বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫ | ২৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

নিষিদ্ধ হওয়ার পরও অনেকটা প্রকাশ্যেই জঙ্গি হিযবুত তাহরীর

দেশের শীর্ষ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট ও ঢাকা মেডিকেল কলেজকে কেন্দ্র করে নতুন প্রচারণায় নেমেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর। ডেকেছে অনলাইন সম্মেলন। তথ্য মতে, শুক্রবারের (১৮ মার্চ) অনলাইন সম্মেলনকে ঘিরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ, বুয়েট আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্টারিং করেছে হিযবুত তাহরীর।

দেখা গেছে, রাজধানী জুড়ে লিফলেট সাঁটিয়েছে এ জঙ্গি সংগঠন। ঢাকা নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকা জুড়ে হাজার হাজার পোস্টার। তারা অনলাইনে সম্মেলনের ডাক দেওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সরব হলে ঘাপটি মারে নিষিদ্ধ এই সংগঠনটি। হটাৎ আবারও রাজধানী জুড়ে পোস্টার সাঁটানোর নমুনা দেখা গেছে। যা নিয়ে নড়েচড়ে বসেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, মাঝে মধ্যে অনলাইনে তাদের কিছু কর্মকান্ড চোখে পড়ে আবার মাঝে মাঝে পোস্টারও সাঁটায়। তবে এ সংগঠন গভীর নজরদারিতে রয়েছে। নিষিদ্ধ এ সংগঠনের তেমন সাংগঠনিক শক্তিও নেই।

একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, রাজধানীর শাহবাগ, মোহাম্মদপুর, পান্থপথ, ধানমন্ডি, রমনা, কাওরান বাজার, বাড্ডা, উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকায় ঝুলছে শত শত পোস্টার। পোস্টারগুলোতে যথারিতি খেলাফত আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে।

রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার সাজ্জাদ হোসেন জানিয়েছেন বলেন, গভীর রাতে এ পোস্টারগুলো লাগানো হয়েছে। যেসকল এলাকাতে পুলিশ ডিউটি ছিল না সে এলাকাগুলোতে সুযোগ বুঝে লাগিয়েছে তারা।

এদিকে অনলাইন অ্যাকটিভিস্টরা বলছেন, অনলাইনে যেভাবে জঙ্গিরা কার্যক্রম পরিচালনা করছে তাতে করে নজরদারী আরো বাড়ানো প্রয়োজন। এরা ওইভাবে প্রকাশ্যে আসতে পারেনা কিন্তু নাশকতা করতে অনলাইন প্লাটফরমই বেছে নেয় তারা। তারা বলেন, ঘটনার পর প্রতিকারের চাইতে আগেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ।

বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট ফোরামের (বোয়াফ) সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময় বলেন, আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এ বিষয়ে কয়েকবার বলেছি। অনলাইনে জঙ্গিরা ক্রমেই সংগঠিত হচ্ছে।

এদিকে, গত ৩ ডিসেম্বর অনলাইনে সম্মেলন করে হিযবুত তাহরীর। তবে ওই সময় পুলিশ কাউকেও আটক করতে পারেনি। ফেসবুকে ‘স্ট্যান্ড ফর খলিফা’ নামক পেজ থেকে এর প্রচার প্রচারণা চালানো হয়। সম্মেলনে ‘পশ্চিমাদের নেতৃত্বাধীন পুঁজিবাদী বিশ্ব ব্যবস্থার পতন ঘণ্টা’ নামে শিরোনাম দিয়েছিল নিষিদ্ধ এ সংগঠন।

তবে, গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা বলছেন, আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করছে নিষিদ্ধ এ জঙ্গি সংগঠনটি। প্রকাশ্যে না আসতে পারলেও মাঝে মধ্যে অনলাইন ও পোস্টারিং করে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেওয়ার চেষ্টা করছে।

ফের চাঙ্গা হচ্ছে হিযবুত তাহরীর

র‌্যাব পুলিশের গোয়েন্দা নজরদারির মধ্যেও মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সক্রিয় থেকে কর্মী সংগ্রহ ও প্রকাশ্যে লিফলেট বিতরণ করছে বাংলাদেশের নিষিদ্ধ এই সংগঠনটি। শীর্ষ নেতারা কারাবন্দি থাকলেও মাঠে থাকা কর্মীরা সংগঠনের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। র‌্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক সূত্র বলেছে, হিযবুত তাহরীর সব সময়ই তাদের নজরদারিতে থাকে। তবে এর মধ্যেও গোপনে তাদের কিছু কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে বলে তাদের কাছে খবর আছে।

যেসব এলাকায় তাদের ঘাঁটি

জানা যায়, রাজধানীর উত্তরা, আজমপুর, খিলক্ষেত, বাড্ডা, এয়ারপোর্ট, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, রমনা এলাকায় বর্তমানে হিযবুত তাহরীরের বেশি কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে। এই সকল এলাকায় বিশেষ করে শুক্রবার জুম’আর নামাযের পর হিযবুত তাহরীর কর্মীরা ওই এলাকার বিভিন্ন মসজিদে লিফলেট বিতরণ করে। কখনো তারা নিজেরা আবার কখনো ভাড়া করা লোক দিয়ে এই লিফলেট বিতরণ করে।

রাজধানীর উত্তরা, আজমপুর, খিলক্ষেত, বনানী, গুলশান-১, গুলশান-২, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, তুরাগ উত্তরখান, শ্যামপুর, মিরপুর, খিলক্ষেত, দক্ষিণখান, আশুলিয়া, আবদুল্লাহপুর, নামাপাড়া, নিকুঞ্জ, মোল্লারটেক, ও কামারপাড়া এলাকায় পোস্টার চোখে পড়েছে। ওই সকল এলাকায় হিযবুত তাহরীরের কর্মীদের শক্ত অবস্থানও রয়েছে বলে জানা গেছে।

যা বলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা

এ বিষয়ে সিটিটিসির উপ-পুলিশ কমিশনার আব্দুল মান্নান বলেন, নিষিদ্ধ সব সংগঠনই গোয়েন্দা পুলিশের নজরদারিতে থাকে। সেক্ষেত্রে হিযবুত তাহরীর ও জেএমবিও রয়েছে।

তিনি বলেন, এই সংগঠন দুটির কার্যক্রম অমাদের নজরদারির মধ্যে থাকে। যখনই এরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠে তখনই গ্রেপ্তার করা হয়।

তবে এই মূহুর্তে তাদের সাংগঠনিক অবস্থা কি এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, যেহেতু তারা নজরদারির মধ্যে রয়েছে সেহেতু তাদের নাশকতা বা রাষ্ট্রের জন্য হুমকি স্বরূপ কোন কিছু করার মত শক্তি তাদের নেই। তারপরও আমরা এই বিষয়গুলো দেখছি।

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন জানান, হিযবুত তাহরীরের কর্মকান্ড তারা নজরদারিতে রেখেছেন। বর্তমান সময়ে লিফলেট, পোস্টার সাঁটানোর খবর তারা পেয়েছে। এ বিষয়ে র‌্যাব কাজ করছে। তিনি আরও জানান, হিজবুত তাহরীর এখন যারা কর্মকান্ড পরিচালনা করছে তাদেরকে গ্রেপ্তারে র‌্যাবের বিশেষ টিমও কাজ করছে।

২০০৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে মাথাচাড়া দেয় হিযবুত তাহরীর

তথ্য মতে, ২০০৭ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত সময়ে দেশের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে মাথা চাড়া দেয় হিযবুত তাহরীর। পরবর্তীতে সরকার বিরোধী নানা কর্মকান্ডের কারণে ২০০৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এ সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। গ্রেপ্তার করা হয় হিযবুত তাহরীরের শীর্ষ নেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মহিউদ্দীন ছাড়াও আরো বেশ কয়েকজনকে। কিন্তু তারপরও থেমে থাকেনি এদের কার্যক্রম।

রাজধানী ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে পোস্টার, লিফলেট ছড়ানো থেকে শুরু করে প্রকাশ্য মিছিল পর্যন্ত এরা করে থাকে। শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা তাদের নানা পরিকল্পনা এদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে থাকে।

নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর ডেকেছে অনলাইন সম্মেলন

রাজধানীর শাহবাগের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল পুলিশ বক্স। সেই পুলিশ বক্সের চারদিকে একশ গজের মধ্যেই নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের শ-খানেক পোস্টার। ঘণ্টার পর ঘণ্টা এখানে দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করলেও যেন পুলিশের চোখে পড়েনি। তবে পুলিশ বলছে, এ ভয়ংকর জঙ্গি সংগঠনের প্রচারণার বিভিন্ন কৌশল রয়েছে তা রোধে তারা কাজ করছে।

শুক্রবার (১৮ মার্চ) অনলাইন সম্মেলনকে ঘিরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ, বুয়েট আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্টারিং করেছে হিযবুত তাহরীর। তবে, এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বুয়েট কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছেন, আমরা সচেতন রয়েছি। বিচ্ছিন্ন প্রচারণা চালালেও ক্যাম্পাসে কোনো প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীকে কার্যক্রম চালাতে দেওয়া হবে না।

জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. আব্দুর রহিম বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অন্ধকারের শক্তির বিরুদ্ধে সদা জাগ্রত। এ কারণে ক্যাম্পাসে কোনো অন্ধকারের শক্তি আসতে সাহস পায় না।

তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্লেষক সালাউদ্দিন সেলিম বলেন, বারবার লাইভ সম্প্রচারের প্ল্যাটফর্ম ও ইউআরএল পরিবর্তনের কারণে অনলাইনে জঙ্গিবাদী তৎপরতা বন্ধ করা যাচ্ছে না।

জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার ফারুক হোসেন বলেন, বড় নাশকতার সক্ষমতা হারিয়েছে হিযবুত তাহরীর। তাদের মেরুদণ্ড ভেঙে গেছে। ২০০৯ সালে দেশে হিযবুত তাহরীরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে তাদের বিভিন্ন কার্যক্রম আমাদের নজরে রয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে পোস্টার লাগানো বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিশেষজ্ঞ তৌহিদুল হক বলেন, ‘এরা আসলে দিনের আলোয় আসতে পারে না, এজন্য রাতের আঁধারে চোরাপথে এসব কাজ করে থাকে। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সবসময় সজাগ রয়েছে।

নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, নিষিদ্ধের এক যুগ পেরিয়ে গেলেও হিযবুত তাহরীরের দৃশ্যমান কর্মকাণ্ড নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি। আর পুলিশ বলছে, প্রচারণা থাকলেও বড় নাশকতার সক্ষমতা নেই জঙ্গি সংগঠনটির।

কেএম/এএস

Header Ad
Header Ad

জেনে নিন গ্রীষ্মে সুস্বাদু আর উপকারী কাঁচা আমের ১১টি বিস্ময়কর গুণ

কাঁচা আম। ছবি: সংগৃহীত

গ্রীষ্মকাল মানেই কাঁচা আমের মৌসুম। ঝাল-টক স্বাদের এই ফল শুধু স্বাদেই নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর। অনেকেই কাঁচা আম খেতে পছন্দ করেন, কিন্তু জানেন কি, এই টক-মিষ্টি ফলটির রয়েছে দেহের জন্য একাধিক স্বাস্থ্যকর উপকারিতা? এতে থাকা ভিটামিন সি, এ, কে, বি৬ ও ফোলেট শরীরের নানা গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমে সহায়তা করে। হজম, রক্তচাপ, ত্বক কিংবা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা—সবক্ষেত্রেই কাঁচা আম কাজ করে নিঃশব্দ সহায়কের মতো।

চলুন জেনে নেওয়া যাক কাঁচা আম খাওয়ার ১১টি দারুণ উপকারিতা-

১. গরমে শরীর রাখে ঠান্ডা ও সতেজ

প্রচণ্ড গরমে শরীর যখন পানিশূন্যতায় ভোগে, তখন কাঁচা আমের রস হতে পারে নিখুঁত সমাধান। এটি শরীরে সোডিয়াম ও অন্যান্য ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রেখে হিটস্ট্রোক প্রতিরোধ করে।

২. হজম শক্তি বাড়ায়

কাঁচা আম পাচক রসের নিঃসরণ বাড়িয়ে হজমে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস, বদহজম, বুক জ্বালাপোড়া এমনকি বমি ভাব দূর করতেও এটি কার্যকর।

৩. হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক

এতে থাকা নিয়াসিন ও ফাইবার হৃদরোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। এটি কোলেস্টেরল কমায় এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে।

৪. লিভারকে রাখে সুস্থ

কাঁচা আম পিত্ত নিঃসরণ বাড়িয়ে লিভার পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে। বিষাক্ত পদার্থ শরীর থেকে বের করে দিয়ে এটি লিভারের কর্মক্ষমতা উন্নত করে।

৫. দাঁতের যত্নে দারুণ

মাড়ি থেকে রক্তপাত, মুখে দুর্গন্ধ বা দাঁতের ক্ষয়—এসব সমস্যায় কাঁচা আম বেশ কার্যকর। এটি মুখগহ্বরের ব্যাকটেরিয়া দমন করে।

৬. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

ভিটামিন সি ও এ-তে ভরপুর কাঁচা আম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করে। সর্দি, কাশি ও মৌসুমি সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।

৭. রক্তের স্বাস্থ্য উন্নত করে

কাঁচা আম রক্তস্বল্পতা দূর করে, হিমোগ্লোবিন বাড়ায় এবং নতুন রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে। এটি রক্তনালীর স্থিতিস্থাপকতাও বজায় রাখে।

৮. ত্বক ও চুলের যত্নে কার্যকর

এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন এ ও সি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, বলিরেখা প্রতিরোধ করে এবং চুলের গোড়া শক্ত করে চুল পড়া কমায়।

৯. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক

যথোপযুক্ত পরিমাণে কাঁচা আম খাওয়া রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। এটি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়াতে সহায়তা করে, তবে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন।

১০. মেজাজ ভালো করে ও ক্লান্তি দূর করে

কাঁচা আমের ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস মস্তিষ্কে সেরোটোনিন নিঃসরণে সাহায্য করে, যা মেজাজ ভালো রাখে ও গরমে সৃষ্ট অতিরিক্ত ক্লান্তি কমায়।

১১. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে

কাঁচা আমে থাকা আঁশ ও পানি ওজন কমাতে সহায়তা করে। এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে এবং অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমায়।

Header Ad
Header Ad

এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী

ছবি: সংগৃহীত

বরগুনার আমতলীতে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে বসেছেন এক দাখিল পরীক্ষার্থী। আর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিয়ে না করলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার পূর্ব চন্দ্রা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, উপজেলার মহিষকাটা এলাকার দাখিল পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী চাওড়া ইউনিয়নের পূর্ব চন্দ্রা গ্রামের আরিফ মৃধার প্রেমের সম্পর্ক হয়।

গত তিন বছর ধরে তারা প্রেম করছে, এমন দাবি ওই পরীক্ষার্থীর।

প্রেমিক কলেজপড়ুয়া আরিফ মৃধা তাকে বিয়ে না করে কালক্ষেপণ করতে থাকেন। ৩ এপ্রিল আরিফের বাড়ি আসে ওই পরীক্ষার্থী। পরে আরিফের পরিবার বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাকে আমতলী থানায় পাঠায়। পুলিশ তাকে স্থানীয় মনির প্যাদার হেফাজতে দেন। কিন্তু আরিফ তাঁকে বিয়ে করেননি।

আজ তার দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল। সে পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে আরিফ মৃধার বাড়িতে অনশনে বসেছে। পরে সে ঘোষণা দেয়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরিফ তাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবে। অপর দিকে আরিফ মৃধা ও তাঁর পরিবার এলাকা ছেড়ে চলে গেছে।

এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান দাবি করেছেন।

ওই দাখিল পরীক্ষার্থী বলে, ‘আরিফ মৃধা আমার সঙ্গে তিন বছর ধরে প্রেম করছেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন। এখন তাঁর পরিবারের কথামতো আমাকে বিয়ে করতে রাজি না। তাই আমি পরীক্ষা দেওয়া বন্ধ করে বিয়ের দাবিতে আরিফের বাড়িতে অনশনে বসেছি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিয়ে না করলে আমি আত্মহত্যা করব। আমি তো আমার সবই হারিয়েছি। এখন আর কোথাও যাওয়ার সুযোগ নেই।’

ওই পরীক্ষার্থী বলে, ‘৩ এপ্রিল আমি এ বাড়িতে আসার পর আরিফের মা আমাকে তাঁর ছেলের সঙ্গে রাতে থাকতে দিয়েছেন, এখন তাঁরা পালিয়ে গেছেন।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য রুহুল আমিন বলেন, ‘দুই পরিবার বসে সমাধান করতে বলেছি। সমাধান হয়েছে কি না, আমি জানি না।’ এ বিষয়ে কথা বলতে আরিফ মৃধা ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাঁদের পাওয়া যায়নি।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, ‘বিষয়টি জানি। মেয়ের বিয়ের বয়স হয়নি। তাই আমি একজনের জিম্মায় দিয়েছিলাম।’

ওসি বলেন, মেয়ের পরিবারের লোকজনকে জানানো হয়েছে, কিন্তু তাঁরা মেয়েকে নিতে রাজি নন।

Header Ad
Header Ad

সাধারণ মানুষ চায় এই সরকার আরো ৫ বছর থাকুক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা (অব.) জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা (অব.) জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘দেশের সাধারণ মানুষ চাচ্ছে এই সরকার যেন আরো ৫ বছর রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকে।’ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ থানা পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মতৎপরতা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে, আরও বাড়বে। আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার যেন রোধ হয় সে বিষয়ে পুলিশ তৎপর থাকবে। যারা পরিস্থিতির অবনতি করতে চায়, আমরা তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসছি। পরিস্থিতি আস্তে আস্তে আরও উন্নতি হচ্ছে। সাধারণ মানুষ চাচ্ছেন এই সরকার যেন আরও অন্তত ৫ বছর রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকে।

শেখ হাসিনাকে ফেরত আনার বিষয়ের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ক্রিমিনালদের হ্যান্ডওভারের বিষয়ে ভারতের সঙ্গে আমাদের একটি চুক্তি আছে। এই চুক্তির আন্ডারে হয়তো তাকে আনার চেষ্টা করা হবে। ভারতের সঙ্গে আমাদের যুদ্ধের কোনো শঙ্কা নেই।

হাওরের কৃষির উন্নয়নে সরকারের পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘হাওরসহ সারা দেশে অনেক পতিত জমি পড়ে আছে। আমরা এই জমি চাষের আওতায় আনতে ৫০০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করেছি। যার মাধ্যমে পতিত জমি চাষের আওতায় আনা হবে।’

থানা পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার খান মোহাম্মদ রেজাউন্নবী, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মো. মুশফেকুর রহমান, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া, পুলিশ সুপার তোফায়েল আহম্মদ, শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুকান্ত সাহা, ওসি আকরাম আলী প্রমুখ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জেনে নিন গ্রীষ্মে সুস্বাদু আর উপকারী কাঁচা আমের ১১টি বিস্ময়কর গুণ
এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী
সাধারণ মানুষ চায় এই সরকার আরো ৫ বছর থাকুক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মানববন্ধন (ভিডিও)
জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস (ভিডিও)
নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি
২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি
কাদের-কামালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি
সিলেটে থানায় লালগালিচা দেখে ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দিল্লিতে লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা নিতে এসে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি
রবিবার ৩ জেলায় সাধারণ ছুটি, সবমিলিয়ে টানা ৪ দিনের অবকাশ
এসএসসির ফল ৬০ দিনে প্রকাশের চেষ্টা করা হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
পূর্বাচলে প্লট দুর্নীতি: শেখ হাসিনা-পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
যমুনা নদী বাঁধ দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৭ জনকে কারাদন্ড
ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করায় ৪ বাংলাদেশি পণ্যবাহী ট্রাক পেট্রাপোল বন্দর থেকে ফেরত
মেয়েকে কেন্দ্রে নেওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে বাবার মৃত্যু, পরীক্ষার হলে মেয়ে জানে না মৃত্যুর খবর
‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ নয়, ‘বাংলাদেশ জনকল্যাণ রাষ্ট্র’ নাম চায় ইসলামী আন্দোলন
৩১৩ জনকে ডিঙিয়ে আগাম জামিন পেলেন সন্ত্রাসী সাজ্জাদকে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা দিয়ে ছাড়াতে চাওয়া স্ত্রী তামান্না
নিউ জার্সিতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি প্রবাসীসহ মেয়ের মৃত্যু