স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে নির্যাতন, গ্রেপ্তার ৫
সাভারের আশুলিয়ায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে ইফতারের কথা বলে বাসায় নিয়ে মারধর করে মুক্তিপণের আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ১ নারী ক্রেতাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জড়িত ৫ জনকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৮ এপ্রিল) গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠায় আশুলিয়া থানা পুলিশ। এর আগে শুক্রবার (৭ এপ্রিল) রাতে আশুলিয়ার পলাশবাড়ি গোছারটেক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
ভুক্তভোগী স্বর্ণ ব্যবসায়ীর নাম শফিক মিয়া (৫০)। তিনি আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়ি ন্যাচারাল গার্মেন্টস রোড এলাকার ইতিহাস জুয়েলার্স এর মালিক ও হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং থানার ইকরামপুর গ্রামের মো. হামিদ মিয়ার ছেলে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ফরিদপুর সদর থানার আমিরাবাদ এলাকার তোতা মিয়ার মেয়ে মিতু আক্তার (৩০), দিনাজপুর ঘোড়াঘাট থানার সাদা মিয়ার মেয়ে বন্যা (২৪), গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি থানার দুলু ফকিরের ছেলে জসিম ফকির (৩৫), একই থানার শাহাদাতের ছেলে চয়ন(২৪) ও মোস্তফার ছেলে তৌফিক আবির (২০)।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মিতু আক্তারের সাথে ব্যবসায়ী শফিক মিয়ার স্বর্ণের দোকান সূত্রে পূর্ব পরিচয় ছিল। মিতুর কাছে শফিক মিয়া ৪ হাজার টাকা পাওনা ছিলেন। সেই পাওনা পরিশোধ না করেই আরেকটি নুপুর বানিয়ে দিতে বলে মিতু। আগের বাকি টাকা এবং নুপুরের টাকা একসাথে দিবে বলে শফিক মিয়াকে মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) আশুলিয়ার বাইপাইল স্ট্যান্ডে ডেকে নেয় মিতু। পরে নুপুর নিয়ে বাইপাইল পৌঁছালে ইফতারের দাওয়াত দিয়ে কৌশলে শফিক মিয়াকে পলাশবাড়ির বাসায় নিয়ে আটকে রাখে আসামিরা। এসময় তাকে উলঙ্গ করে ভিডিও ধারণ করে ভুক্তভোগীর কাছে থাকা ২ ভরি স্বর্ণ ও নগদ টাকা নিয়ে নেয়। এরপর ভুক্তভোগীর ফোন দিয়েই পরিবারের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আসামিরা। টাকা না পেয়ে রাতভর নির্যাতন করে সকালে ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়।
স্বর্ণ ব্যবসায়ী শফিক মিয়া বলেন, চিকিৎসা নিয়ে পরদিন থানায় অভিযোগ করি। এসআই মিলন ফকির আমাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
এব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিলন ফকির বলেন, স্বর্ণ ব্যবসায়ী শফিক মিয়ার দায়ের করা মায়লায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
/এএস