বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

নারী দিবসের বিশেষ সাক্ষাৎকারে ডিবি কর্মকর্তা নাজিয়া ইসলাম

'যোগ্যতা প্রমাণে পুরুষের চেয়ে নারী অধিক পরীক্ষায় অবতীর্ণ হন'

‘নারীদের পুরুষের সমকক্ষ নয় বরং অধিক গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। কারণ, একজন মেয়েকে সারাজীবন যে পরিমাণ প্রতিকূলতা অতিক্রম করতে হয়, তা অকল্পনীয়। নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে হলে তাকে একজন পুরুষের চেয়ে অনেক বেশি পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে হয়।'

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ঢাকাপ্রকাশ-এর সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের রমনা বিভাগের কর্মকর্তা নাজিয়া ইসলাম।

নাজিয়া ইসলামের জন্ম ঢাকার শাহাজানপুর রেলওয়ে কলোনিতে। বাবা ছিলেন রেল কর্মকর্তা। মা জাকিয়া ইসলাম। তিন বোনের মধ্যে নাজিয়া বড়।

মাঝে কয়েক বছর বাবার চাকরির সুবাদে কাটিয়েছেন চট্টগ্রামে। আহসান উল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে কম্পিটার সাইন্সে গ্রাজুয়েশন করেন। পুলিশে যোগদানের আগে তিনি একটি সফটওয়্যার কোম্পানিতে চাকরি করতেন। ৩৪তম বিসিএসে ২০১৬ সালে তিনি পুলিশ ক্যাডারে মনোনীত হয়ে ওই বছর ১ জুলাই চাকরিতে যোগ দেন।

তিনি ২০২১ সালের ১৭ এপ্রিল রমনা বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার হিসেবে যুক্ত হন। অনলাইন জুয়া চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার, বিদেশি ভেজাল মদ, বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার, ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ডাকাত ধরা, অস্ত্রসহ ভুয়া ডিবি পুলিশ আটক করে পুরস্কার ও সুনাম অর্জন করেছেন। মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় এক বছরেরও কম সময়ে অন্তত ৫ বার পুরস্কৃত হয়েছেন। অজ্ঞানপার্টি ও মলম পার্টি গ্রেপ্তার করে সব শেষ জানুয়ারি মাসে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় শ্রেষ্ঠ হয়েছেন।

নারী হয়ে বেশির ভাগ সময় অপরাধীদের নিয়ে কাজ করা কতটা চ্যালেঞ্জ জানতে চাইলে নাজিয়া বলেন, ক্রাইমে একটা মেয়ের জন্য কাজ করা খুবই কঠিন। অনেকে এখনও মেনে নিতে পারে না। একটা মেয়ে ক্রাইমে কাজ করছে। রাতবিরাতে বাইরে থাকছে। এটা এখনও মানুষের মানসিকতার সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করে না।

তিনি বলেন, আমাকে অনেক প্রতিবন্ধকতা ফেস করতে হয়েছে। মেইন যেটা ফেস করছি- আসামিদের আনার পরে তারা লেডি অফিসারের আন্ডারে ইন্টারোগেট করার সময় কোনো কিছু কো-অপারেট করতে চায় না। এমন একটা রিঅ্যাক্ট করে যে আমি তাদের ইন্টারোগেট করতে পারব না। তারা গ্রাহ্য করে না। এমনিতেই তো অপরাধীরা অনেক দুষ্ট প্রকৃতির হয়।

নাজিয়া বলেন, প্রথমদিকে পরিবার খুব দুশ্চিন্তায় থাকত। দায়িত্বের কারণে দেখা যাচ্ছে তিন-চার দিন আমি বাসায় যেতে পারি না। প্রথম দিকে বাবা এটায় খুবই রিস্ক ফিল করতেন। এমনও হয়েছে তিন-চার দিন ধরে টানা মাঠে থাকতে হয়েছে। অপরাধীকে ফলো করছি, তো করছি। একটা বিষয় নিয়ে কাজ শুরু করলে তা শেষ না করা পর্যন্ত লেগে থাকতে হয়।

একটু এদিকে-সেদিক হলে অপরাধী ধরা মুশকিল হয়ে যায়। একজনকে টার্গেট করেছি। সে মুভ করছে। তার পেছনে আমিও মুভ করছি। মুভ করতে করতে একপর্যায়ে গিয়ে হয়তো তাকে ধরতে পারছি। স্যারদের নির্দেশনায় আল্লাহর রহমতে আমার সাকসেস রেট ৯৯ শতাংশ।

সবশেষ ভুয়া ডিবি পুলিশ পরিচয়ে বিদেশি অস্ত্রসহ ডাকাত দল গ্রেপ্তার করেন তিনি। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, শেষ অপারেশনটা খুব রিস্কি ছিল। প্রথমে ভেবেছিলাম নরমাল অস্ত্র। শেষ পর্যন্ত জানতে পারলাম লোডেড বিদেশি পিস্তল রয়েছে। আমরা বারবার ক্রস চেক করে দেখলাম যে আসলেই লোডেড পিস্তল। সর্বোচ্চ ৩০ সেকেন্ডের টার্গেট নিয়ে তাদের ধরি। কারণ ওই সময়ের মধ্যে ধরতে না পারলে তারা গুলি করে দেবে। গাড়ি থেকে কেউ না নামার আগে অপরেশনে যখন যাই তখন মাথা কাজ করে না। শুধু একটাই চিন্তা অপরাধী ধরতে হবে।

মেয়ে হয়ে পুলিশে আসা কেন জানতে চাইলে নাজিয়া বলেন, আমি খুবই কনজারভেটিভ পরিবারের মেয়ে। আমার বাবা মা খুবই কনজারভেটিভ। তারা কখনোই চাননি। তারা চেয়েছেন-তাদের মেয়ে ব্যাংকার হবে অথবা টিচার হবে। নিরিবিলি কোনো জব তাদের পছন্দ ছিল।

আমি যখন বুঝতে শিখেছি তখন থেকেই চিন্তা ছিল যে আমি এমন একটা জায়গায় কাজ করব যে আমার মেধা আর সাহস কাজে লাগাতে পারব। যেটায় অ্যাডভেঞ্চার আছে। ক্রাইম রিলেটেড অ্যাডভেঞ্চার। এ কারণে আসলে পুলিশে আসা। আমাকে যখন ভাইবা বোর্ডে জিজ্ঞেস করা হয়, তুমি কেন পুলিশে আসতে চাও। তখন আমার মনে হয়েছে পুলিশে আসলে আমি কিছু দিতে পারব।

তিনি বলেন, আমি নিজেকে কখনো মেয়ে মনে করি না। এমনও হয়েছে অপারেশন করতে করতে আমার টিমের ছেলেরা টায়ার্ড হয়ে গেছে। কিন্তু আমি তো ঠিক আছি। তখন তারা আবার নতুন উদ্দীপনা পেয়েছে। স্যার যদি পারে আমি পারব না? আমার মা বলেতেন তুমি যাই কর তা যেন মানব কল্যাণে হয়। একটা মানুষেরও যদি মঙ্গল করতে পারো তাই তোমার অর্জন। বিশেষ করে মা আমাকে সব সময় এতো সাপোর্ট দেন যা বলার মতো না। যতো রাত হোক যতো সমস্যা হোক আমি সব শেয়ার করতে পারি। আর তিনিও আমাকে সাপোর্ট দেন। মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক বন্ধুর মত।

বিসিএস ভাইবায় আমাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, নারীর ক্ষমতায়নের উদাহরণ দাও। উত্তর দিয়েছিলাম, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কখনো হার না মেনে এগিয়ে চলা এক নারী। আমৃত্যু এটাই বিশ্বাস থাকবে।

নাজিয়ার মাথায় সব সময় কাজ করে অপরাধী ধরা। তিনি বলেন, আমার রাতের স্বপ্নগুলোও এরকম হয় যে আমি এক দিন বোনের সঙ্গে ঘুমাচ্ছি, আমি নাকি বলে উঠেছি ঘুমের মধ্যে যে, ইস ধরতে পারলাম না। আমার ঘুমের মধ্যেও মাথায় এগুলো ঘুরতে থাকে। স্বপ্নের মধ্যে দেখা যাচ্ছে যে অভিযান পরিচালনা করছি। লাইফটা একেবারে দায়িত্ব পালনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে।

অপরাধী ধরা এখন অনেক চ্যালেঞ্জের উল্লেখ করে নাজিয়া বলেন, আগে টেকনোলজি ব্যবহার করে যতটা সহজে অপরাধী ধরা যেত এখন তা আরো কঠিন। কখনো তারা ডিজিটাল কখনো ম্যানুয়ালি চলে আসতেছে। ম্যানুয়াল এবং টেকনোলজি দুটি ব্যবহার করতে হচ্ছে।

নাজিয়া বলেন, ২০২২ এ এসেও শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয়ে নারীরা এখনো বৈষম্যের শিকার। আমি নারীদের পুরুষের সমকক্ষ নয় বরং অধিক গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। কারণ, একজন মেয়েকে যে পরিমাণ প্রতিকূলতা অতিক্রম করতে হয় সারা জীবন, তা অকল্পনীয়। নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে হলে তাকে একজন পুরুষের চেয়ে অনেক বেশি পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে হয়। তাই বলে মেয়েরা থেমে নেই, থামা যাবেও না। যত কষ্টই হোক, বাধা-বিপত্তি আসুক, নিজেকে নিয়ে যেতে হবে নিজের স্বপ্নের সীমানায়।

কেএম/এএস

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত