বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সেলফিতে ডিজিটাল প্রতারণার ফাঁদ!

সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক জনপ্রিয় হওয়ায় ক্রমেই বাড়ছে সেলফির (নিজের ছবি নিজে তোলা) ব্যবহার। যে কোনো আনন্দঘন মুহূর্ত এক ক্লিকেই ক্যামেরাবন্দী করে রাখে সেলফি প্রেমীরা। আর এই সেলফি সোশ্যাল মিডিয়ায় হাজারও মানুষের ওয়ালে ওয়ালে ভেসে বেড়ায় দিনের পর দিন। দর্শকরা লাইক-কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারে তাদের অনুভূতি। এই জনপ্রিয়তার সুযোগ নিয়ে প্রতারণায় মেতেছে একটি চক্র। বেড়েছে নানা অপরাধ। এমনটাই মনে করেন রাজনীতি ও অপরাধ বিশ্লেষকরা।

তাদের দাবি, অনেক উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা আছেন যারা তাদের কর্মচারীকে চেনেন না। কেউ কেউ তাদের সঙ্গে সেলফি তুলে ফেসবুকে দিয়ে ওই কর্মকর্তার নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন প্রতারণামূলক কাজ করে থাকেন। যে বিষয় ওই কর্মকর্তা নিজেও অবগত নয়। এ ছাড়াও এমন রাজনৈতিক নেতা আছেন যারা তাদের কর্মীকে ভালোভাবে জানেন না। কোনোভাবে তার সঙ্গে ছবি তুলে মানুষের সামনে নিজেকে নেতার খাস লোক বলে পরিচয় দেন। পরে ওই সব ছবি দেখিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেন তারা।

রাজনীতি ও অপরাধ বিশ্লেষকদের মতে, সারাদেশে ২০ শতাংশ মানুষ বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রতারিত হচ্ছে। তা ছাড়া কৌশলে হাই প্রোফাইল মানুষদের সঙ্গে ছবি তুলে প্রতারকরা সরল মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে।

এদিকে সাধারণ মানুষের দাবি, এসব বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী তৎপর না হলে সাধারণ মানুষ আরও প্রতারিত হতে পারে। তারা মনে করেন, বিশেষ করে প্রভাবশালী মানুষের সঙ্গে ছবি তুলে গ্রামে গিয়ে বা অন্য কোথাও বেড়াতে গিয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণার চেষ্টা করছে প্রতারকরা।

এমনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার মোছা. মাকসুদা বেগম। তার প্রতারিত হওয়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বলেন, ২০১৫ সালে জাপার নেতা জি এম কাদেরের সঙ্গে এক ভদ্রলোকের (প্রতারক) ছবি দেখেন তিনি। এরপর তাকে ধরেন ইউনিয়ন ব্যাংকের চাকরির জন্য। প্রতারক তাকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপর ভুক্তভোগী মাকসুদাকে এক বছর পরে ভুয়া জয়েন্ট লেটার ধরিয়ে দেয়।

কথা হয় ফুলবাড়িয়ার আরেক ভুক্তভোগী মো. আলামিনের সঙ্গে। তিনিও প্রতারিত হওয়ার ঘটনা তুলে ধরে বলেন, তখন সে ছাত্র অবস্থায় একটি কোম্পানিতে অল্প বেতনে কাজ করতেন। কম বয়সে সরকারি চাকরি ও অতিরিক্ত টাকার নেশায় কোম্পানির চাকরিটা ছেড়ে দেন। প্রতারক কামাল হোসেনের সঙ্গে কথা হলে একটি মন্ত্রণালয়ের চাকরির জন্য ৪ লক্ষ টাকা প্রদান করেন তিনি। অবশেষে কৌশলে টাকা নিয়ে প্রতারক যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এখন অনিশ্চয়তার মধ্যে টাকার শোকে হতাশায় ডুবছেন আলামিন।

বিভিন্নভাবে এমন প্রতারণার শিকার হন ঢাকা কলেজের ছাত্র নাসিম। তার এলাকার এক ব্যক্তির সঙ্গে তখনকার আইজিপি শহিদুল হকের একটি ছবি দেখেন। বেকারত্ব দূর করার লক্ষ্যে সে বাড়ি থেকে জমি বন্ধক রেখে একটি প্রাইভেট বাংকের চাকরির জন্য ওই প্রতারককে ধরেন, পরে তার কাছ থেকে কৌশলে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। যা এখনও ফেরত পাননি তিনি।

সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে হাইপ্রোফাইল ও বড় বড় প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন প্রোগ্রামের কৌশলে একাধিক ছবি তোলেন প্রতারকরা। নেতাদের সঙ্গে সেলফি থাকায় প্রতারকরা নিজেদেরকে নেতা বলে দাবি করে সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলে। এমন প্রতারণার শিকার হওয়া বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয়। এসময় ভুক্তভোগীরা বিভিন্ন অভিযোগ করেন।

ভুক্তভোগী বাইজিত আহমেদ নামের এক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, বিএনপির নয়া পল্টন অফিসে কথিত এক সাংবাদিকের সঙ্গে পরিচয় হয়। বিএনপির একাধিক নেতাদের সঙ্গে তার ‘সেলফি’ দেখি। কিশোরগঞ্জ জেলায় দলীয় পোস্ট পাবার আশায় ওই সাংবাদিককে ২০ হাজার টাকা দিয়েছি। মিলছে না কোনো পদ।

এদিকে, বরিশাল জেলার যুবদলের কমিটিতে পদের আশায় মনির নামে এক ব্যক্তি বিএনপির পল্টন অফিসের এক কর্মচারীকে ১৫ হাজার টাকা দিয়েছেন। তিনি বলেন, 'তার নাম বলতে চাই না কারণ আমি টাকা দিয়ে অপরাধ করেছি। তবে আমি তার সঙ্গে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিবের একাধিক ছবি দেখেছি এজন্য তাকে বিশ্বাস করে টাকা দিয়েছিলাম। পরে শুনি সে পল্টন অফিসের কর্মচারী। লজ্জায় আর টাকা ফেরত চাই না।'

তিতুমীর কলেজের মো. আকবর হোসেন নামের এক ছাত্রনেতা কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক হওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা হাফিজকে ৫০ হাজার টাকা দেন, যদিও এর প্রমাণ পাওয়ার পর হাফিজকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে যুবলীগে পদের আশায় গত কমিটিকে এক লক্ষ টাকা দিয়েছেন যশোর জেলার যুবলীগ নেতা ফয়সাল। সে একই সংগঠনের রাজনীতি করতেন। ভালো পদের জন্য টাকা দিয়েছেন। পরে কমিটিতে তার নাম না আশায় সে প্রতারকের কাছে টাকা ফেরত চাইলে তাকে বহিষ্কারের কথা বলেন যুবলীর সাবেক নেতা মনির।

বনানী থানার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাবের হোসেন বলেন, যুবলীগের বড় নেতার সঙ্গে অনেক ছবি দেখে নতুন কমিটিতে থাকার জন্য এক প্রতারককে কিছু টাকা দিয়েছিলাম পরে দেখি সে নিজেই পদ পায়নি।

এদিকে, লেখক ও বড় প্রোফাইলের মানুষদের সঙ্গে একাধিক ছবি দেখে পরিবারের খোঁজ-খবর না নিয়ে শামীম নামের এক ছেলের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দেন মহাখালী এলাকার কাজী রফিকুল ইসলাম। পরবর্তীকালে সে জানতে পারে ওই ছেলের গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর। বাড়িতে শুধু ভিটামাটি ছাড়া আর কিছু নেই। অথচ বিয়ের আগে ওই ছেলে বিভিন্ন প্রভাবশালীদের ছবি দেখিয়ে তার মামা, চাচা, ফুফা বলে পরিচয় দিয়েছেন। ৬ মাস ঘর সংসারের পর ওই ছেলের কাছ থেকে মেয়েকে ডিভোর্স করান তিনি।

বিশেষ করে বর্তমানে দেশের রাজনীতিতে ‘সেলফি’ ইতিবাচকের চেয়ে নেতিবাচকের প্রভাবই বেশি। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বড় রাজনৈতিক দলগুলোর প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে সেলফিবাজি করে নিজেকে ‘ত্যাগী’ প্রমাণ করে অনেকে পদ বাগিয়ে নিচ্ছেন। অনেকে আবার ডিজিটালভাবে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। নেতাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সাক্ষাতের সেলফি তুলে নানা মাধ্যমে ছড়িয়ে দলের নীতি নির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন অনেকে। এই অভিনব কৌশলকে ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করে কেউ কেউ নেমেছেন প্রতারণায়। সহজসরল মানুষকে টার্গেট করে হাতিয়ে নিচ্ছেন বিপুল পরিমাণ অর্থ।

প্রভাবশালী বড় বড় রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে ছবি তুলে সামাজিক মাধ্যমে ব্যবহার করে প্রতারণার বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তাসহ রাজনৈতিক ও অপরাধ বিশেষজ্ঞগণ বিভিন্ন মত দিয়েছেন।

রাজনৈতিক নেতারা যা বললেন:

এ বিষয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান সদস্য নাজমুল হাসান জুয়েল বলেন, 'আমাদের সংগঠনের নিয়ম-শৃঙ্খলা খুবই কড়াকড়ি। কারণ এর আগের কমিটিতে সমালোচনা ছিল। বর্তমান যুবলীগ চেয়ারম্যান স্যার ও সাধারণ সম্পাদকদের নেতৃত্বে খুব সুনাম অর্জন করেছে এবং এটি সুসংগঠিত। এ সংগঠনের পদ-পদবির জন্য কারও নিকট থেকে টাকা নেওয়া হয় না। সাংগঠনিক যোগ্যতায় পদ-পদবির নির্ধারণ করা হয়।

জানতে চাইলে খালেদা জিয়ার প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সেলফি বা ছবি থাকতে পারে, এটা স্বাভাবিক। এটা নিয়ে প্রতারণার কিছু নেই। মানুষ সচেতন হলেই হয়।

সেলফি প্রতারণার বিষয়ে অপরাধ বিশেষজ্ঞদের ভাবনা

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিশেষজ্ঞ তহিদুল হক বলেন, সোশ্যাল মিডিয়াতে ছবি দেখিয়ে অথবা রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে সেলফি দেখিয়ে অনেকে প্রতারণা করার চেষ্টা করছে, অনেকে প্রতারিত হচ্ছেনও। কারণ আগের দিনে এই ডিজিটাল ব্যবহার ছিল না এজন্য এটাকে নতুন মাত্রা বলা যায়। যেহেতু এটা নতুন কৌশল, এ কারণে সরল মানুষদের অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। কোনো কিছুতে প্রতারণার শিকার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, এমনটা মনে করলে সেই ক্ষেত্রে সচেতন মহলের সহযোগিতা নিতে পারে।

তিনি আরও বলেন, 'এমন ধরনের প্রতারণা করে যারা ধরা পড়ে তারা আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বের হয়ে যায়। প্রতারকদের দমনে শক্তিশালী কোনো আইন না থাকায় দিন দিন এ অপরাধের সংখ্যা বাড়ছে। যার কারণে অনেক পরিবার অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রযুক্তির যুগে যদি এসব বিষয়ে কঠিন আইন ও শাস্তির বিধান থাকে তাহলে হয়তো এ ধরনের অপরাধ কমে আসবে।'

সারাদেশে কত সংখ্যক মানুষ এমন প্রতারণার শিকার হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'এটা নির্দিষ্ট করে বলা খুবই কঠিন। তবে ২০ শতাংশ মানুষ এমন প্রতারণার শিকার হতে পারেন। এই প্রতারণার শিকার হন সহজ-সরল মানুষ। যদি দুয়েকটা ঘটনার সঠিক মতো বিচার হয় তাহলে এ ধরনের অপরাধ কমে আসবে। সর্বশেষ বলব এসব প্রতারণা থেকে বাঁচতে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই।'

যা বললেন আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা:

গুরুত্বপূর্ণ ও অভিজাত ব্যক্তিদের সঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়ে তাদের নাম ভাঙিয়ে হরহামেশাই প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে প্রতারকরা।

এ বিষয়ে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, এমন প্রতারণার শিকার যারা হচ্ছেন তাদের অতিরিক্ত লোভ-লালসা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। লোভের কারণে তারা এমন ধরনের অপরাধের শিকার হচ্ছেন। তা ছাড়া যদি কেউ কোনো হাই প্রোফাইল ব্যক্তির ছবি দেখিয়ে চাকরি বা অন্যান্য বিষয়ে সহযোগিতা করতে চায়, আর যদি নিজের সুবিধার জন্য কেউ লেনদেন করে সেক্ষেত্রে প্রতারকরা এর সদ্ব্যবহার করে থাকে।

প্রতারক থেকে এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়ে তিনি আরও বলেন, কেউ যদি এমন অপরাধের শিকার হন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিন। প্রয়োজনে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের পরামর্শ নিতে পারেন। তবে পুলিশের কাছে এমন অভিযোগ এলে পুলিশ সেগুলো আমলে নিয়ে কাজ করে।

জানতে চাইলে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান বলেন, অনেক সময় বিভিন্ন ফাংশনে হাই প্রোফাইল মানুষের সঙ্গে অনেকের দেখা হয় এবং সেখান অনেক মানুষ ছবি তোলেন। ছবি তোলা অন্যায় নয়, তবে এর অপব্যবহার অবশ্যই অন্যায়।

প্রতারক ব্যাপারে সচেতনা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে তিনি আরও বলেন, যদি কোনো হাই প্রোফাইল মানুষের সঙ্গে সেলফি দেখে কারো দ্বারা কেউ প্রতারণার শিকার হয় সেক্ষেত্রে দায়ভার ওই প্রতারিত ব্যক্তিরই, কারণ সে সচেতন না। যদি সে আগে থেকে সাবধান থাকত তাহলে হয়তো এ ধরনের প্রতারণার শিকার হতো না। এ ক্ষেত্রে সকলকে সচেতন হতে হবে এবং তাহলেই এ ধরনের ডিজিটাল অপরাধ অনেকটা কমে আসবে।

কেএম/টিটি

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত