বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে ইইউয়ের জ্বালানির কী হবে

ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়া ইইরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রাকৃতিক গ্যাসের ৪০ শতাংশ সরবরাহ করে থাকে। এমনিতেই গ্যাসের দাম ইউরোপ এবং বিশ্বব্যাপী সেপ্টেম্বর থেকে রেকর্ড মাত্রায় বেড়েছে, যেটা ইউরোপ মহাদেশের বিদ্যুতের দামকে সর্বকালের উচ্চতায় ঠেলে দিয়েছে।

এর ওপর এখন শুরু হয়েছে ইউক্রেন যুদ্ধ। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেন উত্তেজনা অব্যাহত থাকলে রাশিয়ার নিজস্ব অর্থনীতি এবং জ্বালানি ভবিষ্যৎ যেমন মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে তেমনি ইউরোপের জ্বালানি নিরাপত্তার দৃশ্য খুবই অস্বস্তিকর হয়ে উঠতে পারে।

ইউরোস্ট্যাট পত্রিকার মতে, রাশিয়ার ইউরোপে চাহিদার ৩০ শতাংশ তেল রপ্তানি করে। এস্তোনিয়া, পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া এবং ফিনল্যান্ড তাদের চাহিদার ৭৫ শতাংশ তেল রাশিয়া থেকে পায়। রাশিয়ার রাষ্ট্র-মালিকানাধীন কোম্পানি গ্যাজপ্রম ইউরোপে তেল ও গ্যাস রপ্তানি করে।

কোভিড লকডাউন থেকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করে যাচ্ছে ইউরোপের দেশগুলো। নানামুখী চাপে আছে তারা। রাশিয়া এই চাপকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। দেশটি গ্যাস বিক্রি কমিয়েছে এবং ইউরোপে তার মালিকানাধীন ভূগর্ভস্থ স্টোরেজ সুবিধাগুলো রিফিল করছে না। রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে নতুন লড়াই কেবল দাম বাড়িয়ে দেবে।

রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্ব তিন কারণে ইউরোপে জ্বালানি সরবরাহ বিঘ্নিত করতে পারে। প্রথম হলো দ্বন্দ্বের কারণে অবকাঠামে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যে কারণে ইউক্রেনের ভেতর দিয়ে গ্যাস সাপ্লাই ব্যাহত হতে পারে। বর্তমানে ইউরোপের মোট জ্বালানি আমদানির ১৩ শতাংশ ইউক্রেনের ভেতর দিয়ে স্থাপিত পাইপলাইন দিয়ে হয়। এর মধ্যে রয়েছে দ্রুজবা তেল পাইপলাইনের দক্ষিণ শাখা যা রাশিয়া থেকে বেলারুশ দিয়ে পশ্চিম ইউক্রেন হয়ে স্লোভাকিয়া, চেক রিপাব্লিক এবং হাঙ্গেরিতে চলে গেছে।

দ্বিতীয়টি হল যে, রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে একটি সামরিক-রাজনৈতিক অভিযানের অংশ হিসেবে জ্বালানি সরবরাহ কমাতে পারে। এটি হয়ে থাকলে বেলারুশ হয়ে পোল্যান্ডে আসা গ্যাস এবং বাল্টিক সাগরের নিচে নর্ড স্ট্রিম পাইপলাইনকে সরাসরি জার্মানিতে প্রভাবিত করবে। নতুন নর্ড স্ট্রিম-২ পাইপলাইন, যা ইউক্রেনীয় ট্রানজিটের বেশিরভাগ প্রয়োজনীয়তা প্রতিস্থাপন করবে, প্রযুক্তিগতভাবে প্রস্তুত কিন্তু এখনও কার্যক্রম শুরু করতে জার্মানিতে আইনত অনুমোদিত হয়নি।

তৃতীয় কারণ হলো নিষেধাজ্ঞা। রাশিয়ার সামরিক পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায়, ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্ভবত বিনিয়োগ এবং প্রযুক্তি স্থানান্তর ব্লক করবে, বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে লেনদেন ইতোমধ্যে নিষিদ্ধ করেছে এবং নির্দিষ্ট ক্রেমলিন-সংযুক্ত ব্যক্তি এবং তাদের সম্পদ জব্দ করেছে।

রাশিয়ার পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের ডেপুটি স্পিকার নিকোলে ঝুরাভলেভ বলেছেন যে, যদি তার দেশ সুইফট ব্যাংকের মেসেজিং সিস্টেম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে ক্রেতারা আমাদের পণ্য তেল, গ্যাস, ধাতু পাবেন না। তবে ইউরোপ এবং বিশেষ করে জার্মানি তাদের প্রয়োজনীয় গ্যাস আমদানি ব্লক করার বিষয়ে সতর্ক থাকবে, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তেলের দাম আরও বেশি দেখতে চান না।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা সম্ভবত রাশিয়ান ব্যাংকগুলোর সঙ্গে লেনদেনের ক্ষেত্রে যে কোনো বিধিনিষেধ থেকে জ্বালানি সম্পর্কিত লেনদেনের জন্য একটি ছাড় দিতে পারে।

২০০৯ সালে ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ান গ্যাসের বাধা এবং ২০১৪ সালে ক্রিমিয়াকে সংযুক্ত করার পর থেকে, ইইউ সফলভাবে তার গ্যাস নেটওয়ার্কগুলোকে পুনরায় কনফিগার করেছে যাতে মস্কো বেছে বেছে দেশগুলোকে বিচ্ছিন্ন করতে না পারে এবং পশ্চিম থেকে বিপরীত প্রবাহের মাধ্যমে ইউক্রেনকে সরবরাহ করা যেতে পারে।

তুলনামূলকভাবে বিচ্ছিন্ন বাজার, যেমন লিথুয়ানিয়া এবং ক্রোয়েশিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, আলজেরিয়া এবং নাইজেরিয়ার মতো প্রধান রপ্তানিকারকদের থেকে ট্যাঙ্কারে জ্বালানি আনার জন্য তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি টার্মিনাল তৈরি করেছে।

কিন্তু সিস্টেমে দুর্বলতা রয়ে গেছে। স্পেন, যার অতিরিক্ত এলএনজি আমদানি ক্ষমতা রয়েছে এবং আলজেরিয়া থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস গ্রহণ করে, ফ্রান্স এবং মহাদেশের বাকি অংশের সঙ্গে শুধুমাত্র সীমিত সংযোগ রয়েছে। নেদারল্যান্ডসের মূল গ্রোনিংজেন ক্ষেত্র, যা কম্পনের কারণে অনেকাংশে বন্ধ হয়ে গেছে, জরুরি অবস্থায় পুনরায় চালু করা যেতে পারে।

হামলার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় অতিরিক্ত এলএনজি সরবরাহের জন্য চাপাচাপি করা হয়েছে। কাতার খুব সম্প্রতি বিশ্বের বৃহত্তম জ্বালানি রপ্তানিকারক দেশ, ২০১১ সালে ফুকুশিমা দুর্ঘটনার পর জাপানকে সাহায্য করার জন্য উৎপাদন বাড়িয়েছিল। ফুকুশিমা দুর্ঘটনার পর ২০১১ সাল থেকে জাপানকে সহযোগিতা করছে কাতার।

কিন্তু এখন দোহা এবং অন্যান্য প্রধান রপ্তানিকারক, যেমন অস্ট্রেলিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, বর্তমান ঊর্ধ্বগতির বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করতে ইতোমধ্যেই কাজ করছে। দাম বেশি হওয়ায় সরবরাহকারীরা জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন এবং অন্যান্যদের সঙ্গে চুক্তির বাধ্যবাধকতা ভঙ্গ করতে বা পুনঃআলোচনা করতে ইচ্ছা পোষণ করতে পারে। ইউরোপ পূর্ব এশিয়া থেকে কার্গোগুলোকে আকৃষ্ট করতে পারে তবে অবশ্যই বেশি দাম দিয়ে।

ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি নবায়ন সরাসরি গ্যাসের বাজারকে প্রভাবিত করবে না, তবে প্রতিদিন প্রায় ১ দশমিক ৩ থেকে ১ দশমিক ৫ মিলিয়ন ব্যারেল তেল রপ্তানি দেশটি বাড়াতে পারবে। যা রাশিয়া সরবরাহ কমালে যে ক্ষতি হবে তা কিছুটা লাঘব করতে পারে। এটি ইউক্রেন এবং আরব উপসাগরে সমসাময়িক জটিল সংকটের ঝুঁকিও এড়াতে সক্ষম হতে পারে।

কামার এনার্জির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ‘দ্যা মিথ অব দ্যা অয়েল ক্রাইসিস’ গ্রন্থের রচয়িতা রবিন এম. মিলস ইউর‌্যাক্টিভ নামের একটি ম্যাগাজিনে লিখেছেন, তেলের কম দাম হলে সেটা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ওপর রাজনৈতিক চাপ কমিয়ে দেবে এবং রাশিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরও ফলপ্রসূ করতে পারবে। যদি রাশিয়ান তেল রপ্তানি ব্যাহত হয়, তাহলে তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেকভুক্ত দেশগুলো উৎপাদনের মাত্রা সমন্বয় করে, বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইরাক ক্ষতিপূরণের জন্য উৎপাদন বাড়াবে কিনা তা ঠিক করতে হবে।

এক বা দুই বছরের মধ্যে ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্র থেকে অতিরিক্ত এলএনজি সরবরাহ আসবে। কাতার এবং সম্ভবত সংযুক্ত আরব আমিরাতও তাদের ক্ষমতা বাড়াচ্ছে। কিন্তু এগুলো শুধুমাত্র ২০২৬ সালের দিকে প্রস্তুত হবে।
সূত্র: ইউরোপের বিভিন্ন ওয়েবসাইট

আরইউ/আরএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত