বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫ | ২৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

বিশেষ সাক্ষাৎকারে মতিয়া চৌধুরী

বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে ভেতো বাঙালি লড়াকু বাঙালিতে পরিণত হয়েছিল

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ ২৬শে মার্চ। বাঙালি জাতির জীবনে অনন্যসাধারণ একটি দিন। সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা জোগায় এই দিনটি। ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী স্বাধিকারের দাবিতে জেগে ওঠা নিরীহ বাঙালির ওপর চালিয়েছিল নির্মম হত্যাযজ্ঞ। এরপর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেপ্তারের আগমুহূর্তে ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। সেই দিনের সেই ঘোষণা কোথায় ছিলেন কী অবস্থায় ছিলেন তার স্মতিচারণ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী। তিনি বলেন, সেদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর আহ্বান বাঙালি অকাতরে জীবন দিয়েছে, ভেতো বাঙালি লড়াকু বাঙালিদের পরিণত হয়েছে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন সিনিয়র রিপোর্টার শাহজাহান মোল্লা।  

ঢাকাপ্রকাশ: ভয়াল সেই ২৫শে মার্চ আপনি কোথায় ছিলেন? তখনকার কোনো স্মৃতি কথা যদি বলেন।

মতিয়া চৌধুরী: ৭ই মার্চে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে সেখানে বঙ্গবন্ধুর যে আহ্বান এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। সেটাই আমাদের ভেতরে আমাদের যে দিকনির্দেশনা, এটা বঙ্গবন্ধু তরফ থেকে সেটা পরিষ্কার করে দিয়েছেন। কিন্তু একই সঙ্গে আলোচনা চলছিল এবং আলোচনায় ফলাফল কী হবে সেটা খুবই অনিশ্চিত ছিল বরং নেতিবাচকের দিকে যাবে সেটা প্রত্যেকটি বাঙালি জানতো। এই অবস্থায় ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলার যে প্রক্রিয়া সেখানে বাঙালি তার প্রস্তুতি নিয়েছিল। আমি তখন থাকতাম সিদ্দিক বাজার। কিন্তু নানান কাজে তখন ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় থাকতাম। ২৫শে মার্চ রাতে আমি ছিলাম খিলগাঁও আমার খালার বাড়ি। তখন এত দালানকোঠা ওঠে নাই। খিলগাঁও রেলগেট থেকে রাজারবাগের কিছু অংশ সকাল বেলা দেখা যেত। তখন তো মানুষের পদচারণ এতটা ছিল না। বিশেষ করে রেললাইনের এখানে আসলে রাজারবাগ পুলিশ লাইন এটা একেবারে পরিষ্কার দেখা যেত। ওই রাতে যখন গুলি শুরু হয় রাজারবাগের পুলিশরা তারা বীরত্বপূর্ণভাবে তাদের থ্রি নট থ্রি রাইফেল দিয়ে এটা প্রতিরোধের চেষ্টা করে এবং শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তারা প্রতিরোধের সেই লড়াই চালিয়ে যায়। কিন্তু তারা তো (পাক সেনারা) এসেছে মেশিনগান, এসএমজি নিয়ে,  সেই অবস্থায় এটা কতক্ষণ টিকতে পারে? ওই রাতেই আমি প্রথম ট্রেসার বুলেট দেখলাম। কীভাবে ম্যাগনেসিয়াম প্লেয়ার দিয়ে আকাশটা একদম ঝকঝকে পরিষ্কার করে ফেলা হয়েছে। অন্ধকারের ভেতর লোকেশনগুলো খুঁজে বের করা। এগুলো পরে শুনেছি ।

তখন তো দেখেছি হঠাৎ আকাশ সকালের চাইতেও ফর্সা। অর্থাৎ লক্ষ্যবস্তুকে খোঁজার জন্য তারা এটা ব্যবহার করেছে। সারারাতই হত্যাযজ্ঞ চলে এবং ভোরের দিকে যখন তারা টিকতে পারেনি। ওদিক দিয়ে যেহেতু খোলা ছিল। রাজারবাগ থেকে লুঙ্গি পরা, গেঞ্জি গায়ে সিভিল ড্রেসে সব আসতে থাকে। সেই অবস্থায় অনেককেই আমরা তখন পানি খাওয়াই। কারণ সারারাত তারা লড়াই করে ক্লান্ত। তাছাড়া বহুদূর হেঁটে তারা আসছেন। কিন্তু আমি একবারও কাউকে বলতে শুনি নাই যে আমরা পারব না। তারা তাদের সঙ্গী-সাথী যারা ছিল যারা মারা গেছেন কিন্তু তারপরেও বলছে যে যাইয়া নিই, গ্রামে যাইয়া নিই দেখুম পাক বাহিনীদের, পশ্চিমাদের। ওইভাবে কথাটা বলতো। সেইদিন অনেক জায়গায় এই যে ক্রল করে হাঁটা বা এভাবে আগানো এটাও সেই রাত্রেই আমার প্রথম দেখা। মাঝে মধ্যে খিলগাঁও থেকে আগানোর চেষ্টা করেছি, দেখার চেষ্টা করেছি রিস্ক ছিল কিন্তু তবুও একদিকে আমাদের প্রতিরোধের যে স্পৃহা। সেই স্পৃহা আবার অন্যদিকে আমাদের সোলজারদের বিশেষ করে সেই পুলিশ ভাইয়েরা তারা যে লড়াই করতেছে সেটা দেখেছি। আমি একজন প্রত্যক্ষ সাক্ষী।

সেই রাতে তারা যেভাবে অকাতরে মারা গেছে, অকাতরে তারা জীবন দিয়েছে। এটা খুব স্বাভাবিক মেশিনগানের সামনে কতক্ষণ টিকে? আর এদের তো এদেশের সাপ্লাইয়ার ছিল, কিন্তু রাজারবাগে পুলিশের যা ছিল তা-ই ছিল, তাদের-তো সাপ্লাই ছিল না। ৭ই মার্চের পর থেকে খানসেনারা নিজেদের অস্ত্রশস্ত্র আরও বাড়িয়ে নিয়েছিল। অন্যদিকে একটা গাড়ি সামনে পড়ে তাতে তারা একটু কাবু হয় এরপর পেছনের গাড়িটারে সামনে আসে। কিন্তু বাঙালি খালি হাতে সত্য কথা বলতে গেলে নিরস্ত্র বাঙালির সশস্ত্র করার যে একটা ভাব এটা ছিল রাজারবাগ পুলিশ ফাঁড়ির সেই ২৫শে মার্চের রাত থেকে ২৬শে মার্চ। সেদিন থেকেই নিরস্ত্র একজন আনসার সে একটা লাঠি নিয়ে প্যারেড করেছে। তারপর পুলিশ আসে তাও ডিউটি করে সে অস্ত্র জমা দিয়ে আসতে হয়। সেই অস্ত্র কিন্তু সে নিজে বহন করতে পারত না। পুলিশ যখন সে ছুটিতে যায় সে অস্ত্র জমা দিয়ে যেতে  হতো। ওরা (পাকিস্তানিরা) ভাবছিল বাঙালিরা ৩ দিনে শেষ হয়ে যাবে। সেদিন খালি রাজারবাগ না, সেই রথখোলা বংশাল এ সমস্ত জায়গায় নারকীয় হত্যাকাণ্ড তারা করেছিল। বিভিন্ন জায়গায় যেভাবে টার্গেট করেছিল, ইউনিভার্সিটিতে তখনতো হলে থাকার মতো অবস্থা ছিল না। কিন্তু তারপরেও ওরা.. মোটকথা ইয়াহিয়া খান বলেছিল যে, ‘আদমি নেহি মান্তা’ মানে আমি মানুষ চাই না মাটি চাই। তবে মানুষ আছে, শেষ হয় নাই, মাটিও আমাদের আছে। এটি হলো ২৬শে মার্চের সেই ভয়াল স্মৃতির শিক্ষা। মাটিও আছে, মানুষ আছে শেষ হয় নাই।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনারা কখন স্বাধীনতার যুদ্ধের বিষয়টা বুঝতে পারেন?

মতিয়া চৌধুরী: পাকিস্তানিরা তো যাবে না। নারী মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনিং এর ছবিটা দেখছেন। নারীরা ডামি রাইফেল নিয়ে প্যারেড করেছে। পাকিস্তানিরা তারা বেলুচিস্তানে ঈদের নামাজের জামাতে বোম্বিং করে নাই? ঈদের জামাতে বেলুচিস্তানে প্লেন থেকে বোম্বিং করা হয়। যুদ্ধ বিমান থেকে বোম্বিং করা হয়। এটা-তো ইতিহাস, লিপিবদ্ধ আছে, ডকুমেন্টারি। বঙ্গবন্ধু এইজন্য ১০ জানুয়ারিতে বলেছিলেন ভুট্টো সাহেব আপনারা সুখে থাকেন। তার ভাষণে কিন্তু এই কথাটা ছিল। পাকিস্তান নামের যে মোহ সৃষ্টি হয়েছিল সেই মোহ বাঙালির পুরা হয়নি।

ঢাকাপ্রকাশ: বঙ্গবন্ধু যখন গ্রেপ্তার হয় তখন আপনাদের মধ্যে কোন চিন্তার ভাঁজ পড়ে ছিল কিনা?

মতিয়া চৌধুরী: বঙ্গবন্ধু আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামি হয়ে বাঙালি লড়াইয়ের আন্দোলন-সংগ্রামের বিজয়ী হয়ে আমাদের ভেতরে আসতেন। তিনি তো বলেছিলেন আমি যদি হুকুম দেবার  নাও পারি, হুকুম তো তিনি এটা দিয়িই দিয়ে গেলেন। কাজেই হুকুম দেওয়ার জন্য মুখে বলার সময় টুকু যদি নাও পান কিন্তু তাঁর আহ্বানটা তো সেই নির্দেশনাতেই দিয়ে গেলেন। হুকুম দেবার নাও পারি তোমাদের যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাক। আর কীভাবে বোঝাবেন। এত সহজে তিনি কথা বলেছেন। এটা বুঝতে আর কারো কোন সমস্যা হওয়ার কথা না।

ঢাকাপ্রকাশ: স্বাধীনতাবিরোধীরা অনেকেই বলে বঙ্গবন্ধু আত্মসমর্পণ করেছিলেন, এবিষয়ে কী বলবেন?

মতিয়া চৌধুরী: হ্যাঁ। কিন্তু তাদের কারও তো.. তাদের কি কেউ এভাবে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় পড়েছিল? তাদেরকে কেউ এভাবে.. সে রাত্রের কথা চিন্তা করেন, বেগম মুজিবের কথা? সে রাত্রে চিন্তা করেন শেখ হাসিনা, রেহেনা এদের কথা, কী অবস্থা। এই অবস্থার ভেতরে যদি তিনি কি ইয়ে করতেন তাহলে তো তারা অনেক খাতির তোয়াস করত। এগুলি অক্ষমের আস্ফলন। এটা নিয়ে কথা না বলাই ভালো। অক্ষমের আস্ফলন নিয়ে কথা না বলাই ভালো।

ঢাকাপ্রকাশ: মুক্তিযুদ্ধের সময় বাম জোটের যারা ছিলেন তাদের প্রশিক্ষণ নিতে কোনো জটিলতা তৈরি হয়েছিল কি-না?

মতিয়া চৌধুরী: প্রশিক্ষণ। যখন আমরা ভারতে গেলাম তখন আরকি, তখনতো আলাদাভাবে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা হয়েছিল। ন্যাপ, কমিউনিস্ট পার্টি, কৃষক শ্রমিক লীগ, ছাত্র ইউনিয়ন। কেন মহাবুবের ছবি দেখেন নাই ডাকসুতে? ব্যবস্থা যদি না হয় তাহলে রাইফেলটা এলো কোত্থেকে তার হাতে? আসলে যারা কিছু পারে না তারাই এ সমস্ত ছোট চিন্তা করে। মহৎ জিনিসকে খাটো করে দেখে। সবার অবদান কেউ অস্বীকার করবে না। আর অস্বীকার করলেই বা কি হবে সেটা ইতিহাসে থাকবে। সূর্যটা কে? কা-রে কেন্দ্র করে বাঙালি জেগেছিল? ৬ দফা কে দিয়েছিল? ৬ দফা তো বঙ্গবন্ধু দিয়েছিল, অন্য কেউ তো দেন নাই। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের সময় ফাঁসির মঞ্চে, আগরতলাতে তাঁর ফাঁসি দিতে পারতো। যারা এটা বলেন, ইয়াহিয়ার ভাষণটা দেখেন, সেদিন কী বলেছিল ইয়াহিয়া, মুজিব উইল নট গো অন পানিস্ট। সেখানে তো আর কোন নেতার নাম বলে নাই? দিস টাইম মুজিব উইল নট গো অন পানিস্ট। কেন্দ্রবিন্দু একজন তিনি হলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর আহ্বানে বাঙালি অকাতরে জীবন দিয়েছে। ভেতো বাঙালি লড়াকু বাঙালিতে পরিণত হয়েছে।

ঢাকাপ্রকাশ: যে লক্ষ্যে স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে কতটুকু অগ্রগতি হয়েছে?

মতিয়া চৌধুরী: সব পেয়েছির দেশে আমরা আছি সেটা আমি বলব না, কিন্তু দু ‘বেলা দু’মুঠো ভাত, মাথা গোঁজার ঠাঁই পরনে কাপড় এবং শিক্ষাব্যবস্থাটা প্রধানমন্ত্রী নিশ্চিত করেছেন। দেখুনতো পৃথিবীতে কয়টা দেশ বছরের প্রথমে নতুন বইয়ের গন্ধ শুকতে পারে। আসলে শেখ হাসিনা যা করেন আমাদের কাছে, অনেকের কাছেই মূল্যবান। কিন্তু অনেকের কাছে সেটা মনে হয় এটা কি? কিছুই না। তা মূল্যহীন। কিন্তু যারা বাইরে থেকে দেখে তারা বোঝেন। আসলে মানুষ সুখ পেলে দুঃখের দিন ভুলে যায়। শেখ হাসিনা সুখের দিনগুলি দিচ্ছেন, ফলে আমরা দুঃখের দিন ভুলে যাচ্ছি।

 

এসএম/

 

Header Ad
Header Ad

জেনে নিন গ্রীষ্মে সুস্বাদু আর উপকারী কাঁচা আমের ১১টি বিস্ময়কর গুণ

কাঁচা আম। ছবি: সংগৃহীত

গ্রীষ্মকাল মানেই কাঁচা আমের মৌসুম। ঝাল-টক স্বাদের এই ফল শুধু স্বাদেই নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর। অনেকেই কাঁচা আম খেতে পছন্দ করেন, কিন্তু জানেন কি, এই টক-মিষ্টি ফলটির রয়েছে দেহের জন্য একাধিক স্বাস্থ্যকর উপকারিতা? এতে থাকা ভিটামিন সি, এ, কে, বি৬ ও ফোলেট শরীরের নানা গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমে সহায়তা করে। হজম, রক্তচাপ, ত্বক কিংবা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা—সবক্ষেত্রেই কাঁচা আম কাজ করে নিঃশব্দ সহায়কের মতো।

চলুন জেনে নেওয়া যাক কাঁচা আম খাওয়ার ১১টি দারুণ উপকারিতা-

১. গরমে শরীর রাখে ঠান্ডা ও সতেজ

প্রচণ্ড গরমে শরীর যখন পানিশূন্যতায় ভোগে, তখন কাঁচা আমের রস হতে পারে নিখুঁত সমাধান। এটি শরীরে সোডিয়াম ও অন্যান্য ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রেখে হিটস্ট্রোক প্রতিরোধ করে।

২. হজম শক্তি বাড়ায়

কাঁচা আম পাচক রসের নিঃসরণ বাড়িয়ে হজমে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস, বদহজম, বুক জ্বালাপোড়া এমনকি বমি ভাব দূর করতেও এটি কার্যকর।

৩. হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক

এতে থাকা নিয়াসিন ও ফাইবার হৃদরোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। এটি কোলেস্টেরল কমায় এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে।

৪. লিভারকে রাখে সুস্থ

কাঁচা আম পিত্ত নিঃসরণ বাড়িয়ে লিভার পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে। বিষাক্ত পদার্থ শরীর থেকে বের করে দিয়ে এটি লিভারের কর্মক্ষমতা উন্নত করে।

৫. দাঁতের যত্নে দারুণ

মাড়ি থেকে রক্তপাত, মুখে দুর্গন্ধ বা দাঁতের ক্ষয়—এসব সমস্যায় কাঁচা আম বেশ কার্যকর। এটি মুখগহ্বরের ব্যাকটেরিয়া দমন করে।

৬. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

ভিটামিন সি ও এ-তে ভরপুর কাঁচা আম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করে। সর্দি, কাশি ও মৌসুমি সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।

৭. রক্তের স্বাস্থ্য উন্নত করে

কাঁচা আম রক্তস্বল্পতা দূর করে, হিমোগ্লোবিন বাড়ায় এবং নতুন রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে। এটি রক্তনালীর স্থিতিস্থাপকতাও বজায় রাখে।

৮. ত্বক ও চুলের যত্নে কার্যকর

এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন এ ও সি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, বলিরেখা প্রতিরোধ করে এবং চুলের গোড়া শক্ত করে চুল পড়া কমায়।

৯. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক

যথোপযুক্ত পরিমাণে কাঁচা আম খাওয়া রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। এটি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়াতে সহায়তা করে, তবে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন।

১০. মেজাজ ভালো করে ও ক্লান্তি দূর করে

কাঁচা আমের ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস মস্তিষ্কে সেরোটোনিন নিঃসরণে সাহায্য করে, যা মেজাজ ভালো রাখে ও গরমে সৃষ্ট অতিরিক্ত ক্লান্তি কমায়।

১১. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে

কাঁচা আমে থাকা আঁশ ও পানি ওজন কমাতে সহায়তা করে। এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে এবং অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমায়।

Header Ad
Header Ad

এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী

ছবি: সংগৃহীত

বরগুনার আমতলীতে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে বসেছেন এক দাখিল পরীক্ষার্থী। আর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিয়ে না করলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার পূর্ব চন্দ্রা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, উপজেলার মহিষকাটা এলাকার দাখিল পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী চাওড়া ইউনিয়নের পূর্ব চন্দ্রা গ্রামের আরিফ মৃধার প্রেমের সম্পর্ক হয়।

গত তিন বছর ধরে তারা প্রেম করছে, এমন দাবি ওই পরীক্ষার্থীর।

প্রেমিক কলেজপড়ুয়া আরিফ মৃধা তাকে বিয়ে না করে কালক্ষেপণ করতে থাকেন। ৩ এপ্রিল আরিফের বাড়ি আসে ওই পরীক্ষার্থী। পরে আরিফের পরিবার বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাকে আমতলী থানায় পাঠায়। পুলিশ তাকে স্থানীয় মনির প্যাদার হেফাজতে দেন। কিন্তু আরিফ তাঁকে বিয়ে করেননি।

আজ তার দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল। সে পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে আরিফ মৃধার বাড়িতে অনশনে বসেছে। পরে সে ঘোষণা দেয়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরিফ তাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবে। অপর দিকে আরিফ মৃধা ও তাঁর পরিবার এলাকা ছেড়ে চলে গেছে।

এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান দাবি করেছেন।

ওই দাখিল পরীক্ষার্থী বলে, ‘আরিফ মৃধা আমার সঙ্গে তিন বছর ধরে প্রেম করছেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন। এখন তাঁর পরিবারের কথামতো আমাকে বিয়ে করতে রাজি না। তাই আমি পরীক্ষা দেওয়া বন্ধ করে বিয়ের দাবিতে আরিফের বাড়িতে অনশনে বসেছি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিয়ে না করলে আমি আত্মহত্যা করব। আমি তো আমার সবই হারিয়েছি। এখন আর কোথাও যাওয়ার সুযোগ নেই।’

ওই পরীক্ষার্থী বলে, ‘৩ এপ্রিল আমি এ বাড়িতে আসার পর আরিফের মা আমাকে তাঁর ছেলের সঙ্গে রাতে থাকতে দিয়েছেন, এখন তাঁরা পালিয়ে গেছেন।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য রুহুল আমিন বলেন, ‘দুই পরিবার বসে সমাধান করতে বলেছি। সমাধান হয়েছে কি না, আমি জানি না।’ এ বিষয়ে কথা বলতে আরিফ মৃধা ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাঁদের পাওয়া যায়নি।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, ‘বিষয়টি জানি। মেয়ের বিয়ের বয়স হয়নি। তাই আমি একজনের জিম্মায় দিয়েছিলাম।’

ওসি বলেন, মেয়ের পরিবারের লোকজনকে জানানো হয়েছে, কিন্তু তাঁরা মেয়েকে নিতে রাজি নন।

Header Ad
Header Ad

সাধারণ মানুষ চায় এই সরকার আরো ৫ বছর থাকুক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা (অব.) জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা (অব.) জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘দেশের সাধারণ মানুষ চাচ্ছে এই সরকার যেন আরো ৫ বছর রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকে।’ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ থানা পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মতৎপরতা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে, আরও বাড়বে। আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার যেন রোধ হয় সে বিষয়ে পুলিশ তৎপর থাকবে। যারা পরিস্থিতির অবনতি করতে চায়, আমরা তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসছি। পরিস্থিতি আস্তে আস্তে আরও উন্নতি হচ্ছে। সাধারণ মানুষ চাচ্ছেন এই সরকার যেন আরও অন্তত ৫ বছর রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকে।

শেখ হাসিনাকে ফেরত আনার বিষয়ের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ক্রিমিনালদের হ্যান্ডওভারের বিষয়ে ভারতের সঙ্গে আমাদের একটি চুক্তি আছে। এই চুক্তির আন্ডারে হয়তো তাকে আনার চেষ্টা করা হবে। ভারতের সঙ্গে আমাদের যুদ্ধের কোনো শঙ্কা নেই।

হাওরের কৃষির উন্নয়নে সরকারের পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘হাওরসহ সারা দেশে অনেক পতিত জমি পড়ে আছে। আমরা এই জমি চাষের আওতায় আনতে ৫০০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করেছি। যার মাধ্যমে পতিত জমি চাষের আওতায় আনা হবে।’

থানা পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার খান মোহাম্মদ রেজাউন্নবী, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মো. মুশফেকুর রহমান, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া, পুলিশ সুপার তোফায়েল আহম্মদ, শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুকান্ত সাহা, ওসি আকরাম আলী প্রমুখ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জেনে নিন গ্রীষ্মে সুস্বাদু আর উপকারী কাঁচা আমের ১১টি বিস্ময়কর গুণ
এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী
সাধারণ মানুষ চায় এই সরকার আরো ৫ বছর থাকুক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মানববন্ধন (ভিডিও)
জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস (ভিডিও)
নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি
২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি
কাদের-কামালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি
সিলেটে থানায় লালগালিচা দেখে ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দিল্লিতে লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা নিতে এসে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি
রবিবার ৩ জেলায় সাধারণ ছুটি, সবমিলিয়ে টানা ৪ দিনের অবকাশ
এসএসসির ফল ৬০ দিনে প্রকাশের চেষ্টা করা হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
পূর্বাচলে প্লট দুর্নীতি: শেখ হাসিনা-পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
যমুনা নদী বাঁধ দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৭ জনকে কারাদন্ড
ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করায় ৪ বাংলাদেশি পণ্যবাহী ট্রাক পেট্রাপোল বন্দর থেকে ফেরত
মেয়েকে কেন্দ্রে নেওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে বাবার মৃত্যু, পরীক্ষার হলে মেয়ে জানে না মৃত্যুর খবর
‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ নয়, ‘বাংলাদেশ জনকল্যাণ রাষ্ট্র’ নাম চায় ইসলামী আন্দোলন
৩১৩ জনকে ডিঙিয়ে আগাম জামিন পেলেন সন্ত্রাসী সাজ্জাদকে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা দিয়ে ছাড়াতে চাওয়া স্ত্রী তামান্না
নিউ জার্সিতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি প্রবাসীসহ মেয়ের মৃত্যু