বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫ | ২৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘এডিটর’স টক’ অনুষ্ঠানে ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন (শেষ পর্ব)

আমরা যদি সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলি তাহলে মানুষ সত্যের মুখোমুখি হবে

ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন স্বনামধন্য শিক্ষাবিদ ও ইতিহাসবিদ। জন্ম বগুড়া জেলার সূত্রাপুরে ১৯৪৭ এর ৫ নভেম্বর। বগুড়া জেলা স্কুল থেকে ৬৩-তে এসএসসি এবং বগুড়ার আজিজুল হক কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। কলেজ জীবন থেকে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন। সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বাংলা একাডেমির সবেক মহাপরিচালক ছিলেন। শিক্ষা ও গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৯ সালে বাংলা একাডেমি তাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করে। ২০১৮ সালের ১ মার্চ থেকে তিনি বিইউপিতে বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

ঢাকাপ্রকাশ-এর এডিটর’স টক অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে এসেছেন ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। ঢাকাপ্রকাশ-এর প্রধান সম্পাদক মোস্তফা কামালের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় উঠে আসে তার ছেলেবেলা থেকে জীবনে এগিয়ে চলার কথা। আজ প্রকাশিত হচ্ছে আলাপচারিতার শেষ পর্ব

প্রথম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

মোস্তফা কামাল: আপনি তো সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন। বর্তমান সংবাদপত্র অথবা বাংলাদেশের মিডিয়া সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী?

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন: একটি হচ্ছে বৈদ্যুতিকমাধ্যম, অন্যটি মুদ্রণমাধ্যম। বাংলাদেশের গণমাধ্যম সংখ্যায় বেড়েছে; কিন্তু গুণগত মান কমেছে অনেক। আমি যেটি লক্ষ্য করছি, ভাষার পারঙ্গমতা অনেক দুর্বল হয়ে গেছে। ভাষাটা সঠিক হওয়া দরকার। ইংরেজি অথবা বাংলা দুটিতেই। তা ছাড়া পেশাদারিত্বটুকুও অর্জন করা দরকার। আমি ইতিহাসের মানুষ। গণমাধ্যম এবং ইতিহাসকে যদি আমি একত্রিত করতে চাই, তাহলে ইতিহাস এবং গণমাধ্যম বিষয়ে আমার মত হলো–দুটি ক্ষেত্রেই যেন আমরা সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলি। ফলে মানুষ সত্যের মুখোমুখি হবে। সেই জায়গায় কিছুটা ঘাটতি আমি লক্ষ্য করছি। টেলিভিশন চ্যানেলগুলো খুললেই কিন্তু বোঝা যায়, কারা সরকারপন্থী আর কারা সরকারের বিপক্ষে। এগুলো বাদ দিতে হবে।

মোস্তফা কামাল: এ থেকে উত্তরণের উপায় কী?

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন: এ থেকে উত্তরণের উপায় পেশাদারিত্ব। বিবিসিকে দেখুন। বিবিসি একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। বিদেশে দেখি প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রীদের টেলিভিশনের পর্দায় খুব একটা দেখা যায় না। প্রধানমন্ত্রীর ছবি আর অনুষ্ঠান উদ্বোধন করা ছাড়া আর কোনো কাজ নেই। ব্রিটেনে পাঁচ বছর ছিলাম। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে কালে-ভাদ্রে দেখেছি।

মোস্তফা কামাল: আপনি তো লেখক হিসেবে সুপরিচিত। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লিখেছেন আপনি। এমনিতে গল্প-উপন্যাস কি লিখেছেন?

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন: ৭৩-এ বিদেশে যখন ছিলাম, তখন বেশকিছু গল্প-উপন্যাস লিখেছিলাম। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সাড়ে চার হাজার বই বেড়িয়েছে। অধিকাংশরই তথ্য-বিশ্লেষণের কোনো বালাই নেই। বায়বীয় আবেগীয় কথার ছড়াছড়ি। বিশ্লেষণের দিকে নজরটি আমার বেশি। আমার একটি বাংলা বই বেড়িয়েছে ‘সহজ পাঠ’। একটি বড় আকারে বের হবে আগামী প্রকাশনী থেকে। বইমেলায় পারব কি না জানি না। এখনও শেষ হয়নি। ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে মাত্র ৩০ পৃষ্ঠার একটি বই বের হচ্ছে ইংরেজিতে। যেন এক বসায় বঙ্গবন্ধুকে পড়ে ফেলা যায়। চেষ্টা করছি আর কী!

মোস্তফা কামাল: বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যত লেখা বেরিয়েছে, পৃথিবীর কোনো নেতা নিয়ে কিন্তু এত লেখা প্রকাশিত হয়নি। কী বলববেন?

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন: বাঙালি আবেগীয়। হুজুগ আর আবেগ মিলে যা হয় আর কী! তবে বঙ্গবন্ধু এত কম বয়সে যা করে দিয়ে গেছেন, তা নিয়ে আরও গভীর বিশ্লেষণ হওয়া দরকার বলে মনে করি।

মোস্তফা কামাল: বাংলাদেশের পঞ্চাশ এবং বঙ্গবন্ধুর এক শ। আপনার মূল্যায়ণ কী?

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন: বঙ্গবন্ধুর সৃষ্টি বাংলাদেশ; কিন্তু বঙ্গবন্ধুর পথে নেই বাংলাদেশ। যেভাবে গড়তে চেয়েছিলেন, সে পথে যাচ্ছে না। বঙ্গবন্ধুকে ভাবতে, বুঝতে, চিনতে হবে আমাদের। আমি সবসময়ই একটি কথা বলি, গিয়েছি অনেক কিন্তু যেতে হবে বহুদূর।

মোস্তফা কামাল: বাংলা একাডেমি প্রতিবছর পুরস্কার দেয় এবং অনেকে সমালোচনা করে বলেন যে, বাংলা একাডেমি যখন পুরস্কার দেয় তখন কিছু লেখকের জন্ম হয়। আপনার কী মনে হয়?

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন: আমি ৯৭ থেকে ২০০১, চার বছর বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ছিলাম; কিন্তু আমি দুই বছর পুরস্কার দেইনি গুণগত কারণেই। কিন্তু যে পর্যায়ে এটি গেছে আমার নিজেরই প্রশ্ন আসে। কী বলবো জানিনা।

মোস্তফা কামাল: সৃজনশীল ক্ষেত্রে বেশি বয়সের সঙ্গে পুরস্কারের কোনো সম্পর্ক আছে কি না?

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন: পুরস্কার হচ্ছে একটি স্বীকৃতি। সেটি সময় মতো দেওয়া উচিত। এমনকি আমি মরণোত্তর পুরস্কার দেওয়ারও পক্ষপাতি না। এতে কোনো লাভ হচ্ছে না এবং আমি আরও দেখেছি, তিরস্কৃত যারা তারাই পুরস্কৃত হয়ে গেছে।

মোস্তফা কামাল: আপনি তো বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেছেন?

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন: ২০০৯-এ আমি যখন পুরস্কার পেলাম, তখন বিবিসির কাছে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলাম, পুরস্কার পেয়েছি এটি আমার কাছে বিমূর্ত বিস্ময়। পেয়েছি, সেজন্য ধন্যবাদ। তবে পুরস্কারের জন্য তো অবশ্যই নীতিমালা থাকা দরকার। একজন বিশেষ মন্ত্রী যিনি নিজেই নিজেকে পুরস্কৃত করে ফেললেন দেখলাম। আবার আমাদের এক নমস্য কবি ফেসবুকে স্টেটাস দিয়ে স্বাধীনতা পুরস্কার নিলেন। কেন? তিনি তো এমনিতেই নমস্য। তাকে এভাবে কেন পুরস্কার নিতে হবে? আর কেনইবা সরকার তাকে পুরস্কার দেয়নি। এমনও দেখেছি, বর্তমান সরকার এমন একজনকে পুরস্কার দিয়েছে, যার নামই আগে কখনো শোনা যায়নি।

মোস্তফা কামাল: দেশে দুর্নীতি ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। এই দুর্নীতি থেকে বাঁচার উপায় কী?

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন: লর্ড উইলিয়াম ব্যান্টিংক দুর্নীতি নিয়ে বলতে গিয়ে বলেছেন যে, ভারতের প্রতিটি মানুষ দুর্নীতিবাজ। বঙ্গবন্ধু এখানে বলেছেন, ৫ শতাংশ মানুষ দুর্নীতিবাজ। দুর্নীতি কমে গেলে দেশের মানুষের ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ দুর্নীতি কমে যাবে। আসলেই তাই। সরকারের ছত্রছায়ায় দুর্নীতি হচ্ছে। দুর্নীতির সবচেয়ে বড় অংশ হলো আমলারা। আমলা ছাড়া দুর্নীতি করার কেউ নেই।

মোস্তফা কামাল: বেতন বাড়ালে দুর্নীতি কমে যায়। এই ধারণা কি সঠিক?

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন: একদমই ঠিক না। দুর্নীতির ইতিহাসে এই তথ্য নেই যে, বেতন বাড়ালে দুর্নীতি কমবে। মাছের পচন শুরুতে মাথায় তারপর সারা শরীরে যায়। কাজেই আমি মনে করি সরকার যদি ঠিক থাকে তাহলে দুর্নীতি কমে যাবে। বেতনের সঙ্গে সম্পর্ক নেই।



মোস্তফা কামাল: সার্চ কমিটি আইনে পরিণত হলো এ বিষয়ে আপনি কি বলবেন?

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন: এখানে সবই নিজেরা নিজেরা। রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সবাই এক। দশদিনের মধ্যে আইন করে ফেলল। জনগণ কি এসব বোঝে না? এর কোনো মানে হয় না।

মোস্তফা কামাল: বাংলাদেশের গণতন্ত্র সম্পর্কে আপনার অভিমত কী?

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন: গণতন্ত্র সংবিধানে আছে বাস্তবে নাই। বলতে পারেন কাজির গরু। কাজির গরু কাগজে আছে, গোয়ালে নাই।

মোস্তফা কামাল: সেখান থেকে ফেরার উপায় কি?

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন: ফেরার উপায় হলো–পড়তে হবে, জানতে হবে, শিখতে হবে। বঙ্গবন্ধু বলতেন, তোমরা ইতিহাস পড়ো নাই, তাই জানো না। ইতিহাস পড়েছে এমন কোনো ব্যক্তিকে আমরা সরকারের মধ্যে এখন আর খুঁজে পাচ্ছি না।

মোস্তফা কামাল: বঙ্গবন্ধুর সময় তার একটি বুদ্ধিবৃত্তিক উপদেষ্টা ছিল। সেরকম কি আমরা আর পাব না?

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন: বঙ্গবন্ধু বয়স্ক কারও সঙ্গে দেখা হলেই বলতেন আমাকে কিছু বুদ্ধিমান জ্ঞানী মানুষ খুঁজে দেন। ভালো মানুষ না হলে সোনার বাংলা গড়তে পারব না; কিন্তু এখন তো সেরকম কথা শুনি না। আমি শুনি–ভালো মানুষ না, আওয়ামী লীগ চাই। আমাদের দরকার ভালো মানুষ। আওয়ামী হলেই যে ভালো মানুষ হবে, এমন তো না।

মোস্তফা কামাল: আপনার অবসর কাটে কীভাবে?

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন: আমার কোনো অবসর নেই। ২০১৪-তে অবসরে গেছি; কিন্তু তারপর থেকে ভীষণ ব্যস্ত। এখন আমি চেয়ার অধ্যাপক বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের। বইয়ের কাজ চলছে। আগামী থেকে বেরুবে। বইটি ব্যতিক্রমী অর্থাৎ ঝাঁকের কই হবে না আর কী! এসব নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছি।

মোস্তফা কামাল: রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে বঙ্গবন্ধুই কি আদর্শ?

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন: আমি যতটুকু পড়েছি, জেনেছি, নেতা বলতে ওই একজনই ছিলেন। আর যারা এখন আছেন, তাদের উত্তরবঙ্গীয় ভাষায় একটি শব্দ আছে ‘ন্যাতা’। আমার কাছে মনে হয়, এরা সব ন্যাতা।

মোস্তফা কামাল: গান শোনেন?

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন: গান শুনি। প্রিয় গায়ক হেমন্ত মুখার্জী। তার গান শুনলে আমি আর এ জগতে থাকি না।

মোস্তফা কামাল: বই পড়েন তো নিশ্চয়ই?

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন: আমি বই পড়ি। প্রচুর পড়ি। পড়তে হয়।

মোস্তফা কামাল: আপনি একাধারে শিক্ষক, লেখক, ইতিহাসবিদ, বিশ্লেষক ইত্যাদি আরও বহুগুণের অধিকারী। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে সামগ্রিকভাবে দেশটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে অথবা সিভিল সোসাইটি অথবা মিডিয়া সবার সম্মিলনে কেমন সমাজ দেখতে চান?

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন: আমি একটি লেখা লিখেছিলাম, একটি গোপালের সন্ধানে। আমাদের অনেক বেশি নেতা চায় না। বঙ্গবন্ধুর মতো নেতা চাই, যিনি বাংলাদেশকে বদলাতে পারবেন। আমরা সকলেই সেই সুসময়ের অপেক্ষায় প্রহর গুনি।

মোস্তফা কামাল: সবশেষে ঢাকাপ্রকাশের পাঠকদের জন্য যদি কিছু বলেন।

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন: ঢাকাপ্রকাশের পাঠকদের জন্য আমার শুভকামনা। ঢাকাপ্রকাশের পাঠকরা যেন পত্রিকাটি পড়ার পাশাপাশি সমালোচনাও করে। তাহলে ঢাকাপ্রকাশ আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলে আমি মনে করি।

মোস্তফা কামাল: স্যার, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন: ধন্যবাদ।

এসএ/

Header Ad
Header Ad

জেনে নিন গ্রীষ্মে সুস্বাদু আর উপকারী কাঁচা আমের ১১টি বিস্ময়কর গুণ

কাঁচা আম। ছবি: সংগৃহীত

গ্রীষ্মকাল মানেই কাঁচা আমের মৌসুম। ঝাল-টক স্বাদের এই ফল শুধু স্বাদেই নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর। অনেকেই কাঁচা আম খেতে পছন্দ করেন, কিন্তু জানেন কি, এই টক-মিষ্টি ফলটির রয়েছে দেহের জন্য একাধিক স্বাস্থ্যকর উপকারিতা? এতে থাকা ভিটামিন সি, এ, কে, বি৬ ও ফোলেট শরীরের নানা গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমে সহায়তা করে। হজম, রক্তচাপ, ত্বক কিংবা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা—সবক্ষেত্রেই কাঁচা আম কাজ করে নিঃশব্দ সহায়কের মতো।

চলুন জেনে নেওয়া যাক কাঁচা আম খাওয়ার ১১টি দারুণ উপকারিতা-

১. গরমে শরীর রাখে ঠান্ডা ও সতেজ

প্রচণ্ড গরমে শরীর যখন পানিশূন্যতায় ভোগে, তখন কাঁচা আমের রস হতে পারে নিখুঁত সমাধান। এটি শরীরে সোডিয়াম ও অন্যান্য ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রেখে হিটস্ট্রোক প্রতিরোধ করে।

২. হজম শক্তি বাড়ায়

কাঁচা আম পাচক রসের নিঃসরণ বাড়িয়ে হজমে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস, বদহজম, বুক জ্বালাপোড়া এমনকি বমি ভাব দূর করতেও এটি কার্যকর।

৩. হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক

এতে থাকা নিয়াসিন ও ফাইবার হৃদরোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। এটি কোলেস্টেরল কমায় এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে।

৪. লিভারকে রাখে সুস্থ

কাঁচা আম পিত্ত নিঃসরণ বাড়িয়ে লিভার পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে। বিষাক্ত পদার্থ শরীর থেকে বের করে দিয়ে এটি লিভারের কর্মক্ষমতা উন্নত করে।

৫. দাঁতের যত্নে দারুণ

মাড়ি থেকে রক্তপাত, মুখে দুর্গন্ধ বা দাঁতের ক্ষয়—এসব সমস্যায় কাঁচা আম বেশ কার্যকর। এটি মুখগহ্বরের ব্যাকটেরিয়া দমন করে।

৬. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

ভিটামিন সি ও এ-তে ভরপুর কাঁচা আম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করে। সর্দি, কাশি ও মৌসুমি সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।

৭. রক্তের স্বাস্থ্য উন্নত করে

কাঁচা আম রক্তস্বল্পতা দূর করে, হিমোগ্লোবিন বাড়ায় এবং নতুন রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে। এটি রক্তনালীর স্থিতিস্থাপকতাও বজায় রাখে।

৮. ত্বক ও চুলের যত্নে কার্যকর

এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন এ ও সি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, বলিরেখা প্রতিরোধ করে এবং চুলের গোড়া শক্ত করে চুল পড়া কমায়।

৯. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক

যথোপযুক্ত পরিমাণে কাঁচা আম খাওয়া রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। এটি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়াতে সহায়তা করে, তবে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন।

১০. মেজাজ ভালো করে ও ক্লান্তি দূর করে

কাঁচা আমের ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস মস্তিষ্কে সেরোটোনিন নিঃসরণে সাহায্য করে, যা মেজাজ ভালো রাখে ও গরমে সৃষ্ট অতিরিক্ত ক্লান্তি কমায়।

১১. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে

কাঁচা আমে থাকা আঁশ ও পানি ওজন কমাতে সহায়তা করে। এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে এবং অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমায়।

Header Ad
Header Ad

এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী

ছবি: সংগৃহীত

বরগুনার আমতলীতে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে বসেছেন এক দাখিল পরীক্ষার্থী। আর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিয়ে না করলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার পূর্ব চন্দ্রা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, উপজেলার মহিষকাটা এলাকার দাখিল পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী চাওড়া ইউনিয়নের পূর্ব চন্দ্রা গ্রামের আরিফ মৃধার প্রেমের সম্পর্ক হয়।

গত তিন বছর ধরে তারা প্রেম করছে, এমন দাবি ওই পরীক্ষার্থীর।

প্রেমিক কলেজপড়ুয়া আরিফ মৃধা তাকে বিয়ে না করে কালক্ষেপণ করতে থাকেন। ৩ এপ্রিল আরিফের বাড়ি আসে ওই পরীক্ষার্থী। পরে আরিফের পরিবার বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাকে আমতলী থানায় পাঠায়। পুলিশ তাকে স্থানীয় মনির প্যাদার হেফাজতে দেন। কিন্তু আরিফ তাঁকে বিয়ে করেননি।

আজ তার দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল। সে পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে আরিফ মৃধার বাড়িতে অনশনে বসেছে। পরে সে ঘোষণা দেয়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরিফ তাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবে। অপর দিকে আরিফ মৃধা ও তাঁর পরিবার এলাকা ছেড়ে চলে গেছে।

এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান দাবি করেছেন।

ওই দাখিল পরীক্ষার্থী বলে, ‘আরিফ মৃধা আমার সঙ্গে তিন বছর ধরে প্রেম করছেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন। এখন তাঁর পরিবারের কথামতো আমাকে বিয়ে করতে রাজি না। তাই আমি পরীক্ষা দেওয়া বন্ধ করে বিয়ের দাবিতে আরিফের বাড়িতে অনশনে বসেছি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিয়ে না করলে আমি আত্মহত্যা করব। আমি তো আমার সবই হারিয়েছি। এখন আর কোথাও যাওয়ার সুযোগ নেই।’

ওই পরীক্ষার্থী বলে, ‘৩ এপ্রিল আমি এ বাড়িতে আসার পর আরিফের মা আমাকে তাঁর ছেলের সঙ্গে রাতে থাকতে দিয়েছেন, এখন তাঁরা পালিয়ে গেছেন।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য রুহুল আমিন বলেন, ‘দুই পরিবার বসে সমাধান করতে বলেছি। সমাধান হয়েছে কি না, আমি জানি না।’ এ বিষয়ে কথা বলতে আরিফ মৃধা ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাঁদের পাওয়া যায়নি।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, ‘বিষয়টি জানি। মেয়ের বিয়ের বয়স হয়নি। তাই আমি একজনের জিম্মায় দিয়েছিলাম।’

ওসি বলেন, মেয়ের পরিবারের লোকজনকে জানানো হয়েছে, কিন্তু তাঁরা মেয়েকে নিতে রাজি নন।

Header Ad
Header Ad

সাধারণ মানুষ চায় এই সরকার আরো ৫ বছর থাকুক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা (অব.) জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা (অব.) জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘দেশের সাধারণ মানুষ চাচ্ছে এই সরকার যেন আরো ৫ বছর রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকে।’ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ থানা পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মতৎপরতা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে, আরও বাড়বে। আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার যেন রোধ হয় সে বিষয়ে পুলিশ তৎপর থাকবে। যারা পরিস্থিতির অবনতি করতে চায়, আমরা তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসছি। পরিস্থিতি আস্তে আস্তে আরও উন্নতি হচ্ছে। সাধারণ মানুষ চাচ্ছেন এই সরকার যেন আরও অন্তত ৫ বছর রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকে।

শেখ হাসিনাকে ফেরত আনার বিষয়ের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ক্রিমিনালদের হ্যান্ডওভারের বিষয়ে ভারতের সঙ্গে আমাদের একটি চুক্তি আছে। এই চুক্তির আন্ডারে হয়তো তাকে আনার চেষ্টা করা হবে। ভারতের সঙ্গে আমাদের যুদ্ধের কোনো শঙ্কা নেই।

হাওরের কৃষির উন্নয়নে সরকারের পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘হাওরসহ সারা দেশে অনেক পতিত জমি পড়ে আছে। আমরা এই জমি চাষের আওতায় আনতে ৫০০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করেছি। যার মাধ্যমে পতিত জমি চাষের আওতায় আনা হবে।’

থানা পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার খান মোহাম্মদ রেজাউন্নবী, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মো. মুশফেকুর রহমান, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া, পুলিশ সুপার তোফায়েল আহম্মদ, শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুকান্ত সাহা, ওসি আকরাম আলী প্রমুখ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জেনে নিন গ্রীষ্মে সুস্বাদু আর উপকারী কাঁচা আমের ১১টি বিস্ময়কর গুণ
এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী
সাধারণ মানুষ চায় এই সরকার আরো ৫ বছর থাকুক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মানববন্ধন
জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস (ভিডিও)
নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি
২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি
কাদের-কামালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি
সিলেটে থানায় লালগালিচা দেখে ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দিল্লিতে লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা নিতে এসে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি
রবিবার ৩ জেলায় সাধারণ ছুটি, সবমিলিয়ে টানা ৪ দিনের অবকাশ
এসএসসির ফল ৬০ দিনে প্রকাশের চেষ্টা করা হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
পূর্বাচলে প্লট দুর্নীতি: শেখ হাসিনা-পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
যমুনা নদী বাঁধ দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৭ জনকে কারাদন্ড
ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করায় ৪ বাংলাদেশি পণ্যবাহী ট্রাক পেট্রাপোল বন্দর থেকে ফেরত
মেয়েকে কেন্দ্রে নেওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে বাবার মৃত্যু, পরীক্ষার হলে মেয়ে জানে না মৃত্যুর খবর
‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ নয়, ‘বাংলাদেশ জনকল্যাণ রাষ্ট্র’ নাম চায় ইসলামী আন্দোলন
৩১৩ জনকে ডিঙিয়ে আগাম জামিন পেলেন সন্ত্রাসী সাজ্জাদকে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা দিয়ে ছাড়াতে চাওয়া স্ত্রী তামান্না
নিউ জার্সিতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি প্রবাসীসহ মেয়ের মৃত্যু