বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫ | ২৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

মামলা হলেও বিচার হয় কি?

১০ বছরে কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত ১১৭৬

সম্প্রতি সারাদেশে বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বেড়ে গেছে। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও এমন ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছেন ফায়ারসার্ভিস। বেশিরভাগ ভুক্তভোগীই সাধারণ মানুষ ও শ্রমিক। দেখা যাচ্ছে, কোথাও গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আবার কোথাও শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ।

সাধারণ মানুষের অভিযোগ, এখন যেমন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে কয়েক বছর আগে এতটা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ছিল না। হঠাৎ এত অগ্নিকাণ্ড কেন? এসব বিষয় নিয়ে যাচাই-বাছাই করতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।

এদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন, বিভিন্ন কলকারখানায় শ্রমিকদের জন্য উপযুক্ত কর্ম পরিবেশ এবং অগ্নি নির্বাপক সরঞ্জামাদির পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় কোনোভাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক অগ্নিনির্বাপনের ব্যবস্থা নেওয়া যায় না যার ফলে অগ্নিকান্ড ভয়াবহ হয়ে ওঠে এবং এতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় শ্রমিকরা।

বিশ্লেষকদের দাবি, সরকারিভাবে প্রত্যেকটা শিল্প-কলকারখানায় তদারকি করতে হবে। উপযুক্ত কর্ম পরিবেশ আছে কি না দেখতে হবে। যদি কোনোভাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে তাহলে তারা যাতে অন্তত জীবন নিয়ে ফিরে আসতে পারে এমন ব্যবস্থা করতে হবে।

বিশ্লেষকরা আরও বলছেন, শ্রমিক নিয়ে যেসব মানুষ বা শিল্প কারখানার মালিকেরা খেলা করছেন, শ্রমিকদের উপযুক্ত কর্মপরিবেশের ব্যবস্থা করছেন না, নিয়মনীতি মানছেন না, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে এবং প্রতিটি ঘটনা সঠিকভাবে তদন্ত করতে হবে তাহলেই অগ্নিকাণ্ড অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে।

সাভার আশুলিয়ায় সবচেয়ে বেশি অগ্নিকাণ্ড

একটি তথ্য বলছে, চলতি বছরের গেল ২৩ ফ্রেব্রুয়ারি সাভারের আশুলিয়া বঙ্গবন্ধু রোডে এশিয়ান ইউনিভার্সিটির সামনে ইউনিওয়ার্ল্ড ফুটওয়্যার কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৩ জন মৃত্যুবরণ করেন এর মধ্যে দু’জন নারী অপর ব্যক্তির লাশ এমনভাবে পুড়ে গেছে চিহ্নিত করার কোনো উপায় নেই বলে জানিয়েছে ফায়ারসার্ভিস। এ ঘটনাটি সারাদেশে নতুন করে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হচ্ছে। বলা হচ্ছে, তেমন কোনো কারখানায় শ্রমিকদের জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই যার কারণে শ্রমিকদের এভাবে নির্বিচারে প্রাণ দিতে হচ্ছে।

এ ঘটনার পর বিভিন্ন মহল উদ্বেগ প্রকাশ করে। বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন ও সাধারণ মানুষ বলছেন, সম্প্রতি সাভার-আশুলিয়ায় যে ঘটনাটি ঘটেছে সম্পূর্ণ মালিকের অবহেলার কারণে এটি ঘটেছে। অগ্নিকাণ্ড ঘটার পর সেখান থেকে শ্রমিকদের বের হবার যথেষ্ট সময় ছিল এরপরও কেন শ্রমিকরা বের হতে পারেননি? সে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। তাদের অভিযোগ, অবিলম্বে আগুনে দগ্ধ হয়ে ৩ শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনাটি যাতে সুষ্ঠু তদন্ত হয় এবং এর সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হয়।

বেশ কয়েকটি পরিসংখ্যান বলছে, সাভার আশুলিয়াতেই বেশি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। কারণ ঢাকার মধ্যে প্রশাসন কড়া নজরদারি রাখে, আশুলিয়া-সাভার ঢাকার বাইরে হওয়ার কারণে সরকারিভাবে নজরদারির ঘাটতি রয়েছে। যার কারণে অতিরিক্ত দুর্ঘটনা ঘটছে এসব এলাকায়।

সাভারে সবচেয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল তাজরীন ফ্যাশন লিমিটেডে

ঢাকার আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর তাজরীন ফ্যাশনস লিমিটেড কারখানার অগ্নিকাণ্ডে বহু হতাহতের ঘটনাটি এখনো দেশের মানুষের হৃদয়কে নাড়া দেয়। এরপর শিল্প কারখানায় শ্রমিকদের নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও উত্তর মেলেনি সেসব প্রশ্নের। বিগত কয়েক দশকে দেশে বেশ কয়েকটি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে বহু মানুষের প্রাণহানির পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও নেহায়েত কম নয়।

সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দায়িত্বহীনতায় একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কোন মামলা হয়নি। আবার দু-একটি ক্ষেত্রে মামলা হলেও সাজা হয়নি দোষীদের। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দায়ীদের চিহ্নিত করা হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। মামলার পর নানামুখী চাপে আসামিরা গ্রেপ্তার হলেও কিছুদিন পর জামিন নিয়ে তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। একই সঙ্গে রয়েছে নিয়মনীতি না মানা ও নজরদারি না থাকার অভিযোগ এসব কারখানার বিরুদ্ধে। মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে এসব শিল্প কারখানায় কাজ করা শ্রমিকরাই আগুনে দগ্ধ হয়ে বেশি মারা গেলেও তা দেখার কেউ নেই এমনটাই অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

পরিসংখ্যান বলছে ১০ বছরে অগ্নিকান্ডে ১১৭৬ জন‌ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে

ফায়ার সার্ভিসের পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ২০১২ সালে কারখানায় আগুনের ঘটনায় ২১০ জন নিহত ও ৮০৩ জন আহত হন, ২০১৩ সালে ১৬১ জন নিহত ও ১ হাজার ৪৭১ জন আহত হন, ২০১৪ সালে ৭০ জন নিহত ও ২৫০ জন আহত হন। একইভাবে ২০১৫ সালে আগুনের ঘটনা ছিল এক হাজার ১৩টি। এত নিহত হন ৬৮ জন।

২০১৬ সালে এক হাজার ১৬৫টি আগুনের ঘটনায় মারা গেছেন ৫২ জন। ২০১৭ সালে ১ হাজার ১৯টি শিল্প কারখানার আগুনে মারা যান ৪৫ জন। ২০১৮ সালে এক হাজার ১৩১টি দুর্ঘটনায় আগুনে পুড়ে মারা যান ১৩০ জন। ২০১৯ সালে ৯৯৭টি আগুনের ঘটনায় মারা যান ১৩৪ জন। ২০২০ সালে ৭৫৬টি আগুনে ১৫৩ জন মারা যান। তথ্য বলছে, ২০২১ সালেই আগুনের ঘটনায় ১৪২ জন মারা যান। যার বেশিরভাগই শ্রমিক। এর মধ্যে ৫৭ জন পুরুষ ও ৮৫ জন নারী।

এদিকে একটি সূত্র জানায়, চলতি বছর ২০২২ এর জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১১ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ১০ বছরে কারখানায় আগুন লেগে মারা গেছেন ১১৭৫ জন মানুষ। তবে এসব আগুনের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের বিভাগীয় কর্মকর্তা বা কর্মচারীর কোনো আহত বা নিহত হবার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

রানা প্লাজা ধসের পর কারখানাগুলোর নিরাপত্তা বাড়ানো হলেও বর্তমান তা ঢিলেঢালা

গত এক দশকে তাজরীন ফ্যাশনসের পর বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় শিল্প কারখানার বড় দুর্ঘটনা হলো হাসেম ফুডস লিমিটেড কারখানার আগুন। ২০১২ সালে তাজরীন ফ্যাশনের আগুন এবং পরের বছর রানা প্লাজা ধসের পর পোশাক খাতের কারখানাগুলোর নিরাপত্তা বাড়াতে নানা উদ্যোগ দেখা গেছে।

এক্ষেত্রে ২০১৮ সালের পর থেকে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ড এবং মৃত্যু অনেকটাই কমে এসেছে। কিন্তু একই সময়ে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের বেশিরভাগ ঘটনাই পোশাক খাতের বাইরে শিল্প কারখানায় ঘটছে। এ সময়ে কয়েক বছর নিরাপত্তা উদ্যোগ থাকলেও বর্তমানে তা ঢিলেঢালা রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। তা ছাড়া, গত বছর এবং চলতি বছরে এ অগ্নিকাণ্ড আবারও বেড়েছে বলে মনে করছেন বিশেষ মহল।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হলে যা হয়

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাগুলোর মধ্যে মাত্র ৪ টি ঘটনায় মামলা হয়। এর মধ্যে তাজরীন ফ্যাশনস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত শেষে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেওয়া হলেও বিচার কার্যক্রম এখনো শেষ হয়নি। মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। আর চকবাজারের চুড়িহাট্টা ট্র্যাজেডি ও বনানীর এফআর টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হলেও তদন্ত কার্যক্রম শেষ হয়নি। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ৫২ জন শ্রমিক মারা যায়। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়। পরে মালিকসহ ৮জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। কিন্তু এ মামলারও তদন্তকাজ আজও শেষ হয়নি। প্রতিটি মামলায়ই বেশিরভাগ আসামিরা জামিনে রয়েছে বলে জানা গেছে।

২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরের তাজরীন ফ্যাশনস কারখানায় ভয়াবহ আগুনে ১১৭ জনের মৃত্যু ও দুই শতাধিক শ্রমিক আহত হন। ওই দুর্ঘটনায় মামলা হলেও আজও বিচার শেষ হয়নি। ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি চকবাজারের চুড়িহাট্টা মোড়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৭১ জনের প্রাণহানির পর অবহেলাজনিত মৃত্যুর মামলা করার মধ্যেই আইনি প্রক্রিয়া সীমাবদ্ধ রয়েছে। দুই বছরেও তদন্ত শেষ হয়নি।

বনানী আরএফ টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের মামলার তদন্ত এখনও শেষ হয়নি

২০১৯ সালের ২৮ মার্চ রাজধানীর বনানীতে এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে ২৫ জন ও পরে ১ জনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া এ সময় উদ্ধার অভিযানে আহত উদ্ধারকর্মী ফায়ারম্যান সোহেল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় বনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মিল্টন দত্ত একই বছরের ৩০ মার্চ বাদী হয়ে মামলা করেন। এ মামলার ও তদন্ত শেষ হয়নি।

যা বলছেন সচেতন মহল-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা

এ বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে এ্যাডভোকেট ফেরদৌস সুলতানা বলেন, অগ্নিকাণ্ডের মামলায় দোষীদের সাজা নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে কারখানাগুলোতে যথাযথ আইন প্রয়োগ করতে হবে। তাহলেই এ ধরনের ঘটনা অনেক কম ঘটবে।

গার্মেন্ট শ্রমিক ঐক্য ফোরামের নেতা মোশরেফা মিশু বলেন, অতি লাভের আশায় মালিকপক্ষ অগ্নিনির্বাপন বা সুরক্ষার দিকে তেমন কোনো নজর দেন না। তাদের অবহেলায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিকাণ্ডে শ্রমিকদের প্রাণহানির ঘটনা বাড়ছে। নানামুখী চাপে দু-একটি ক্ষেত্রে মামলা হলেও সাজার কোনো নজির নেই।

তিনি বলেন, ‘উপযুক্ত বিচারের মাধ্যমে দোষীদের সাজার ব্যবস্থা করতে হবে। যদি সেটা না হয় তাহলে শ্রমিকদের জীবনের সুরক্ষার দিকে মালিকরা নজর দেবেন না।’

এ বিষয়ে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের যুগ্ম মহাপরিদর্শক ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘পরিদর্শন একদমই যে হয় না, সেটা ঠিক নয়। আমাদের সীমাবদ্ধতাও আছে। আমাদেরকে কর্মীদের কিছু ব্যক্তিগত অভিযোগ অ্যাটেইন করতে হয়।’

তিনি বলেন, ‘আগে আমাদের জনবল ছিল ৩৩৩ জন, এরপরে ৯৩৩ জন হয়েছে। কিন্তু আমাদের রাইজের সঙ্গে তুলনা করলে শিল্পখাতের উন্নয়ন বা কমার্শিয়াল এন্টারপ্রাইজের ডেভলপমেন্ট আরও দ্রুত হচ্ছে। আমরা দ্বিতীয় পর্যায়ে ২ হাজার ৭৮০ জন জনবল চেয়ে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। এ ছাড়া আমরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেফটি ইউনিট গঠনের প্রস্তাব করেছি।’

মামলা না হওয়ায় আরও ভয়াবহ হচ্ছে অগ্নিকাণ্ড

১৯৯৫ সালে ঢাকার ইব্রাহিমপুরের লুসাকা অ্যাপারেলসে অগ্নিকাণ্ডে ১০ জন কর্মী প্রাণ হারান। ১৯৯৬ সালে ঢাকার তাহিদুল ফ্যাশনে ১৪ জন এবং সিনটেক্স লিমিটেডের কারখানায় ১৪ জন পুড়ে মারা যান। ১৯৯৭ সালে মিরপুরের তামান্না গার্মেন্টেসে ২৭ জন এবং মিরপুর-১ নং মাজার রোডের রহমান অ্যান্ড রহমান অ্যাপারেলসে আগুনে ২২ শ্রমিক মারা যান। ২০০০ সালের ২৫ নভেম্বর নরসিংদীর চৌধুরী নিটওয়্যার লিমিটেডে আগুনে ৫৩ জন শ্রমিকের প্রাণহানি ঘটে।

২০০০ সালে বনানীর চেয়ারম্যানবাড়িতে গ্লোব নিটিং ফ্যাশন লিমিটেডে ১২ শ্রমিক অগ্নিকাণ্ডে মারা যায়। ২০০১ সালে মিরপুরের মিকো সোয়েটার লিমিটেডে আগুনের গুজবে পদদলিত হয়ে ২৪ জন শ্রমিক মারা যান। ২০০৫ সালে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইলে সান নিটিং গার্মেন্টে আগুনে ২০ জন শ্রমিক মারা যান।

২০১০ সালের ৩ জুন পুরান ঢাকার নিমতলীতে কেমিক্যালের গুদামে ভয়াবহ আগুনে শিশুসহ ১২৫ জন নিহত হয়। এসব ঘটনার একটিতেও মামলা হয়নি। দায়ীরা সবাই রয়ে গেছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।

এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের উপপরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) দিনমনি শর্মা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘শিল্প কারখানায় আগুন লাগার ঘটনা আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে।’

প্রতিবছর আগুনে এত মানুষের মৃত্যুতে মালিকদের অবহেলা থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না কেন?

জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা তো শুধু সেবা দিয়ে থাকি। বিচার করা বা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া আমাদের কাজ নয়। অগ্নিকাণ্ডের পর আমরা তদন্তকারী সংস্থার কাছে প্রতিবেদন জমা দেই। দোষীদের ব্যবস্থা যারা নেন এ বিষয়টি তারাই বলতে পারবেন। তবে যেকোনো অগ্নিকাণ্ডে ফায়ার সার্ভিস দ্রুত সেবা দিয়ে থাকে।’

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘বাংলাদেশে শিল্প কারখানা স্থাপনে নিয়ম-কানুন আর বিধি-বিধান থাকলেও কোনো বড় দুর্ঘটনা ঘটলেই দেখা গেছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কারাখানা মালিকপক্ষ সেটি অমান্য করেছেন। অতি লাভের আশায় মালিকপক্ষের অবহেলায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিকাণ্ডে শ্রমিকদের প্রাণহানির ঘটনা বাড়ছে। আর সেই সাথে সামনে আসে কর্তৃপক্ষের নজরদারির অবহেলার বিষয়টিও। নানামুখী চাপে দু-একটি ক্ষেত্রে মামলা হলেও সাজার কোনো নজির নেই। ফায়ার সেফটি প্রযুক্তি উন্নত করা এবং উপযুক্ত বিচারের মাধ্যমে দোষীদের সাজার ব্যবস্থা করলে এ ধরনের দুর্ঘটনা কমে আসবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বুয়েটের বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ প্রফেসার মো. আশিকুর রহমান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘শিল্প কলকারখানায় যথাযথ মনিটরিং নেই। এবং যথাযথভাবে অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জামাদি না থাকায় শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে মনিটরিং এর অভাব রয়েছে। বিশেষ করে মনিটরিংয়ের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে এবং মেয়াদোত্তীর্ণ অগ্নি নির্বাপক সরঞ্জাম সরিয়ে ফেলে সেখানে নতুন করে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে যাতে শ্রমিকরা অন্তত আগুন ধরলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে ফ্যাক্টরি বা গার্মেন্টস কারখানা থেকে বের হতে পারে। তা ছাড়া মালিক এবং শ্রমিকরা একটু যদি সতর্ক থাকে তাহলে ধরনের দুর্ঘটনা অনেকটা কমে আসবে।

এ সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিশেষজ্ঞ তৌহিদুল হক ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে গড়ে ওঠা শিল্প-কারখানাগুলোর বেশিরভাগই নজরদারির বাইরে রয়েছে। আর ছোট-বড় আগুনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি হয়। কমিটি প্রতিবেদনও দেয়। তবে সে অনুযায়ী কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। যার ফলে বার বার দুর্ঘটনার বলি হন নিরীহ শ্রমিকরা। আইনের যথাযথ প্রয়োগ থাকলে এ ধরনের ঘটনা কমে আসবে বলে মনে করেন তিনি।

কেএম/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

জেনে নিন গ্রীষ্মে সুস্বাদু আর উপকারী কাঁচা আমের ১১টি বিস্ময়কর গুণ

কাঁচা আম। ছবি: সংগৃহীত

গ্রীষ্মকাল মানেই কাঁচা আমের মৌসুম। ঝাল-টক স্বাদের এই ফল শুধু স্বাদেই নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর। অনেকেই কাঁচা আম খেতে পছন্দ করেন, কিন্তু জানেন কি, এই টক-মিষ্টি ফলটির রয়েছে দেহের জন্য একাধিক স্বাস্থ্যকর উপকারিতা? এতে থাকা ভিটামিন সি, এ, কে, বি৬ ও ফোলেট শরীরের নানা গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমে সহায়তা করে। হজম, রক্তচাপ, ত্বক কিংবা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা—সবক্ষেত্রেই কাঁচা আম কাজ করে নিঃশব্দ সহায়কের মতো।

চলুন জেনে নেওয়া যাক কাঁচা আম খাওয়ার ১১টি দারুণ উপকারিতা-

১. গরমে শরীর রাখে ঠান্ডা ও সতেজ

প্রচণ্ড গরমে শরীর যখন পানিশূন্যতায় ভোগে, তখন কাঁচা আমের রস হতে পারে নিখুঁত সমাধান। এটি শরীরে সোডিয়াম ও অন্যান্য ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রেখে হিটস্ট্রোক প্রতিরোধ করে।

২. হজম শক্তি বাড়ায়

কাঁচা আম পাচক রসের নিঃসরণ বাড়িয়ে হজমে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস, বদহজম, বুক জ্বালাপোড়া এমনকি বমি ভাব দূর করতেও এটি কার্যকর।

৩. হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক

এতে থাকা নিয়াসিন ও ফাইবার হৃদরোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। এটি কোলেস্টেরল কমায় এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে।

৪. লিভারকে রাখে সুস্থ

কাঁচা আম পিত্ত নিঃসরণ বাড়িয়ে লিভার পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে। বিষাক্ত পদার্থ শরীর থেকে বের করে দিয়ে এটি লিভারের কর্মক্ষমতা উন্নত করে।

৫. দাঁতের যত্নে দারুণ

মাড়ি থেকে রক্তপাত, মুখে দুর্গন্ধ বা দাঁতের ক্ষয়—এসব সমস্যায় কাঁচা আম বেশ কার্যকর। এটি মুখগহ্বরের ব্যাকটেরিয়া দমন করে।

৬. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

ভিটামিন সি ও এ-তে ভরপুর কাঁচা আম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করে। সর্দি, কাশি ও মৌসুমি সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।

৭. রক্তের স্বাস্থ্য উন্নত করে

কাঁচা আম রক্তস্বল্পতা দূর করে, হিমোগ্লোবিন বাড়ায় এবং নতুন রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে। এটি রক্তনালীর স্থিতিস্থাপকতাও বজায় রাখে।

৮. ত্বক ও চুলের যত্নে কার্যকর

এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন এ ও সি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, বলিরেখা প্রতিরোধ করে এবং চুলের গোড়া শক্ত করে চুল পড়া কমায়।

৯. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক

যথোপযুক্ত পরিমাণে কাঁচা আম খাওয়া রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। এটি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়াতে সহায়তা করে, তবে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন।

১০. মেজাজ ভালো করে ও ক্লান্তি দূর করে

কাঁচা আমের ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস মস্তিষ্কে সেরোটোনিন নিঃসরণে সাহায্য করে, যা মেজাজ ভালো রাখে ও গরমে সৃষ্ট অতিরিক্ত ক্লান্তি কমায়।

১১. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে

কাঁচা আমে থাকা আঁশ ও পানি ওজন কমাতে সহায়তা করে। এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে এবং অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমায়।

Header Ad
Header Ad

এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী

ছবি: সংগৃহীত

বরগুনার আমতলীতে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে বসেছেন এক দাখিল পরীক্ষার্থী। আর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিয়ে না করলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার পূর্ব চন্দ্রা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, উপজেলার মহিষকাটা এলাকার দাখিল পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী চাওড়া ইউনিয়নের পূর্ব চন্দ্রা গ্রামের আরিফ মৃধার প্রেমের সম্পর্ক হয়।

গত তিন বছর ধরে তারা প্রেম করছে, এমন দাবি ওই পরীক্ষার্থীর।

প্রেমিক কলেজপড়ুয়া আরিফ মৃধা তাকে বিয়ে না করে কালক্ষেপণ করতে থাকেন। ৩ এপ্রিল আরিফের বাড়ি আসে ওই পরীক্ষার্থী। পরে আরিফের পরিবার বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাকে আমতলী থানায় পাঠায়। পুলিশ তাকে স্থানীয় মনির প্যাদার হেফাজতে দেন। কিন্তু আরিফ তাঁকে বিয়ে করেননি।

আজ তার দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল। সে পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে আরিফ মৃধার বাড়িতে অনশনে বসেছে। পরে সে ঘোষণা দেয়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরিফ তাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবে। অপর দিকে আরিফ মৃধা ও তাঁর পরিবার এলাকা ছেড়ে চলে গেছে।

এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান দাবি করেছেন।

ওই দাখিল পরীক্ষার্থী বলে, ‘আরিফ মৃধা আমার সঙ্গে তিন বছর ধরে প্রেম করছেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন। এখন তাঁর পরিবারের কথামতো আমাকে বিয়ে করতে রাজি না। তাই আমি পরীক্ষা দেওয়া বন্ধ করে বিয়ের দাবিতে আরিফের বাড়িতে অনশনে বসেছি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিয়ে না করলে আমি আত্মহত্যা করব। আমি তো আমার সবই হারিয়েছি। এখন আর কোথাও যাওয়ার সুযোগ নেই।’

ওই পরীক্ষার্থী বলে, ‘৩ এপ্রিল আমি এ বাড়িতে আসার পর আরিফের মা আমাকে তাঁর ছেলের সঙ্গে রাতে থাকতে দিয়েছেন, এখন তাঁরা পালিয়ে গেছেন।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য রুহুল আমিন বলেন, ‘দুই পরিবার বসে সমাধান করতে বলেছি। সমাধান হয়েছে কি না, আমি জানি না।’ এ বিষয়ে কথা বলতে আরিফ মৃধা ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাঁদের পাওয়া যায়নি।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, ‘বিষয়টি জানি। মেয়ের বিয়ের বয়স হয়নি। তাই আমি একজনের জিম্মায় দিয়েছিলাম।’

ওসি বলেন, মেয়ের পরিবারের লোকজনকে জানানো হয়েছে, কিন্তু তাঁরা মেয়েকে নিতে রাজি নন।

Header Ad
Header Ad

সাধারণ মানুষ চায় এই সরকার আরো ৫ বছর থাকুক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা (অব.) জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা (অব.) জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘দেশের সাধারণ মানুষ চাচ্ছে এই সরকার যেন আরো ৫ বছর রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকে।’ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ থানা পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মতৎপরতা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে, আরও বাড়বে। আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার যেন রোধ হয় সে বিষয়ে পুলিশ তৎপর থাকবে। যারা পরিস্থিতির অবনতি করতে চায়, আমরা তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসছি। পরিস্থিতি আস্তে আস্তে আরও উন্নতি হচ্ছে। সাধারণ মানুষ চাচ্ছেন এই সরকার যেন আরও অন্তত ৫ বছর রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকে।

শেখ হাসিনাকে ফেরত আনার বিষয়ের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ক্রিমিনালদের হ্যান্ডওভারের বিষয়ে ভারতের সঙ্গে আমাদের একটি চুক্তি আছে। এই চুক্তির আন্ডারে হয়তো তাকে আনার চেষ্টা করা হবে। ভারতের সঙ্গে আমাদের যুদ্ধের কোনো শঙ্কা নেই।

হাওরের কৃষির উন্নয়নে সরকারের পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘হাওরসহ সারা দেশে অনেক পতিত জমি পড়ে আছে। আমরা এই জমি চাষের আওতায় আনতে ৫০০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করেছি। যার মাধ্যমে পতিত জমি চাষের আওতায় আনা হবে।’

থানা পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার খান মোহাম্মদ রেজাউন্নবী, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মো. মুশফেকুর রহমান, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া, পুলিশ সুপার তোফায়েল আহম্মদ, শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুকান্ত সাহা, ওসি আকরাম আলী প্রমুখ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জেনে নিন গ্রীষ্মে সুস্বাদু আর উপকারী কাঁচা আমের ১১টি বিস্ময়কর গুণ
এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী
সাধারণ মানুষ চায় এই সরকার আরো ৫ বছর থাকুক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মানববন্ধন
জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস (ভিডিও)
নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি
২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি
কাদের-কামালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি
সিলেটে থানায় লালগালিচা দেখে ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দিল্লিতে লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা নিতে এসে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি
রবিবার ৩ জেলায় সাধারণ ছুটি, সবমিলিয়ে টানা ৪ দিনের অবকাশ
এসএসসির ফল ৬০ দিনে প্রকাশের চেষ্টা করা হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
পূর্বাচলে প্লট দুর্নীতি: শেখ হাসিনা-পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
যমুনা নদী বাঁধ দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৭ জনকে কারাদন্ড
ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করায় ৪ বাংলাদেশি পণ্যবাহী ট্রাক পেট্রাপোল বন্দর থেকে ফেরত
মেয়েকে কেন্দ্রে নেওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে বাবার মৃত্যু, পরীক্ষার হলে মেয়ে জানে না মৃত্যুর খবর
‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ নয়, ‘বাংলাদেশ জনকল্যাণ রাষ্ট্র’ নাম চায় ইসলামী আন্দোলন
৩১৩ জনকে ডিঙিয়ে আগাম জামিন পেলেন সন্ত্রাসী সাজ্জাদকে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা দিয়ে ছাড়াতে চাওয়া স্ত্রী তামান্না
নিউ জার্সিতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি প্রবাসীসহ মেয়ের মৃত্যু