বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিএসসির গাফিলতি তদন্তের দাবি

দেড়শ কোটির ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’ সচল করতে লাগবে ৫০ কোটি টাকা !

‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’ দীর্ঘ সময়ের জন্য অচল হওয়ায় বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) ছোট বহর আরো ছোট হয়ে পড়ল। আট জাহাজের ছোট বহর এখন সাতটিতে দাঁড়িয়েছে। ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে নোঙর করা অবস্থায় ২ মার্চ রাতে জাহাজটিতে রকেট হামলায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মেরামত করে আবার চলাচল উপযোগী কখন করা হবে তা নিয়ে বিএসসির কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। এতে জাহাজ পরিচালনার মাধ্যমে বিএসসির আয়ের পথও সংকুচিত হলো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। শিপিং সেক্টরের অনেকেই বলছেন, বিএসসির একটি ভুল সিদ্ধান্তের কারণে এমভি বাংলার সমৃদ্ধি দীর্ঘ সময়ের জন্য অচল হয়ে পড়ল। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইউক্রেন যাত্রা বাতিল করলে হয়তো এমভি বাংলার সমৃদ্ধি বড় ধরণের ক্ষতি থেকে বেচে যেত।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনামুল হক শুক্রবার ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, বিএসসির গাফিলতির কারণেই জাহাজটি এত বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে। ১৫০ কোটি টাকা মূল্যের জাহাজটি শুধু নিরাপদ জায়গায় টেনে নিতে টাগবোট খাতে প্রতিদিন ব্যয় হবে অন্তত ২০ হাজার ডলার। যে টাগবোট নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাবে সেটি প্রতিদিন ভাড়া দাবি করবে কমপক্ষে ২০ হাজার ডলার করে। গন্তব্যে এমভি বাংলার সমৃদ্ধিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার পর টাগবোটটি নিজের বন্দরে ফেরত আসা পর্যন্ত ভাড়া দাবি করবে। মেরামত বাবদ খরচ তো আছেই। সব মিলে ১৫০ কোটি টাকার জাহাজটির পেছনে ব্যয় হবে অন্তত ৫০ কোটি টাকা।

জাহাজটি রক্ষায় বিএসসির কোন গাফিলতি ছিল কি-না এ প্রশ্নে তিনি বলেন, গেল ১৫ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন–রাশিয়ার সমুদ্র এলাকাকে যুদ্ধ এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। আর জাহাজটি অলভিয়া বন্দরে গেছে ২২ ফেব্রুয়ারি। যুদ্ধ এলাকা ঘোষণার পর পরই জাহাজটিকে অলভিয়া বন্দরে যেতে নিষেধ করতে পারত বিএসসি। সেটা না করায় জাহাজটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একজন নাবিকের জীবনও গেছে। পাশাপাশি বিপুল নাবিকের জীবন পড়েছে ঝুঁকিতে।

এ ব্যাপারে শুক্রবার বিকালে বিএসসির কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাইলে কেউ ফোন রিসিভ করেননি।

বিএসসি সূত্র জানায়, এক সময় ৪৪ জাহাজের বড় একটি বহর ছিল। তখন দেশে এবং বিদেশের বিভিন্ন সমুদ্র পথে জাহাজ পরিচালনা করে বেশ আয়ও করত বিএসসি। বেশিরভাগ জাহাজ চার্টার পার্টি এগ্রিমেন্টের মাধ্যমে ভাড়ায় পরিচালনা করা হতো। কিন্তু জাহাজগুলোর বেশিরভাগের বয়স ২৫ বছর পার হওয়ায় এক সময় ভাড়ায় পরিচালনা কঠিন হয়ে পড়ে। ২০০০ সালের পর থেকে বেশিরভাগ জাহাজ কারিগরি ত্রুটির কারণে অচল পড়ে থাকত চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে। ওই সময় ১২ জাহাজের ছোট বহরে আয়ের অন্যতম ভরসা ছিল দুই লাইটার ট্যাঙ্কার এমটি বাংলার জ্যোতি এবং এমটি বাংলার সৌরভ। দুটি অয়েল ট্যাঙ্কার চট্টগ্রাম বন্দর বহির্নোঙরে নোঙর করা বৃহদাকার অয়েল ট্যাঙ্কার থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল (ক্রুড) পরিবহন করত দেশের একমাত্র তেল শোধনাগার ইস্টার্ণ রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল) এর স্টোরেজ ডিপোতে। ওই সময় বিএসসি দুটি অয়েল ট্যাঙ্কার পরিচালনা করে প্রতি বছর মোটা অংকের অর্থ আয় করত। ২০০৭ সালের মাঝামাঝি চট্টগ্রাম বন্দর বহির্নোঙরে নোঙর করে থাকা অবস্থায় প্রচণ্ড বিস্ফোরণ হয় এমটি বাংলার সৌরভে। এই বিস্ফোরণের ঘটনায় একজন ডেক ক্যাডেট ঘটনাস্থলেই নিহত হন। তার লাশ এখনো মেলেনি। এরপর এমটি বাংলার জ্যোতিই ছিল একমাত্র অয়েল লাইটার ট্যাঙ্কার। পরে মেরামত করে এমটি বাংলার সৌরভ আবার সচল করা হয়। এরই মধ্যে দুই অয়েল ট্যাঙ্কারের বাইরে বাকি জাহাজগুলোর অবস্থা একেবারে নাজুক হয়ে পড়ে। গত ১০ বছরে দুই অয়েল ট্যাঙ্কার ছাড়া একে একে প্রায় সব জাহাজ বিক্রি করে দেওয়া হয়। এরপর বিএসসি নতুন জাহাজ বহরে যুক্ত করার উদ্যোগ নেয়। নতুন জাহাজ কেনার পরিকল্পনার অংশ হিসাবে বিএসসির বহরে যুক্ত হয় এমভি বাংলার সমৃদ্ধি। বর্তমান বহরে থাকা আট জাহাজের ছয়টিই নতুন। এর মধ্যে এমভি বাংলার সমৃদ্ধি অচল হওয়ায় বহরে নতুন জাহাজের সংখ্যা দাঁড়ালো পাঁচটিতে।

এদিকে বিএসসি জাহাজ পরিচালনায় কোন গাফিলতি করেছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএমওএ)। ওই কমিটিতে বিএমএমওএ’র দুইজন প্রতিনিধিকে রাখার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম নগরের বারিক বিল্ডিং এলাকায় বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএমওএ) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিএমএমওএ’র সাধারণ সম্পাদক মেরিন ইঞ্জিনিয়ার মো. শাখাওয়াত হোসেন। এমভি বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের সার্বিক পরিস্থিতি এবং নাবিকদের ফেরত আনার দাবিতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে নিহত থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হাদিসুর রহমানকে রাষ্ট্রীয় বীর ঘোষণা এবং জীবিত ২৮ নাবিককে সাহসিকতা ও বীরত্বের জন্য রাষ্ট্রীয় সম্মাননা এবং পুরস্কার দেওয়ার দাবি জানানো হয়। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএমএমওএ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মেরিন ইঞ্জিনিয়ার মো. মাহবুবুর রহমান, সহ সাধারণ সম্পাদক মেরিন ইঞ্জিনিয়ার মো. গোলাম জিলানি ও মো. ইফতেখার আলম।


এতে বলা হয়, ১৫ ফেব্রুয়ারি জয়েন্ট ওয়ার কমিটি জায়গাটি যুদ্ধকবলিত অঞ্চল ঘোষণা করে। জাহাজটি নোঙর করে ২২ ফেব্রুয়ারি। যা গাফিলতি নিয়ে অনেক প্রশ্নের জন্ম দেয়। চার্টার পার্টি বিধিমালা অনুযায়ী কোনও জাহাজ কোম্পানি তার জাহাজের নিরাপত্তার জন্য যুদ্ধকবলিত এবং জলদস্যুপ্রবণ এলাকাতে জাহাজ গমনের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে। এক্ষেত্রে জাহাজ মালিক বিএসসির পক্ষ থেকে জাহাজটিকে যুদ্ধকবলিত এলাকায় কেন গমনের অনুমতি দিল। জাহাজ পরিচালনায় বিএসসির সার্বিক অব্যবস্থাপনার কারণে আমাদের আজকে এই মৃত্যু ও নাবিকদের দুর্দশা দেখতে হয়েছে এবং রাষ্ট্রীয় এমভি বাংলার সমৃদ্ধির চরম ক্ষতি হয়েছে। তারা প্রশ্ন করে বলেন, এই মৃত্যুর এবং এই ক্ষয়ক্ষতির দায় কে নেবে।

 

 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত