বুধবার, ১৫ মে ২০২৪ | ৩১ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

সিইসি ও ইসি হতে পারেন যারা

আমলাতন্ত্র ও প্রশাসনিক কাজে দক্ষ এবং সব মহলে গ্রহণযোগ্য লোকই আসতে পারেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে। একইভাবে নির্বাচন কমিশনার পদেও থাকবে চমক। তবে এটা নিশ্চিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে মন্ত্রিপরিষদের কোনো সাবেক সচিব ও সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান অথবা বিচার বিভাগের কেউ আসছে না। থাকছেন না সাবেক মুখ্য সচিবদের মধ্যে থেকেও কেউ। এমনটাই আভাস পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন সূত্রে।

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে অনুসন্ধান কমিটির কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। কমিটি মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দশ জনের নাম চূড়ান্ত করেছে। যেখান থেকে একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চার জন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি।

অনুসন্ধান কমিটি ২৪ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় রাষ্ট্রপতির মো. আবদুল হামিদ এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে। ওই সময় কমিটি চূাড়ান্ত তালিকা রাষ্ট্রপতির কাছে হস্তান্তর করবে। সেই তালিকা থেকেই রাষ্ট্রপতি চূড়ান্ত মনোনয়ন দেবেন। সেই জন্য আরও দুই একদিন অপেক্ষা করতে হতে পারে।

নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো বলছে, এবার নির্বাচন কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে সরকার কোনো রকম বিতর্কে যেতে চায় না। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য এবং বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকা ব্যক্তিদের নিয়েই নির্বাচন কমিশন গঠন হবে। এক্ষেত্রে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে এমন একজন আসতে পারেন যাকে নিয়ে মাঠের বিরোধী দল বিএনপিরও কোনো আপত্তি থাকবে না। 

প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে আলোচনায় শীর্ষে রয়েছেন আইন, ধর্ম ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল এবং সরকারি কর্ম কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুহম্মদ সাদিক। এই দুই জনের যেকোনো একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে আসতে পারেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। এই দুই জনের মধ্যে কাজী হাবিবুল আউয়াল কর্মজীবন শুরু করেন জেলা মুনসেফ হিসেবে। দীর্ঘ কর্ম জীবনে তিনি দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।

তার নামটি প্রস্তাব করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। অনুসন্ধান কমিটির সঙ্গে বিশিষ্টজনদের বৈঠকে অন্তত ১০ জনের নাম প্রস্তাব করেছিলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এরমধ্যে হাবিবুল আউয়ালের নাম ছিল।

অন্যদিকে অনুসন্ধান কমিটির বৈঠকে বিশিষ্টজনদের মধ্যে থেকে একটা দাবি উঠেছিল নির্বাচন কমিশনে যেন একজন নারী সদস্য নির্বাচন কমিশনার করা হয়। এবার আলোচনায় আছেন একজন নারী। যিনি মৎস্য ও প্রাণী সম্পাদ মন্ত্রণালয় ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। নির্বাচন কমিশনার পদে এবার আসতে পারেন নির্বাচন কমিশনের আকষ্মিক পদত্যাগ করা যুগ্ম সচিব আবুল কাসেম। তিনিও আলোচনায় আছেন।

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের গুঞ্জুন শুরু হওয়ার পর হঠাৎ করে গত ৩ ফেব্রুয়ারি যুগ্ম সচিব আবুল কাশেম নির্বাচন কমিশন থেকে পদত্যাগ করেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন-২০২২- এ বলা হয়েছে- নির্বাচন কমিশনার হতে হলে কমপক্ষে ২০ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এ ছাড়া কোনো লাভজনক পদে থাকাকালে নির্বাচন কমিশনার হতে পারবেন না। ইসির যুগ্ম সচিব পদটিও লাভজনক। আর আবুল কাসেমের কমপক্ষে ২০ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা রয়েছে।

আবুল কাসেম ১৯৯০ সালের ২৪ মার্চ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে নির্বাচন কমিশনে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর ধারাবাহিক পদোন্নতি পেয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৮ সালে যুগ্ম সচিব পদে অধিষ্ঠিত হন। পরবর্তীতে ২০২০ সালে তিনি অবসরে গেলে ইসির চাহিদা মোতাবেক তাকে সরকার দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়। ওই বছর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন আবুল কাসেম।

এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনার পদে পুলিশের সাবেক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার পদ মর্যাদার কোনো কর্মকর্তা আসতে পারেন এই পদে। 

সার্চ কমিটি সূত্রে জানা যায়, নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রশাসনিক কাজে দক্ষ লোকই প্রধান নির্বাচন কমিশনার হবেন। তবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বা মুখ্য সচিবদের মধ্যে কেউ হচ্ছে না এটা বলতে পারি। এর বাইরে কোনো কিছু বলতে পারব না। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭ টায় মহামান্য রাষ্ট্রপতি সময় দিয়েছেন আমরা ১০ জন চূড়ান্ত করেছি রাষ্ট্রপতির কাছেই সেই নাম তুলে দেওয়া হবে বলে জানান এই সদস্য। 

সব মহলের দাবির প্রেক্ষিতে গত ২৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন পাস হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ গত ৫ ফেব্রুয়ারি ৬ সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেন। বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে প্রধান করে গঠিত সার্চ কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামান,সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন, মহা হিসাব নিরক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মুসলিম চৌধুরী, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইন ও অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক। এই কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

অনুসন্ধান কমিটি ৬ ফেব্রুয়ারি নিজেদের মধ্যে প্রথম বৈঠক করে। এরপর তারা আরও কয়েক দফা বৈঠকে মিলত হন। তারপর কমিটি ১০ ফেব্রুয়ারির বিকাল ৫ টার মধ্যে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সুধিজনের কাছ থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারের জন্য নাম প্রস্তাবের আহ্বান করে। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে আওয়ামী লীগসহ ২৪ টি রাজনৈতিক দল ও ৬টি পেশাজীবী সংগঠন নাম প্রস্তাব করে। একই সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায় থেকে দেশ এবং বিদেশ থেকে অনেক নাম জমা পড়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে।

পরবর্তীকালে অনুসন্ধান কমিটি দেশের বিভিন্ন পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে পৃথক চারটি বৈঠক করেন। এসব বৈঠক থেকে নাম প্রকাশ করার দাবি জানানো হয়। এই প্রেক্ষিতে অনুসন্ধান কমিটি ৩২২ জনের নাম প্রকাশ করে।  নাম প্রকাশ করলেও অনুসন্ধান কমিটি মাঠের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপিকে নাম প্রস্তাব করার জন্য শেষ দিন পর্যন্ত সময় দিয়েছিল। কিন্তু বিএনপি তাতে সাড়া দেয়নি। অবশ্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বিএনপির হয়ে জাফারুল্লাহ চৌধুরীই তাদের নাম দিয়েছেন।

এসএম/

Header Ad

বিদেশে বসে জঙ্গিবাদ উসকে দেওয়া হয় : দীপু মনি

ছবি: সংগৃহীত

বিদেশে বসে রিমোট কন্ট্রোলে করে বাংলাদেশে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদকে উসকে দেওয়া হয় বলে মন্তব্য করেছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, অসাম্প্রদায়িক দেশ চাইলে রাজনীতিকে বেছে নিতে হবে। দেশে রাজনীতি ঠিক হলে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।

মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ঋষি সম্প্রদায়ের অধিকার ও টেকসই উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে পলিসি এ্যাডভোকেসি রোডম্যাপ’ শীর্ষক জাতীয় গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। গ্রাম বিকাশ সহায়ক সংস্থা-জিবিএসএস আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সংস্থার চেয়ারপার্সন প্রফেসর সাজেদা বানু। আলোচনায় অংশ নেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খায়রুল আলম শেখ, কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর কেটি ক্রোক, ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তফা আলমগীর রতন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান যুব ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিষ্টার তাপস কান্তি পাল, কাপের নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রেবেকা সানইয়াত জিবিএসএস’র নির্বাহী পরিচালক মাসুদা ফারুক রতান প্রমুখ।

আলোচনায় অংশ নিয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, যেখানে কেউ পিছিয়ে পড়ে থাকবে না। আইন, নীতিমালা প্রণয়ন থেকে বাস্তবায়ন সকল পর্যায়ে সকলের অংশগ্রহণ হওয়া জরুরি। দেশে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ সমান মৌলিক অধিকার নিয়ে বসবাস করতে পারে সেই লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। কোন নীতিমালা সংবিধানের উপরে নয়। নীতিমালায় থাকুক না থাকুক সেটা বিষয় নয়। এই রাষ্ট্রে সবাই সমান অধিকার পাবে। সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে বেড়ানো দলকে দেশ থেকে তাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

ঋষি সম্প্রদায়ের লোকেরা প্রত্যাশা অনুযায়ী যথাযথ জায়গায় পৌঁছাতে পারেনি মন্তব্য করে ডা. দীপু মনি বলেন, অসাম্প্রদায়িকতা, সাম্য ও সমতার ভিত্তিতে এই দেশ সৃষ্টি হয়েছে। সংবিধান আমাদের সমান অধিকার দিলেও স্বাধীনতার পর একটা লম্বা সময় দেশের ক্ষমতায় ছিলো, যারা স্বাধীনতা ও সংবিধানে বিশ্বাস করে না। সেই কারণে আমাদের যতোটা এগিয়ে যাওয়ার কথা ছিলো সেটা হয়নি। তবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সরকার কাউকে পিছনে ফেলে নয়, সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার, উন্নত দেশগড়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এই কাজে বেসরকারি সংগঠনগুলোকেও রাজনৈতিক সচেতনতা নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

সভায় সচিব মো. খায়রুল আলম শেখ বলেন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী হিসেবে ঋষি সম্প্রদায়ের মানুষদের বিশেষ সহযোগিতা দিয়ে এগিয়ে নেওয়া দরকার। ঋষি সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েরা চাইলে ট্যানারি শিল্প কিংবা জুতা কারখানায় নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্যতা অনুসারে অগ্রাধিকার বা সুযোগ করে দিতে হবে। এছাড়া বিশেষ পেশায় যারা আছেন তাদের উৎপাদিত বিশেষায়িত পণ্য উচ্চমূল্যে দেশে-বিদেশে বিক্রি হতে পারে।

সভায় ঋষি সম্প্রদায়ের অধিকার ও টেকসই উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে পাঁচ দফা পলিসি এ্যাভোকেসি রোডম্যাপ সুপারিশ উপস্থাপন করা হয়। সুপারিশে ঋষি সম্প্রদায়ের মৌলিক অধিকার রক্ষায় নীতিমালা সংশোধন ও একটি সংসদীয় ককাসের গঠনের প্রস্তাব করা হয়। এছাড়া বিগত মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত বৈষম্যবিরোধী আইন দ্রুত প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার তাগিদ দেওয়া হয়।

ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর একাধিক হামলার দাবি কাসসাম ব্রিগেডের

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর একাধিক হামলার দাবি করেছে হামাসের সশস্ত্র কাসসাম ব্রিগেড। টেলিগ্রাম চ্যানেলে তারা হামলার বিষয়ে জানিয়েছে।

কাসসাম ব্রিগেড বলেছে, রাফাহর পূর্বাঞ্চলীয় আল-সালাম এলাকায় ইয়াসিন-১০৫ রকেট দিয়ে একটি ইসরায়েলি সেনাবাহী রণতরী ধ্বংস করা হয়েছে। এতে কয়েকজন ক্রু সদস্য নিহত এবং অন্যরা আহত হয়েছেন। এছাড়া রাফার পূর্বাঞ্চলে ইসরায়েলি সামরিক বুলডোজার উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

টেলিগ্রাম চ্যানেলে আরও বলা হয়েছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে জাবালিয়ার পূর্বাঞ্চলে একদল ইসরায়েলি সেনা ও সামরিক যানে গোলাবর্ষণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে জাবালিয়ার উত্তর-পূর্বে ইয়াসিন-১০৫ রকেট দিয়ে মারকাভা ট্যাংক লক্ষ্য করে হামলা চালায়। পাশাপাশি জাবালিয়ার পূর্বাঞ্চলে স্নাইপারের গুলিতে এক ইসরায়েলি সেনা আহত হয়েছেন।
হামাসের হামলা নিয়ে ইসরায়েল কোনো মন্তব্য করেনি।

এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটির মধ্যাঞ্চলীয় নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের একটি ভবনে ইসরায়েল হামলা চালালে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। সূত্র : আল জাজিরা

ইরানের সাথে চাবাহার চুক্তি, ভারতকে নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের

ছবি: সংগৃহীত

ইরানের চাবাহার বন্দর পরিচালনার জন্য ভারত ১০ বছরের চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

ওয়াশিংটন বলেছে, কোনো দেশ যদি ইরানের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাখে, তাহলে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হতে পারে।

পাকিস্তান লাগোয়া ইরানের সীমান্তের কাছের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ চাবাহার বন্দরের উন্নয়নের জন্য তেহরান-নয়াদিল্লির মাঝে ২০১৬ সালে একটি প্রাথমিক চুক্তি হয়। সোমবার এই বন্দরের উন্নয়ন ও পরিচালনার জন্য ইরানের সাথে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ভারত। ভারতের নৌপরিবহন মন্ত্রী এই চুক্তিকে ‘‘ভারত-ইরান সম্পর্কের ঐতিহাসিক মুহূর্ত’’ বলে অভিহিত করেছেন।

তবে ইরানের সাথে ভারতের চুক্তির বিষয়টিকে ভালোভাবে নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। ইরান-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে গত তিন বছরে ছয় শতাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন।

মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই চুক্তির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এখনও বহাল রয়েছে এবং ওয়াশিংটন সেগুলোর প্রয়োগ অব্যাহত রাখবে।

তিনি বলেন, ‘‘যেকোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান— যারাই ইরানের সাথে বাণিজ্যিক কার্যক্রমের বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে; তাদের সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে জানতে হবে যে, তারা নিষেধাজ্ঞার সম্ভাব্য ঝুঁকির মাঝে নিজেদেরই উন্মুক্ত করে দিচ্ছে।’’

তবে ওয়াশিংটনের এই বিবৃতির বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

২০১৮ সালের শেষের দিকে ইরানের চাবাহার বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে ভারত। বন্দরটি পাকিস্তানের স্থলপথ এড়িয়ে আফগানিস্তান এবং মধ্য-এশিয়ায় ভারতীয় পণ্য পরিবহন ও সরবরাহের একটি নতুন ট্রানজিট রুট খুলে দেয়। কর্মকর্তারা বলছেন, এখন পর্যন্ত চাবাহার বন্দরের মাধ্যমে ভারত থেকে আফগানিস্তানে ২৫ লাখ টন গম ও ২ হাজার টন ডাল পাঠানো হয়েছে।

ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়ান পোর্টস গ্লোবাল লিমিটেড (আইপিজিএল) এবং ইরানের পোর্ট অ্যান্ড মেরিটাইম অর্গানাইজেশন চাবাহার বন্দরের উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদী এক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে বলে সোমবার ভারতের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

ইরানের সড়ক ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী মেহরদাদ বজরপাশ বলেছেন, চুক্তি অনুযায়ী— চাবাহার বন্দরের উন্নয়নে আইপিজিএল অতিরিক্ত ২৫০ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের পাশাপাশি আরও প্রায় ১২০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। এর ফলে এই বন্দরে ভারতের মোট বিনিয়োগ দাঁড়াবে ৩৭০ মিলিয়ন ডলারে।

আর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, চুক্তিটি চাবাহার বন্দরে বড় বিনিয়োগের পথ পরিষ্কার করবে। সূত্র: বিবিসি

সর্বশেষ সংবাদ

বিদেশে বসে জঙ্গিবাদ উসকে দেওয়া হয় : দীপু মনি
ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর একাধিক হামলার দাবি কাসসাম ব্রিগেডের
ইরানের সাথে চাবাহার চুক্তি, ভারতকে নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের
মোটরসাইকেলের গতি সীমা নিয়ে যা বললেন ডিএমপি কমিশনার
গলায় লিচুর বিচি আটকে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
টাঙ্গাইলে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ গেল এক কলেজছাত্রের
খারকিভে হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া
নিজের পদ্ধতিতে মস্তিষ্কের ক্যানসার মুক্ত হলেন চিকিৎসক
মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে নগদ টাকাসহ ১৯ ভরি স্বর্ণ লুট
স্বজনদের কাছে ফিরলেন এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক
পাকিস্তানি বলে গুলিস্তানের ড্রেস বিক্রি করতো গুলশানের ‘সানভীস বাই তনি’
ইলিয়াস হোসাইনের বিরুদ্ধে তিনটি মামলাই খারিজ করে দিয়েছে আদালত
মার্কিন স্যাংশন, ভিসা নীতিকে পাত্তা দেই না: ওবায়দুল কাদের
ইসরায়েলের সঙ্গে মিলে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৫ কোম্পানির ইলেকট্রোলাইট ড্রিংকস নিষিদ্ধ চেয়ে মামলা
তাসকিনকে নিয়ে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা, বাদ সাইফউদ্দিন
ঢাকায় ডোনাল্ড লু
টঙ্গীতে নারী আইনজীবীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
৭ জেলায় বইছে মৃদু তাপপ্রবাহ
এম ভি আবদুল্লাহ থেকে পণ্য খালাস শুরু