বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২২ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash

চুড়িহাট্টা অগ্নিকাণ্ডের ৩ বছর

কেমিক্যাল ব্যবসায়ীদের হাতে জিম্মি পুরান ঢাকা

চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ৩ বছর পার হলো। ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ৭১টি তাজা প্রাণ পুড়ে ভস্ম হয় পুরান ঢাকার এই স্থানে। পুরান ঢাকায় ছোট-বড় সবমিলিয়ে ২৫ হাজার কেমিক্যাল গোডাউন রয়েছে, যার বেশিরভাগই পুরান ঢাকায়। বলতে গেলে এখনো মৃত্যুপুরিতে বসবাস করছেন সেখানকার অধিবাসীরা। প্রতিবারই বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটলে কেমিক্যাল গোডাউন অপসারণের কথা বলা হয়। তবে বাস্তবতা হলো–এর ফলাফল শূন্য। এমনকি ফায়ার সার্ভিসের সুপারিশমালাও ফাইলবন্দি হয়ে আছে। কার্যত কেমিক্যাল ব্যবসায়ীদের হাতে জিম্মি পুরান ঢাকা।

পুরান ঢাকার অধিবাসীরা জানান, কেমিক্যালের ব্যবসা হস্তান্তর করার কথা থাকলেও এখনো তা হয়নি। যেসব বিল্ডিংয়ে আগুন লেগেছিল সেসব বিল্ডিং এখন ব্যবহারযোগ্য। তাদের মতে, আবারও পুরান ঢাকায় আগের মতো বসবাস করা হচ্ছে। কেমিক্যাল গোডাউনও রয়েছে আগের মতোই। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ২০১০ সালে পুরান ঢাকার নিমতলি ও ২০১৯ সালে চুড়িহাট্টায় ঘটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। নিমতলিতে আগুনে পুড়ে অঙ্গার হয় ১২৪ তাজা প্রাণ, আর চুড়িহাট্টায় ৭১। দুবারই সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে বলা হয়েছিল খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পুরান ঢাকা থেকে দাহ্য রাসায়নিকের ব্যবসা স্থানান্তর করা হবে। তবে এখনো দাহ্য কেমিক্যাল ব্যবসায়ীদের হাত থেকে মুক্ত হয়নি পুরান ঢাকা।

দিন যত গেছে সেই তৎপরতা ততই কমেছে এবং কমতে কমতে এক সময় থেমে গেছে। চকবাজার যেমন ছিল তেমনই আছে, তেমনই আছে পুরান ঢাকা। কিছুই সরেনি, কিছুই নড়েনি। ২০১০ সালের ৩ জুন নিমতলিতে অগ্নিকাণ্ডে ১২৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যুর পরও এমনটাই ঘটেছিল। প্রাণের পর প্রাণ ঝরে, পুরান ঢাকা থেকে ঝুঁকিপূর্ণ কেমিক্যাল সরে না। সংবাদমাধ্যমের খবরে ও মানুষের মনে দগদগে ঘায়ের মতো এসব স্মৃতি যত শুকিয়ে যায়, কর্তৃপক্ষের দায়দায়িত্বও ততই যেন ফুরিয়ে যায়।

প্রায় ২৫ হাজার রাসায়নিক দাহ্যপদার্থের গোডাউনের উপরই বসবাস করছে বিশাল জনগোষ্ঠী। যদিও এসবের মধ্যে মাত্র আড়াই হাজার গুদামকে ট্রেড লাইসেন্স দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন ঢাকার বাইরে আলাদা কেমিক্যাল জোন গড়ে তুললে তারা ব্যবসায়িকভাবেও লাভবান হবেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সারি সারি প্লাস্টিকের ড্রাম আর দাহ্য রাসায়নিক পদার্থে ঠাসা দোকান। কোনো কোনোটিতে আবার বস্তাভর্তি দাহ্য কেমিক্যাল। তার ঠিক ওপরেই এলোমেলোভাবে ঝুলছে অসংখ্য বৈদ্যুতিক তার। দোকানের উপরেই রয়েছে বাসাবাড়ি। পুরান ঢাকার আরমানিটোলা, লালবাগ, কোতোয়ালি, বংশাল, চকবাজারসহ বেশিরভাগ এলাকার কেমিক্যাল দোকানগুলোর দৃশ্য এমন।

দৃশ্যটা কেবল এমনই নয়, পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আবাসিক ভবনগুলোর নিচতলা বেশিরভাগই বিভিন্ন কারখানা ও গোডাউন। এসব গোডাউনেই মজুদ থাকে প্লাস্টিকের ড্রাম আর দাহ্য রাসায়নিক পদার্থে ভর্তি বস্তা। এসব গুদামে রয়েছে গ্লিসারিন, সোডিয়াম অ্যানহাইড্রোস, সোডিয়াম থায়োসালফেট, হাইড্রোজেন পার অক্সাইড, মিথাইল ইথাইল কাইটন, থিনার, আইসোপ্রোইল ইত্যাদি। আগুনের সংস্পর্শে এলে ভয়ংকর হয়ে উঠে এসব রাসায়নিক পদার্থ।

ফায়ার সার্ভিসের সুপারিশ

অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে ফায়ার সার্ভিসের প্রতিবেদনে উল্লেখযোগ্য সুপারিশগুলো হলো–অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে আবাসিক এলাকায় যে কোনো ধরনের রাসায়নিকের দোকান বা গুদাম স্থাপন করা যাবে না। পুরান ঢাকার সব রাস্তা ও গলিপথ বাধামুক্ত করে কমপক্ষে ২০ ফুট প্রশস্ত করতে হবে। এসব রাস্তায় স্ট্রিট হাইড্রেন্ট স্থাপন করে নির্দিষ্ট দূরত্বে পানির প্রবাহ নিশ্চিত রাখতে হবে। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের সেই সুপারিশের বাস্তবায়ন ঘটেনি আজও।

শিল্প ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত বছর দাখিল করা একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে অগ্নিকাণ্ড ঠেকানোর ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন জানান, ‘চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডের পর ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত কমিটি বেশকিছু সুপারিশ তুলে ধরে। এর মধ্যে অন্যতম সুপারিশ ছিল অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে আবাসিক এলাকায় যে কোনো ধরনের রাসায়নিকের দোকান বা গুদাম স্থাপন করা যাবে না; কিন্তু সুপারিশে থাকা স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়িত হলেও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাগুলো পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা যায়নি। এখনো সরানো যায়নি রাসায়নিকের সব দোকান-গুদাম। অন্য সুপারিশগুলোর অধিকাংশেরই যে বাস্তবায়ন ঘটেনি এটাও বলা ভুল হবে না। ফলে এখনো পুরান ঢাকাকে অগ্নি ঝুঁকিমুক্ত বলা যাচ্ছে না।’

এদিকে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) এক গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, রাজধানীর পুরান ঢাকায় ২৫ হাজার কেমিক্যাল গোডাউন বা রাসায়নিক পণ্যের গুদাম রয়েছে। এ সবের মধ্যে ১৫ হাজার আছে বাসাবাড়িতে।

ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘নিমতলি ট্র্যাজেডির পর সরকার আমাদের নির্দিষ্ট জায়গা দেওয়ার কথা বলেছিলেন; কিন্তু আমরা আজ পর্যন্ত তা বুঝে পাইনি। যে পরিবেশে এ ব্যবসাটা করা উচিত আমরা এখনো তা গড়ে তুলতে পারিনি। পুরো প্রক্রিয়া একটা এলাকার মধ্যে থাকলে ঝুঁকি কমবে।’

এদিকে গোয়েন্দা পুলিশের ধারণা, বর্তমানে কেমিক্যাল আমদানি নীতিমালাও পুরোপুরিভাবে সংস্কার করা হয়নি। দেশে ৯ ধরনের কেমিক্যাল আমদানি করা হয়ে থাকে; কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ৩ ধরনের কেমিক্যালের বহন, ব্যবহার ও সংরক্ষণের জন্য নীতিমালা রয়েছে। বাকি ৬ ধরনের কেমিক্যাল কোনো নীতির তোয়াক্কা না করেই ব্যবহার করা হয়। এ ৬ ধরনের কেমিক্যালের আড়ালে বিভিন্ন বিস্ফোরক ও নেশাজাতীয় কেমিক্যাল আমদানি করা হচ্ছে।

২০১০ সালের ৩ জুন পুরান ঢাকার নিমতলিতে স্মরণকালের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নারী ও শিশুসহ ১২৩ জনের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর পুরান ঢাকার অবৈধ রাসায়নিক দ্রব্যের দোকান অপসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০১৫ সালে কেরানীগঞ্জের সোনাবান্দায় ২০ একর জমিতে কেমিক্যাল পল্লী গঠনের কথা থাকলেও প্রকল্প বাস্তবায়নের ধীরগতির কারণে ওই জমি আইটি পার্ক করার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়।

কেমন আছে চুড়িহাট্টা

চুড়িহাট্টা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সবকিছু স্বাভাবিক। আতঙ্কের ছাপ নেই। অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হওয়া সেই ওয়াহিদ ম্যানশনের নিচে নেই স্বজন হারানোদের ভিড়। ভবনটিকেও নতুন রূপে ব্যবহার উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়েছে।

চুড়িহাট্টা ট্র্যাজেডির পর কয়েক দফা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে পুরান ঢাকায়। দুর্ঘটনা হলেই রাসায়নিক কারখানা স্থানান্তরের বিষয়ে আলোচনা হয়। কয়েক দিন পর তা থেমে যায়। ২০১৯ সালে ঝুঁকিপূর্ণ কেমিক্যাল গোডাউন উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। পরে এফবিসিসিআইর অনুরোধে ডিএসসিসি উচ্ছেদ অভিযান সাময়িক স্থগিত করে। এর পর আর অভিযান শুরু হয়নি।

বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ ও সিটি করপোরেশনের মত

এ বিষয়ে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের জানান, করপোরেশনের উদ্যোগে ১ হাজার ৯২৪ জন ব্যবসায়ীর তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এ তালিকা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। পরে স্থানান্তরের বিষয়ে তারা পদক্ষেপ নেবে।

আবু নাছের বলেন, ‘দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩, ৪ ও ৫ নম্বর অঞ্চলে এসব কেমিক্যাল গোডাউনগুলোর অবস্থান। এর মধ্যে এগারোশর অধিক কারখানার অবস্থান অঞ্চল ৩-এ।’

২০১০ সালে নিমতলিতে অগ্নিকাণ্ডের পর দুর্ঘটনা রোধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন অতিরিক্ত সচিব ইকবাল খান চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত কমিটি কেমিক্যাল গোডাউন অপসারণসহ ১৭ দফা নির্দেশনা দেয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই সুপারিশমালা দীর্ঘ ১১ বছর ধরে ফাইলবন্দি। এর মধ্যেই ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে নিমতলির ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে চকবাজারের চুড়িহাট্টায়। এ সময়ও বেশকিছু সুপারিশ করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি। এতে আগুনের জন্য ওয়াহেদ ম্যানশনের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় গুদামজাত করা বিপুল পরিমাণ রাসায়নিককে দায়ী করা হয়।

বাপার নির্বাহী সহসভাপতি আব্দুল মতিন বলেন, ‘পুরান ঢাকার কেমিক্যাল গোডাউন সরাতে বাপা একাধিকবার কথা বলেছে। কিছু উদ্যোগ নেয়া হলেও এখন আর কেমিক্যাল গোডাউন সরানোর উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয় না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের গবেষণায় প্রায় ২৫ হাজার অবৈধ কেমিক্যাল গোডাউন রয়েছে। এগুলো না সরালে কিছুতেই অগ্নিকাণ্ড ঝুঁকি কমবেনা। আমরা বারবার সরকারকে এ বিষয়ে তাগিদ দিয়ে আসছি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বুয়েটের বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. আশিকুর রহমান ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ড একটি ভয়াবহ ঘটনা। আমাদের দেশে একটি ঘটনা ঘটার পর মানুষ কিছুদিন সতর্ক থাকে। পরে আর এসব ঘটনাকে কিছু মনে করে না। আবার আগের অবস্থায় ফিরে যায়। সতর্ক না হওয়ার কারণে আবারও বিস্ফোরণ বা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার শিকার হতে হয়। তাছাড়া আমাদের বড় বড় ঘটনা গুলো প্রথম দিকে একটু ভালো মনিটরিং হয় পরে আর কোন মনিটরিং করা হয় না, যদি নিয়মিত মনিটরিং থাকতো তাহলে জনসচেতনতা বৃদ্ধি পেত যেটা একেবারেই নাই বললে চলে। এটি না থাকার কারণে আবারও সেখানে পরবর্তীতে বিস্ফোরণের আশঙ্কা থাকে।’ জনসাধারণ সতর্ক না হলে বিস্ফোরণের ঘটনা কমবে না বলে মনে করেন এই বিশেষজ্ঞ।

কেএম/এসএ/

Header Ad
Header Ad

নতুন রাজনৈতিক দল গঠনে জনগনের মতামত চাইলো হাসনাত  

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবিঃ সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে চলতি ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয়ার্ধে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটতে যাচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারে দায়িত্বে থাকা এক তরুণ উপদেষ্টা পদত্যাগ করে নতুন এই দলের দায়িত্ব নিতে পারেন বলেও জানা গেছে।

এবার জনগণ কেমন দল চায় জানিয়ে মতামত চেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে এক পোস্টে এ আহ্বান জানান।

পোস্টে হাসনাত লেখেন, ‘ছাত্র-তরুণদের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দল আসছে!’

একটি ফরম পূরণ করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আপনি কেমন দল চান আমরা তা জানতে চাই এবং সে আদলেই দলটি গড়তে চাই। কমেন্টে দেওয়া ফর্মে আপনার মতামত জানান। ফর্মটি পূরণ করতে মাত্র ৫ মিনিট সময় লাগবে।’

Header Ad
Header Ad

এই ফটো তোলোস কেন? আদালত চত্বরে শাহজাহান ওমর  

ঝালকাঠি-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান ওমর। ছবিঃ সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর আদাবর থানায় দায়েরকৃত রুবেল হত্যা মামলায় ঝালকাঠি-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান ওমর, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম. এ আজহারুল ইসলামের আদালত গ্রেফতার দেখানোর এ আদেশ দেন।

এদিন সকালে আসামিদের আদালতে হাজির করে উক্ত মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। পরে সে আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারক।। সোয়া ৯ টার পর তাদের এজলাসে তোলা হয়। তিন জনের মধ্যে সামনে ছিলেন শাহজাহান ওমর।

এই সময় সাংবাদিকরা তাদের ছবি তুলতে গেলে। তখন শাহজাহান ওমর বলেন, ‘এই ফটো তোলোস কেন?’ পরে তাদের এজলাসে নিয়ে যাওয়া হয়।

সেখানে অনেকটাই স্বাভাবিক ছিলেন শাহজাহান ওমর। আইনজীবী-পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে সময় পার করেন। কখনও হেসেছেন। আইনজীবীদের কাছে মামলার বিষয়ে খোঁজখবর নেন। জানতে চান তিনি এজাহারনামীয় আসামি কি না।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৫ আগস্ট রুবেলসহ কয়েকশ ছাত্র-জনতা সকাল ১১টার দিকে আদাবর থানাধীন রিংরোড এলাকায় প্রতিবাদী মিছিল বের করে। এসময় পুলিশ, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, তাঁতীলীগ, কৃষকলীগ, মৎস্যজীবী লীগের নেতাকর্মীরা গুলি চালায়। এতে রুবেল গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

এ ঘটনায় ২২ আগস্ট আদাবর থানায় হত্যা মামলা করেন রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম।

Header Ad
Header Ad

মনে হচ্ছে বিবিসি বাংলা গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার ভক্ত : প্রেস সচিব  

প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবিঃ সংগৃহীত

মনে হচ্ছে বিবিসি বাংলা ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক এবং গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার ভক্ত হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।

পোস্টে তিনি লিখেছেন, সংবাদ মাধ্যমটি (বিবিসি বাংলা) যখন শেখ হাসিনার বিষয়ে লেখে, তখন তার ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পটভূটি বাদ দেয়। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর উনি ভারতে চলে গেছেন এমন শব্দ ব্যবহার করতে তারা অধিকতর পছন্দ করে। বাস্তবতা হচ্ছে শেখ হাসিনা অসংখ্য শিশু হত্যা, নজিরবিহীন সহিংসতা, লুণ্ঠন, দুর্নীতি, বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং তিন হাজারের বেশি মানুষকে গুম করে ভারতে পালিয়ে গেছেন।

তিনি লেখেন, গত সপ্তাহে শেখ হাসিনাকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে সংস্থাটি বলছে, শেখ হাসিনা তার দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসনামলে হত্যা এবং গুমের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে এই গুরুত্বপূর্ণ অংশের কিছুই উল্লেখ ছিল না। তারা বিপ্লবের পরে গণগ্রেপ্তার নিয়ে কথা বলতে বেশি পছন্দ করে।

শফিকুল আলম লেখেন, কোনো গণগ্রেপ্তার হয়েছে? কতজনকে গত ছয় মাসে গ্রেপ্তার করা হয়েছে? আমরা জানতাম যে ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর পুলিশ বিএনপির সমাবেশকে জোরপূর্বক ছত্রভঙ্গ করেছিল। তারপর কমপক্ষে ২৫ হাজার জনকে গ্রেপ্তার করেছিল।

প্রেস সচিব আরও লিখেছেন, মনে হচ্ছে বিবিসি বাংলা গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাকে একটি নিখুঁত প্ল্যাটফর্ম দিয়েছে। গতকাল তারা একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে। সেখানে তারা বলেছে যে, হাসিনা নয়াদিল্লি থেকে ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলবেন। প্রকৃতপক্ষে, এটি ‘বাংলার কসাইয়ের’ জন্য একটি নিখুঁত প্ল্যাটফর্ম! এটি কি কখনো নির্বাসিত বিএনপি নেতা তারেক রহমানকে একই রকম প্ল্যাটফর্ম দিয়েছে? হাসিনার স্বৈরশাসনের আমলে তারেক রহমান লন্ডনে কীভাবে সময় কাটাচ্ছিলেন সে সম্পর্কে লিখেছিল? এটি কি তার সাক্ষাৎকার নিয়েছিল?

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নতুন রাজনৈতিক দল গঠনে জনগনের মতামত চাইলো হাসনাত  
এই ফটো তোলোস কেন? আদালত চত্বরে শাহজাহান ওমর  
মনে হচ্ছে বিবিসি বাংলা গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার ভক্ত : প্রেস সচিব  
পটুয়াখালীতে বাংলাভিশনের সাংবাদিককে কুপিয়ে জখম  
উত্তরবঙ্গে অনির্দিষ্টকালের জন্য তেল বিক্রি বন্ধ
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ধাপের আখেরি মোনাজাত আজ  
শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার নিয়ে কড়া বার্তা হাসনাত আবদুল্লাহর  
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার রায় আজ    
সুইডেনে স্কুলে বন্দুক হামলা নিহত ১০ জন  
বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত গ্রেফতার  
জাবিতে পোষ্য কোটা সম্পূর্ণরূপে বাতিলের ঘোষণা  
মুসলিম লীগ যেমন বিলুপ্ত হয়েছে, আওয়ামী লীগও বিলুপ্ত হবে : সলিমুল্লাহ খান
ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ রাব্বীসহ ৮ বুয়েট শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার  
জীবননগর সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে বাংলাদেশি যুবক আটক
নগদের সাবেক চেয়ারম্যান-এমডিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে ৬৪৫ কোটি টাকা জালিয়াতির মামলা
৮ ফেব্রুয়ারি থেকে চালু হচ্ছে নতুন মার্কিন ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া
ক্যাম্পাসের মসজিদে কোরআন পুড়িয়েছে রাবি ছাত্র, জানা গেল পরিচয়
মার্কিন ভিসার জন্য প্রার্থনা করতে মন্দিরে ভিড় ভারতীয়দের
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কুরআন পোড়ানোর ঘটনায় মূল সন্দেহভাজন আটক
পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়াই পাসপোর্ট ইস্যু ও নবায়ন