বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

৩ মাসে সড়কে প্রাণ গেছে ১৩১৫ জনের

কুমিল্লার ময়নামতিতে ট্রাকচাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন। শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ভোরে কুমিল্লা-সিলেট অঞ্চলিক মহাসড়কের ময়নামতি তুত বাগান এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। সারাদেশে প্রতিনিয়তই এমন দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। দেখা গেছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চালকদের গাফিলতি এসব দুর্ঘটনার মূল কারণ। সরকারি ও বেসরকারিভাবে বারবার সর্তক করা হলেও সড়ক এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্যমতে, গত ৩ মাসে সড়কে প্রাণ গেছে ১৩১৫ জনের।

ফাউন্ডেশনের দাবি, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা, বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল, তরুণ ও যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বিআরটিএর সক্ষমতার ঘাটতি এবং গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজির কারণে প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

ফাউন্ডেশনের হিসাব মতে, ২০২১ সালের নভেম্বর, ডিসেম্বর এবং চলতি বছরের জানুয়ারি মোট তিন মাসে ১১৮৯টি সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। যার কবলে পড়ে নিহত হয়েছেন ১৩১৫ জন। আহতের সংখ্যা দেড় হাজারেরও বেশি।

তাদের তথ্যমতে, ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে ৩৭৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪১৩ জন নিহত হয়েছেন। গড়ে প্রতিদিন নিহত হয়েছেন ১৩ দশমিক ৭৬ জন। ডিসেম্বর মাসে ৩৮৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৪১৮ জন। গড়ে প্রতিদিন নিহত হয়েছেন ১৩ দশমিক ৪৮ জন। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে সারা দেশে মোট সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪২৭টি। এতে নিহত হয়েছেন ৪৮৪ জন। আহত হয়েছেন ৬৭৩ জন। গড়ে নিহত হয়েছেন ১৫ দশমিক ৬১জন।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ১৮ তারিখ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। তথ্যমতে জানা যায়, এ সড়ক দুর্ঘটনায় ২৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।

এদিকে ট্রাফিক পুলিশ বলছে, বিভিন্নভাবে তারা চালকদের সতর্ক করছেন এবং ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালানোর জন্য মামলাও দেওয়া হচ্ছে। শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করছেন তারা। ট্রাফিকের দাবি, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে আগের চেয়ে রাস্তায় তাদের তৎপরতা বেড়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সড়কে ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অসতর্কতা ও অদক্ষ চালকের কারণে প্রতিদিন এসব দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। দেখে গেছে, সারাদেশে সড়কে অকালমৃত্যুর প্রতিবাদে বিভিন্ন সময় বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা একের পর এক অবরোধ করে আন্দোলন করছে কিন্তু তাতে তেমন কোনো সুফল আসেনি।

সড়ক দুর্ঘটনায় অনেক সাধারণ এবং হতদরিদ্র মানুষও মারা যাচ্ছেন। যার কারণে ধ্বংস হচ্ছে একেকটি পরিবার। বাস, মিনিবাস, ট্রাক, ট্রাক্টরের মতো ভারী গাড়িগুলো মারাত্মক দুর্ঘটনার জন্য অধিকতর দায়ী।

বুয়েটের এক সমীক্ষা বলছে, ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও অদক্ষ চালকের কারণে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। ওইসব গাড়ির মধ্যে সব চেয়ে মিনিবাসই বেশি দুর্ঘটনা ঘটাচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিশেষজ্ঞ তৌহিদুল হক ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘দেখা যায়, যতগুলো সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে অধিকাংশই হয়ে থাকে চালকের জন্য। অনেক সময় ঘুম না হওয়ার কারণে তাদের মেজাজ খিটখিটে থাকে। অনেক সময় আমরা জানতে পারি, চালকরা অতিরিক্ত মদ পান করে এবং বিশ্রাম না থাকায় ঘুমিয়ে পড়ে। যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। এমন সব নানান বিষয় রয়েছে, যার কারণে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে। তবে দিনদিন সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ার কারণ হলো–এ সেক্টরে কোনো নিয়ম-নীতি নেই। এজন্য একটি শক্ত নিয়ম-নীতির প্রয়োজন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে সাধারণত ড্রাইভারদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা যাচাই করা হয় না। ড্রাইভারদের মধ্যে কিছুটা শিক্ষাগত যোগ্যতা যাচাই করা হলে সড়ক দুর্ঘটনা কিছুটা কমে আসবে। বর্তমান বিআরটিএ ড্রাইভারদের ক্ষেত্রে একটি ডোপ টেস্টের পরিকল্পনা নিয়েছে, যেটা খুবই প্রশংসামূলক কর্মকাণ্ড। ডোপ টেস্টের ভয়ে অনেক ড্রাইভার মদ পান থেকে বিরত থাকবে। যার কারণে কিছুটা হলেও সড়ক দুর্ঘটনা কমে আসবে।’

এ অপরাধ বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘আমরা দেখেছি ঢাকা এবং সিলেটে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। তা ছাড়া অনেক এলাকার রাস্তাঘাট তেমন ভালো না। যদি আরও ভালোভাবে সড়কের উন্নতি করা যায় তাহলে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকখানি কমে আসবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘সড়কে নিয়মিত অসংখ্য মানুষের প্রাণ ঝরছে। এর জন্য মূলত দায়ী নৈরাজ্য। যদি সরকার দীর্ঘমেয়াদি একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করে সেই ক্ষেত্রে হয়তো সড়ক দু্র্ঘটনা কমে আসবে। যদি সড়কে সরকার পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের জন্য একটি কঠোর আইন বাস্তবায়ন করতে পারে, তাহলে অনেক চালক ও পরিবহন সেক্টরের সংশ্লিষ্টরা ভয়ে থাকবে এবং তারা সবসময় শ্রমিকদের সতর্কভাবে গাড়ি চালাতে বলবে। পরিবহন সেক্টরের কাছে অনেক মানুষ জিম্মি। তা ছাড়া পুলিশের চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে সব নৈরাজ্য বন্ধ হলেই সড়ক দুর্ঘটনা কমে আসবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এদিকে বিআরটিএরও সক্ষমতার ঘাটতি রয়েছে এবং গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজির কারণে নিয়মিত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। সড়ক দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে হলে চালক ও সাধারণ মানুষকে অতিরিক্ত সতর্ক হতে হবে এবং সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। তাহলেই সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব হবে।’

কেএম/এসএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত