বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সিইসি ও ইসি হতে পারেন যারা

আমলাতন্ত্র ও প্রশাসনিক কাজে দক্ষ এবং সব মহলে গ্রহণযোগ্য লোকই আসতে পারেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে। একইভাবে নির্বাচন কমিশনার পদেও থাকবে চমক। তবে এটা নিশ্চিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে মন্ত্রিপরিষদের কোনো সাবেক সচিব ও সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান অথবা বিচার বিভাগের কেউ আসছে না। থাকছেন না সাবেক মুখ্য সচিবদের মধ্যে থেকেও কেউ। এমনটাই আভাস পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন সূত্রে।

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে অনুসন্ধান কমিটির কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। কমিটি মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দশ জনের নাম চূড়ান্ত করেছে। যেখান থেকে একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চার জন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি।

অনুসন্ধান কমিটি ২৪ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় রাষ্ট্রপতির মো. আবদুল হামিদ এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে। ওই সময় কমিটি চূাড়ান্ত তালিকা রাষ্ট্রপতির কাছে হস্তান্তর করবে। সেই তালিকা থেকেই রাষ্ট্রপতি চূড়ান্ত মনোনয়ন দেবেন। সেই জন্য আরও দুই একদিন অপেক্ষা করতে হতে পারে।

নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো বলছে, এবার নির্বাচন কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে সরকার কোনো রকম বিতর্কে যেতে চায় না। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য এবং বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকা ব্যক্তিদের নিয়েই নির্বাচন কমিশন গঠন হবে। এক্ষেত্রে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে এমন একজন আসতে পারেন যাকে নিয়ে মাঠের বিরোধী দল বিএনপিরও কোনো আপত্তি থাকবে না। 

প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে আলোচনায় শীর্ষে রয়েছেন আইন, ধর্ম ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল এবং সরকারি কর্ম কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুহম্মদ সাদিক। এই দুই জনের যেকোনো একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে আসতে পারেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। এই দুই জনের মধ্যে কাজী হাবিবুল আউয়াল কর্মজীবন শুরু করেন জেলা মুনসেফ হিসেবে। দীর্ঘ কর্ম জীবনে তিনি দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।

তার নামটি প্রস্তাব করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। অনুসন্ধান কমিটির সঙ্গে বিশিষ্টজনদের বৈঠকে অন্তত ১০ জনের নাম প্রস্তাব করেছিলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এরমধ্যে হাবিবুল আউয়ালের নাম ছিল।

অন্যদিকে অনুসন্ধান কমিটির বৈঠকে বিশিষ্টজনদের মধ্যে থেকে একটা দাবি উঠেছিল নির্বাচন কমিশনে যেন একজন নারী সদস্য নির্বাচন কমিশনার করা হয়। এবার আলোচনায় আছেন একজন নারী। যিনি মৎস্য ও প্রাণী সম্পাদ মন্ত্রণালয় ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। নির্বাচন কমিশনার পদে এবার আসতে পারেন নির্বাচন কমিশনের আকষ্মিক পদত্যাগ করা যুগ্ম সচিব আবুল কাসেম। তিনিও আলোচনায় আছেন।

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের গুঞ্জুন শুরু হওয়ার পর হঠাৎ করে গত ৩ ফেব্রুয়ারি যুগ্ম সচিব আবুল কাশেম নির্বাচন কমিশন থেকে পদত্যাগ করেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন-২০২২- এ বলা হয়েছে- নির্বাচন কমিশনার হতে হলে কমপক্ষে ২০ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এ ছাড়া কোনো লাভজনক পদে থাকাকালে নির্বাচন কমিশনার হতে পারবেন না। ইসির যুগ্ম সচিব পদটিও লাভজনক। আর আবুল কাসেমের কমপক্ষে ২০ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা রয়েছে।

আবুল কাসেম ১৯৯০ সালের ২৪ মার্চ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে নির্বাচন কমিশনে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর ধারাবাহিক পদোন্নতি পেয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৮ সালে যুগ্ম সচিব পদে অধিষ্ঠিত হন। পরবর্তীতে ২০২০ সালে তিনি অবসরে গেলে ইসির চাহিদা মোতাবেক তাকে সরকার দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়। ওই বছর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন আবুল কাসেম।

এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনার পদে পুলিশের সাবেক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার পদ মর্যাদার কোনো কর্মকর্তা আসতে পারেন এই পদে। 

সার্চ কমিটি সূত্রে জানা যায়, নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রশাসনিক কাজে দক্ষ লোকই প্রধান নির্বাচন কমিশনার হবেন। তবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বা মুখ্য সচিবদের মধ্যে কেউ হচ্ছে না এটা বলতে পারি। এর বাইরে কোনো কিছু বলতে পারব না। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭ টায় মহামান্য রাষ্ট্রপতি সময় দিয়েছেন আমরা ১০ জন চূড়ান্ত করেছি রাষ্ট্রপতির কাছেই সেই নাম তুলে দেওয়া হবে বলে জানান এই সদস্য। 

সব মহলের দাবির প্রেক্ষিতে গত ২৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন পাস হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ গত ৫ ফেব্রুয়ারি ৬ সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেন। বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে প্রধান করে গঠিত সার্চ কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামান,সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন, মহা হিসাব নিরক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মুসলিম চৌধুরী, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইন ও অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক। এই কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

অনুসন্ধান কমিটি ৬ ফেব্রুয়ারি নিজেদের মধ্যে প্রথম বৈঠক করে। এরপর তারা আরও কয়েক দফা বৈঠকে মিলত হন। তারপর কমিটি ১০ ফেব্রুয়ারির বিকাল ৫ টার মধ্যে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সুধিজনের কাছ থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারের জন্য নাম প্রস্তাবের আহ্বান করে। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে আওয়ামী লীগসহ ২৪ টি রাজনৈতিক দল ও ৬টি পেশাজীবী সংগঠন নাম প্রস্তাব করে। একই সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায় থেকে দেশ এবং বিদেশ থেকে অনেক নাম জমা পড়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে।

পরবর্তীকালে অনুসন্ধান কমিটি দেশের বিভিন্ন পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে পৃথক চারটি বৈঠক করেন। এসব বৈঠক থেকে নাম প্রকাশ করার দাবি জানানো হয়। এই প্রেক্ষিতে অনুসন্ধান কমিটি ৩২২ জনের নাম প্রকাশ করে।  নাম প্রকাশ করলেও অনুসন্ধান কমিটি মাঠের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপিকে নাম প্রস্তাব করার জন্য শেষ দিন পর্যন্ত সময় দিয়েছিল। কিন্তু বিএনপি তাতে সাড়া দেয়নি। অবশ্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বিএনপির হয়ে জাফারুল্লাহ চৌধুরীই তাদের নাম দিয়েছেন।

এসএম/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত