বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ৮ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মেডিকেলে ভর্তির পরেও পাপ্পুর কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ

পাপ্পু হোসেন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

বাবা পেশায় দিনমজুর। মা গৃহিনী। তারপরেও নিজের স্বপ্নের পরিধি কখনও ছোট করেনি নওগাঁর ছেলে পাপ্পু হোসেন। স্বপ্ন তাঁর চিকিৎসক হবেন। সেই স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে চলেছেন তিনি। সর্বশেষ ভর্তি পরীক্ষা নামের কঠিন জয়ী হয়ে মেডিকেল কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন। তবে এমন বহুল প্রত্যাশিত আনন্দের খবরের পর দুশ্চিন্তাও ভর করেছে পাপ্পু ও তাঁর পরিবারের ওপর।

নওগাঁ জেলা প্রশাসকের সহযোগিতায় মেডিকেলে ভর্তির টাকা জোগাড় হলেও পড়ালেখার খরচ আসবে কোথা থেকে, সেই চিন্তায় দিন কাটছে তাঁদের। পাপ্পুর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার কেশবপুর গ্রামে। ফিরোজ হোসেন ও রেখা বেগমের সংসারে এক মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে পাপ্পু ছোট। এসএসসি পাশের পর বড় বোনের বিয়ে হয়ে যায়। এরপর আর পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেনি। বাবা ফিরোজ হোসেন কখনও অন্যের জমিতে কৃষি শ্রমিক, আবার কখনও চালকলের চাতালে দিনমজুর হিসেবে কাজ করেন। মা রেখা বেগম গৃহিনী। সম্বল বলতে বসতবাড়ি আর আবাদি মিলে দেড় বিঘা জমি।

পাপ্পুর পরিবারে একমাত্র বাবা ছাড়া উপার্জনক্ষম আর কেউ নেই। আর্থিক টানা-পোড়েন ও নানা সমস্যার মধ্যেও পড়াশোনায় থেমে যাননি পাপ্পু। সবস্তরের পাবলিক পরীক্ষায় পেয়েছে জিপিএ-৫। ঝিকড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ ও মেধাবৃত্তি পান পাপ্পু। চক-আতিথা উচ্চবিদ্যালয় থেকে জেএসসিতে জিপিএ-৫ ও সাধারণ বিভাগে বৃত্তি পান তিনি। একই প্রতিষ্ঠানে এসএসসিতে পান জিপিএ-৫। সাফল্যের এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন এসএসসিতেও। নওগাঁ সরকারি কলেজ থেকে ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় পান জিপিএ-৫।

সাফল্যের ধারাবাহিকতায় মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় মেধাতালিকায় ২ হাজার ৮১৫তম স্থান অধিকার করে খুলনা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন পাপ্পু। মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার পরপরই ভর্তির টাকা জোগাড় করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান পাপ্পু ও তাঁর পরিবার। মেডিকেল কলেজে ভর্তি ও পড়ালেখায় আর্থিক সহযোগিতার জন্য নওগাঁ জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেন পাপ্পু।

আবেদন পেয়ে জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলা গত ১৩ ফেব্রুয়ারি পাপ্পুকে মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য ২৫ হাজার টাকা আর্থিক সহযোগিতা করেন। এখন তাঁর সব চিন্তা মেডিকেলে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার খরচ জোগানো নিয়ে।

পাপ্পুর বাবা ফিরোজ হোসেন ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘বসতবাড়ি আর আবাদি মিলে দেড় বিঘা জমি হামার সম্বল। এইটুকু জোতজমা দিয়ে সংসার চালানো কঠিন। তাই কখনও অন্যের জমিতে কৃষি শ্রমিক আবার কৃষিকাজ না থাকলে চালকলের চাতালে দিনমজুর হিসেবে কাজ করে সংসারের খরচ জোগাই। দিনমজুর কাজ করেই সংসারের খরচ জোগানোর পাশাপাশি ছেলেটার পড়ালেখার খরচ জোগাতে হয়। আগে তো বাড়ি থেকে স্কুল কলেজে গিয়ে পড়ালেখা করিছে। ওর স্কুল কলেজের শিক্ষকেরা অনেক সহযোগিতা করিছে। অ্যাখন তো সেই ম্যালাদূর খুলনাত গিয়ে পড়ালেখা করতে হবে। মাসে নাকি কম করে হলেও ৮-৯ হাজার টাকা খরচ লাগবে। আগে তো দুই-তিন হাজার টাকার জোগান দিতেই কষ্ট হতো। অ্যাখন অ্যাত টাকা কোথায় পামু সেই চিন্তাই আছি।’

চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন কীভাবে হলো জানতে চাইলে পাপ্পু হোসেন ঢাকাপ্রকাশকে জানান, ‘এটা একটা সেবামূলক পেশা। এই পেশায় অনেক মানুষের সেবার পাশাপাশি নিজের আর্থিক উন্নয়নও করা সম্ভব। আমার বাবা-মা ও শিক্ষকেরাও আমাকে চিকিৎসক হওয়ার জন্য উৎসাহ দিয়েছেন। ডাক্তার হয়ে আমি নিজ এলাকাতেই কাজ করতে চাই।’

তিনি আরও বলেন, “আমি পড়াশোনায় ভালো দেখে বাবা কখনও আমাকে নিজের জমিতে কৃষি কাজ করতে দেইনি। দিনমজুর কাজ করতেও দেইনি। বাবা সব সময় বলতো, ‘তোর কোনো কাজ করতে হবে না। তোর কাজ শুধু পড়ালেখা করা।’ মা-ও অনেক কষ্ট করেছে। আমাকে বড় করার পিছনে বাবা-মা অবদানই বেশি। পাশাপাশি আমার স্কুল ও কলেজের শিক্ষকেরাও আমাকে অনেকভাবে সহযোগিতা করেছেন।”

Header Ad
Header Ad

ইডেনে অভিষেক শর্মার তাণ্ডব: ৭৭ বল বাকি থাকতে ভারতের দাপুটে জয়

ছবি: সংগৃহীত

ইডেন গার্ডেন্সে দুর্দান্ত ব্যাটিং প্রদর্শনী করে ৭৭ বল বাকি থাকতে সহজ জয় তুলে নিয়েছে ভারত। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে রান তাড়া করতে নেমে অভিষেক শর্মার বিধ্বংসী ব্যাটিং মঞ্চ তৈরি করে দেয়।

শুরুতে সঞ্জু স্যামসন ও অভিষেক শর্মা ওপেনিংয়ে নামেন। যদিও সঞ্জু ২০ বলে ২৬ রান করে আউট হন। এরপর অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব তিন নম্বরে নামলেও শূন্য রানে আউট হন। কিন্তু অভিষেক শর্মা ছিলেন আগ্রাসী। আদিল রশিদের বোলিংয়ে ক্যাচ ফেলায় অভিষেক দুই ডেলিভারি পর পর ছক্কা হাঁকান। মাত্র ২০ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন অভিষেক।

তিলক ভার্মার সঙ্গে তার পার্টনারশিপ আরও শক্তিশালী হয়। অভিষেক শেষ পর্যন্ত ৩৪ বলে ৭৯ রান করে আউট হন, যেখানে ছিল ৫টি চার ও ৮টি ছক্কা। তার স্ট্রাইকরেট ছিল ২৩২-এর ওপরে। এরপর তিলক ভার্মা সাপোর্টিং রোলে ১৬ বলে ১৯ রান করেন।

৪৩ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় ভারত। অভিষেকের এই বিধ্বংসী ইনিংস আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার যোগ্যতা প্রমাণ করে।

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গায় শুরু হলো দু'দিনব্যাপি তারুন্যের মেলা

ছবিঃ ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গায় শুরু হলো দু'দিনব্যাপি তারুণ্যের উৎসব ২০২৫। চুয়াডাঙ্গা সদরের আয়োজনে এ মেলায় ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান ও ৯ম বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড-২০২৫ এবং জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও চুয়াডাঙ্গা সদর এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ভূমি সেবা বিষয়ক সেমিনার ও কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

আজ বুধবার (২২ জানুয়ারি) চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ মেলা শুরু হলো।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম মেলার শুভ উদ্বোধন করেন এবং মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী৷ অফিসার এম. সাইফুল্লাহ, সহকারী কমিশনার ( ভুমি) এস. এম. আশিস মোমতাজ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার আহবায়ক মো. আসলাম হোসেন এবং অন্যান্য ছাত্র প্রতিনিধিবৃন্দ।

মেলায় তরুনদের উদ্ভাবিত বিভিন্ন পন্য ও প্রযুক্তির স্টল রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

এবার ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হলো দুই হালি ডালিম ও এক হালি মাল্টা  

ছবিঃ সংগৃহীত

মৌলভীবাজারের রাজনগরে দুই হালি ডালিম ও এক হালি মাল্টা ফল (কমলা) দাম ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও নিলাম থেকে এই দামেই ফলগুলো কিনে নিয়েছেন এক প্রবাসী।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে রাজনগর উপজেলার কামারচাক ইউনিয়নের জামেয়া ইসলামিয়া মরিছা মাদ্রাসার বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, মৌলভীবাজারের রাজনগরে জামেয়া ইসলামিয়া মরিছা মাদ্রাসার বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল চলছিল। এসময় মাহফিলে দুই হালি ডালিম ও এক হালি মাল্টা দান করেন এক ব্যক্তি। পরে ওয়াজ মাহফিল শেষে সেগুলো নিলামে তুলেন শায়খুল হাদীস মুফতি মুশাহিদ ক্বাসেমী। নিলামের একপর্যায়ে সর্বোচ্চ দাম হাঁকিয়ে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ফলগুলো কিনে নেন আরব আমিরাত প্রবাসী মাওলানা শরিফ আক্তার হুসাইন।

ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিলে অংশ গ্রহণকারী শ্রোতারা বলেন, মাহফিল শেষে দোয়ার আগে ফলগুলো নিলামে তোলা হয়। ২ হাজার টাকা থেকে শুরু হয়ে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। যারাই নিলামে অংশগ্রহণ করেছেন সবার উদ্দেশ্য হলে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সহযোগিতা করা।

জামেয়া ইসলামিয়া মরিছা মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা ফখরুল ইসলাম শাহীন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মাদ্রাসার বার্ষিক মহাসম্মেলন ফলগুলো দান করা হয়। পরে ফলগুলো নিলামে তোলা হলে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ইডেনে অভিষেক শর্মার তাণ্ডব: ৭৭ বল বাকি থাকতে ভারতের দাপুটে জয়
চুয়াডাঙ্গায় শুরু হলো দু'দিনব্যাপি তারুন্যের মেলা
এবার ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হলো দুই হালি ডালিম ও এক হালি মাল্টা  
১০ লাখ মেট্রিক টন চাল-গম আমদানি করবে সরকার
চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক রণক্ষেত্র করলো বেক্সিমকোর শ্রমিকরা  
পরিচয় মিলেছে ঢাবি ক্যাম্পাসে গাছে ঝুলন্ত ব্যক্তির  
ছাত্রশিবির ও ছাত্রলীগকে জড়িয়ে প্রচার নিয়ে যা জানা গেল
ময়মনসিংহে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হৃদয় ও মাসুদ গ্রেপ্তার
শেখ হাসিনার ‘নিশি রাতের ভোট’ নিয়ে তদন্তে নামলো দুদক  
বইমেলা ঘিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে : ডিএমপি কমিশনার
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে আতঙ্কে বাংলাদেশিরা, নিউইয়র্কে গ্রেপ্তার ৪
ক্যালিফোর্নিয়ায় আবারও ভয়াবহ দাবানল    
চিটাগংকে উড়িয়ে তৃতীয় জয় তুলে নিলো ঢাকা ক্যাপিটালস
এক বছর ধরে গাঁজার গাছ রোপণ করে পরিচর্যা, অতঃপর আটক
ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩২
টাঙ্গাইলে স্বামী-স্ত্রীর মাদকের ব্যবসা, জনতার হাতে উদ্ধার ২০ লিটার মদ
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও হাসিনার বিদ্বেষমূলক খবর প্রচার করলে আইনি ব্যবস্থা: চিফ প্রসিকিউটর  
এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী সমন্বয়কের ওপর হামলা!
জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা সাক্ষাৎ
আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না আওয়ামী লীগ