রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বাংলাদেশের আগ্রাসী বনাম আয়ারল্যান্ডের ‍উপভোগ ক্রিকেট!

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট শুরু হওয়ার আগে বাংলাদেশের আবহাওয়া নাতিশীতোষ্ণ। এই আবহাওয়া প্রকৃতির নয়, বাংলাদেশে দলের। যেখানে সম্পূর্ণ মনযোগ টেস্ট ম্যাচকে ঘিরে থাকার কথা, সেখানে টেস্ট শুরুর ২৪ ঘন্টারও কম সময়ের ব্যবধানে বাংলাদেশ দলের আবহাওয়া এ রকম নাতীশিতোষ্ণ হয়ে উঠেছে। শুরুটা তাসকিনের ইনজুরির দিয়ে। সন্ধ্যায় জানা যায় পুত্র সন্তান অসুস্থ থাকাতে তামিম ইকবালেরও খেলা অনিশ্চিত। এই দুই ঘটনার মাঝে আবার ঘটে সাকিবের এবারের আইপিএলে থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘটনা।

আইপিএলে খেলার জন্য যেখানে প্রতি মৌসুম ছাড়পত্র নিয়ে বিসিবির সঙ্গে সাকিবের একটা মনোমালিন্য তৈরি হয়, সেখানে সাকিবের এমন সিদ্ধান্ত ছিল ‘চমক’। এখন তিনি নিজেকে পুরো সময়টা জাতীয় দলের জন্য দিতে পারবেন। তাসকিনের পরিবর্তে রেজাউর রহমান রাজাকে নেয়া হয়েছে। অপরদিকে তামিম ইকবাল শেষ মুহুর্তে না খেললে মাহমুদুল হাসান জয় ও সাদমান ইসলামের যে কাউকে দেখা যাবে একাদশে। এ রকম মিশ্র অনুভুতি নিয়েই আগামীকাল (৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ দল প্রথমবারের মত আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষ একমাত্র টেস্টের সিরিজ খেলতে নামবে। খেলা শুরু হবে সকাল ১০ টায়।

টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের পথচলা যেখানে ২৩ বছরের, সেখানে আয়ারল্যান্ডের মাত্র ৬ বছরের। বাংলাদেশ খেলেছে ১৩৬টি টেস্ট। আয়ারল্যান্ডের সেই সংখ্যা মাত্র ৩টি। সর্বশেষ তারা খেলেছে ২০১৯ সালে। সার্বিক বিবেচনায় সব দিক দিয়ে বাংলাদেশই এগিয়ে। কিন্তু এই এগিয়ে থাকারও মাঝেও আবার ভয় আছে। আর সেই ভয় হলো টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম কোনও প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলতে নেমে বাংলাদেশ হারের নোনা স্বাদ পেয়েছে। এমন নজির বাংলাদেশ সর্বশেষ স্থাপন করেছিল ২০১৭ সালে আয়ারল্যান্ডের সঙ্গেই টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়া আফগানিস্তান।

আজ আয়ারল্যান্ড যদি বাংলাদেশ একই স্বাদ দিয়ে দেয়, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না! আবার আয়ারল্যান্ড আজ খেলতে নামবে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়ের সুখ স্মৃতি নিয়ে। টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে এক প্রকার উড়িয়েই দিয়েই ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতেছিল আইরিশরা।

এই হারের আগে বাংলাদেশ কিন্তু আইরিশদের বিপক্ষে ছিল অপ্রতিরোধ্য। এক তরফা ম্যাচ খেলে দলগত ও ব্যক্তিগত রেকর্ডের বন্যায় আইরিশদের ভাসিয়ে দিয়েই বাংলাদেশ এক একটি ম্যাচ নিজেদের করে নিয়েছিল। কিন্তু শেষ ম্যাচে হোচট খাওয়াতে শঙ্কার দানাটা একটু বেশি বড় দেখাচ্ছে।

টেস্ট ম্যাচ হওয়াতে বাংলাদেশের শঙ্কাটা আরকেটু বড় হয়ে উঠেছে। কারণ সাদা পোষাকে লাল বলে বাংলাদেশের অবস্থা খুব একটা সুখকর নয়। কখনই ধারাবাহিক হতে পারেনি। ১৬ জয় আসলেও সেখানে ছিল না কোনও ধারাবাহিকতা। ১৩৬ টেস্টে জয় মাত্র ১৬টিতে। শেষ ৯ ম্যাচে নেই কোনও জয়। একটিতে ড্র করতে পেরেছিল। সর্বশেষ জয় এসেছিল গত বছর শুরুতেই নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে। পরের ম্যাচেই আবার নিউ জিল্যান্ডের কাছে আবার হেরেছে ইনিংস ব্যবধানে। হারের পাল্লা পরে ভারী করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের কাছে দুইটি করে এবং শ্রীঙ্কার কাছে একটিতে হেরে। আজ অবশ্য সেখানে দাড়ি টানার ইচ্ছে প্রবল টাইগারদের। সংবাদ সম্মেলনে জেতার কথাই বলেছেন মেহেদি হাসান মিরাজ।

বাংলাদেশের শঙ্কার মাঝে আশাও আছে। সেই আশাতে আছে আবার আত্মবিশ্বাস ভরপুর। সেই আত্নবিশ্বাসের নাম চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর পরই বাংলাদেশ আছে জয়ের ধারায়। হতে পারে তা রঙিণ ক্রিকেটের দুনিয়াতে। কিন্তু জয়তো। জয়ের সংখ্যাও আবার একটি কিংবা দুইটি নয়। ওয়ানডেতে ৩টি, টি-টোয়েন্টিতে ৫টি। প্রতিপক্ষ হিসেবে আয়ারল্যান্ড ছাড়াও ছিল ইংল্যান্ড।

রঙিণ পোষাকে পরিবর্তনের ডাক দিয়ে বাংলাদেশ আগ্রাসী ক্রিকেটে খেলেছে। সেই আগ্রাসী ক্রিকেট তারা সাদা পোষাকের ক্রিকেটেও ছড়িয়ে দিতে চায়। কোচের দৃষ্টি ভঙ্গি এমনই।

সাদা পোষাকে পরিবর্তন আনতে বাংলাদেশের ভারতে বিপক্ষে খেলা সর্বশেষ টেস্ট একাদশ থেকে আজকের একাদশে তিনটি পরিবর্তন হতেই যাচ্ছে। নুরুর হাসান সোহান ও জাকির হাসান দলেই নেই। ইনজুরিতে পড়ে ছিটকে গেছেন তাসকিনও। সেই সংখ্যা বেড়ে চার হতে পারে যদি তামিম না খেলেন।

বাংলাদেশে খেলা মানেই স্পিন স্বর্গ উইকেট। সর্বশেষ ভারতের বিপক্ষেও বাংলাদেশ তিন স্পিনার সাকবি-মিরাজ-তাইজুলকে নিয়ে খেলতে নেমেছিল। আয়ারল্যোন্ডের বিপক্ষে তিন স্পিনারের পরিবর্তে তিন পেসার দেখা যেতে পারে। কারণ পিচে সবুজের আবরন দেখা গেছে। তিন পেসার খেলালে সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও এবাদতের সঙ্গে শরিফুল অথবা রেজাউরের যে কোন একজন খেলতে পারেন। রেজাউর খেললে ১০২তম ক্রিকেটার হিসেবে তার অভিষেক হবে। তখন টস জিতলে বাংলাদেশ বোলিংই বেছে নেবে। সকালে যদি পিচে সবুজের আবরন না থাকে, সে ক্ষেত্রে তিন পেসারের পরিবর্তে তিন স্পিনারকেই দেখা যাবে। টস জিতলে তখন ব্যাটিংই হবে প্রথম পছন্দ।

টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম কোনও দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ খেলতে নেমে হারের স্বাদ পেলেও এখানে আইরিশদের ক্ষেত্রে তার ব্যতীক্রম হতে পার। কারণ তারা সাদা পোষাকে টেস্ট খেলার ছাড়পত্র পাওয়ার পর এখনও সেভাবে টেস্ট খেলার সুযোগ করে উঠতে পারেনি। মাত্র ৩টি টেস্ট খেলেছে যথাক্রমে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।

২০১৯ সালে খেলা সর্বশেষ টেস্ট একাদশের ৭ জনই নেই বর্তমানে দলে। টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা আছে মাত্র ৬ জনের। তাই এই ৬ জন যদি শেষ পর্যন্ত একাদশে খেলেন, তারপরও তাদের একাদেশে ৫ জনের অভিষেক হবে নিশ্চিত। সেই টেস্টের একাদশ থেকে এবার মিরপুর টেস্টের একাদশে ৭টি পরিবর্তন অন্তত নিশ্চিত। কারণ, ৭ জন এবার স্কোয়াডেই নেই। অন্তত ৫ জনের টেস্ট অভিষেকও নিশ্চিত। গোটা স্কোয়াডে টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা আছে যে কেবল ৬ জনের! দেশের হয়ে তিনটি টেস্ট খেলা ক্রিকেটার হলন অ্যান্ডি বালবার্নি, যিনি সাকিবের সঙ্গে নামবেন টস করতে। তাদের কাছে তাই সাদা পোষাকে ম্যাচ খেলতে পারাতেই যেন আনন্দ। দেশের হয়ে সবকটি টেস্ট খেলা অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবার্নি তাই বলেই দিয়েছেন তারা এই টেস্ট উপভোগ করতে চান।

কিন্তু কথার সঙ্গে কাজের মিল নাও থাকতে পারে। কারণ সর্বশেষ যে টেস্ট তারা খেলেছিল লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, সেখানে তাদের সামনে জয়ের মঞ্চ তৈরি হয়েছিল। ইংল্যান্ডকে মাত্র ‍৮৫ রানে গুটিয়ে দিয়ে নিজেরা প্রথম ইনিংসে করেছিল ২০৭ রান। পরে ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে ৩০৩ রান করলে আইরিশদের সামনে জয়ের টার্গেট দাঁড়ায় ১৮২ রানের। কিন্তু তারা দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫.৪ ওভারে মাত্র ৩৮ রানে অলআউট হয়ে গিয়ে সুযোগ হাতছাড়া করেছিল।

এবার মিরপুরেও এমন কিছু তারা সৃষ্টি করতে পারলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কারণ মনে রাখতে হবে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের অবস্থা নড়বড়ে!

এমপি/এএস

Header Ad

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল

ছবি: সংগৃহীত

একইসঙ্গে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক নারী। স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করেননি দুই স্বামীর কাউকেই। গোপনে মন জয় করে চলছিলেন দুই স্বামীর। প্রায় দুই বছর দুই স্বামীর সংসার করার পর অবশেষে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

চার বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামার মাধ্যমে গোপনে বিয়ে করেন রাজবাড়ী সদরের আলীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে ইউটিউবার সাগর শেখ ও আলীপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস।

বাবা, মা ও ভাই প্রবাসে থাকায় বাবার বাড়িতে একাই বসবাস করতেন জান্নাতুল। সেখানে যাতায়াত করতেন স্বামী সাগর শেখ। সংসার জীবন ভালোই চলছিল এ দম্পতির। হঠাৎ জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় শ্বশুরবাড়ি যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় সাগরের। এরই মধ্যে প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে পরিবারের সিদ্ধান্তে অন্য এক যুবককে দ্বিতীয় বিয়ে করেন জান্নাতুল।

এদিকে স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের বাড়িতে তুলে না নেয়ায় শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটান জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামী সাগরের দাবি, প্রায় দুই বছর ধরে তার সঙ্গেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ঠিক রেখে চলছিলেন জান্নাতুল।

স্ত্রীর পরিবার তাকে মেনে না নেয়ায় তার বোনের বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে একান্তে সময় কাটাতেন স্বামী-স্ত্রী। চলতি মাসের ২ নভেম্বর তারা একসঙ্গে নিজেদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন বলেও দাবি করেন সাগর।

তবে দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় স্বামীর ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে জানতে পারেন সাগর। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন জান্নাতুল। এখন দ্বিতীয় স্বামী নিয়েই সংসার করতে আগ্রহী তিনি। বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি আদালতে মামলা করেছেন সাগর।

সাগর শেখ বলেন, জান্নাতুল ও আমার বিয়ের বিষয়টি জান্নাতুলের মা ও বোন জানতো। বিয়ের পর আমাদের সংসার জীবন ভালোই কাটছিল। তবে হঠাৎ করে জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় তাদের বাড়িতে আমার যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের বিয়ের চার মাসের মাথায় আমি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির কাজে কয়েকদিনের জন্য রাজবাড়ীর বাইরে যাই।

কাজ থেকে এসে শুনি আমার স্ত্রী জান্নাতুল অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করেছে। আমি আমার স্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সে বলে, ‘পরিবারের চাপে বিয়ে করেছি। ওই ছেলের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক হয়নি। আমি তোমার স্ত্রী আছি, তোমারই থাকবো। আমার আম্মু দেশে আসলে আমি তোমার কাছে চলে আসবো।’

সাগর বলেন, ‘আমি জান্নাতুলদের বাড়ি যাতায়াত করতে না পারার কারণে বিভিন্ন সময় আমরা রাজবাড়ী শহরে আমার বোনের বাসায় ঘনিষ্ঠ সময় কাটাতাম। ওর কলেজে আনা-নেয়াসহ সবকিছু আমিই করতাম। এমনকি গত ২ নভেম্বরও আমরা আমার বোনের বাসায় আমাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী পালন করেছি।

তবে বিবাহ বার্ষিকী পালনের দুদিন পরে আমি জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে ওই ছেলের (দ্বিতীয় স্বামীর) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চলছে। ওই ছেলে নিয়মিত জান্নাতুলের বাবার বাড়িতে এসে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি জান্নাতুলকে প্রশ্ন করলে সে আমাকে গালাগালি করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সে আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলেও জানায়।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জান্নাতুলের মা প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছে। তিনিও এখন আমাকে মেয়ের জামাই হিসেবে অস্বীকার করছেন। অথচ তার মেয়ের সঙ্গে আমার প্রেম থেকে শুরু করে বিয়ে পর্যন্ত সবকিছুই তিনি জানতেন।

এখন বাধ্য হয়ে আমি আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গত ১১ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছি। এছাড়া ১৭ নভেম্বর রাজবাড়ীর বিজ্ঞ ১নং আমলি আদালতে মামলা করেছি।’

সাগর আরও বলেন, ‘আমাকে ডিভোর্স না দিয়ে আমার স্ত্রী অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে আমাকেও ম্যানেজ করে চলেছে, একইভাবে তার দ্বিতীয় স্বামীকেও ম্যানেজ করে চলেছে।

এটা আইন ও ধর্মীয় দুই দিক থেকেই অপরাধ। এছাড়া আমি এ পর্যন্ত আমার স্ত্রীর পেছনে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। তারপরও আমি আমার স্ত্রীকে ফেরত চাই। তাকে আমি আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।’

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হননি জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। তবে তার দাবি, জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তিনি জানতেন। সাগরের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি তিনি জানতেন না।

জান্নতুলের দ্বিতীয় স্বামীর বাবা বলেন, ‘কোন এক সূত্রে আমার শ্বশুর জান্নাতুলদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তাকে পছন্দ করে। পরে আমি গিয়ে তার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলে বিয়ের দিন ধার্য হয়। বিয়ের আগের দিন সাগর নামে এক ছেলে আমার ছেলেকে ফোন করে বলে জান্নাতুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে।

সে জান্নাতুলের সঙ্গে নিজের একটি ছবিও আমার ছেলেকে পাঠায়। এরপর আমি ওই এলাকায় আমার আত্মীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের কোন সম্পর্ক ছিল না। এছাড়া জান্নাতুলকেও আমি সরাসরি প্রশ্ন করলে সেও সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে।

পরে ঘরোয়া আয়োজনে জান্নাতুলের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে হয়। এখন সাগর নামে ছেলেটি জান্নাতুলকে তার স্ত্রী হিসেবে দাবি করছে। আমি যতদূর জেনেছি সাগরের স্ত্রী ও সন্তান আছে। এখন বিষয়টি আইনগতভাবেই সমাধান হবে।

আর জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে কথা বলতে তার বাবার বাড়িতে গেলে ভেতরে ঢোকার অনুমতি মেলেনি।’

বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে তার মা হাচিনা বেগম বলেন, ‘সাগরের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল৷ তবে বিয়ের দুই মাসের মাথায় তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। আমার মেয়ে তো ছোট বুঝে নাই, যে কারণে সেসময় ওরা ডিভোর্সের কাগজ ছিঁড়ে ফেলেছে। এর ৪/৫ মাস পরে আমার মেয়ের আবার বিয়ে হয়েছে। সাগর আমার মেয়েকে চাপে ফেলে এতোদিন তার সঙ্গে সময় কাটাতে বাধ্য করেছে।’

আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানান, ‘সাগর ও জান্নাতুলের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তার নোটিশের একটি কপি ইউনিয়ন পরিষদে আসার কথা। এরকম কোন কপি কখনো পাননি তারা।’

তিনি বলেন, ‘সাগর আমার ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেছে। আমিও খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি সাগর জান্নাতুলের প্রথম স্বামী। সে সাগরকে তালাক না দিয়েই বিয়ের চার মাসের মাথায় অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করে। প্রায় দুই বছর সে চালাকি করে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করেছে। সাগরের কাছ থেকে জান্নাতুল অনেক টাকা-পয়সা খেয়েছে বলেও আমি জানতে পেরেছি।’

আবু বক্কার বলেন, ‘সাগরের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি জান্নাতুলের বাবাকে নোটিশের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকি। তবে নোটিশ পেয়ে তিনি তার ছোটভাই ও তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে বলেন, আমি যেন পরিষদে বসে বিষয়টি সমাধান করে দেই। তবে এর ১/২ দিন পরে তিনি জানান, এ বিষয়ে তারা বসতে চান না।

আইনগতভাবে তারা বিষয়টি সমাধান করতে চান। পরে আবার তারা বসতে সম্মত হলে জান্নাতুল ও তার বাবা এবং তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামসহ পরিষদের অন্য সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদে বসেছিলাম। সাগরও সেখানে ছিল। তবে সেখানে জান্নাতুল বলে দিয়েছে সে কোনভাবেই সাগরের সঙ্গে ঘর সংসার করবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে নারীরা নির্যাতিত হয়। কিন্তু ছেলেরা যে কতোটুকু নির্যাতিত হয় তা এই সম্পর্কের জের দেখলে বোঝা যায়। আমাদের সমাজে ছেলেরা আরও বেশি নির্যাতিত হচ্ছে। সেটা নীরবে নিভৃতে ছেলেরা সহ্য করে যাচ্ছে। আমি আশা করবো আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা বিষয়টি তুলে ধরবেন।

আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে মানুষ যাতে সচেতন হতে পারে। আজকে আমার ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটেছে। আর কোন ইউনিয়নে যেন এমন ঘটনা কোনদিন না ঘটে।’

Header Ad

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

২৪ এর গনঅভূ্থানে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী, শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে যান বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন।

এ সময় মোবাইল ফোনে লাউডস্পিকারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমান বলেন, আব্দুল্লাহ দেশের জন্য মানুষের জন্য মানবতার কল্যাণের জন্য জীবনকে উৎস্বর্গ করে আল্লাহর দরবারে চলে গেছেন, আল্লাহ তাকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন। শহীদরা মরে না। তারা আল্লাহর জীম্মায় জীবন্ত থাকে। এ সময় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বড় আঁচড়া গ্রামে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন আব্দুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের খোঁজ খবর নেন,কবর জিয়ারত করেন এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।

এর আগে তিনি নাভারণ দারুল আমান ট্রাষ্টে ওলামা সম্মেলনে যোগদান করেন। পরে ২০১৬ সালে গুম হওয়া ইসলামি ছাত্র শিবিরে নেতা রেজোয়ানের বাড়িতে যান এবং খোঁজ খবর ও সমবেদনা জানান।

এসময় তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মৃত্যু বরনকারী সকলে ন্যায় বিচার পাবেন বলে পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন। এবং গনঅভূ্থানে নিহত সকল পরিবারের সাথে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম আছে থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোরের জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম রসূল, সাবেক জেলা আমীর মাওলানা হাবীবুর রহমান, জেলা জামায়াতের নেতা মাওলানা আবু জাফর, মাওঃ শিহাব উদ্দিন শার্শা থানা আমীর রেজাউল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা ইউসুফ আলী ও ঝিকরগাছা থানা আমীর মাওলানা আসাদুল আলম প্রমূখ।

Header Ad

বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে বিশনি পাহান (৫৫) নামের এক আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ময়না মোড় এলাকার ধানক্ষেত থেকে ওই নারীর হাতবাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বিশনি পাহান উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের বেণুপুর গ্রামের সাধন পাহানের মেয়ে।

নিহতের ভাই চরকা পাহান বলেন, আমার ছোট বোনের স্বামী বিশনি পাহানকে ছেড়ে চলে গেছেন। সে প্রতিরাতেই নেশা করতো। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমার বাড়িতে থাকতো আমার বোন। আমার বোন এলাকায় মানুষের জমিতে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। শুক্রবার বিকেলে এলাকার এক ব্যক্তির জমিতে ধান কাটার কাজ শেষ করে আর বাড়িতে ফেরেননি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে ধানক্ষেতে হাতবাঁধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, এলাকাবাসীর দেওয়া খবরে ঘটনাস্থল থেকে আদিবাসী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে তাকে কে বা কাহারা হত্যা করেছে। তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি