বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫ | ২৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের গণহত্যা

গণহত্যার স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টা করছে সরকার  

১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ রাতে ৫০ হাজার মানুষকে হত্যা করে পাকিস্তানি বাহিনী। কিন্তু এই গণহত্যার কোনো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মেলেনি এখনো। অনেকে দাবি করছেন, ৯ ডিসেম্বর নয়, ২৫শে মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনের।

কিন্তু সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সেই সুযোগ এখন আর নেই। তাই বাংলাদেশ সরকার এখন আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবসের স্বীকৃতি নয়, গণহত্যার স্বীকৃতির চেষ্টা করছে। আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবসের স্বীকৃতি অর্জনের সুযোগ ইতিমধ্যে হাতছাড়া করেছে বাংলাদেশ।

২০১৫ সালে জাতিসংঘ ৯ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। জাতিসংঘে প্রস্তাবটি তোলে আর্মেনিয়া। এ প্রস্তাবে সমর্থন দেয় ১৯৩টি সদস্য দেশের সদস্যরা। বাংলাদেশও সমর্থন দেয়।এ কারণে ২৫ শে মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস করার কোনো সুযোগ বাংলাদেশের নাই। এমন দাবিও করতে পারবে না। 

এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্ট্যাডিজের পরিচালক অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নয়, গণহত্যার স্বীকৃতি আদায়েই বাংলাদেশের মনোযোগ দেওয়া উচিত।

গণহত্যার স্বীকৃতি আদায়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কী করছে সে সম্পর্কে বৃহস্পতিবার একটি সেমিনারে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন। তিনি বলছেন, ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের জেনোসাইড ওয়াচ এবং লেমকিন ইন্সটিটিউট ফর জেনোসাইড প্রিভেনশন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সামরিক জান্তার সংঘটিত অপরাধযজ্ঞকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এটি গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে সহায়ক হবে।

জাতির জনকের হত্যাকাণ্ডের পরে দশকের পর দশক জেনোসাইডের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির বিষয়টি চাপা পড়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে এ ব্যপারে কাজ শুরু করেছেন। এবং সরকার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টা করছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বুকলেটও প্রকাশ করেছে যেটির বৃহস্পতিবার মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

২০১৭ সাল থেকে মূলত স্বীকৃতি আদায়ে কাজ শুরু করেছে সরকার। বিদেশের বাংলাদেশ মিশনগুলোতে গণহত্যা বিষয়ক তথ্য-উপাত্ত পাঠানো হয়েছে। জাতিসংঘের স্থায়ী মিশনও সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশের প্রতিটি দূতাবাসকে গণহত্যার স্বীকৃতি আদায়ে কাজে লাগাচ্ছে সরকার।

একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলছেন, আমরা ২০০৭ সালে ইউনেস্কোকে চিঠি দিয়েছিল আন্তর্জাতিক গণহত্যার দিবসের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য। কিন্তু এমন প্রস্তাব আসলে সরকারের পক্ষ থেকে যেতে হয়। ২০১৫ সালে আর্মেনিয়ার প্রস্তাবকে বাংলাদেশও সমর্থন দিয়েছে। কাজেই আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবসের স্বীকৃতি আদায়ের বিষয়টি আমরাই হেলায় হারিয়েছি।

ইন্টারন্যাশনাল জেনোসাইড স্কলার ড. হেলেন জারভিস বলেন, ৫০ বছর পরেও গণহত্যার স্বীকৃতি না পাওয়া একটি বড় ভুল। এত বড় একটা গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অবশ্যই দরকার ছিল। স্বীকৃতি আদায়ে বাংলাদেশকে ক্যাাম্পেইনটা চালিয়ে যেতে হবে।

১৯৭১ সালের গণহত্যাকে স্বীকৃতি দেওয়া জোনোসাইড ওয়াচের  প্রেসিডেন্ট প্রফেসর গ্রেগরি স্ট্যান্টন বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো আর কোনো গণহত্যা যেন না হয়। এলক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দরকার বলে মন্তব্য করেন তিন। 

যেসব গণহত্যাকে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ

মুক্তিযোদ্ধা, কথাসাহিত্যিক ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক হারুন হাবীব ২৫ মার্চ এক নিবন্ধে লিখেছেন, জাতিসংঘ এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রাচীন ও সাম্প্রতিক গণহত্যার স্বীকৃতি দিয়েছে। অটোমান টার্কদের হাতে ১৯১৫ সালে ১৫ লাখ আর্মেনীয় হত্যা; ১৯৯৪ সালে রুয়ান্ডায় ৮ লাখ তুতসি জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গণহত্যা; দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাজিদের হাতে ইউরোপে ৬০ লাখ ইহুদি হত্যা প্রভৃতি। এছাড়া ১৯৯২ সালের বসনিয়া ও ১৯৭৫ সালের কম্বোডিয়ার গণহত্যাকেও স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ।

কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, পাকিস্তানি সৈন্যদের হাতে যে ৩০ লাখ বাঙালির পরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞ ঘটে ১৯৭১ সালে; তার কোনো স্বীকৃতি আজও দিতে পারেনি বিশ্ব সংস্থা। এমন একটি ব্যর্থতা কেবল দুঃখজনক নয়; বিশ্ব সংস্থার চরম ব্যর্থতা ও দৈন্যেরই বহিঃপ্রকাশও বটে।

পাশে দাঁড়িয়েছে ইন্টারন্যাশনাল কোয়ালিশন অব সাইট অব কনসায়েন্স

স্বীকৃতি আদায়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের পাশে দাঁড়িয়েছে ইন্টারন্যাশনাল কোয়ালিশন অফ সাইট অব কনসায়েন্স। সংস্থাটি ১৯৭১ সালের গণহত্যাকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। সংস্থাটি তাদের চিঠিতে লিখেছে, ১৯৭১ এর গণহত্যা মানব ইতিহাসের অন্ধকারতম। অথচ সবচেয়ে উপেক্ষিত অধ্যায়গুলোর একটি।

সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলেছে, অত্যাচার ও নির্মূলের যথেষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের গণহত্যার আনুষ্ঠানিক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির অভাবের অর্থ হল-৫০ বছর পরেও কোনও পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধী বিচারের মুখোমুখি হয়নি। জবাবদিহিতার এই অভাব সকলের জন্য মানবাধিকারকে ক্ষুণ্ণ করে এবং বিশেষ করে বাঙালিদের জন্য বেদনাদায়ক। তারা শুধু ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিতই নয়, তাদের ইতিহাসের একটি কেন্দ্রীয় উপাদান মুছে ফেলা হচ্ছে, বন্ধ করা হচ্ছে।

 

আরইউ/

Header Ad
Header Ad

জেনে নিন গ্রীষ্মে সুস্বাদু আর উপকারী কাঁচা আমের ১১টি বিস্ময়কর গুণ

কাঁচা আম। ছবি: সংগৃহীত

গ্রীষ্মকাল মানেই কাঁচা আমের মৌসুম। ঝাল-টক স্বাদের এই ফল শুধু স্বাদেই নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর। অনেকেই কাঁচা আম খেতে পছন্দ করেন, কিন্তু জানেন কি, এই টক-মিষ্টি ফলটির রয়েছে দেহের জন্য একাধিক স্বাস্থ্যকর উপকারিতা? এতে থাকা ভিটামিন সি, এ, কে, বি৬ ও ফোলেট শরীরের নানা গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমে সহায়তা করে। হজম, রক্তচাপ, ত্বক কিংবা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা—সবক্ষেত্রেই কাঁচা আম কাজ করে নিঃশব্দ সহায়কের মতো।

চলুন জেনে নেওয়া যাক কাঁচা আম খাওয়ার ১১টি দারুণ উপকারিতা-

১. গরমে শরীর রাখে ঠান্ডা ও সতেজ

প্রচণ্ড গরমে শরীর যখন পানিশূন্যতায় ভোগে, তখন কাঁচা আমের রস হতে পারে নিখুঁত সমাধান। এটি শরীরে সোডিয়াম ও অন্যান্য ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রেখে হিটস্ট্রোক প্রতিরোধ করে।

২. হজম শক্তি বাড়ায়

কাঁচা আম পাচক রসের নিঃসরণ বাড়িয়ে হজমে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস, বদহজম, বুক জ্বালাপোড়া এমনকি বমি ভাব দূর করতেও এটি কার্যকর।

৩. হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক

এতে থাকা নিয়াসিন ও ফাইবার হৃদরোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। এটি কোলেস্টেরল কমায় এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে।

৪. লিভারকে রাখে সুস্থ

কাঁচা আম পিত্ত নিঃসরণ বাড়িয়ে লিভার পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে। বিষাক্ত পদার্থ শরীর থেকে বের করে দিয়ে এটি লিভারের কর্মক্ষমতা উন্নত করে।

৫. দাঁতের যত্নে দারুণ

মাড়ি থেকে রক্তপাত, মুখে দুর্গন্ধ বা দাঁতের ক্ষয়—এসব সমস্যায় কাঁচা আম বেশ কার্যকর। এটি মুখগহ্বরের ব্যাকটেরিয়া দমন করে।

৬. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

ভিটামিন সি ও এ-তে ভরপুর কাঁচা আম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করে। সর্দি, কাশি ও মৌসুমি সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।

৭. রক্তের স্বাস্থ্য উন্নত করে

কাঁচা আম রক্তস্বল্পতা দূর করে, হিমোগ্লোবিন বাড়ায় এবং নতুন রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে। এটি রক্তনালীর স্থিতিস্থাপকতাও বজায় রাখে।

৮. ত্বক ও চুলের যত্নে কার্যকর

এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন এ ও সি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, বলিরেখা প্রতিরোধ করে এবং চুলের গোড়া শক্ত করে চুল পড়া কমায়।

৯. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক

যথোপযুক্ত পরিমাণে কাঁচা আম খাওয়া রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। এটি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়াতে সহায়তা করে, তবে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন।

১০. মেজাজ ভালো করে ও ক্লান্তি দূর করে

কাঁচা আমের ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস মস্তিষ্কে সেরোটোনিন নিঃসরণে সাহায্য করে, যা মেজাজ ভালো রাখে ও গরমে সৃষ্ট অতিরিক্ত ক্লান্তি কমায়।

১১. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে

কাঁচা আমে থাকা আঁশ ও পানি ওজন কমাতে সহায়তা করে। এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে এবং অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমায়।

Header Ad
Header Ad

এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী

ছবি: সংগৃহীত

বরগুনার আমতলীতে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে বসেছেন এক দাখিল পরীক্ষার্থী। আর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিয়ে না করলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার পূর্ব চন্দ্রা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, উপজেলার মহিষকাটা এলাকার দাখিল পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী চাওড়া ইউনিয়নের পূর্ব চন্দ্রা গ্রামের আরিফ মৃধার প্রেমের সম্পর্ক হয়।

গত তিন বছর ধরে তারা প্রেম করছে, এমন দাবি ওই পরীক্ষার্থীর।

প্রেমিক কলেজপড়ুয়া আরিফ মৃধা তাকে বিয়ে না করে কালক্ষেপণ করতে থাকেন। ৩ এপ্রিল আরিফের বাড়ি আসে ওই পরীক্ষার্থী। পরে আরিফের পরিবার বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাকে আমতলী থানায় পাঠায়। পুলিশ তাকে স্থানীয় মনির প্যাদার হেফাজতে দেন। কিন্তু আরিফ তাঁকে বিয়ে করেননি।

আজ তার দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল। সে পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে আরিফ মৃধার বাড়িতে অনশনে বসেছে। পরে সে ঘোষণা দেয়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরিফ তাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবে। অপর দিকে আরিফ মৃধা ও তাঁর পরিবার এলাকা ছেড়ে চলে গেছে।

এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান দাবি করেছেন।

ওই দাখিল পরীক্ষার্থী বলে, ‘আরিফ মৃধা আমার সঙ্গে তিন বছর ধরে প্রেম করছেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন। এখন তাঁর পরিবারের কথামতো আমাকে বিয়ে করতে রাজি না। তাই আমি পরীক্ষা দেওয়া বন্ধ করে বিয়ের দাবিতে আরিফের বাড়িতে অনশনে বসেছি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিয়ে না করলে আমি আত্মহত্যা করব। আমি তো আমার সবই হারিয়েছি। এখন আর কোথাও যাওয়ার সুযোগ নেই।’

ওই পরীক্ষার্থী বলে, ‘৩ এপ্রিল আমি এ বাড়িতে আসার পর আরিফের মা আমাকে তাঁর ছেলের সঙ্গে রাতে থাকতে দিয়েছেন, এখন তাঁরা পালিয়ে গেছেন।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য রুহুল আমিন বলেন, ‘দুই পরিবার বসে সমাধান করতে বলেছি। সমাধান হয়েছে কি না, আমি জানি না।’ এ বিষয়ে কথা বলতে আরিফ মৃধা ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাঁদের পাওয়া যায়নি।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, ‘বিষয়টি জানি। মেয়ের বিয়ের বয়স হয়নি। তাই আমি একজনের জিম্মায় দিয়েছিলাম।’

ওসি বলেন, মেয়ের পরিবারের লোকজনকে জানানো হয়েছে, কিন্তু তাঁরা মেয়েকে নিতে রাজি নন।

Header Ad
Header Ad

সাধারণ মানুষ চায় এই সরকার আরো ৫ বছর থাকুক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা (অব.) জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা (অব.) জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘দেশের সাধারণ মানুষ চাচ্ছে এই সরকার যেন আরো ৫ বছর রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকে।’ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ থানা পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মতৎপরতা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে, আরও বাড়বে। আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার যেন রোধ হয় সে বিষয়ে পুলিশ তৎপর থাকবে। যারা পরিস্থিতির অবনতি করতে চায়, আমরা তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসছি। পরিস্থিতি আস্তে আস্তে আরও উন্নতি হচ্ছে। সাধারণ মানুষ চাচ্ছেন এই সরকার যেন আরও অন্তত ৫ বছর রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকে।

শেখ হাসিনাকে ফেরত আনার বিষয়ের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ক্রিমিনালদের হ্যান্ডওভারের বিষয়ে ভারতের সঙ্গে আমাদের একটি চুক্তি আছে। এই চুক্তির আন্ডারে হয়তো তাকে আনার চেষ্টা করা হবে। ভারতের সঙ্গে আমাদের যুদ্ধের কোনো শঙ্কা নেই।

হাওরের কৃষির উন্নয়নে সরকারের পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘হাওরসহ সারা দেশে অনেক পতিত জমি পড়ে আছে। আমরা এই জমি চাষের আওতায় আনতে ৫০০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করেছি। যার মাধ্যমে পতিত জমি চাষের আওতায় আনা হবে।’

থানা পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার খান মোহাম্মদ রেজাউন্নবী, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মো. মুশফেকুর রহমান, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া, পুলিশ সুপার তোফায়েল আহম্মদ, শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুকান্ত সাহা, ওসি আকরাম আলী প্রমুখ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জেনে নিন গ্রীষ্মে সুস্বাদু আর উপকারী কাঁচা আমের ১১টি বিস্ময়কর গুণ
এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী
সাধারণ মানুষ চায় এই সরকার আরো ৫ বছর থাকুক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মানববন্ধন
জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস (ভিডিও)
নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি
২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি
কাদের-কামালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি
সিলেটে থানায় লালগালিচা দেখে ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দিল্লিতে লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা নিতে এসে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি
রবিবার ৩ জেলায় সাধারণ ছুটি, সবমিলিয়ে টানা ৪ দিনের অবকাশ
এসএসসির ফল ৬০ দিনে প্রকাশের চেষ্টা করা হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
পূর্বাচলে প্লট দুর্নীতি: শেখ হাসিনা-পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
যমুনা নদী বাঁধ দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৭ জনকে কারাদন্ড
ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করায় ৪ বাংলাদেশি পণ্যবাহী ট্রাক পেট্রাপোল বন্দর থেকে ফেরত
মেয়েকে কেন্দ্রে নেওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে বাবার মৃত্যু, পরীক্ষার হলে মেয়ে জানে না মৃত্যুর খবর
‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ নয়, ‘বাংলাদেশ জনকল্যাণ রাষ্ট্র’ নাম চায় ইসলামী আন্দোলন
৩১৩ জনকে ডিঙিয়ে আগাম জামিন পেলেন সন্ত্রাসী সাজ্জাদকে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা দিয়ে ছাড়াতে চাওয়া স্ত্রী তামান্না
নিউ জার্সিতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি প্রবাসীসহ মেয়ের মৃত্যু