রাস্তার কুঁড়ে ঘরে মা মেয়ে, মেলেনি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর
রাস্তায় একটি কুঁড়ে ঘর। রান্নার জন্য চুলাটিও রাস্তায়। মা ও মেয়ে দুই জনে রাস্তায় বসবাস করেন। তাদের বসবাসের পাশেই নির্মান হয়েছে আশ্রয়ন প্রকল্প, কিন্তু সেখানে তাদের ঠাঁই মেলেনি। দুর্বিষহ এই পরিবারটি নীলফামারী সদরের পলাশবাড়ী ইউনিয়নের কানাইকাটা কামারপাড়া গ্রামে বসবাস করেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই এলাকার পন্ডিত রায়ের স্ত্রী ময়না রানী (৫৫) ও তার মেয়ে পপি রানী রায়(১২) তারা চলাচলের রাস্তার ধারে একটি কুড়ে ঘরে থাকেন ও রাস্তায় রান্না করেন। পেটের ক্ষুধা নিবারনের জন্য অন্যের বাড়ীতে দিনমুজুরের কাজ করেন। পাশেই আশ্রয়ন প্রকল্প থাকলেও তাদের ঘড় মেলেনি সেখানে। অসহায় পরিবারটি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর থেকে বঞ্চিত হওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাদের দাবী অসহায় মা ও মেয়ের একটি ঘর বরাদ্দের জন্য।
স্থানীয় ব্যক্তি জামরুল ইসলাম, স্বপ্না রায়, রমনী রায় বলেন, ময়না রানীর মতো অসহায় হতদরিদ্র আর কেউ নেই। এই রকম মানুষ যদি সাহায্য সহযোগিতা ও আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর না পায়, তাহলে কে পাবে। চেয়ারম্যান মেম্বারগণ তাহলে কেমন ব্যক্তিকে দেন সরকারী বিভিন্ন সাহায্য ও আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর। আমাদের এলাকাবাসির দাবী মা ও মেয়েকে আশ্রয়ন প্রকল্পে ঘর দিতে হবে।
ময়না রানী বলেন, আমার স্বামী আরেকটি বিয়ে করে সেই স্ত্রী সন্তান নিয়ে সংসার চালান। প্রায় ১২ বছর হয় আমাকে ও আমার মেয়ের কোন খোঁজ খবর নেন না। আমি অন্যের বাড়ীতে মুজুরী করে যা পাই তাই দিয়ে মা ও মেয়ের জীবন বাঁচাই। আর রাস্তার উপড়ে একটি কুড়ে ঘড় বেঁধে মেয়েকে নিয়ে বাস করি।
মেয়েটি ৪র্থ শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে টাকার অভাবে আর পরাতে পারিনি। আমি সরকারীভাবে বরাদ্দ কোন কার্ড,রেশন ও সাহায্য সহযোগিতা পাইনি। পাশে একটি আশ্রয়ন প্রকল্প হয়েছে সেখানে ঘরের জন্য চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েছি আবেদন করছি কিন্তু আমাকে একটি ঘর দেয়নি কেউ।
আমি আশ্রয়ন প্রকল্পে একটি ঘরের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছি পলাশবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম তালুকদার বলেন, আমি ঘরের সকল আবেদনে স্বাক্ষর করেছি, কিন্তু সেখানে তাদের আবেদন কেনো পায়নি সেটা আমার জানা নেই। জানতে চাইলে নীলফামারী সদর ইউএনও জেসমিন নাহার বলেন, এই মুহুর্তে আমার মনে নাই। যদি সে প্রকৃত ভূমিহীন হয়ে থাকে তাহলে সে ঘর পাবে।
এএজেড