বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

নিষিদ্ধ হওয়ার পরও অনেকটা প্রকাশ্যেই জঙ্গি হিযবুত তাহরীর

দেশের শীর্ষ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট ও ঢাকা মেডিকেল কলেজকে কেন্দ্র করে নতুন প্রচারণায় নেমেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর। ডেকেছে অনলাইন সম্মেলন। তথ্য মতে, শুক্রবারের (১৮ মার্চ) অনলাইন সম্মেলনকে ঘিরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ, বুয়েট আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্টারিং করেছে হিযবুত তাহরীর।

দেখা গেছে, রাজধানী জুড়ে লিফলেট সাঁটিয়েছে এ জঙ্গি সংগঠন। ঢাকা নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকা জুড়ে হাজার হাজার পোস্টার। তারা অনলাইনে সম্মেলনের ডাক দেওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সরব হলে ঘাপটি মারে নিষিদ্ধ এই সংগঠনটি। হটাৎ আবারও রাজধানী জুড়ে পোস্টার সাঁটানোর নমুনা দেখা গেছে। যা নিয়ে নড়েচড়ে বসেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, মাঝে মধ্যে অনলাইনে তাদের কিছু কর্মকান্ড চোখে পড়ে আবার মাঝে মাঝে পোস্টারও সাঁটায়। তবে এ সংগঠন গভীর নজরদারিতে রয়েছে। নিষিদ্ধ এ সংগঠনের তেমন সাংগঠনিক শক্তিও নেই।

একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, রাজধানীর শাহবাগ, মোহাম্মদপুর, পান্থপথ, ধানমন্ডি, রমনা, কাওরান বাজার, বাড্ডা, উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকায় ঝুলছে শত শত পোস্টার। পোস্টারগুলোতে যথারিতি খেলাফত আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে।

রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার সাজ্জাদ হোসেন জানিয়েছেন বলেন, গভীর রাতে এ পোস্টারগুলো লাগানো হয়েছে। যেসকল এলাকাতে পুলিশ ডিউটি ছিল না সে এলাকাগুলোতে সুযোগ বুঝে লাগিয়েছে তারা।

এদিকে অনলাইন অ্যাকটিভিস্টরা বলছেন, অনলাইনে যেভাবে জঙ্গিরা কার্যক্রম পরিচালনা করছে তাতে করে নজরদারী আরো বাড়ানো প্রয়োজন। এরা ওইভাবে প্রকাশ্যে আসতে পারেনা কিন্তু নাশকতা করতে অনলাইন প্লাটফরমই বেছে নেয় তারা। তারা বলেন, ঘটনার পর প্রতিকারের চাইতে আগেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ।

বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট ফোরামের (বোয়াফ) সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময় বলেন, আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এ বিষয়ে কয়েকবার বলেছি। অনলাইনে জঙ্গিরা ক্রমেই সংগঠিত হচ্ছে।

এদিকে, গত ৩ ডিসেম্বর অনলাইনে সম্মেলন করে হিযবুত তাহরীর। তবে ওই সময় পুলিশ কাউকেও আটক করতে পারেনি। ফেসবুকে ‘স্ট্যান্ড ফর খলিফা’ নামক পেজ থেকে এর প্রচার প্রচারণা চালানো হয়। সম্মেলনে ‘পশ্চিমাদের নেতৃত্বাধীন পুঁজিবাদী বিশ্ব ব্যবস্থার পতন ঘণ্টা’ নামে শিরোনাম দিয়েছিল নিষিদ্ধ এ সংগঠন।

তবে, গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা বলছেন, আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করছে নিষিদ্ধ এ জঙ্গি সংগঠনটি। প্রকাশ্যে না আসতে পারলেও মাঝে মধ্যে অনলাইন ও পোস্টারিং করে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেওয়ার চেষ্টা করছে।

ফের চাঙ্গা হচ্ছে হিযবুত তাহরীর

র‌্যাব পুলিশের গোয়েন্দা নজরদারির মধ্যেও মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সক্রিয় থেকে কর্মী সংগ্রহ ও প্রকাশ্যে লিফলেট বিতরণ করছে বাংলাদেশের নিষিদ্ধ এই সংগঠনটি। শীর্ষ নেতারা কারাবন্দি থাকলেও মাঠে থাকা কর্মীরা সংগঠনের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। র‌্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক সূত্র বলেছে, হিযবুত তাহরীর সব সময়ই তাদের নজরদারিতে থাকে। তবে এর মধ্যেও গোপনে তাদের কিছু কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে বলে তাদের কাছে খবর আছে।

যেসব এলাকায় তাদের ঘাঁটি

জানা যায়, রাজধানীর উত্তরা, আজমপুর, খিলক্ষেত, বাড্ডা, এয়ারপোর্ট, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, রমনা এলাকায় বর্তমানে হিযবুত তাহরীরের বেশি কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে। এই সকল এলাকায় বিশেষ করে শুক্রবার জুম’আর নামাযের পর হিযবুত তাহরীর কর্মীরা ওই এলাকার বিভিন্ন মসজিদে লিফলেট বিতরণ করে। কখনো তারা নিজেরা আবার কখনো ভাড়া করা লোক দিয়ে এই লিফলেট বিতরণ করে।

রাজধানীর উত্তরা, আজমপুর, খিলক্ষেত, বনানী, গুলশান-১, গুলশান-২, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, তুরাগ উত্তরখান, শ্যামপুর, মিরপুর, খিলক্ষেত, দক্ষিণখান, আশুলিয়া, আবদুল্লাহপুর, নামাপাড়া, নিকুঞ্জ, মোল্লারটেক, ও কামারপাড়া এলাকায় পোস্টার চোখে পড়েছে। ওই সকল এলাকায় হিযবুত তাহরীরের কর্মীদের শক্ত অবস্থানও রয়েছে বলে জানা গেছে।

যা বলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা

এ বিষয়ে সিটিটিসির উপ-পুলিশ কমিশনার আব্দুল মান্নান বলেন, নিষিদ্ধ সব সংগঠনই গোয়েন্দা পুলিশের নজরদারিতে থাকে। সেক্ষেত্রে হিযবুত তাহরীর ও জেএমবিও রয়েছে।

তিনি বলেন, এই সংগঠন দুটির কার্যক্রম অমাদের নজরদারির মধ্যে থাকে। যখনই এরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠে তখনই গ্রেপ্তার করা হয়।

তবে এই মূহুর্তে তাদের সাংগঠনিক অবস্থা কি এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, যেহেতু তারা নজরদারির মধ্যে রয়েছে সেহেতু তাদের নাশকতা বা রাষ্ট্রের জন্য হুমকি স্বরূপ কোন কিছু করার মত শক্তি তাদের নেই। তারপরও আমরা এই বিষয়গুলো দেখছি।

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন জানান, হিযবুত তাহরীরের কর্মকান্ড তারা নজরদারিতে রেখেছেন। বর্তমান সময়ে লিফলেট, পোস্টার সাঁটানোর খবর তারা পেয়েছে। এ বিষয়ে র‌্যাব কাজ করছে। তিনি আরও জানান, হিজবুত তাহরীর এখন যারা কর্মকান্ড পরিচালনা করছে তাদেরকে গ্রেপ্তারে র‌্যাবের বিশেষ টিমও কাজ করছে।

২০০৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে মাথাচাড়া দেয় হিযবুত তাহরীর

তথ্য মতে, ২০০৭ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত সময়ে দেশের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে মাথা চাড়া দেয় হিযবুত তাহরীর। পরবর্তীতে সরকার বিরোধী নানা কর্মকান্ডের কারণে ২০০৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এ সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। গ্রেপ্তার করা হয় হিযবুত তাহরীরের শীর্ষ নেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মহিউদ্দীন ছাড়াও আরো বেশ কয়েকজনকে। কিন্তু তারপরও থেমে থাকেনি এদের কার্যক্রম।

রাজধানী ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে পোস্টার, লিফলেট ছড়ানো থেকে শুরু করে প্রকাশ্য মিছিল পর্যন্ত এরা করে থাকে। শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা তাদের নানা পরিকল্পনা এদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে থাকে।

নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর ডেকেছে অনলাইন সম্মেলন

রাজধানীর শাহবাগের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল পুলিশ বক্স। সেই পুলিশ বক্সের চারদিকে একশ গজের মধ্যেই নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের শ-খানেক পোস্টার। ঘণ্টার পর ঘণ্টা এখানে দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করলেও যেন পুলিশের চোখে পড়েনি। তবে পুলিশ বলছে, এ ভয়ংকর জঙ্গি সংগঠনের প্রচারণার বিভিন্ন কৌশল রয়েছে তা রোধে তারা কাজ করছে।

শুক্রবার (১৮ মার্চ) অনলাইন সম্মেলনকে ঘিরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ, বুয়েট আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্টারিং করেছে হিযবুত তাহরীর। তবে, এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বুয়েট কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছেন, আমরা সচেতন রয়েছি। বিচ্ছিন্ন প্রচারণা চালালেও ক্যাম্পাসে কোনো প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীকে কার্যক্রম চালাতে দেওয়া হবে না।

জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. আব্দুর রহিম বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অন্ধকারের শক্তির বিরুদ্ধে সদা জাগ্রত। এ কারণে ক্যাম্পাসে কোনো অন্ধকারের শক্তি আসতে সাহস পায় না।

তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্লেষক সালাউদ্দিন সেলিম বলেন, বারবার লাইভ সম্প্রচারের প্ল্যাটফর্ম ও ইউআরএল পরিবর্তনের কারণে অনলাইনে জঙ্গিবাদী তৎপরতা বন্ধ করা যাচ্ছে না।

জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার ফারুক হোসেন বলেন, বড় নাশকতার সক্ষমতা হারিয়েছে হিযবুত তাহরীর। তাদের মেরুদণ্ড ভেঙে গেছে। ২০০৯ সালে দেশে হিযবুত তাহরীরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে তাদের বিভিন্ন কার্যক্রম আমাদের নজরে রয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে পোস্টার লাগানো বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিশেষজ্ঞ তৌহিদুল হক বলেন, ‘এরা আসলে দিনের আলোয় আসতে পারে না, এজন্য রাতের আঁধারে চোরাপথে এসব কাজ করে থাকে। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সবসময় সজাগ রয়েছে।

নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, নিষিদ্ধের এক যুগ পেরিয়ে গেলেও হিযবুত তাহরীরের দৃশ্যমান কর্মকাণ্ড নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি। আর পুলিশ বলছে, প্রচারণা থাকলেও বড় নাশকতার সক্ষমতা নেই জঙ্গি সংগঠনটির।

কেএম/এএস

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত