সবার সাত দিন কারাগারে থাকা উচিত: আদালতে পলক

ছবি: সংগৃহীত
সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আদালতে উপস্থিত হয়ে দাবি করেছেন, কারাগারে তিনি মানবেতর জীবনযাপন করছেন এবং আর্থিক সংকটে রয়েছেন। তার ভাষ্যমতে, বন্দিদের সঙ্গে তিনি রুটি ও কলা ভাগ করে খেতে বাধ্য হচ্ছেন।
রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা এক মামলায় গ্রেফতার হওয়া পলককে আজ কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তাকে হেলমেট, হাতকড়া এবং বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরিয়ে আনা হয়।
সকাল ১১টায় আদালতে পৌঁছালে, ১১টা ৬ মিনিটে বিচারক এজলাসে আসেন। এরই মধ্যে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পলক। আদালতের পথে অন্যান্য বন্দিদের সঙ্গে হেঁটে আসার সময়ও তিনি কিছু মন্তব্য করেন।
আইনজীবী ও সাংবাদিকদের উদ্দেশে পলক বলেন, “চিড়া-মুড়ি খাওয়ার মতোও টাকা নেই। কারাগারে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের সঙ্গে রুটি-কলার অংশীদার হতে হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “জেলখানার জীবন এক কঠিন শিক্ষা। আমি মনে করি, সবার কমপক্ষে সাত দিন জেলে থাকা উচিত। যদি কখনো বের হতে পারি, আমি এই কথাটা আবার বলব।”
তাকে কথা বলা থেকে বিরত রাখতে পুলিশ বারবার চেষ্টা করলেও তিনি বলেন, “আমি কোনো বেআইনি কথা বলছি না।” এছাড়া, আদালতে তার বক্তব্যের কারণে বারবার রিমান্ড বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, “কথা বললেই রিমান্ড বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এমনকি আইনজীবীরা কথা বললেও রিমান্ড বাড়িয়ে দেওয়া হয়।” আদালতে উপস্থিত মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুকের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে পলক তাকে সালাম জানান। প্রথমে সাড়া না পেলেও পরে পিপি তার সালামের উত্তর দেন। তখন পলক বলেন, “যাক, এবার পিপি স্যারের মন নরম হলো।”
আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শের সময় পলক সাংবাদিকদের অনুরোধ করে বলেন, “আমাদের নিয়ে লেখার সময় একটু সদয় হবেন।”
শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম ধানমন্ডি থানার মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানোর নির্দেশ দেন। এরপর তাকে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের গারদখানায় পাঠানো হয়।
