বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২২ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘এডিটর’স টক’ অনুষ্ঠানে ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন (শেষ পর্ব)

আমরা যদি সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলি তাহলে মানুষ সত্যের মুখোমুখি হবে

ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন স্বনামধন্য শিক্ষাবিদ ও ইতিহাসবিদ। জন্ম বগুড়া জেলার সূত্রাপুরে ১৯৪৭ এর ৫ নভেম্বর। বগুড়া জেলা স্কুল থেকে ৬৩-তে এসএসসি এবং বগুড়ার আজিজুল হক কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। কলেজ জীবন থেকে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন। সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বাংলা একাডেমির সবেক মহাপরিচালক ছিলেন। শিক্ষা ও গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৯ সালে বাংলা একাডেমি তাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করে। ২০১৮ সালের ১ মার্চ থেকে তিনি বিইউপিতে বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

ঢাকাপ্রকাশ-এর এডিটর’স টক অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে এসেছেন ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। ঢাকাপ্রকাশ-এর প্রধান সম্পাদক মোস্তফা কামালের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় উঠে আসে তার ছেলেবেলা থেকে জীবনে এগিয়ে চলার কথা। আজ প্রকাশিত হচ্ছে আলাপচারিতার শেষ পর্ব

প্রথম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

মোস্তফা কামাল: আপনি তো সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন। বর্তমান সংবাদপত্র অথবা বাংলাদেশের মিডিয়া সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী?

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন: একটি হচ্ছে বৈদ্যুতিকমাধ্যম, অন্যটি মুদ্রণমাধ্যম। বাংলাদেশের গণমাধ্যম সংখ্যায় বেড়েছে; কিন্তু গুণগত মান কমেছে অনেক। আমি যেটি লক্ষ্য করছি, ভাষার পারঙ্গমতা অনেক দুর্বল হয়ে গেছে। ভাষাটা সঠিক হওয়া দরকার। ইংরেজি অথবা বাংলা দুটিতেই। তা ছাড়া পেশাদারিত্বটুকুও অর্জন করা দরকার। আমি ইতিহাসের মানুষ। গণমাধ্যম এবং ইতিহাসকে যদি আমি একত্রিত করতে চাই, তাহলে ইতিহাস এবং গণমাধ্যম বিষয়ে আমার মত হলো–দুটি ক্ষেত্রেই যেন আমরা সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলি। ফলে মানুষ সত্যের মুখোমুখি হবে। সেই জায়গায় কিছুটা ঘাটতি আমি লক্ষ্য করছি। টেলিভিশন চ্যানেলগুলো খুললেই কিন্তু বোঝা যায়, কারা সরকারপন্থী আর কারা সরকারের বিপক্ষে। এগুলো বাদ দিতে হবে।

মোস্তফা কামাল: এ থেকে উত্তরণের উপায় কী?

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন: এ থেকে উত্তরণের উপায় পেশাদারিত্ব। বিবিসিকে দেখুন। বিবিসি একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। বিদেশে দেখি প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রীদের টেলিভিশনের পর্দায় খুব একটা দেখা যায় না। প্রধানমন্ত্রীর ছবি আর অনুষ্ঠান উদ্বোধন করা ছাড়া আর কোনো কাজ নেই। ব্রিটেনে পাঁচ বছর ছিলাম। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে কালে-ভাদ্রে দেখেছি।

মোস্তফা কামাল: আপনি তো লেখক হিসেবে সুপরিচিত। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লিখেছেন আপনি। এমনিতে গল্প-উপন্যাস কি লিখেছেন?

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন: ৭৩-এ বিদেশে যখন ছিলাম, তখন বেশকিছু গল্প-উপন্যাস লিখেছিলাম। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সাড়ে চার হাজার বই বেড়িয়েছে। অধিকাংশরই তথ্য-বিশ্লেষণের কোনো বালাই নেই। বায়বীয় আবেগীয় কথার ছড়াছড়ি। বিশ্লেষণের দিকে নজরটি আমার বেশি। আমার একটি বাংলা বই বেড়িয়েছে ‘সহজ পাঠ’। একটি বড় আকারে বের হবে আগামী প্রকাশনী থেকে। বইমেলায় পারব কি না জানি না। এখনও শেষ হয়নি। ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে মাত্র ৩০ পৃষ্ঠার একটি বই বের হচ্ছে ইংরেজিতে। যেন এক বসায় বঙ্গবন্ধুকে পড়ে ফেলা যায়। চেষ্টা করছি আর কী!

মোস্তফা কামাল: বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যত লেখা বেরিয়েছে, পৃথিবীর কোনো নেতা নিয়ে কিন্তু এত লেখা প্রকাশিত হয়নি। কী বলববেন?

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন: বাঙালি আবেগীয়। হুজুগ আর আবেগ মিলে যা হয় আর কী! তবে বঙ্গবন্ধু এত কম বয়সে যা করে দিয়ে গেছেন, তা নিয়ে আরও গভীর বিশ্লেষণ হওয়া দরকার বলে মনে করি।

মোস্তফা কামাল: বাংলাদেশের পঞ্চাশ এবং বঙ্গবন্ধুর এক শ। আপনার মূল্যায়ণ কী?

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন: বঙ্গবন্ধুর সৃষ্টি বাংলাদেশ; কিন্তু বঙ্গবন্ধুর পথে নেই বাংলাদেশ। যেভাবে গড়তে চেয়েছিলেন, সে পথে যাচ্ছে না। বঙ্গবন্ধুকে ভাবতে, বুঝতে, চিনতে হবে আমাদের। আমি সবসময়ই একটি কথা বলি, গিয়েছি অনেক কিন্তু যেতে হবে বহুদূর।

মোস্তফা কামাল: বাংলা একাডেমি প্রতিবছর পুরস্কার দেয় এবং অনেকে সমালোচনা করে বলেন যে, বাংলা একাডেমি যখন পুরস্কার দেয় তখন কিছু লেখকের জন্ম হয়। আপনার কী মনে হয়?

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন: আমি ৯৭ থেকে ২০০১, চার বছর বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ছিলাম; কিন্তু আমি দুই বছর পুরস্কার দেইনি গুণগত কারণেই। কিন্তু যে পর্যায়ে এটি গেছে আমার নিজেরই প্রশ্ন আসে। কী বলবো জানিনা।

মোস্তফা কামাল: সৃজনশীল ক্ষেত্রে বেশি বয়সের সঙ্গে পুরস্কারের কোনো সম্পর্ক আছে কি না?

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন: পুরস্কার হচ্ছে একটি স্বীকৃতি। সেটি সময় মতো দেওয়া উচিত। এমনকি আমি মরণোত্তর পুরস্কার দেওয়ারও পক্ষপাতি না। এতে কোনো লাভ হচ্ছে না এবং আমি আরও দেখেছি, তিরস্কৃত যারা তারাই পুরস্কৃত হয়ে গেছে।

মোস্তফা কামাল: আপনি তো বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেছেন?

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন: ২০০৯-এ আমি যখন পুরস্কার পেলাম, তখন বিবিসির কাছে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলাম, পুরস্কার পেয়েছি এটি আমার কাছে বিমূর্ত বিস্ময়। পেয়েছি, সেজন্য ধন্যবাদ। তবে পুরস্কারের জন্য তো অবশ্যই নীতিমালা থাকা দরকার। একজন বিশেষ মন্ত্রী যিনি নিজেই নিজেকে পুরস্কৃত করে ফেললেন দেখলাম। আবার আমাদের এক নমস্য কবি ফেসবুকে স্টেটাস দিয়ে স্বাধীনতা পুরস্কার নিলেন। কেন? তিনি তো এমনিতেই নমস্য। তাকে এভাবে কেন পুরস্কার নিতে হবে? আর কেনইবা সরকার তাকে পুরস্কার দেয়নি। এমনও দেখেছি, বর্তমান সরকার এমন একজনকে পুরস্কার দিয়েছে, যার নামই আগে কখনো শোনা যায়নি।

মোস্তফা কামাল: দেশে দুর্নীতি ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। এই দুর্নীতি থেকে বাঁচার উপায় কী?

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন: লর্ড উইলিয়াম ব্যান্টিংক দুর্নীতি নিয়ে বলতে গিয়ে বলেছেন যে, ভারতের প্রতিটি মানুষ দুর্নীতিবাজ। বঙ্গবন্ধু এখানে বলেছেন, ৫ শতাংশ মানুষ দুর্নীতিবাজ। দুর্নীতি কমে গেলে দেশের মানুষের ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ দুর্নীতি কমে যাবে। আসলেই তাই। সরকারের ছত্রছায়ায় দুর্নীতি হচ্ছে। দুর্নীতির সবচেয়ে বড় অংশ হলো আমলারা। আমলা ছাড়া দুর্নীতি করার কেউ নেই।

মোস্তফা কামাল: বেতন বাড়ালে দুর্নীতি কমে যায়। এই ধারণা কি সঠিক?

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন: একদমই ঠিক না। দুর্নীতির ইতিহাসে এই তথ্য নেই যে, বেতন বাড়ালে দুর্নীতি কমবে। মাছের পচন শুরুতে মাথায় তারপর সারা শরীরে যায়। কাজেই আমি মনে করি সরকার যদি ঠিক থাকে তাহলে দুর্নীতি কমে যাবে। বেতনের সঙ্গে সম্পর্ক নেই।



মোস্তফা কামাল: সার্চ কমিটি আইনে পরিণত হলো এ বিষয়ে আপনি কি বলবেন?

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন: এখানে সবই নিজেরা নিজেরা। রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সবাই এক। দশদিনের মধ্যে আইন করে ফেলল। জনগণ কি এসব বোঝে না? এর কোনো মানে হয় না।

মোস্তফা কামাল: বাংলাদেশের গণতন্ত্র সম্পর্কে আপনার অভিমত কী?

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন: গণতন্ত্র সংবিধানে আছে বাস্তবে নাই। বলতে পারেন কাজির গরু। কাজির গরু কাগজে আছে, গোয়ালে নাই।

মোস্তফা কামাল: সেখান থেকে ফেরার উপায় কি?

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন: ফেরার উপায় হলো–পড়তে হবে, জানতে হবে, শিখতে হবে। বঙ্গবন্ধু বলতেন, তোমরা ইতিহাস পড়ো নাই, তাই জানো না। ইতিহাস পড়েছে এমন কোনো ব্যক্তিকে আমরা সরকারের মধ্যে এখন আর খুঁজে পাচ্ছি না।

মোস্তফা কামাল: বঙ্গবন্ধুর সময় তার একটি বুদ্ধিবৃত্তিক উপদেষ্টা ছিল। সেরকম কি আমরা আর পাব না?

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন: বঙ্গবন্ধু বয়স্ক কারও সঙ্গে দেখা হলেই বলতেন আমাকে কিছু বুদ্ধিমান জ্ঞানী মানুষ খুঁজে দেন। ভালো মানুষ না হলে সোনার বাংলা গড়তে পারব না; কিন্তু এখন তো সেরকম কথা শুনি না। আমি শুনি–ভালো মানুষ না, আওয়ামী লীগ চাই। আমাদের দরকার ভালো মানুষ। আওয়ামী হলেই যে ভালো মানুষ হবে, এমন তো না।

মোস্তফা কামাল: আপনার অবসর কাটে কীভাবে?

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন: আমার কোনো অবসর নেই। ২০১৪-তে অবসরে গেছি; কিন্তু তারপর থেকে ভীষণ ব্যস্ত। এখন আমি চেয়ার অধ্যাপক বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের। বইয়ের কাজ চলছে। আগামী থেকে বেরুবে। বইটি ব্যতিক্রমী অর্থাৎ ঝাঁকের কই হবে না আর কী! এসব নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছি।

মোস্তফা কামাল: রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে বঙ্গবন্ধুই কি আদর্শ?

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন: আমি যতটুকু পড়েছি, জেনেছি, নেতা বলতে ওই একজনই ছিলেন। আর যারা এখন আছেন, তাদের উত্তরবঙ্গীয় ভাষায় একটি শব্দ আছে ‘ন্যাতা’। আমার কাছে মনে হয়, এরা সব ন্যাতা।

মোস্তফা কামাল: গান শোনেন?

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন: গান শুনি। প্রিয় গায়ক হেমন্ত মুখার্জী। তার গান শুনলে আমি আর এ জগতে থাকি না।

মোস্তফা কামাল: বই পড়েন তো নিশ্চয়ই?

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন: আমি বই পড়ি। প্রচুর পড়ি। পড়তে হয়।

মোস্তফা কামাল: আপনি একাধারে শিক্ষক, লেখক, ইতিহাসবিদ, বিশ্লেষক ইত্যাদি আরও বহুগুণের অধিকারী। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে সামগ্রিকভাবে দেশটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে অথবা সিভিল সোসাইটি অথবা মিডিয়া সবার সম্মিলনে কেমন সমাজ দেখতে চান?

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন: আমি একটি লেখা লিখেছিলাম, একটি গোপালের সন্ধানে। আমাদের অনেক বেশি নেতা চায় না। বঙ্গবন্ধুর মতো নেতা চাই, যিনি বাংলাদেশকে বদলাতে পারবেন। আমরা সকলেই সেই সুসময়ের অপেক্ষায় প্রহর গুনি।

মোস্তফা কামাল: সবশেষে ঢাকাপ্রকাশের পাঠকদের জন্য যদি কিছু বলেন।

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন: ঢাকাপ্রকাশের পাঠকদের জন্য আমার শুভকামনা। ঢাকাপ্রকাশের পাঠকরা যেন পত্রিকাটি পড়ার পাশাপাশি সমালোচনাও করে। তাহলে ঢাকাপ্রকাশ আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলে আমি মনে করি।

মোস্তফা কামাল: স্যার, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন: ধন্যবাদ।

এসএ/

Header Ad
Header Ad

নতুন রাজনৈতিক দল গঠনে জনগনের মতামত চাইলো হাসনাত  

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবিঃ সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে চলতি ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয়ার্ধে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটতে যাচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারে দায়িত্বে থাকা এক তরুণ উপদেষ্টা পদত্যাগ করে নতুন এই দলের দায়িত্ব নিতে পারেন বলেও জানা গেছে।

এবার জনগণ কেমন দল চায় জানিয়ে মতামত চেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে এক পোস্টে এ আহ্বান জানান।

পোস্টে হাসনাত লেখেন, ‘ছাত্র-তরুণদের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দল আসছে!’

একটি ফরম পূরণ করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আপনি কেমন দল চান আমরা তা জানতে চাই এবং সে আদলেই দলটি গড়তে চাই। কমেন্টে দেওয়া ফর্মে আপনার মতামত জানান। ফর্মটি পূরণ করতে মাত্র ৫ মিনিট সময় লাগবে।’

Header Ad
Header Ad

এই ফটো তোলোস কেন? আদালত চত্বরে শাহজাহান ওমর  

ঝালকাঠি-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান ওমর। ছবিঃ সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর আদাবর থানায় দায়েরকৃত রুবেল হত্যা মামলায় ঝালকাঠি-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান ওমর, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম. এ আজহারুল ইসলামের আদালত গ্রেফতার দেখানোর এ আদেশ দেন।

এদিন সকালে আসামিদের আদালতে হাজির করে উক্ত মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। পরে সে আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারক।। সোয়া ৯ টার পর তাদের এজলাসে তোলা হয়। তিন জনের মধ্যে সামনে ছিলেন শাহজাহান ওমর।

এই সময় সাংবাদিকরা তাদের ছবি তুলতে গেলে। তখন শাহজাহান ওমর বলেন, ‘এই ফটো তোলোস কেন?’ পরে তাদের এজলাসে নিয়ে যাওয়া হয়।

সেখানে অনেকটাই স্বাভাবিক ছিলেন শাহজাহান ওমর। আইনজীবী-পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে সময় পার করেন। কখনও হেসেছেন। আইনজীবীদের কাছে মামলার বিষয়ে খোঁজখবর নেন। জানতে চান তিনি এজাহারনামীয় আসামি কি না।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৫ আগস্ট রুবেলসহ কয়েকশ ছাত্র-জনতা সকাল ১১টার দিকে আদাবর থানাধীন রিংরোড এলাকায় প্রতিবাদী মিছিল বের করে। এসময় পুলিশ, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, তাঁতীলীগ, কৃষকলীগ, মৎস্যজীবী লীগের নেতাকর্মীরা গুলি চালায়। এতে রুবেল গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

এ ঘটনায় ২২ আগস্ট আদাবর থানায় হত্যা মামলা করেন রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম।

Header Ad
Header Ad

মনে হচ্ছে বিবিসি বাংলা গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার ভক্ত : প্রেস সচিব  

প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবিঃ সংগৃহীত

মনে হচ্ছে বিবিসি বাংলা ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক এবং গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার ভক্ত হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।

পোস্টে তিনি লিখেছেন, সংবাদ মাধ্যমটি (বিবিসি বাংলা) যখন শেখ হাসিনার বিষয়ে লেখে, তখন তার ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পটভূটি বাদ দেয়। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর উনি ভারতে চলে গেছেন এমন শব্দ ব্যবহার করতে তারা অধিকতর পছন্দ করে। বাস্তবতা হচ্ছে শেখ হাসিনা অসংখ্য শিশু হত্যা, নজিরবিহীন সহিংসতা, লুণ্ঠন, দুর্নীতি, বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং তিন হাজারের বেশি মানুষকে গুম করে ভারতে পালিয়ে গেছেন।

তিনি লেখেন, গত সপ্তাহে শেখ হাসিনাকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে সংস্থাটি বলছে, শেখ হাসিনা তার দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসনামলে হত্যা এবং গুমের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে এই গুরুত্বপূর্ণ অংশের কিছুই উল্লেখ ছিল না। তারা বিপ্লবের পরে গণগ্রেপ্তার নিয়ে কথা বলতে বেশি পছন্দ করে।

শফিকুল আলম লেখেন, কোনো গণগ্রেপ্তার হয়েছে? কতজনকে গত ছয় মাসে গ্রেপ্তার করা হয়েছে? আমরা জানতাম যে ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর পুলিশ বিএনপির সমাবেশকে জোরপূর্বক ছত্রভঙ্গ করেছিল। তারপর কমপক্ষে ২৫ হাজার জনকে গ্রেপ্তার করেছিল।

প্রেস সচিব আরও লিখেছেন, মনে হচ্ছে বিবিসি বাংলা গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাকে একটি নিখুঁত প্ল্যাটফর্ম দিয়েছে। গতকাল তারা একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে। সেখানে তারা বলেছে যে, হাসিনা নয়াদিল্লি থেকে ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলবেন। প্রকৃতপক্ষে, এটি ‘বাংলার কসাইয়ের’ জন্য একটি নিখুঁত প্ল্যাটফর্ম! এটি কি কখনো নির্বাসিত বিএনপি নেতা তারেক রহমানকে একই রকম প্ল্যাটফর্ম দিয়েছে? হাসিনার স্বৈরশাসনের আমলে তারেক রহমান লন্ডনে কীভাবে সময় কাটাচ্ছিলেন সে সম্পর্কে লিখেছিল? এটি কি তার সাক্ষাৎকার নিয়েছিল?

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নতুন রাজনৈতিক দল গঠনে জনগনের মতামত চাইলো হাসনাত  
এই ফটো তোলোস কেন? আদালত চত্বরে শাহজাহান ওমর  
মনে হচ্ছে বিবিসি বাংলা গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার ভক্ত : প্রেস সচিব  
পটুয়াখালীতে বাংলাভিশনের সাংবাদিককে কুপিয়ে জখম  
উত্তরবঙ্গে অনির্দিষ্টকালের জন্য তেল বিক্রি বন্ধ
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ধাপের আখেরি মোনাজাত আজ  
শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার নিয়ে কড়া বার্তা হাসনাত আবদুল্লাহর  
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার রায় আজ    
সুইডেনে স্কুলে বন্দুক হামলা নিহত ১০ জন  
বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত গ্রেফতার  
জাবিতে পোষ্য কোটা সম্পূর্ণরূপে বাতিলের ঘোষণা  
মুসলিম লীগ যেমন বিলুপ্ত হয়েছে, আওয়ামী লীগও বিলুপ্ত হবে : সলিমুল্লাহ খান
ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ রাব্বীসহ ৮ বুয়েট শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার  
জীবননগর সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে বাংলাদেশি যুবক আটক
নগদের সাবেক চেয়ারম্যান-এমডিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে ৬৪৫ কোটি টাকা জালিয়াতির মামলা
৮ ফেব্রুয়ারি থেকে চালু হচ্ছে নতুন মার্কিন ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া
ক্যাম্পাসের মসজিদে কোরআন পুড়িয়েছে রাবি ছাত্র, জানা গেল পরিচয়
মার্কিন ভিসার জন্য প্রার্থনা করতে মন্দিরে ভিড় ভারতীয়দের
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কুরআন পোড়ানোর ঘটনায় মূল সন্দেহভাজন আটক
পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়াই পাসপোর্ট ইস্যু ও নবায়ন