বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্রকল্প মেয়াদ শেষ জাহাজও নেই

৭২ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা

অভিজ্ঞতা অর্জনেই প্রকল্প পরিচালক স্ট্যাডি ট্যুরের নামে ব্যয় করেছেন ৬০ লাখ টাকা। আর যানবহন ভাড়া ও ফটোকপি মেশিন কিনতে প্রায় ৪০ লাখ টাকা। দুটি জাহাজ কেনাসহ অন্যান্য কাজ ২০১৭ সালে মধ্যেই শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু তাতে ব্যর্থ হলে প্রকল্প সংশোধন করে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়।

এ প্রকল্পের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স নিউ ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপ বিল্ডার্স লিমিটেডকেও প্রায় পুরো টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। কিন্তু বাড়তি সময়েও ৬৫ শতাংশের বেশি কাজ হয়নি। সংশোধনের সময় আইএমইডি থেকে তদারকি আরও জোরদার করতে বলা হলে প্রকল্প পরিচালক কর্তৃপক্ষকে কিছুই জানাননি।

আড়াই বছর আগে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও জাহাজের কোনো কূলকিনারা খুঁজে পাচ্ছেন না সংশ্লিষ্টরা। ফলে এ প্রকল্পের ৭২ কোটি টাকা একেবারে জলে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে দিশেহারা কর্তৃপক্ষ। ঢাকাপ্রকাশের অনুসন্ধানে এমনই তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

 

 

এটি যেনতেন কোনো প্রকল্প নয়, যাত্রীদের চাপ সামলাতে ‘ঢাকা-বরিশাল-খুলনা রুটে দুইটি নতুন যাত্রীবাহী জাহাজ সংগ্রহ’ প্রকল্পের বাস্তব চিত্র। সরকার ২০১৫ সালের ৭ এপ্রিল এ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়। প্রকল্পটির বাস্তবায়নকারী সংস্থা হচ্ছে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)।

প্রথম থেকেই প্রকল্প পরিচালক (পিডি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিআইডব্লিউটিসির সাবেক মহাব্যবস্থাপক (মেরিন) ক্যাপ্টেন শওকত সরদার। তার সময়ে টেন্ডার আহ্বান, স্ট্যাডি ট্যুরসহ অন্যান্য কাজ হয়েছে।

আসলে ঘটেছে কী? জানতে ঢাকাপ্রকাশ থেকে বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করা হয়। অনুসন্ধানেও জানা গেছে অজানা কাহিনী। তখনকার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কেউ দায় নিতে চাচ্ছেন না। আবার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কর্তারা গা ঢাকা দিয়েছেন। কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন।

তাই প্রকৃত ঘটনা জানার জন্য প্রথম প্রকল্প পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ঢাকাপ্রকাশকে তিনি বলেন, ‘আমি ২০২০ সালে অবসরে গেছি। সব কিছু কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দিয়ে বিদায় নিয়েছি চাকরি থেকে। কাজেই কোনো কথা বলা সম্ভব নয়।’
মেয়াদ শেষের পরও বিআইডব্লিউটিসি জাহাজ দুইটি বুঝিয়ে না পাওয়ায় সার্বিক ব্যাপারে কাজ করতে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয় জিএম (মেরিন) খন্দকার মহিউদ্দিন আহমেদকে। বর্তমানে তিনিও চাকরি থেকে অবসরে।

তিনি ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘আমি কখনো পিডির দায়িত্বে ছিলাম না। কাজেই জাহাজের ব্যাপারে কোনো কথা নেই। বরং ক্যাপ্টেন ডিজিএম (মেরিন) বাপ্পি কুমারই এর দায়িত্ব পালন করেন। আমি কিছু না।’

এদিকে বাপ্পির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ঢাকাপ্রকাশকে তিনি বলেন, ‘২০১৯ সালের জুনে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। ওই সময়ে পিডি ক্যাপ্টেন শওকত সরদারের চাকরিও শেষ হয়ে যায়। তাই কাউকে পিডি হিসেবে অফিশিয়ালি দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। শুধু কাগজপত্র দেখার জন্য খন্দকার মহিউদ্দিন আহমেদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি যাওয়ার সময় অফিসে কাগজপত্র বুঝিয়ে দেননি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব আহমদ শামীম আল রাজী ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নিয়েই জাহাজ দুটি উদ্ধারে অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। আইএমইডির কাছেও সাহায্য চাওয়া হয়েছে। শেষ সময়েও এলসি খোলার জন্য ঠিকাদারকে অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর পরিদর্শনেও গেছি। কোনো সাড়া পায়নি। বাধ্য হয়ে ঠিকাদারকে শোকজ করা হয়েছে। তার কোনো জবাবও পাইনি। বাধ্য হয়ে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে ঠিকাদারকে। তাদের অর্ডারও ক্যান্সিল (আদেশ বাতিল) করা হয়েছে।’

পরিকল্পনা কমিশনের সূত্র জানায়, প্রকল্প সংশোধনের সময় আইএমইডি থেকে ২০১৮ সালে সুপারিশে বলা হয়েছিল গুণগত মান বজায় রেখে প্রকল্প কর্তৃপক্ষকে আরও তদারকি জোরদার করতে হবে। পরবর্তীতে প্রকল্পের ব্যয় ও মেয়াদ আর বৃদ্ধি করা যাবে না।

তারপরও কেন এমন অবস্থা? কাজ শেষ না হলেও ঠিকাদারকে কী পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করা হয়েছিল?

এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রায় ৯৫ শতাংশ অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে। কাজের পরিমাণ সঠিকভাবে বলা মুসকিল। তবে প্রায় ৬৫ শতাংশ হতে পারে। প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্বে গাফিলতি ছিল, এটা বলা যায়। কারণ, সে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও জাহাজ বুঝে নিতে পারেনি। আবার কর্তৃপক্ষকে তা জানাননি। জানালে সময় বাড়ানো হত।

পিডির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, ‘তার যেহেতেু চাকুরি শেষ এবং তার পাওনা আছে সরকারের কাছে। তাই তাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেহেতু এটি একটি প্রকল্প ছিল এবং সেটার মেয়াদ শেষ। আমি এখানে কিছুদিন আগে এসেছি। তবে ইতিহাসে কখনো এমন ঘটনা দেখিনি। প্রকল্প সংশোধন হয়, সময় বাড়ে, খরচ বাড়ে। কিন্তু সব কিছু করার পর প্রকল্প শেষ হলেও কাজ হলো না। মন্ত্রণালয়েও এ ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’

পরিকল্পনা কমিশন ও বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা গেছে, দেড় হাজারের বেশি যাত্রী ধারণ ক্ষমতার দুইটি জাহাজ কেনার জন্য ২০১৫ সালের ৭ এপ্রিল সরকার এ প্রকল্পটির অনুমোদন দেয়। দুটি জাহাজ কেনার জন্য একই ঠিকাদারের সঙ্গে আলাদা করে ২০১৬ সালের ১ জুন ও ১৯ ডিসেম্বর দুটি চুক্তি হয়েছে। মোট ৩৪ কোটি টাকা করে ৬৮ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়।

চুক্তি অনুযায়ী ২০১৮ সালের আগস্টে জাহাজ দুটির নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা এবং একটি স্টাডি ট্যুরে ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ও করা হয়।

এ ছাড়া, যানবহন ভাড়া ও ফটোকপি মেশিন কিনতে ব্যয় করা হয়েছে প্রায় ৪০ লাখ টাকা। এভাবে বিভিন্ন খাতে ব্যয় করে প্রকল্পের কাজ শেষও করা হয়েছে। কিন্তু জাহাজ পায়নি বিআইডব্লিউটিসি।

নদীপথে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগ ব্যবস্থা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে দুটি যাত্রীবাহী জাহাজ কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রতিটিতে ৭৬৪ জন করে যাত্রী বহনের এ জাহাজ কেনার জন্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছিল মোট ৭২ কোটি ২৪ লাখ টাকা।

প্রকল্পটি অনুমোদনের সময় ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে বাস্তবায়নের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়। যাত্রীবাহী জাহাজ নির্মাণে লট-১ এবং লট-২ নামে মেসার্স নিউ ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপ বিল্ডার্স লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করে বিআইডব্লিউটিসি। চুক্তি অনুযায়ী ২০১৮ সালের ১ ফেব্রুয়ারি লট-১ এবং আগস্টে লট-২ এর জাহাজ দুইটি হস্তান্তর করার কথা ছিল। চট্রগ্রামের পটিয়া উপজেলার কোলাগাঁওতে নির্মাণ করা হচ্ছিল এ দুটি জাহাজ।

অগ্রগতি কম হওয়ায় সংশোধন করে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় এক বছর সময় বাড়ায়। সে অনুযায়ী ২০১৮ সালে নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা। তারপরও ঠিকাদার বিভিন্ন সমস্যার অজুজাত দেখায় এবং প্রকল্পটি সংশোধন করে এর বাস্তবায়নকাল ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করে বিআইডব্লিউটিসি।

সে সময় ঠিকাদারকে নির্ধারিত সময়ে বুঝিয়ে দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু সংশেধিত নির্ধারিত সময়ের আড়াই বছর পার হয়ে গেলেও জাহাজ দুটি পেতে কোনো উপায় বের করতে পারছে না বিআইডব্লিউটিসি। এক সময়ের নাম করা এ কোম্পানিটিতে কী কারণে যেন বেশ পতন নেমে গেছে। তারপর থেকেই নিউ ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপ বিল্ডার্সে তেমন কোনো জাহাজ নেই।

তাই সার্বিক বিষয়ে জানতে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অব.) ক্যাপ্টেন সোহেল হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তার ফোন বন্ধ থাকায় মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। তবে অন্য এক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘প্রকল্প চলা অবস্থায় ছিলাম। বর্তমানে নেই। তাই কিছু বলা যাবে না।’

১৯৭২ সালে বিআইডব্লিউটিসি প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ এ রুটটিতে যাত্রী পরিবহণের জন্য ৬টি জাহাজ ছিল। এরমধ্যে পাঁচটি জাহাজ বেশ পুরাতন হাওয়ায় জাহাজগুলোর মাধ্যমে নিরাপদ যাত্রীবাহী সার্ভিস সম্ভব না হওয়ায় ঢাকা-বরিশাল রুটে জাহাজ দুটি কেনার সিদ্ধান্ত হয়।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, কোনো প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলে দুই মাসের মধ্যে প্রকল্প সমাপ্তকরণ প্রতিবেদন (পিসিআর) দেওয়ার কথা। আইএমইডি তার প্রতিবেদন করে মন্ত্রণালয়ে জমা দেবে। কিন্তু আড়াই বছর পার হলেও তা সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে বিআইডব্লিউটিসি বলছে, যেহেতু প্রকল্পটি কাগজে শেষ, কিন্তু বাস্তবে জাহাজ বুঝে পাওয়া যায়নি। সুতরাং পিসিআর করাও সম্ভব হয়নি।

জেডএ/এমএমএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত