বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫ | ২৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

নারী দিবসের বিশেষ সাক্ষাৎকারে ডিবি কর্মকর্তা নাজিয়া ইসলাম

'যোগ্যতা প্রমাণে পুরুষের চেয়ে নারী অধিক পরীক্ষায় অবতীর্ণ হন'

‘নারীদের পুরুষের সমকক্ষ নয় বরং অধিক গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। কারণ, একজন মেয়েকে সারাজীবন যে পরিমাণ প্রতিকূলতা অতিক্রম করতে হয়, তা অকল্পনীয়। নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে হলে তাকে একজন পুরুষের চেয়ে অনেক বেশি পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে হয়।'

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ঢাকাপ্রকাশ-এর সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের রমনা বিভাগের কর্মকর্তা নাজিয়া ইসলাম।

নাজিয়া ইসলামের জন্ম ঢাকার শাহাজানপুর রেলওয়ে কলোনিতে। বাবা ছিলেন রেল কর্মকর্তা। মা জাকিয়া ইসলাম। তিন বোনের মধ্যে নাজিয়া বড়।

মাঝে কয়েক বছর বাবার চাকরির সুবাদে কাটিয়েছেন চট্টগ্রামে। আহসান উল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে কম্পিটার সাইন্সে গ্রাজুয়েশন করেন। পুলিশে যোগদানের আগে তিনি একটি সফটওয়্যার কোম্পানিতে চাকরি করতেন। ৩৪তম বিসিএসে ২০১৬ সালে তিনি পুলিশ ক্যাডারে মনোনীত হয়ে ওই বছর ১ জুলাই চাকরিতে যোগ দেন।

তিনি ২০২১ সালের ১৭ এপ্রিল রমনা বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার হিসেবে যুক্ত হন। অনলাইন জুয়া চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার, বিদেশি ভেজাল মদ, বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার, ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ডাকাত ধরা, অস্ত্রসহ ভুয়া ডিবি পুলিশ আটক করে পুরস্কার ও সুনাম অর্জন করেছেন। মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় এক বছরেরও কম সময়ে অন্তত ৫ বার পুরস্কৃত হয়েছেন। অজ্ঞানপার্টি ও মলম পার্টি গ্রেপ্তার করে সব শেষ জানুয়ারি মাসে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় শ্রেষ্ঠ হয়েছেন।

নারী হয়ে বেশির ভাগ সময় অপরাধীদের নিয়ে কাজ করা কতটা চ্যালেঞ্জ জানতে চাইলে নাজিয়া বলেন, ক্রাইমে একটা মেয়ের জন্য কাজ করা খুবই কঠিন। অনেকে এখনও মেনে নিতে পারে না। একটা মেয়ে ক্রাইমে কাজ করছে। রাতবিরাতে বাইরে থাকছে। এটা এখনও মানুষের মানসিকতার সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করে না।

তিনি বলেন, আমাকে অনেক প্রতিবন্ধকতা ফেস করতে হয়েছে। মেইন যেটা ফেস করছি- আসামিদের আনার পরে তারা লেডি অফিসারের আন্ডারে ইন্টারোগেট করার সময় কোনো কিছু কো-অপারেট করতে চায় না। এমন একটা রিঅ্যাক্ট করে যে আমি তাদের ইন্টারোগেট করতে পারব না। তারা গ্রাহ্য করে না। এমনিতেই তো অপরাধীরা অনেক দুষ্ট প্রকৃতির হয়।

নাজিয়া বলেন, প্রথমদিকে পরিবার খুব দুশ্চিন্তায় থাকত। দায়িত্বের কারণে দেখা যাচ্ছে তিন-চার দিন আমি বাসায় যেতে পারি না। প্রথম দিকে বাবা এটায় খুবই রিস্ক ফিল করতেন। এমনও হয়েছে তিন-চার দিন ধরে টানা মাঠে থাকতে হয়েছে। অপরাধীকে ফলো করছি, তো করছি। একটা বিষয় নিয়ে কাজ শুরু করলে তা শেষ না করা পর্যন্ত লেগে থাকতে হয়।

একটু এদিকে-সেদিক হলে অপরাধী ধরা মুশকিল হয়ে যায়। একজনকে টার্গেট করেছি। সে মুভ করছে। তার পেছনে আমিও মুভ করছি। মুভ করতে করতে একপর্যায়ে গিয়ে হয়তো তাকে ধরতে পারছি। স্যারদের নির্দেশনায় আল্লাহর রহমতে আমার সাকসেস রেট ৯৯ শতাংশ।

সবশেষ ভুয়া ডিবি পুলিশ পরিচয়ে বিদেশি অস্ত্রসহ ডাকাত দল গ্রেপ্তার করেন তিনি। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, শেষ অপারেশনটা খুব রিস্কি ছিল। প্রথমে ভেবেছিলাম নরমাল অস্ত্র। শেষ পর্যন্ত জানতে পারলাম লোডেড বিদেশি পিস্তল রয়েছে। আমরা বারবার ক্রস চেক করে দেখলাম যে আসলেই লোডেড পিস্তল। সর্বোচ্চ ৩০ সেকেন্ডের টার্গেট নিয়ে তাদের ধরি। কারণ ওই সময়ের মধ্যে ধরতে না পারলে তারা গুলি করে দেবে। গাড়ি থেকে কেউ না নামার আগে অপরেশনে যখন যাই তখন মাথা কাজ করে না। শুধু একটাই চিন্তা অপরাধী ধরতে হবে।

মেয়ে হয়ে পুলিশে আসা কেন জানতে চাইলে নাজিয়া বলেন, আমি খুবই কনজারভেটিভ পরিবারের মেয়ে। আমার বাবা মা খুবই কনজারভেটিভ। তারা কখনোই চাননি। তারা চেয়েছেন-তাদের মেয়ে ব্যাংকার হবে অথবা টিচার হবে। নিরিবিলি কোনো জব তাদের পছন্দ ছিল।

আমি যখন বুঝতে শিখেছি তখন থেকেই চিন্তা ছিল যে আমি এমন একটা জায়গায় কাজ করব যে আমার মেধা আর সাহস কাজে লাগাতে পারব। যেটায় অ্যাডভেঞ্চার আছে। ক্রাইম রিলেটেড অ্যাডভেঞ্চার। এ কারণে আসলে পুলিশে আসা। আমাকে যখন ভাইবা বোর্ডে জিজ্ঞেস করা হয়, তুমি কেন পুলিশে আসতে চাও। তখন আমার মনে হয়েছে পুলিশে আসলে আমি কিছু দিতে পারব।

তিনি বলেন, আমি নিজেকে কখনো মেয়ে মনে করি না। এমনও হয়েছে অপারেশন করতে করতে আমার টিমের ছেলেরা টায়ার্ড হয়ে গেছে। কিন্তু আমি তো ঠিক আছি। তখন তারা আবার নতুন উদ্দীপনা পেয়েছে। স্যার যদি পারে আমি পারব না? আমার মা বলেতেন তুমি যাই কর তা যেন মানব কল্যাণে হয়। একটা মানুষেরও যদি মঙ্গল করতে পারো তাই তোমার অর্জন। বিশেষ করে মা আমাকে সব সময় এতো সাপোর্ট দেন যা বলার মতো না। যতো রাত হোক যতো সমস্যা হোক আমি সব শেয়ার করতে পারি। আর তিনিও আমাকে সাপোর্ট দেন। মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক বন্ধুর মত।

বিসিএস ভাইবায় আমাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, নারীর ক্ষমতায়নের উদাহরণ দাও। উত্তর দিয়েছিলাম, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কখনো হার না মেনে এগিয়ে চলা এক নারী। আমৃত্যু এটাই বিশ্বাস থাকবে।

নাজিয়ার মাথায় সব সময় কাজ করে অপরাধী ধরা। তিনি বলেন, আমার রাতের স্বপ্নগুলোও এরকম হয় যে আমি এক দিন বোনের সঙ্গে ঘুমাচ্ছি, আমি নাকি বলে উঠেছি ঘুমের মধ্যে যে, ইস ধরতে পারলাম না। আমার ঘুমের মধ্যেও মাথায় এগুলো ঘুরতে থাকে। স্বপ্নের মধ্যে দেখা যাচ্ছে যে অভিযান পরিচালনা করছি। লাইফটা একেবারে দায়িত্ব পালনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে।

অপরাধী ধরা এখন অনেক চ্যালেঞ্জের উল্লেখ করে নাজিয়া বলেন, আগে টেকনোলজি ব্যবহার করে যতটা সহজে অপরাধী ধরা যেত এখন তা আরো কঠিন। কখনো তারা ডিজিটাল কখনো ম্যানুয়ালি চলে আসতেছে। ম্যানুয়াল এবং টেকনোলজি দুটি ব্যবহার করতে হচ্ছে।

নাজিয়া বলেন, ২০২২ এ এসেও শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয়ে নারীরা এখনো বৈষম্যের শিকার। আমি নারীদের পুরুষের সমকক্ষ নয় বরং অধিক গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। কারণ, একজন মেয়েকে যে পরিমাণ প্রতিকূলতা অতিক্রম করতে হয় সারা জীবন, তা অকল্পনীয়। নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে হলে তাকে একজন পুরুষের চেয়ে অনেক বেশি পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে হয়। তাই বলে মেয়েরা থেমে নেই, থামা যাবেও না। যত কষ্টই হোক, বাধা-বিপত্তি আসুক, নিজেকে নিয়ে যেতে হবে নিজের স্বপ্নের সীমানায়।

কেএম/এএস

Header Ad
Header Ad

জেনে নিন গ্রীষ্মে সুস্বাদু আর উপকারী কাঁচা আমের ১১টি বিস্ময়কর গুণ

কাঁচা আম। ছবি: সংগৃহীত

গ্রীষ্মকাল মানেই কাঁচা আমের মৌসুম। ঝাল-টক স্বাদের এই ফল শুধু স্বাদেই নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর। অনেকেই কাঁচা আম খেতে পছন্দ করেন, কিন্তু জানেন কি, এই টক-মিষ্টি ফলটির রয়েছে দেহের জন্য একাধিক স্বাস্থ্যকর উপকারিতা? এতে থাকা ভিটামিন সি, এ, কে, বি৬ ও ফোলেট শরীরের নানা গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমে সহায়তা করে। হজম, রক্তচাপ, ত্বক কিংবা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা—সবক্ষেত্রেই কাঁচা আম কাজ করে নিঃশব্দ সহায়কের মতো।

চলুন জেনে নেওয়া যাক কাঁচা আম খাওয়ার ১১টি দারুণ উপকারিতা-

১. গরমে শরীর রাখে ঠান্ডা ও সতেজ

প্রচণ্ড গরমে শরীর যখন পানিশূন্যতায় ভোগে, তখন কাঁচা আমের রস হতে পারে নিখুঁত সমাধান। এটি শরীরে সোডিয়াম ও অন্যান্য ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রেখে হিটস্ট্রোক প্রতিরোধ করে।

২. হজম শক্তি বাড়ায়

কাঁচা আম পাচক রসের নিঃসরণ বাড়িয়ে হজমে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস, বদহজম, বুক জ্বালাপোড়া এমনকি বমি ভাব দূর করতেও এটি কার্যকর।

৩. হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক

এতে থাকা নিয়াসিন ও ফাইবার হৃদরোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। এটি কোলেস্টেরল কমায় এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে।

৪. লিভারকে রাখে সুস্থ

কাঁচা আম পিত্ত নিঃসরণ বাড়িয়ে লিভার পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে। বিষাক্ত পদার্থ শরীর থেকে বের করে দিয়ে এটি লিভারের কর্মক্ষমতা উন্নত করে।

৫. দাঁতের যত্নে দারুণ

মাড়ি থেকে রক্তপাত, মুখে দুর্গন্ধ বা দাঁতের ক্ষয়—এসব সমস্যায় কাঁচা আম বেশ কার্যকর। এটি মুখগহ্বরের ব্যাকটেরিয়া দমন করে।

৬. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

ভিটামিন সি ও এ-তে ভরপুর কাঁচা আম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করে। সর্দি, কাশি ও মৌসুমি সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।

৭. রক্তের স্বাস্থ্য উন্নত করে

কাঁচা আম রক্তস্বল্পতা দূর করে, হিমোগ্লোবিন বাড়ায় এবং নতুন রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে। এটি রক্তনালীর স্থিতিস্থাপকতাও বজায় রাখে।

৮. ত্বক ও চুলের যত্নে কার্যকর

এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন এ ও সি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, বলিরেখা প্রতিরোধ করে এবং চুলের গোড়া শক্ত করে চুল পড়া কমায়।

৯. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক

যথোপযুক্ত পরিমাণে কাঁচা আম খাওয়া রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। এটি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়াতে সহায়তা করে, তবে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন।

১০. মেজাজ ভালো করে ও ক্লান্তি দূর করে

কাঁচা আমের ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস মস্তিষ্কে সেরোটোনিন নিঃসরণে সাহায্য করে, যা মেজাজ ভালো রাখে ও গরমে সৃষ্ট অতিরিক্ত ক্লান্তি কমায়।

১১. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে

কাঁচা আমে থাকা আঁশ ও পানি ওজন কমাতে সহায়তা করে। এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে এবং অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমায়।

Header Ad
Header Ad

এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী

ছবি: সংগৃহীত

বরগুনার আমতলীতে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে বসেছেন এক দাখিল পরীক্ষার্থী। আর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিয়ে না করলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার পূর্ব চন্দ্রা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, উপজেলার মহিষকাটা এলাকার দাখিল পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী চাওড়া ইউনিয়নের পূর্ব চন্দ্রা গ্রামের আরিফ মৃধার প্রেমের সম্পর্ক হয়।

গত তিন বছর ধরে তারা প্রেম করছে, এমন দাবি ওই পরীক্ষার্থীর।

প্রেমিক কলেজপড়ুয়া আরিফ মৃধা তাকে বিয়ে না করে কালক্ষেপণ করতে থাকেন। ৩ এপ্রিল আরিফের বাড়ি আসে ওই পরীক্ষার্থী। পরে আরিফের পরিবার বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাকে আমতলী থানায় পাঠায়। পুলিশ তাকে স্থানীয় মনির প্যাদার হেফাজতে দেন। কিন্তু আরিফ তাঁকে বিয়ে করেননি।

আজ তার দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল। সে পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে আরিফ মৃধার বাড়িতে অনশনে বসেছে। পরে সে ঘোষণা দেয়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরিফ তাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবে। অপর দিকে আরিফ মৃধা ও তাঁর পরিবার এলাকা ছেড়ে চলে গেছে।

এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান দাবি করেছেন।

ওই দাখিল পরীক্ষার্থী বলে, ‘আরিফ মৃধা আমার সঙ্গে তিন বছর ধরে প্রেম করছেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন। এখন তাঁর পরিবারের কথামতো আমাকে বিয়ে করতে রাজি না। তাই আমি পরীক্ষা দেওয়া বন্ধ করে বিয়ের দাবিতে আরিফের বাড়িতে অনশনে বসেছি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিয়ে না করলে আমি আত্মহত্যা করব। আমি তো আমার সবই হারিয়েছি। এখন আর কোথাও যাওয়ার সুযোগ নেই।’

ওই পরীক্ষার্থী বলে, ‘৩ এপ্রিল আমি এ বাড়িতে আসার পর আরিফের মা আমাকে তাঁর ছেলের সঙ্গে রাতে থাকতে দিয়েছেন, এখন তাঁরা পালিয়ে গেছেন।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য রুহুল আমিন বলেন, ‘দুই পরিবার বসে সমাধান করতে বলেছি। সমাধান হয়েছে কি না, আমি জানি না।’ এ বিষয়ে কথা বলতে আরিফ মৃধা ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাঁদের পাওয়া যায়নি।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, ‘বিষয়টি জানি। মেয়ের বিয়ের বয়স হয়নি। তাই আমি একজনের জিম্মায় দিয়েছিলাম।’

ওসি বলেন, মেয়ের পরিবারের লোকজনকে জানানো হয়েছে, কিন্তু তাঁরা মেয়েকে নিতে রাজি নন।

Header Ad
Header Ad

সাধারণ মানুষ চায় এই সরকার আরো ৫ বছর থাকুক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা (অব.) জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা (অব.) জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘দেশের সাধারণ মানুষ চাচ্ছে এই সরকার যেন আরো ৫ বছর রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকে।’ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ থানা পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মতৎপরতা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে, আরও বাড়বে। আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার যেন রোধ হয় সে বিষয়ে পুলিশ তৎপর থাকবে। যারা পরিস্থিতির অবনতি করতে চায়, আমরা তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসছি। পরিস্থিতি আস্তে আস্তে আরও উন্নতি হচ্ছে। সাধারণ মানুষ চাচ্ছেন এই সরকার যেন আরও অন্তত ৫ বছর রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকে।

শেখ হাসিনাকে ফেরত আনার বিষয়ের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ক্রিমিনালদের হ্যান্ডওভারের বিষয়ে ভারতের সঙ্গে আমাদের একটি চুক্তি আছে। এই চুক্তির আন্ডারে হয়তো তাকে আনার চেষ্টা করা হবে। ভারতের সঙ্গে আমাদের যুদ্ধের কোনো শঙ্কা নেই।

হাওরের কৃষির উন্নয়নে সরকারের পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘হাওরসহ সারা দেশে অনেক পতিত জমি পড়ে আছে। আমরা এই জমি চাষের আওতায় আনতে ৫০০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করেছি। যার মাধ্যমে পতিত জমি চাষের আওতায় আনা হবে।’

থানা পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার খান মোহাম্মদ রেজাউন্নবী, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মো. মুশফেকুর রহমান, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া, পুলিশ সুপার তোফায়েল আহম্মদ, শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুকান্ত সাহা, ওসি আকরাম আলী প্রমুখ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জেনে নিন গ্রীষ্মে সুস্বাদু আর উপকারী কাঁচা আমের ১১টি বিস্ময়কর গুণ
এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী
সাধারণ মানুষ চায় এই সরকার আরো ৫ বছর থাকুক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মানববন্ধন (ভিডিও)
জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস (ভিডিও)
নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি
২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি
কাদের-কামালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি
সিলেটে থানায় লালগালিচা দেখে ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দিল্লিতে লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা নিতে এসে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি
রবিবার ৩ জেলায় সাধারণ ছুটি, সবমিলিয়ে টানা ৪ দিনের অবকাশ
এসএসসির ফল ৬০ দিনে প্রকাশের চেষ্টা করা হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
পূর্বাচলে প্লট দুর্নীতি: শেখ হাসিনা-পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
যমুনা নদী বাঁধ দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৭ জনকে কারাদন্ড
ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করায় ৪ বাংলাদেশি পণ্যবাহী ট্রাক পেট্রাপোল বন্দর থেকে ফেরত
মেয়েকে কেন্দ্রে নেওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে বাবার মৃত্যু, পরীক্ষার হলে মেয়ে জানে না মৃত্যুর খবর
‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ নয়, ‘বাংলাদেশ জনকল্যাণ রাষ্ট্র’ নাম চায় ইসলামী আন্দোলন
৩১৩ জনকে ডিঙিয়ে আগাম জামিন পেলেন সন্ত্রাসী সাজ্জাদকে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা দিয়ে ছাড়াতে চাওয়া স্ত্রী তামান্না
নিউ জার্সিতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি প্রবাসীসহ মেয়ের মৃত্যু