈরি করতে চান স্মার্ট হকি খেলোয়াড়। সামনে আবার হকি ফেডারেশনের নির্বাচন। হকি সংশ্লিষ্ট অধিকাংশই চান তিনি যেন আবার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে আসেন। দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে তিনি হকির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঢাকাপ্রকাশ-এর সঙ্গে কথা বলেছেন।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি ফিরে আসাতে হকিতে আবার প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। কীভাবে দেখছেন বিষয়টিকে?

সাঈদ: একজন সংগঠকের দক্ষতা তার সংগঠনিক পরিচয় বহন করে। আমি একজন সংগঠক হিসেবে শুধু হকি নয়, বেশ কিছু ইভেন্টের সঙ্গে জড়িত আছি। আমি যেখানে যখন যে দায়িত্ব পেয়েছি, চেষ্টা করেছি আমার মেধা সর্বোচ্চটুকু দিয়ে সেটিকে উজ্জীবিত করে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। আমি মনে করি এটি আমার দক্ষতা। আজকের এই প্রাণপাঞ্চল্য বলেন আর উৎসাহ-উদ্দীপনা বলেন আমি আমার সংগঠনিত অভিজ্ঞতা-দক্ষতা থেকে এটি করতে পেরেছি বলে মনে করি।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি যখন প্রথম নির্বাচিত হয়ে হকি ফেডারেশনে আসেন, তখনো দেখা গিয়েছিল একই রকম প্রাণচাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিল। তাহলে এটা কি বলা যায় হকি আপনার উপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে?

সাঈদ: আমি দায়িত্ব পাওয়ার পর হকিতে নতুন উদ্যোমে, নতুন করে যে কাজ শুরু হয়েছিল, তা এখনো আছে।সামনের দিনেও এই বিষয়গুলো অব্যাহত থাকবে। আমি এসে ফিজিক্যালি চেষ্টা করছি। ক্লাবগুলোর যে দাবি দাওয়ার বিষয় ছিল, জেলা-বিভাগের যে দাবি দাওয়ার বিষয়গুলো ছিল, তারা আশা করে থাকে তা পূরণের। আমি অবস্থান বিশ্লেষন করেই সেগুলো শুনেছি,পর্যলোচনা করেছি। তাদের আশ্বস্ত করেছি। কিন্তু আবার জাগরণে মতোই হকি মাঠে গড়াচ্ছে।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি না থাকার সময় হকি আর্থিক সমস্যায় পড়েছিল। এই সমস্যা এখন কি কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন?

সাঈদ: আসলে এটিকে অস্বীকার করার উপায় নেই ‘মানি ইজ সেকেন্ড গড’ কিংবা আমি-আপনি কেউ এটি বাদ দিয়ে চলতে পারব? পৃথিবীতে অর্থটাকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেওয়া হয়। এখানে ফিন্যান্সিয়াল বিষয়টা আপনাকে দেখতে হবে। ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে চেয়ার দখল করে বসে থাকলেতো চলবে না। আপনাকে পকেটের অর্থ খরচ করতে হবে। কোথাও যাতে কোনো কিছু আটকে না থাকে, সে চেষ্টা করতে হবে।

আসলে গার্জেনের উপর সব কিছু ডিপেন্ড করে। করোনাকালীণ সময়ে আমার ব্যক্তিগত কিছু সমস্যার কারণে, আমার শারীরিক অসুস্থার কারণে, ফ্যামিলের মেম্বারদের অসুস্থার কারণে মাঝখানে বেশ কিছুদিন আমি সময় দিতে পারিনি। সে সময় আসলে অভিভাবক না থাকার কারণ, অর্থ না থাকার কারণে সব কিছু মন্থর গতিতে এগোচ্ছিল। আমি এসে যতটুকু পেরেছি, সেখান থেকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।

ঢাকাপ্রকাশ: প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ হকি লিগ শেষ হয়েছে। শোনা যাচ্ছে এই সব ক্লাবগুলোকে আপনি ব্যক্তিগত অনুদান দিয়ে মাঠে নামানোর ব্যবস্থা করেছেন?

সাঈদ: ক্লাবগুলোর অর্থনৈতিক যে সমস্যা আছে তা আমি আন্তরিকতা দিয়ে সমাধান করার চেষ্টা করেছি। আমাদের দুভার্গ্য যে বর্তমান অর্থনীতি বিশ্লেষণ করলে লোকজন ডোনেট করত। এখন আর ক্লাবগুলোকে কেউ ডোনেশন করতে চায় না। জেলাগুলোতে কিছু বরাদ্দ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে থাকলেও ক্লাবগুলো জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। এ জন্য অনেক ক্লাব প্রতিকুল অবস্থায় রয়েছে। সেজন্য ক্লাবগুলোর কিছু দাবি-দাওয়া থাকে। কিছু সমস্যা থাকে। আমি আন্তরিকতা দিয়ে চেষ্টা করেছি। আমার বন্ধুদের, আমার কমিটির সদস্যদের সাহায্য নিয়ে সেসব সমস্যা পূরণ করে হকিকে মাঠে রাখার জন্য।

ঢাকাপ্রকাশ: প্রিমিয়ার লিগ নিয়মিত হচ্ছে না। এটা নিয়মিত করার উদ্যোগ নেবেন কি?

সাঈদ: প্রিমিয়ার লিগ আমার সর্বোচ্চ আসর। কিন্তু আমি যদি তৃণমূল পর্যায় থেকে খেলোয়াড় তৈরি না করি, আমি যদি পাইওনিয়ার লিগ না করে, প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় বিভাগ লিগ না করে, শুধু প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে বসে থাকি, তাহলে জাতীয়ভাবে কোনোকিছু হবে না। আপনি যদি জাতীয় দলের খেলোযাড়দের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন, পাইপ লাইনে খেলোয়াড় না থাকে. তাহলে তারা আপনার উপর চেপে বসবে। তারা যা বলবে তাই হবে। আপনাকে সবদিক নিয়ে কাজ করতে হবে। তাহলে দেশের হকি এগিয়ে যাবে। এটি ঠিক প্রিমিয়ার লিগ সর্বোচ্চ। দেখা যাচ্ছে একটা বছর প্রিমিয়ার লিগ হয়েছে, প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ লিগ হলো না। আপনি যদি ফুল লিগ শেষ করতে না পারেন, পরের লিগটা শুরু করতে পারছেন না। করোনার সময় আমাদের একটা গ্যাপ পড়ে গিয়েছিল। এই কারণে নিয়মিত হয়নি। আমি আস্বস্থ করতে পারি। নেক্সট ইয়ার থেকে প্রিমিয়ার লিগ প্রতি বছরই অনুষ্ঠিত হবে। ইয়ারলি যে ক্যালেন্ডার করেছি। সে অনুযায়ী হকিকে এগিয়ে নিয়ে যাব।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই মেয়েদের হকিতে প্রাণচাঞ্চল দেখা গিয়েছিল। আপনার অনুপস্থিতকালীন তা আবার ঝিমিয়ে পড়ে। মেয়েদের হকিটা আসলে এখন কী পর্যায়ে আছে?

সাঈদ: স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে আমার হাত ধরেই মেয়েরা আর্ন্তজাতিক হকিতে প্রথম অংশগ্রহণ করে। মেয়েদের ফেডারেশনে রেখে, ভারত থেকে কোচ এনে, দীর্ঘদিন অনুশীলন করিয়ে, এমনকি ভারত থেকে দল এনে অনুশীলন ম্যাচ খেলিয়ে মেয়েদের নিয়ে গিয়েছিলাম। আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি প্রথম টুর্নামেন্টেই আমরা একটি ম্যাচে জয়লাভ করেছিলাম। আমাদের কিন্তু প্রাপ্তি ছিল। আমরা শূন্য হাতে ফিরে আসিনি। আমার প্রচেষ্টার কারণেই কিন্তু বিকেএসপিতে মেয়েদের যুক্ত করেছে। ইতিমধ্যে আমি মহিলা লিগ নিয়ে আলোচনা করেছি। অচিরেই ২/১ মাসের মাঝে মহিলা লিগ শুরু হয়ে যাচ্ছে। আমাদের প্রিমিয়ারের টপ পাঁচটি ক্লাবকে নিয়ে এই লিগ শুরু করব। এতে করে মেয়েদের অর্থনৈতিকভাবে সলভেন্ট হবে। প্রতি বছর লিগ হলে আমরা আর্ন্তজাতিক টূর্নামেন্টের জন্য আমাদের দলও গঠন করতে পারব। কিন্তু একট টূর্নামেন্ট করলাম। টুর্নামেন্ট শেষে তারা আবার চলে গেল তাতে লাভ হবে না। ক্লাবকে অ্যাক্টিভ করতে হবে, জেলাগুলোকে অ্যাক্টিভ করতে হবে। আমি যতদিন আছি, ইনশাল্লাহ চেষ্টা করব এই ইভেন্টটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।

ঢাকাপ্রকাশ: দেখা যায় যখনই নির্বাচন আসে, জেলাগুলো থেকে নিয়মিত কাউন্সিলার আসে। কিন্তু অনেক জেলাতেই নিয়মিত লিগই হয় না?

সাঈদ: একজন সংগঠক হিসেবে আমি চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছি। দেখুন হকি কিন্তু সাধারণ কোনো খেলা না। অনেক ব্যয়বহুল, আপানাকে মানতেই হবে। একটা ফুটবল দিয়ে ২২ জন খেলতে পারে। আপনি যদি ক্রিকেটের কথা চিন্তা করেন, সেখানেও কিন্তু এক সেট দিয়ে খেলা সম্ভব। কিন্তু হকিতে ২২ জনের জন্য ২২টা স্টিক লাগে।

গোলরক্ষকের গিয়ার্সের দাম লক্ষাধিক টাকার উপরে। চাইলেই প্রতি জেলা আয়োজন করতে পারে না। এ ছাড়া, সমান মাঠও লাগে। হকিটা ব্যয়বহুল হয়ে যাওয়ার কারণে জেলাগুলো নিয়মিত আয়োজন করতে পারে না। তারপরও আমার চেষ্টা আছে। আমি মাননীয় ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করেছি। আমাদের যে ক্রীড়া বান্ধব প্রধানমন্ত্রী আছেন তিনি স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট খেলোয়াড় তৈরি করার জন‌ যে ভিশন নিয়ে তিনি কাজ করছেন, আমার মনে হয় আমরা সবাই আন্তরিকভাবে কাজ করলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নকে স্বার্থক করতে পারব। স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট হকি খেলোয়াড় তৈরি করতে পারব।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনার অনুপস্থিত কালীন সময়ে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের কার্যক্রমকে কিভাবে মূল্যায়ন করবেন।

সাঈদ: আমার ব্যক্তিগতভাবে দেখার কিছু নেই। কারও জন্য কিন্তু কোনো কাজ থেমে থাকবে না। কাজ চলবে। ওই সময়টা সুন্দরভাবে ফেডারেশন চলেছে। আমার সঙ্গে সব সময়ই যোগাযোগ ছিল। ফিজিক্যালি উপস্থিত হতে না পারলেও যে সকল পেপার্সে আমার সিগনেচারের প্রয়োজন ছিল, কিংবা যে বিষয়ে সিদ্ধান্তের প্রয়োজন ছিল আমি অনলাইনে সেগুলো করেছি।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনার অনুপস্থিতিতে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ হয়েছে। ফ্যাঞ্চাইজি লিগকে আপনি হকির এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কতটা সুফল বগে আনবে?

সাঈদ: আমরা সবাই সুন্দরের পূজারি। চাকচিক্যকে আমরা সবাই ভালোবাসি। বাংলাদেশে আমরাই দ্বিতীয় ফেডারেশন যারা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ করতে পেরেছি। বর্তমান অবস্থাকে বিশ্লেষণ করে, আমরা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ চলমান রাখার সর্বাত্নক সর্বোচ্চ চেষ্টা করব এবং এটা চলমান থাকবে বলে আমি আশা করি।

ঢাকাপ্রকাশ: ফুটবল ও ক্রিকেটে আমরা দেখে থাকি যে তাদের মাদার সংগঠন ফিফা-আইসিসি বেশ ভালো পরিমান টাকা দিয়ে সহায়তা করে থাকে। এ ক্ষেত্রে হকি তাদের মাদার সংগঠনের কাছ থেকে কি পরিমান আর্থিক বা অন্যান্য সহয়তা পেয়ে থাকে।?

সাঈদ: ফিফা বিশ্বে সবচেয়ে শক্তিশালী একটি সংগঠন। তাদের অর্থনৈতিক আয়ের কথা কল্পনাও করা যায় না। ক্রিকেটের সব দেশ কিন্তু আবার ধনী না। আমরা যেহেতু আর্ন্তজাতিক টুর্নামেন্ট করতে পারি, তাই টেলিকাস্ট থেকে আয় করে আমাদের ক্রিকেট বোর্ডও কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী একটা অবস্থানে আছে। এটা তারা নিজেদের যোগ্যতায় পৌঁছেছে। এটা কিন্তু আইসিসি থেকে কোনো বরাদ্দ পাওয়ার মাধ্যমে পৌঁছায়নি। আমাদের যে সংস্থাগুলো রয়েছে এফআইএইচ, এএইচএফ উনারা যে কিঞ্চিৎ বাৎসরিক অনুদান দেন, তার সম্পূর্ণটাই ইন্সট্রুমেন্টে চলে যায়। তা আমরা সারা দেশের হকির বিস্তারে কাজ করি। অর্থনৈতিকভাবে আমাদের মাদার সংগঠনগুলো স্ট্রং না। সে ক্ষেত্রে এই বিষয়ে আমার বলার কিছু নেই।

ঢাকাপ্রকাশ: হকির মতো একটি ব্যয়বহুল খেলাকে এগিয়ে নিতে সরকারি সহযোগিতা কি আরও বাড়ানো প্রয়োজন?

সাঈদ: প্রত্যোক দেশের হকি সরকারের সাহায্য-সহযোগিতায়ই এগিয়ে যায়। বেশ কিছু দিন আগে উড়িষা রাজ্য সরকার ভারতে হকি ফেডারেশনের সঙ্গে চুক্তি করেছে ৮০০ কোটি রূপির। ইমাজিং, এটা চিন্তা করা যায়, একটা স্টেট হকির উন্নয়নের জন্য এভাবে চুক্তি করেছে। প্রত্যোক দেশই সরকারের তহবিল দিয়ে এগিয়ে যায়। সেভাবেই সারা বিশ্বে হকি এগিয়ে আসছে। আমাদেরও এই ধারাবাহিকতা আছে। সামনে এটি যদি আরও বৃদ্ধি হয়, স্পন্সরের যে সমস্যা রয়েছে, সেই সমস্যাগুলো যদি আমরা শেষ করতে পারি, আর প্রধানমন্ত্রী আমাদের আস্বস্ত করেছেন হকি ফেডারেশনের জন্য তিনি একটা বরাদ্দ করবেন। সেটা যদি আসে, আমাদের অর্থনৈতিক সমস্যা দূর হয়ে যাবে। কোনো কিছু আটকে থাকবে না। আমাদেরকে আর বলতে হবে না আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি। তখন আমরা প্রানবন্তভাবে হকিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।

ঢাকাপ্রকাশ: বাংলাদেশ থেকে প্রথম সংগঠক হিসেবে এশিয়ান হকি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। এটা বাংলাদেশের হকির উন্নয়নে কতটা ভুমিকা রাখতে পারবে বলে মনে করেন?

সাঈদ: আমি বাংলাদেশে থেকে সর্বপ্রথম ভোটে এএইচএফের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছি। আমি এশিয়ান হকি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছি বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের কাউন্সিলার হিসেবে। আমি ব্যক্তি সাঈদ সেখানে নির্বাচিত হইনি। আমি বিশ্বাসও করি না ব্যক্তি সাঈদের সেখানে কোনো অবস্থান হয়েছে। বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ হকি যে সব কাজ করেছে, সেসব বিবেচনা করেই ভোটাররা ভোট দিয়েছেন। আমি আমার মেধা দিয়ে যতটুকু সম্ভব যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। আমার এখন আরও বড় পরিসরে কাজ করার সুযোগ রয়ে গেছে। আমি এএইচএফ থেকে আম্পায়ার, কোচিং, আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট রয়েছে এসব সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করবো। সর্বোপরি আমার দেশকে, আমার ৩০ লাখ শহীদের জাতীয় পতাকাকে সম্মানিত করার জন্য, আমার দেশের মর্যাদা বৃদ্ধি করার জন্য যা যা করতে হয়, আমি সেই চেষ্টা করে যাব।

ঢাকাপ্রকাশ: অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে অনুশীলনের জন্য ভারতে পাঠাতে একে পর্যায়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। কারণ কী ছিল?

সাঈদ: ওয়ার্ল্ডকাপ কোয়ালিফাই যেহেতু আমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট, আমি চেয়েছি ছেলেরা যাতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে যেতে পারে। আপনারা জানেন যে ভারতের ভিসা পেতে এখন কতদিন সময় লাগে। কে বা কাহারা আমরা দল পাঠাবো না বলে মনগড়া খবর প্রকাশ করে। আমরা সে ব্যাপারে কোনো কিছু জানিও না। আমরা যখন আমাদের ভিসা হাতে পেয়েছি, ঈদের পরেই আমরা আমাদের দল পাঠিয়ে দিয়েছি। ৭টি ম্যাচ খেলে আমরা ৫টিতে জিতেছি। ২টিতে হেরেছি। পুরোদমে সেখানে আমাদের প্র্যাকটিস ম্যাচ হয়েছে। আমি আসলে হ্যাপি যে প্র্যাকটিস করার জন্য আমরা বাইরে দল পাঠাতে পেরেছি। যেভাবে হোক না কেন, যার হাত ধরেই হোক না কেন, আমরা যে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি, এবং আমাদের যে পরিকল্পনা ও ইচ্ছেগুলো রয়েছে সেগুলো ফোকাস করতে পারছি। আমি স্বপ্ন দেখি ওয়ার্ল্ডকাপে কোয়ালিফাই করবে এবং বাংলাদেশের যুবারা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করে দেশের মুখকে উজ্জ্বল করে তুলবে।

ঢাকাপ্রকাশ: দল পাঠানোর খরচ কি আপনি নিজে ব্যক্তিগতভাবে বহন করেছেন, না স্পন্সরের মাধ্যামে?

সাঈদ: এ মুহূর্তে আমাদের হকি ফেডারেশনের সঙ্গে যে দুইট স্পন্সর ছিল তারা তাদের ব্যবসায়িক কারণে এই টুর্নামেন্টে আমাদের সাপোর্ট দিচ্ছে না। আমরা আমাদের নিজস্ব তহবিল থেকে, ব্যক্তিগত তহবিল থেকে, আমাদের কমিটির লোকজন প্রাণবন্তভাবে কাজ করেছে দলকে ভারত পাঠানো নিয়ে।

ঢাকাপ্রকাশ: হকি ফেডারশেনের নির্বাচন সামনে। আপনি কি আগামীতে আবার এই পদে দেখা যাবে?

সাঈদ: এনএসসি যখন তফসিল ঘোষণা করবে তখন সেটা পরবর্তি বিষয়। সেরকম কোনো চিন্তা-ভাবনা আমার এখন নেই। যেহেতু এখানে প্রক্রিয়ার বিষয় আছে, সেগুলো যখন সম্পন্ন হবে, ডিক্লেয়ারেশন আসবে, তখন দেখা যাবে। এ মুহূর্তে আমি টোটালি ওয়ার্ল্ড কাপ নিয়ে ব্যস্ত আছি। দল কীভাবে সাফল্য নিয়ে আসা যায় সে প্রক্রিয়াতে আমি কাজ করছি।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি ফিরে আসার পর ক্লাব, খেলোয়াড় মোট কথা কিছু সংখ্যক বাদ দিলে ম্যাক্সিমাম খুশি হয়েছেন। সবাই চাচ্ছে আপনি যদি আগামীতেও হকি লাভবান হবে?

সাঈদ: এটা আমি বলতে পারব না তারা কি চাচ্ছে। তারা বিশ্লেষন করতে পারেন। তাদের কাছ থেকে আপনারা তথ্য নিতে পারবেন। এখন আমাকে যদি প্রশ্ন করেন সবাই আমাকে পছন্দ করে কি না? ভালো জানে কি না-এর উত্তর দেয়ার মত যোগ্যতা আমার আছে কি না আমি জানি না। আমি কাজ করে যাব। আমি বিশ্বাস করি কাজ করলে সৃষ্ট কর্তা সেই কাজের মূল্যায়ন করেন। সমাজও সেই কাজের মূল্যায়ন করে।

এমপি/এএস

Header Ad
Header Ad

বিরামপুরে কাভার্ড ভ্যান-ইজিবাইক সংঘর্ষে স্কুলছাত্রসহ নিহত ২

দুর্ঘটনা কবলিত ইজিবাইক। ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুরের বিরামপুরে কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে সায়েম ইসলাম (১৬) নামে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীসহ দুই জন নিহত হয়েছে। সোমবার (৩ মার্চ) বিকেলে দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের বিরামপুর পৌর শহরের বিছকিনি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, নবাবগঞ্জ উপজেলার সাঁকোপাড়া গ্রামের মজিবরের ছেলে ইজিবাইক চালক নুরুজ্জামান হোসেন (৩৫) এবং একই উপজেলার সোনাকানি গ্রামের আনোয়ারের ছেলে ইফতেখার রহমান সায়েম ইসলাম (১৬) ও বিরামপুর আদর্শ হাইস্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

বিরামপুর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. মাজেদ আলী জানায়, বিকেলে কোচিং শেষে ইজিবাইকে চড়ে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার পৌর শহরের বিছকিনি এলাকায় একটি কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে ইজিবাইকটির মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে শিক্ষার্থী সায়েম নিহত হন এবং আহত অবস্থায় ইজিবাইকের চালককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে তারও মৃত্যু হয়।

বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, ঘাতক কাভার্ড ভ্যানের চালক পালিয়ে যায়।আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

ট্রাম্পের ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের অ‌ভিযোগ সত্য নয়: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি শক্তিশালী করতে ইউএসএআইডির মাধ্যমে ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের দাবি করেছেন। তবে, বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই অভিযোগকে মিথ্যা বলে উল্লেখ করেছে।

সোমবার (৩ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ২৯ মি‌লিয়ন নি‌য়ে ট্রাম্পের এ অ‌ভিযোগ সত্য নয় বলে দা‌বি করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, বাংলাদেশে ইউএসএআইডির অর্থায়নে ২৯ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প 'স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ (এসপিএল) ইন বাংলাদেশ' শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ প্রকল্পটি নিয়ে কিছু তথ্য দিয়েছেন যা নিয়ে জনমনে ব্যাপক বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুসন্ধান করেছে।

অনুসন্ধান থেকে জানা গেছে যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ইউএসএআইডি যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালকে (ডিআই) নির্বাচিত করে। প্রকল্প প্রস্তাবনা আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে অনেক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান দরপত্র প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে এবং একটি স্বচ্ছ প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়া অনুসরণের মধ্য দিয়ে ইউএসএআইডি সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করে। ২০১৭ সালের মার্চে চুক্তি স্বাক্ষরের পর ডিআই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শুরু করে। পরে প্রকল্পটির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয় এবং এর অর্থ আসে ধাপে ধাপে।

শুরুতে এসপিএল প্রকল্পটি ছিল ৫ বছর মেয়াদি এবং বাজেট ১৪ মিলিয়ন ডলার। প্রকল্পটির ব্যবস্থাপনায় ছিল ইউএসএআইডি এবং অর্থায়নে ছিল ইউএসএআইডি ও যুক্তরাজ্যের উন্নয়ন সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান ডিএফআইডি (বর্তমানে এফসিডিও)। এই প্রকল্পে ডিএফআইডির অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি ছিল ১০ মিলিয়ন ডলার।

এসপিএল প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ছিল-রাজনৈতিক সহিংসতা হ্রাস করে শান্তি ও সম্প্রীতি বৃদ্ধি, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান তৈরি, দলগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি, দলগুলোর অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চার উন্নয়ন এবং প্রতিনিধিত্বমূলক নেতৃত্বের বিকাশে উৎসাহ প্রদান। প্রকল্পের অধীনে ডিআই বাংলাদেশে জরিপ কার্যক্রমও পরিচালনা করে।

উল্লেখ্য, ইউএসএআইডির প্রকল্পের ক্ষেত্রে মার্কিন সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনা নীতি অনুসরণ করাটা বাধ্যতামূলক। এতে আর্থিক নিরীক্ষার প্রক্রিয়াটি কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয়। প্রকল্প শেষ হয়ে যাওয়ার কয়েক বছর পরও এ-সংক্রান্ত নথিপত্র সংরক্ষণ করা হয়। প্রয়োজনে পুনর্নিরীক্ষা করা হয়।

অনুসন্ধান থেকে দেখা যায় যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশে এসপিএল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শুরু করে। তাই এটি বাংলাদেশের দুইজন ব্যক্তির মালিকানাধীন কোনো সংস্থাকে প্রদান করার অভিযোগটি সত্য নয়। বস্তুত এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়িত হয় বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগিতা চুক্তির মাধ্যমে। এ ক্ষেত্রে ব্যক্তি বিশেষের কোনো কিছু করার ক্ষমতা থাকে না।

Header Ad
Header Ad

অতিরিক্ত ও সহকারী পুলিশ সুপার পদের ১২৪ কর্মকর্তাকে বদলি

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ১১৭ ও সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ৭ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।

সোমবার (৩ মার্চ) পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমের সই করা পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বদলি করা কর্মকর্তাদের ১৯ মার্চের মধ্যে বর্তমান কর্মস্থলের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে বলা হয়েছে। না হলে পরদিন থেকে তাদের তাৎক্ষণিক অবমুক্ত (স্ট্যান্ড রিলিজ) হিসেবে গণ্য করা হবে।

সরকার পতনের পর পুলিশ বাহিনীতে রদবদলের ধারাবাহিকতায় এর আগেও কয়েক দফায় বড় রদবদল হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকার গত বছরের ২০ নভেম্বর আগের পুলিশ প্রধান মো. ময়নুল ইসলামকে সরিয়ে নতুন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হিসেবে দায়িত্ব দেয় বাহারুল আলমকে।

নতুন আইজিপি দায়িত্বে আসার পর বাহিনীতে রদবদলের ধারাবাহিকতায় আরেকটি আদেশ এলো।

এসব কর্মকর্তাকে ডিএমপি, এসবি, সিআইডি, র‌্যাব, জেলা পুলিশ, পুলিশ সদর দপ্তর, পিবিআই, এপিবিএন ও ট্যুরিস্ট পুলিশে বদলি করা হয়েছে।

বদলি কর্মকর্তাদের নামের তালিকা ১ ও তালিকা ২ দেখতে ক্লিক করুন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিরামপুরে কাভার্ড ভ্যান-ইজিবাইক সংঘর্ষে স্কুলছাত্রসহ নিহত ২
ট্রাম্পের ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের অ‌ভিযোগ সত্য নয়: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
অতিরিক্ত ও সহকারী পুলিশ সুপার পদের ১২৪ কর্মকর্তাকে বদলি
সম্ভবত ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হবে: প্রধান উপদেষ্টা
ছয় মাসে ১০ হাজার ৪৭৫ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করেছে দুদক
জাতিসংঘকে শাপলা চত্বর ও সাঈদীর রায়কেন্দ্রিক হত্যাকাণ্ড নথিভুক্ত করার অনুরোধ
নুর ভাই নিজেই তার দল বিলুপ্ত করে আমাদের সাথে যুক্ত হতে আগ্রহী: হান্নান মাসউদ
দুই দিনের মধ্যে সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
নওগাঁ ও পাবনায় বাস ডাকাতির ঘটনায় ছয়জন গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইলে সালিশি বৈঠকে সংঘর্ষ, ৭০ দোকান ভাঙচুর, থমথমে পরিস্থিতি
শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের নতুন নাম ন্যাশনাল ক্রিকেট গ্রাউন্ড
২০৩০ দশকে এআই মানবসভ্যতাকে ধ্বংস করতে পারে: ইলন মাস্ক
দেশে প্রথমবার জিকা ভাইরাসের ক্লাস্টার শনাক্ত, আক্রান্ত ৫
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের নতুন নাম বাংলাদেশ স্যাটেলাইট-১
দল না পাওয়া সেই আজিঙ্কা রাহানে কেকেআরের নতুন অধিনায়ক
ওএসডি হলেন দেশের ২৯ সিভিল সার্জন
উপদেষ্টা হিসেবে ফারুকী ঠিক আছেন: প্রিন্স মাহমুদ
খাদ্যপণ্যের দাম গত রমজানের তুলনায় সহনীয় পর্যায়ে: প্রেস সচিব
প্রাথমিকের ৬৫৩১ শিক্ষক নিয়োগে কোনো বাধা নেই: আপিল বিভাগ
ভোক্তা পর্যায়ে কমলো এলপি গ্যাসের দাম