শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

অন্যের এনআইডিতে শতাধিক কৃষকের নামে ঋণ!

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার তাহেরহুদা গ্রামের মোজাম্মেল হক একজন পানচাষি। তিনি আলু চাষের জন্য ঋণ নিয়েছিলেন ৫০ হাজার টাকা। পরবর্তীতে তিনি ঋণ পুনঃ তফসিলীকরণ করে নেন আরো এক লক্ষ টাকা। কিন্তু ব্যাংকের খাতায় তার নামে আড়াই লক্ষ টাকার ঋণ বকেয়া দেখানো হয়।

একই গ্রামের মজনু জোয়ারদার ২০২০ সালের ২৪ ডিসেম্বর জনতা ব্যাংক থেকে এক লক্ষ ১৫ হাজার টাকা আলু চাষের জন্য ঋণ গ্রহন করেন। ঋণের গোটা অর্থ পরিশোধ করে ২০২২ সালের ১০ ফেব্রয়ারি আবারো তিনি এক লক্ষ ৬০ হাজার টাকা নতুন ঋণ নেন। কিন্তু তার আগের ঋণের ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকার মধ্যে ৬০ হাজার টাকা বকেয়া দেখানো হয়।

মোজাম্মেল কিংবা মজনু নয়, ওই এলাকাসহ ঝিনাইদহ ও শৈলকুপার মানুষের এনআইডি ব্যবহার করে শতাধিক কৃষকের নামে ভৌতিক ঋণ দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। তবে কত টাকা আত্মসাৎ হয়েছে তা খোলসা করে বলতে পারেননি ব্যাংকের বর্তমান শাখা ব্যবস্থাপক মলয় কুমার রায়। তিনি একটি আনুমানিক ধারনা দিয়ে জানিয়েছেন, শতাধিক কৃষকের নামে ৭০ লক্ষ থেকে এক কোটি টাকা আত্মসাৎ হতে পারে। ঢাকা অফিসের তদন্ত শেষে বিষয়টি জানা যাবে বলেও মলয় জানান।

এদিকে অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইদহ জনতা ব্যাংকের এরিয়া অফিসের ডিজিএম মোঃ হামিদুল্লাহ ঋণ জালিয়াতির তথ্যটি ধামাচাপা দিয়ে দায়ি ব্যক্তিদের রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাছাড়া তিনি প্রতি অর্থ বছরে চাহিদার বেশি পরিমান টাকা শাখাগুলোতে বরাদ্দ দিলেও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারেননি। অভিযোগ উঠেছে ডিজিএমের নেতৃত্বে ঝিনাইদহে একটি বড় জালিয়াতি চক্র জনতা ব্যাংকে বাসা বেঁধেছে। তদন্ত করলে অনেক শাখায় এমন লুটপাটের তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে।

এদিকে ভবানীপুর শাখায় ঋণ জালিয়াতির বিষয়টি জানাজানি হলে, গত সেপ্টেম্বর মাসে জনতা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার লুৎফর রহমানের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি সরেজমিন তদন্ত করে ঋণ জালিয়াতির সত্যতা পান।

এ ঘটনায় শাস্তির পরিবর্তে বদলী করা হয় ভবানীপুর ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক জালিয়াতি চক্রের মুল হোতা ইউনুস আলী ও রুরাল ক্রেডিট অফিসার আব্দুল আজিজকে। তারা এখনো বহাল তবিয়তে দাপটের সঙ্গে চাকরী করে যাচ্ছেন।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, শাখা ব্যবস্থাপকের সহায়তায় জাল কাগজপত্র তৈরী ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর জাল করে দীর্ঘদিন ধরে ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। শৈলকুপার আবু হুরাইয়া ও ঝিনাইদহ পৌরসভার কর্মচারি চাঁদ আহম্মেদের এনআইডি ব্যবহার করে ক্রেডিট অফিসার আব্দুল আজিজ ঋণ উত্তোলন করেন বলে অভিযোগ।

ঋণ পরিশোধের জন্য জনতা ব্যাংক থেকে ওই দুই ব্যক্তির কাছে ফোন করা হলে তারা কিংকর্তব্যবিমুড় হয়ে যান। পরে আবু হুরাইরা ও চাঁদ আহম্মেদের নামে তোলা ঋণ পরিশোধ করেন আব্দুল আজিজ।

এদিকে ব্যাংকের অফিসার বদল হলে কৃষকদের বাড়ি বাড়ি যাওয়া হয় ঋণ আদায়ের জন্য। আর তখনই ধরা পড়ে এই ঋণ জালিয়াতির কারবার। হরিণাকুন্ডু উপজেলার তাহেরহুদা গ্রামের আবু মুছাব ওরফে মোশাররফ জানান, তিনি ভবানীপুর ব্যাংক থেকে ৩০ হাজার টাকা গ্রহণ করেছিলেন। সব টাকা পরিশোধও করেছিলেন। কিন্তু সুদের ৭ হাজার ৭০০ টাকা জমা করেনি আদায়কারী আব্দুল আজিজ। পরে ব্যাংকের তদন্ত কর্মকর্তারা সেটা ঠিক করে দিয়েছেন।

কৃষক বাহার আলী জানান, তিনি ৩৫ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। তাকে ৭০ হাজার টাকা পরিশোধের নোটিশ দেওয়া হয়। তিনি জানান, তার নামে ৩৫ হাজারের স্থলে জালিয়াতির মাধ্যমে ৭০ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়। এভাবে ব্যাংক এলাকার ধুলিয়া, শ্রীপুর, ভবানীপুর ও তাহেরহুদাসহ ৮/১০টি গ্রামের কৃষকের নামে মিলেছে ভৌতিক ঋণ, যা তারা গ্রহন করেননি।

এদিকে তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ভবানীপুর ব্যাংকের সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক ইউনুস আলীর ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুরে দুইটি ও ঢাকায় একটি ফ্ল্যাট আছে। মুন্সিগঞ্জ ও শৈলকুপাসহ বিভিন্ন শাখায় তিনি এভাবে ঋণ জালিয়াতি ও বড় ঋণের বিপরীতে ঘুষ নিয়ে অঢেল সম্পদ গড়ে তুলেছেন। তার এই আয় বহির্ভুত সম্পদ নিয়ে জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা কর্মচারিদের মাঝে এখন কানাঘুষা শুরু হয়েছে। দুর্নীতির পাহাড়সম অভিযোগ থাকলেও তাকে ভবানীপুর শাখা থেকে সরিয়ে এরিয়া অফিসে এনে জামায় আদরে রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে ভবানীপুরের সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক ইউনুস আলী ঋণ জালিয়াতির খবর অস্বীকার করে জানান, তিনি ওই শাখায় মাত্র এক বছর ছিলেন। তার আগে আরো দুই ম্যানেজার দায়িত্ব পালন করেছেন। তাদের সময় থেকে এই জালিয়াতি চলে আসছে। ম্যানেজারের সিল ও স্বাক্ষর জাল করে রুরাল ক্রেডিট অফিসার আব্দুল আজিজ এই অপকর্ম করেছেন বলে ইউনুস আলী দাবী করেন।

অন্যদিকে রুরাল ক্রেডিট অফিসার আব্দুল আজিজ জানান, আমি এ ঘটনার সঙ্গে মোটেও জড়িত নয়। বরং আমার স্বাক্ষর জাল করে ব্যবস্থাপক ইউনুস আলী ঋণ জালিয়াতি করেছেন। ঘটনাটি তদন্তে ধরাও পড়েছে।

তিনি বলেন, এ ঘটনার পর ডিজিএম হামিদুল্লাহ আমার গ্রামের বাড়িতে এসে ও লোক পাঠিয়ে হুমকি দিচ্ছেন। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমাকে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে জনতা ব্যাংকের খুলনা অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, দুর্ঘটনায় আমার দুইবার পা ভেঙ্গেছে। এই অবস্থায় আমাকে বাগেরহাট বদলী করে অবিচার করা হয়েছে। বর্তমান আমাকে মাগুরার গঙ্গারামপুর শাখায় বদলী করা হয়েছে। কিন্তু পা ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে আমি গ্রামের বাড়িতে আছি।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ জনতা ব্যাংকের এরিয়া অফিসের ডিজিএম মোঃ হামিদুল্লাহ জানান, হরিণাকুন্ডুর ভবানীপুর শাখায় এমন অনিয়ম ধরা পড়েছে। কর্তৃপক্ষ তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তারা ঘটনাস্থল তদন্ত করে গেছেন। ওই ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাকে আপাতত বদলী করা হয়েছে। তদন্তের পর দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে ডিজিএম মোঃ হামিদুল্লাহ জানান।
এএজেড

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত