দূর হলো সাফের ১৯ বছরের আক্ষেপ
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপকে বলা হয়ে থাকে উপমহাদেশের বিশ্বকাপ। যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৩ সালে। ২০১০ সাল থেকে শুরু হয় মেয়েদেরও এই আসর। ছেলেদের আসরের আগে ‘পুরুষ’ লেখা না হলেও মেয়েদের আসরের আগে তা উল্লেখ করা হয়।
কিন্তু এখন লিখতে গেল নারী-পুরুষ উল্লেখ করতে হয়। ছেলেদের আসরের ২৯ বছর হয়ে গেছে। ছেলেদের ১৩ আসরের মাঝে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মাত্র একবার ২০০৩ সালে।
নিজেদের মাটিতে মালদ্বীপকে টাইব্রেকারে ৫-৩ গোলে হারিয়ে জিতেছিল শিরেপা। নির্ধারিত সময় খেলা ছিল ১-১ গোলে ড্র। পরের আসরে বাংলাদেশ আবার ফাইনালে উঠেছিল। কিন্তু পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত সেই আসরে ভারতের কাছে ২-০ গোলে হেরে রানার্সআপ হয়েছিল।
এরপর আর একটি আসরে সেমি ফাইনালও খেলতে পারেনি। কিন্তু প্রতিবারই যখন আসর বসে, স্বপ্নের জাল বুনা হয় শিরোপাকে ঘিরে। কিন্তু সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়। এবার মেয়েদের মাধ্যমে দূর হয়েছে সেই ‘অধরা’। শিরোপা এসে ধরা দিয়েছে হাতে। ঘুচেছে ১৯ বছরের অপেক্ষা।
সাবিনা-সানজিদারা ষষ্ট আসরেই শিরোপা জেতার স্বাদ পেয়েছেন। এর আগে তারা ২০১৬ সালে শিলগুড়িতে ফাইনালে উঠলেও ভারতের কাছে ৩-১ গোলে হেরেছিল। এবার সেই ভারতই ছিল না ফাইনালের লড়াইয়ে। গত পাঁচ আসরে ভারতই ছিল চ্যাম্পিয়ন।
বাংলাদেশ ছাড়া চারবার ফাইনালে তারা নেপালকে হারিয়েছিল। হিমালয় কন্যা নেপালের দুঃখ থেকেই গেল। পাঁচবার ফাইনালে উঠে তারা একবারও শিরোপা জিততে পারেনি। আগের চারবার বাধা ছিল ভারত। এবার বাংলাদেশ। নেপালের হারেই দূর হয়েছে বাংলাদেশের ১৯ বছরের আক্ষেপ।
এমপি/এমএমএ/