বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ভার্চুয়ালে বন্দী ছাত্রদলের ভবিষ্যত!

কাউন্সিলে প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে দীর্ঘ ২৭ বছর পর গত ২০১৯ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর ছাত্রদলের নেতৃত্ব নির্বাচিত করা হয়। সেখানে সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল নির্বাচিত হন।

এরপর গত ২০ ডিসেম্বর ৬০ সদস্য বিশিষ্ট ছাত্রদলের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেই আংশিক কমিটি এখনো পূর্ণাঙ্গ কমিটির মুখ দেখেনি। নিকট ভবিষ্যতে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হবে, নাকি নতুন কমিটি গঠন করা হবে, সে বিষয়ে কোনো কিছুই জানেন না সংগঠনটি শীর্ষ নেতারা। এমনকি দলটির সোনালী অতীত থাকলেও গণতান্ত্রিক কর্মসূচি ও সাংগঠনিক কার্যক্রম মূল্যায়ণে অনেকটাই কাগুজে বাঘে পরিণত ছাত্রদল। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভার্চুয়াল বৃত্তে আটকে থাকা পরামর্শ ও নির্দেশনার ওপর সংগঠনটির নেতৃত্বকে থাকিয়ে থাকতে হচ্ছে। তারেক রহমান দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছেন।

১৯৭৯ সালে ১ জানুয়ারি জন্ম নেওয়া ছাত্রদল এরই মধ্যে ৪২ বছর পূর্ণ করে ৪৩-এ পা দিয়েছে। অথচ ২০১৬ সালে বিএনপির সর্বশেষ কাউন্সিলে রাখা হয়নি ছাত্র-বিষয়ক সম্পাদক পদ। খালেদা জিয়া দণ্ডিত আসামি হয়ে রাজনীতিতে নিস্ক্রিয়। ফলে কার্যত সংগঠনটির দেশে দৃশ্যত অভিভাবকহীন।

তবে ছাত্রদলের শীর্ষ নেতাদের ভাষ্য-ছাত্রদলে সক্রিয়তা ফিরে এসেছে। এখন ছাত্রদল নেতৃত্বকে সাবেক ছাত্রনেতাদের পরামর্শ নেওয়ার নামে কোনো বলয় কিংবা সিন্ডিকেটে যুক্ত হতে হচ্ছে না। আগামী দিনের রাজপথ আন্দোলন উপযুক্ত নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা, নতুন কমিটি গঠন কেন্দ্র করে ছাত্রদল কোনো বলয় কিংবা সিন্ডিকেটে জড়াতে না পারে সে জন্য তারেক রহমান সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে প্রায় নিয়মিত ভার্চুয়ালিভাবে দিক-নির্দেশনা, পরামর্শ দিচ্ছেন। এতে নেতাকর্মীরাও উজ্জীবিত হচ্ছেন।

ছাত্রত্বহীন ছাত্রদল

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা জীবন শেষ, তারপরও সংগঠনটি শীর্ষ পদ আকঁড়ে রেখেছেন, রাখতে চান ছাত্রদল নেতারা। সংগঠনটির বর্তমান সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন এসএসসি ২০০০ ব্যাচ, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল এসএসসি ২০০৩ ব্যাচ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদ জুয়েল এসএসসি ২০০৩ ব্যাচ। যাদের এসএসসি ২০০০ সালে তাদের শিক্ষাবর্ষ ২০০২/২০০৩, আর যাদের এসএসসি ২০০৩ সাল তাদের শিক্ষাবর্ষ (২০০৪-২০০৫)। ২০০০ সালে এসএসসি তারা নিয়মিত শিক্ষাপাঠে ২০০৬ সালের সার্টিফিকেট পরীক্ষার ফলাফল অর্জনে সর্বোচ্চ ২০১০ সালের মধ্যে শিক্ষাজীবন শেষ হয়ে যায়। অথচ তারা এখনো ছাত্রদলের শীর্ষপদ আকঁড়ে ধরে থাকছেন। কমিটির সবচেয়ে বড় হাস্যকর হচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারি, যার এসএসসি ব্যাচ ১৯৯৫ সাল। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৭-৯৮ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হন। শিক্ষাপাঠ শেষ এক যুগ হলেও ছাত্রদলে পদ আকঁড়ে রেখেছেন। এছাড়াও সংগঠনটির কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে শুরু করে বিভিন্ন ইউনিট কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন এবং ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দিতে জোরালেভাবে আগ্রহী তাদের অধিকাংশ ছাত্র-নেতার ছাত্রত্ব জীবন শেষ হয়েছে প্রায় ৫/৭ বছর হয়েছে। জিজ্ঞাসা করলে বলা হয় তাদের শিক্ষা জীবনে পরীক্ষায় ড্রপ আছে, কেউ কেউ আবার বলে থাকে তারা এমফিল করছেন, কেউ বা থিসিস করছেন। অথচ এইসবের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কোনো তথ্য উপাত্ত দেখাতে পারেন না বরং স্বাভাবিকভাবে প্রসঙ্গ এড়াতে বলেন-বুঝেন তো ভাই রাজনীতি করি আর তো কিছু করি না। দল ক্ষামতায় নাই দল করার স্বীকৃতি তো পেতে পারি।

নাম প্রকাশে অনিইচ্ছুক ছাত্রদলের একজন প্রভাবশালী সহ-সভাপতি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারি ও সহ দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক সোহেলের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ছাত্রদলের সাংগঠনিক কার্যক্রমকে স্থবিরতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এরমূল কারণ হচ্ছে বয়সের ব্যবধান। সাত্তার পাটোয়ারি ছাত্রদলের বিগত কমিটি আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল-হাবিবুর রশিদ হাবিব কমিটির সহ-দফতর সম্পাদক ছিলেন। রাজীব আহসান ও আকরামুল হাসান মিন্টু কমিটির দপ্তর সম্পাদক ছিলেন এবং বর্তমান কমিটির ফজলুর রহমান খোকন ও ইকবাল হোসেন শ্যামল কমিটির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক। এসএসসি ব্যাচ ১৯৯৫, আর কমিটির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সভাপতি এসএসসি ব্যাচ ২০০০ সাল, সাধারণ সম্পাদকের এসএসসি ব্যাচ ২০০৩ সাল।

তিনি বলেন, যেহেতু ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক অপেক্ষাকৃত অনেক বড় তাই স্বাভাবিকভাবে তার সঙ্গে সংগঠনের কারো সুসম্পর্ক নেই। বলতে খারাপ শুনালেও সংগঠনে তিনি সকলের কাছে ‘আদু ভাই’ হিসাবে পরিচিত। কি কারণে তাকে সংগঠনে রেখে সংগঠনকে বিতর্কের মুখোমুখি হতে হচ্ছে তা বোধগম্য নই। বরং তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক আছে প্রচারণায় সংগঠনের প্রতিটি ইউনিট কমিটিতে মাইম্যানকে অন্তর্ভুক্ত করতে নানা অনিয়মের প্রভাব বিস্তার করে যাচ্ছেন। বয়সে সিনিয়র তাই সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকও বেশিকিছু বলতে পারছে না। অন্য দিকে সহ-দফতর সম্পাদক আজিজুল হক সোহেল সংগঠনটির সভাপতির পকেট কমিটির লোক হিসাবে ছাত্রদলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের কাছে পরিচিত। অর্থ বিনিময়ে বাইরে কিছুই করে না। সম্প্রতি নিজ জেলা (নেত্রকোনা) জেলা কমিটিতে অর্থের বিনিময়ে এক উপজেলা থেকে ৮১ জনকে অন্তর্ভুক্ত করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল। পরবর্তীতে কমিটি ঘোষণার ৫ দিনের মধ্যে কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করতে বাধ্য হয় সংগঠনটির নেতৃত্ব।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন বলেন, ‘আমাদের দপ্তরের কিছুটা সমন্বয়হীনতা হচ্ছে। প্রত্যাশা করছি স্বল্পসময়ের মধ্যে এই সমন্বয়হীনতা দূর হবে।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি সংগঠনটির কতিপয় নগর নেতাকর্মীরা কয়েক মিনিটের মশাল মিছিলে মুখে আন্দোলনের খই ফুটালেও রাজধানীতে অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ সমূহে ছাত্রদলের কোনো কমিটি নাই। যে সব প্রতিষ্ঠানে কমিটি ছিল তাও বিলুপ্তি ঘোষণা করেছে সংগঠনটির বর্তমান নেতৃত্ব।

১৫ অক্টোবর ২০২১ সালে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের অধীন ৫ টি কলেজ ও ৪ টি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হচ্ছে- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।

কমিটি বিলুপ্তি করা ৫টি কলেজ সমূহ হচ্ছে, ঢাকা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, সরকারি বাংলা কলেজ, তেজগাঁও কলেজ।

অবশ্য উল্লেখিত কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণায় বলা হয়ে ছিল-খালেদা জিয়ার চলমান গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন-সংগ্রামে কার্যকরী ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবক তারেক রহমানের দিক নির্দেশনা মতে ছাত্রদলের প্রতিটি ইউনিট সুশৃঙ্খল, সুসংগঠিত ও গতিশীল করে গড়ে তোলার অভিপ্রায়ে আগামী ৩০(ত্রিশ) দিন তথা ১৫ নভেম্বর ২০২১ তারিখের মধ্যে আহ্বায়ক কমিটি পুর্নগঠন করা হবে। যা এখনো বিলুপ্তিতেই আটকে আছে।

সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘ক্ষমতাসীন সরকারের নানামুখী হয়রানি উপেক্ষা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের জেলা-উপজেলা-পৌরসভা ইউনিট কমিটির মাধ্যমে ছাত্রদল ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। ইতিমধ্যে দেশের প্রায় সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্রদলের স্বঅবস্থান নিশ্চিত করা হয়েছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে খোকন বলেন, ‘দায়িত্ব পাওয়ার পর তৃণমূলের অগোছালো ও মেয়াদ উর্ত্তীণ কমিটিগুলোকে সাংগঠনিকভাবে সক্রিয় করার পাশাপাশি মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণে প্রায় অনেকটা সময় অতিবাহিত হয়ে যায়। কেন্দ্রীয় আংশিক কমিটিকে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে রুপান্তর করা সম্ভব হয়নি। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে ছাত্রদল পূর্ণাঙ্গ কমিটি হবে। সবকিছু চূড়ান্ত করা হয়েছে এখন অভিভাবক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা ও পরামর্শে বিলুপ্তি হওয়া পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত (৭) কলেজে কমিটি এবং কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ঘোষণার অপেক্ষায় আছে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের কমিটি :

রাকিবুল ইসলাম রাকিব (এসএসসি ২০০৩ ব্যাচ) কে আহ্বায়ক এবং আমান উল্লাহ আমানকে সদস্য সচিব করে ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯ সালে ৯১ সদস্য বিশিষ্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।

উক্ত কমিটির নেতৃত্ব ২১ মার্চ ২০২০ সালে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা (ছেলে) ১৩ টি হলের মধ্যে ১২ টি হল কমিটির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে। শুধু মাত্র সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের কোনো কমিটি ঘোষণা করা হয় নাই। তবে মেয়েদের ৫ টি হলের মধ্যে ১ টি হলেও কমিটি ঘোষণা করা হয়নি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সব হলে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে-শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান, ৭১, পল্লী কবি জসিম উদ্দিন, মাস্টার দা সূর্যসেন, হাজী মোহাম্মদ মুহসিন, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক, এফ রহমান, জগন্নাথ, শহীদুল্লাহ, একুশে, ফজলুল হক মুসলিম।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (মেয়েদের হল) সমূহ-বেগম রোকেয়া, কবি সুফিয়া কামাল, শামসুন্নাহার, কুয়েত মৈত্রী, ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘শুরুতে ৯১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হলেও কিছুদিন পর ৯১ সদস্য কমিটিকে ১২৩ সদস্যের কমিটিতে রূপান্তর করা হয়েছে। ছেলেদের হলগুলোর মধ্যে শুধু মাত্র সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের কমিটি করা হয়নি। কমিটি গঠন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত আছে, এখন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে অঘোষিত হলের কমিটি ঘোষণা করা হবে। তবে এই মুহূর্তে মেয়েদের হলগুলোর কমিটি গঠনে আপাতত কোনো সিদ্ধান্ত নাই। তাদের (মেয়ে) মধ্যে যারা রাজনীতিতে সক্রিয়, সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক কমিটি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।

ছাত্রদলের একটি দায়িত্বশীল সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ৭ কলেজ কমিটির নেতৃত্বে আগ্রহীদের তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে প্রতিবেদন পাঠানোর নিদের্শনা দিয়েছেন বিএনপির হাইকমাণ্ড তারেক রহমান। আর এই তথ্য জানতে পেরে ছাত্রদলের শীর্ষ নেতারাও ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদকের কাছে তাদের পছন্দের নাম নিয়ে দৌড়ঁঝাঁপ করছেন।

এদিকে ছাত্রদলের সহ-দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক সোহেল ঢাকাপ্রকাশ-কে জানান, ‘কাজ করতে গেলে সমালোচনা হবে, সমালোচনা থাকবে। যাদের কোনো কাজ নাই তারা সমালোচনা করে। অথচ মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণ যখন বৃদ্ধি পেয়েছিল, সংগঠনের সাংগঠনিক কাযক্রম কিছুটা বাধাগ্রস্ত হলেও বসে থাকেনি ছাত্রদল। বরং সংগঠনকে গতিশীল করতে ইতিমধ্যে সারাদেশে নগর, মহানগর, জেলা, উপজেলা, থানা, পৌর ও কলেজ শাখায় প্রায় এক হাজার ৫৩৮টি নতুন কমিটি উপহার দিয়ে সক্ষমতার পরিচয় দিতে পেরেছে ছাত্রদল। ইউনিয়ন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলমান। দ্রুত সময়ের মধ্যে শতভাগ নতুন কমিটি গঠনের মাধ্যমে ছাত্রদল তাদের সাংগঠনিক ভিত্তি আরও শক্তিশালী করতে সক্ষম হবে।’

এমএইচ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত