ময়মনসিংহ পাসপোর্ট অফিসের সেবায় সন্তুষ্ট গ্রাহকরা
ময়মনসিংহ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে সহজেই মিলছে সেবা। সেবার মান নিয়েও সন্তুষ্ট সেবা গ্রহীতারা। অনেকটাই উন্নত হয়েছে সেবার মান। সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে পাসপোর্ট চত্বর। যেন সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষদের দালালের খপ্পরে পড়তে না হয়।
পাসপোর্ট অফিসে আবেদন গ্রহণ থেকে শুরু করে ফ্রিজার হিট ও পাসপোর্ট ডেলিভারিসহ প্রতিটি পর্যায়ে ফিরে এসেছে শৃঙ্খলা। খোলা হয়েছে ব্যস্ত ও অসুস্থ রোগীদের সেবাদানে মোবাইল এনরোলমেন্ট ইউনিট। প্রতি কর্মদিবসে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের গণশুনানি কার্যক্রম ও সেবা প্রত্যাশীদের কাছে কর্তৃপক্ষের জবাবদিহিতার কারণে কমেছে ভোগান্তি। মিলছে সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান।
ময়মনসিংহ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস নিয়ে একসময় নানা ধরনের অভিযোগ থাকলেও এখন আর তেমনটি দেখা যায় না। কোনো আবেদনকারী চাইলেই পাসপোর্ট অফিসের ওয়েবসাইট থেকে তার পাসপোর্টের হালনাগাদ তথ্য জেনে নিতে পারছেন। এ ছাড়া এসএমএস এর মাধ্যমেও আবেদনকারীকে পাসপোর্ট সম্পর্কিত তথ্য জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) সরেজমিনে ময়মনসিংহ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে দেখা যায়, সহজেই সেবা পাচ্ছেন সেবা গ্রহীতারা। কোনো ভোগান্তি ছাড়াই ডিজিটাল সেবা পেয়ে খুশি সেবা গ্রহীতারা।
আ. রফিক নামে একজনের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, চিকিৎসার জন্য বাবাকে বিদেশে নিয়ে যাব। তাই পাসপোর্ট করেছি। কোনো ভোগান্তি ছাড়াই পাসপোর্ট হাতে পেলাম। এখন পাসপোর্ট অফিসে আসলে সহজেই সেবা পাচ্ছি। এতে আমরা আনন্দিত।
আবুল কালাম নামে আরেক সেবা গ্রহীতা বলেন, আমরা আগে দেখতাম পাসপোর্ট করতে আসলে মানুষ অনেক হয়রানির শিকার হতেন। দালালের মাধ্যমে অনেকে পাসপোর্ট করাতে গিয়ে অনেক ভোগান্তিতে পড়তেন। কিন্তু এখন আর সেই সমস্যা নেই। এখন খুব সহজেই সেবা পাচ্ছি এবং দালালের দৌরাত্ম্য না থাকায় আমরা সঠিক সময়ে পাসপোর্ট পেয়ে যাচ্ছি।
ময়মনসিংহ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করি দিনের কাজ দিনের মধ্যে শেষ করে দিতে। আমাদের মূল লক্ষ্য থাকে গ্রাহকের সেবার মান নিশ্চিত করা। জনবল সংকটের কারণে অনেক সময় রাত পর্যন্তও কাজ করতে হয়। এরপরেও আমরা জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।
এসজি/