বুধবার, ৮ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৪ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ভরা মৌসুমেও বাবুরহাটে বেচাকেনা মন্দা!

গ্যাস, বিদ্যুৎ, সুতাসহ কাপড় তৈরির পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়ে গেছে দেশীয় সব ধরনের কাপড়ের উৎপাদন খরচ। এরফলে বেড়ে গেছে সব ধরনের কাপড়ের দামও। এর প্রভাব পড়েছে দেশের বৃহত্তম পাইকারি কাপড়ের বাজারে। ভরা মৌসুমেও বেঁচাকেনা মন্দা দেশের বৃহত্তম পাইকারী বাজার বাবুর হাটে। উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারগুলোতেও।

সম্প্রতি বাবুর হাটে ঘুরে এসে কাপড় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও পাইকারি ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিবছর শবে বরাতের পর থেকে পাইকারি ক্রেতার ভিড়ে মুখর হয়ে ওঠে নরসিংদীর এই শেখের চর-বাবুরহাট কাপড়ের বাজার।

বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত টানা চলে বেঁচাকেনা। শাড়ি, লুঙ্গি, থ্রিপিস, শার্টপিস, প্যান্টপিসসহ গজ কাপড় ক্রয় করতে দেশের নানা প্রান্তের মানুষ ছুটে আসেন এ হাটে। রোজার ঈদে জাকাতের শাড়ি, লুঙ্গি বেশি বেঁচাকেনার আশায় বসে থাকেন বিক্রেতারা।

চাহিদা অনুযায়ী সব ধরনের দেশীয় কাপড় পাওয়া যায় এই হাটে। দেশের বিভিন্ন জেলার পাইকারি ক্রেতাদেরও আগ্রহ বেশি এ হাটের দিকে। দেশের নানা প্রান্তের পাইকারি ক্রেতার ভিড়ে এই সময় সরগরম থাকে বাজারটি। এ বছরের দৃশ্য অনেকটা কোলাহলমুক্ত ঢিলেঢালা।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দেশীয় সব ধরনের কাপড়ের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় সব ধরনের কাপড়ের দামও বেড়েছে। এ ছাড়া নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় সাধারণ মানুষকে নিত্যপণ্য কিনতে হিসেব করতে হচ্ছে। এ কারণে ঈদ ঘিরে কাপড়ের ক্রেতা এবার খুবই কম।

ফেনী থেকে আসা কাপড় বিক্রেতা আসাদুল হক জানান, সব ধরনের কাপড়ের দাম বাড়তি, নিত্যপণ্যের দাম বাড়তিসহ অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে বেচাকেনা কমে গেছে। ঈদের বেচাকেনার যে আশা থাকে এবছর সেটা ভিন্ন।

ব্যবসায়ীরা আরও জানান, খুচরা বাজারে কাপড়ের বেচাকেনা কম হওয়ার প্রভাব পড়েছে পাইকারি বাজারগুলোতেও। দাম বাড়ায় পাইকারি ও খুচরা কাপড় ক্রেতা-বিক্রেতাদের পুঁজি বিনিয়োগ করতে হচ্ছে কয়েকগুন বেশি।

বাবুরহাটের ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন জানান, প্রতি গজ কাপড়ে দশ থেকে বিশ টাকা দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। লুঙ্গি, শাড়ি ও থ্রি-পিসে এবার একশো থেকে দেড়শো টাকা বেড়েছে। কাপড়ের দাম বাড়ার কারণে কাপড় বিক্রিও কম হচ্ছে।

শায়লা থ্রিপিচের মালিক আলামিন জানান, নিত্যপণ্যের সঙ্গে বেড়েছে কাপড়ের দামও। সব মিলিয়ে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা এখন কমেছে। খুচরা বাজারে বেচাকেনা হলেই পাইকারি বেচাকেনা ভালো হয়।

কাপড় বিক্রেতারা জানান, বাজারটিতে ছোট-বড় প্রায় ৫ হাজার কাপড়ের দোকান রয়েছে। এ ছাড়া দেশীয় কাপড় উৎপাদনকারী প্রায় সব প্রতিষ্ঠানের বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে এই হাটে। আসন্ন ঈদুল ফিতর ঘিরে বেচাকেনার আশায় এসব দোকানে শাড়ি, লুঙ্গি, থ্রিপিস, থান কাপড়, বিছানার চাদর, শার্টপিস, প্যান্টপিস, পাঞ্জাবির কাপড়সহ দেশীয় প্রায় সব ধরনের কাপড় নিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু আশানুরূপ বেঁচাকেনা না হওয়ায় বিক্রেতারা অনেকটা হতাশ।

হবিগঞ্জ থেকে আসা কাপড়ের পাইকারি ক্রেতা সফিক মিয়া জানান, বিগত বছরের তুলনায় এবছর খুচরা বাজারে কাপড়ের বেচাকেনা এখন পর্যন্ত খুবই কম। ঈদের আগ মুহূর্তে বেচাকেনা বাড়তে পারে।

কাপড় ব্যবসায়ী এমদাদুল জানান, এক হিসেবে বেচাকেনা প্রায় স্বাভাবিক সময়ের মতোই। কিন্তু বেচাকেনা অনেক কমেছে। আগের তুলনায় পাইকারি ক্রেতারা বিশ থেকে ত্রিশ ভাগ কম কাপড় কিনছেন। এখন ব্যবসায় অর্থ বেশি লাগছে, কিন্তু লাভ কম হচ্ছে।

শেখের চর-বাবুরহাট বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান জানান, দেশের প্রায় ৭০ ভাগ কাপড়ের চাহিদা পূরণ হয়ে থাকে শেখেরচর-বাবুরহাট। রং, সুতা, তুলাসহ কাপড় উৎপাদনে প্রয়োজনীয় সবকিছুর দাম বৃদ্ধি পেলেও সে তুলনায় কাপড়ের দাম খুব বেশি বাড়েনি। তবে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওায় সাধারণ মানুষের খরচের হিসাবে টান পড়েছে।

তিনি আরও জানান, আগে যে পাইকারি ক্রেতা ১০ হাজার পিস কাপড় কিনতেন, তিনি এখন ৬ হাজার পিস কাপড় কিনেন। সাধারণত প্রতি হাটে ২০০ থেকে আড়াইশ কোটি টাকার কাপড় বেচাকেনা হয়। ঈদের বাজারে তা বেড়ে তিনশ থেকে চারশত কোটি টাকায় দাঁড়ায়। কিন্তু এবার বেঁচাকেনা কেমন হবে, তা আল্লাহ জানেন।
এএজেড

Header Ad
Header Ad

দাবানলে পুড়ছে লস অ্যাঞ্জেলেস, নিয়ন্ত্রনের উপায়ান্তরেও লাভ হচ্ছে না  

ছবিঃ সংগৃহীত

ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের শিল্প, বাণিজ্য ও আর্থিক কর্মকাণ্ডের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র লস অ্যাঞ্জেলেস। বিশাল এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়া এই দাবানলে ইতোমধ্যেই ২৯০০ একরের বেশি এলাকা পুড়ে গেছে। ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ১৩ হাজার ভবন আগুনের হুমকির মুখে রয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ১০ একর থেকে শুরু হয়ে মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ২৯০০ একরের বেশি এলাকায় দাবানল ছড়িয়ে পড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। ফায়ার চিফ ক্রিস্টিন ক্রাউলি বলেছেন, ৩০ হাজারেরও বেশি লোককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে এবং ১৩ হাজার ভবন আগুনে পুড়ে যাওয়ার হুমকির মধ্যে রয়েছে।

দাবানলের ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, প্যাসিফিক প্যালিসেডেস এলাকায় আগুন জ্বলছে এবং বাসিন্দারা আগুন থেকে বাঁচতে তাদের গাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।

মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল প্রায় সাড়ে ১০টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং ঘণ্টায় ৫০ মাইল (৮০ কিলোমিটার) গতির দমকা বাতাস এবং অবিশ্বাস্যভাবে শুষ্ক অবস্থার কারণে আগুন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।

লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি ফায়ার চিফ অ্যান্থনি মারোন বলেছেন, প্যাসিফিক প্যালিসেডস এখনও বিপদমুক্ত নয়। ক্যালিফোর্নিয়ায় লাখ লাখ মানুষ রেড অ্যালার্টের অধীনে রয়েছে, যার অর্থ সেখানে আগুন ছড়িয়ে পড়ার চরম বিপদ রয়েছে।

এমন অবস্থায় দাবানল আরও বিস্তৃত হতে পারে এবং রাতে এই আগুন আরও তীব্র হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন কর্মকর্তারা।

Header Ad
Header Ad

আসছে মৌসুমের দীর্ঘস্থায়ী শৈত্যপ্রবাহ, ফের শীতে কাঁপবে দেশ  

ছবিঃ সংগৃহীত

শীতের প্রকোপে ইতোমধ্যে কাঁপতে শুরু করেছে পুরো দেশ। ধেয়ে আসছে শীতের হিমেল হাওয়া। আগামী সপ্তাহজুড়েই শৈত্যপ্রবাহ চলতে বারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার (০৮ জানুয়ারি) সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।

দেশের অর্ধেকের বেশি এলাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে আসতে পারে। কুয়াশা বেশি থাকায় দিনের বেলায় সূর্যের দেখা না-ও পাওয়া যেতে পারে। ফলে শীতের অনুভূতিও বাড়তে পারে।

আসন্ন শৈত্যপ্রবাহটি হতে পারে চলতি মৌসুমের দীর্ঘস্থায়ী শৈত্যপ্রবাহ।

এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক সংবাদমাধ্যমকে জানান, শীতের হিমেল বাতাসের প্রবাহটি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। সেই সঙ্গে কুয়াশার পরিমাণ দ্রুত বাড়ছে। ফলে কুয়াশা ও শীত দুটিই আগামী কয়েক দিনে দ্রুত বাড়তে পারে। ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত এই শীত থাকতে পারে।

তিনি আরও জানান, পশ্চিমা লঘুচাপের নিম্নমুখী অংশ উত্তর-পশ্চিম ভারতের হিমালয় পর্বতের কাশ্মীর এলাকা থেকে ঠান্ডা বাতাস বয়ে নিয়ে আসছে। এই হিমেল বাতাসের প্রবাহ ভারতের মধ্য ও উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলো পেরিয়ে পূর্ব দিকে আসছে। আজ সকাল থেকে তা বাংলাদেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া শুরু হতে পারে।

শৈত্যপ্রবাহটি রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের জেলাগুলোর ওপর দিয়ে অতিক্রম করতে পারে। ফলে উত্তরাঞ্চল ছাড়াও যশোর ও চুয়াডাঙ্গা থেকে শুরু করে কুষ্টিয়া পর্যন্ত শীতের দাপট বেশি থাকতে পারে। সেই সঙ্গে সিলেট বিভাগেও শীতের তীব্রতা বেশি থাকতে পারে।

Header Ad
Header Ad

ভূমিকম্পে ঝুঁকিপূর্ণ ২০টি শহরের তালিকায় ঢাকাসহ বাংলাদেশের ৫ শহর

ছবিঃ সংগৃহীত

সাত দিনের মধ্যে দুইবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে দেশ। আর গত ৯০ দিনে বাংলাদেশের আশপাশে মৃদু ও তীব্র মাত্রার ৫০টির বেশি ভূমিকম্প হয়েছে। গত ১৫ বছরে ১৫০টির বেশি ছোট-বড় ভূমিকম্প হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব ভূমিকম্প বড় ভূমিকম্পের পূর্বাভাস।

বিশ্বে ভূমিকম্পের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ২০টি শহরের তালিকায় আছে ঢাকা। বাংলাদেশে বড় মাত্রার ভূমিকম্প হলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তবুও কোনো সরকারই এ দুর্যোগে ক্ষতি কমাতে কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছোট-বড় মাত্রার এসব ভূমিকম্প সামনের বড় মাত্রার ভূমিকম্পের আভাস দিচ্ছে। আর ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে ব্যাপক ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে ঢাকা শহরের চেয়ে সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।

এদিকে গত ৭ জানুয়ারি রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পে তিব্বতে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। এই ভূমিকম্পে তিব্বতের পাশাপাশি বাংলাদেশ, নেপাল ও ভারতও কেঁপে ওঠে। প্রধান ভূতাত্ত্বিক ফল্ট লাইনে অবস্থানের কারণে প্রায়ই এই অঞ্চল কম্পিত হচ্ছে।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ ভূকম্পনের সক্রিয় এলাকায় অবস্থিত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ছোটোখাটো কম্পন দেশটিতে আরও শক্তিশালী ভূমিকম্পের আশঙ্কা নির্দেশ করে। এ ছাড়াও দুর্যোগ সূচকে বিশ্বের ভূমিকম্পের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ২০টি শহরের মধ্যে রয়েছে ঢাকা। সবশেষ বাংলাদেশে বড় ধরণের ভূমিকম্প হয়েছে ১৯১৮ সাল। এর কেন্দ্র ছিল বাংলাদেশের মধ্যে এবং যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছিল। এ ছাড়া ২০১৬ সালের ৪ জানুয়ারি ৬ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে আতঙ্কেই মারা যান ছয়জন। গত ৭৫ বছরে বাংলাদেশে বড় ধরনের কোনো ভূমিকম্প হয়নি, ফলে শিগগিরই একটি বড় ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারত ও মিয়ানমার টেকটোনিক প্লেট গেছে। গত শত শত বছর এসব প্লেটে বড় কোনো ভূমিকম্প হয়নি। ফলে এই প্লেটে সঞ্চিত হয়েছে দীর্ঘদিনের শক্তি। হঠাৎই এটি ৮ থেকে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প সৃষ্টি করতে পারে। আর এ মাত্রার ভূমিকম্প হলে লাখ লাখ প্রাণহানির সঙ্গে সঙ্গে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে ঢাকা। বুয়েট ও সরকারের একটি যৌথ সমীক্ষায় দেখা যায়, সাড়ে সাত মাত্রার ভূমিকম্পে ঢাকার ৭২ হাজার ভবন ধসে পড়বে। যেখানে তৈরি হবে সাত কোটি টন কংক্রিটের স্তূপ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন ও ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেন্ট রেজিলিয়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘৭ মাত্রার ভূমিকম্প যদি সীমান্ত এলাকায় হয় তাহলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে বাংলাদেশকে। বিশেষ করে ময়মনসিংহ, রংপুর, সিলেট, চট্টগ্রাম ও ঢাকায় ক্ষয়ক্ষতি হবে। ঢাকায় ক্ষয়ক্ষতি হবে কারণ ঢাকার ভবনগুলো বেশিরভাগ ঝুঁকিপূর্ণ।’

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী বলেন, ‘আমাদের দেশের আশপাশ দিয়ে তিনটি টেকটোনিক প্লেট গেছে। যেগুলোর সংযোগস্থল সীমান্তের আশপাশে। আমাদের অবস্থান ইন্দো-অস্ট্রেলিয়ান প্লেটে, আমাদের উত্তরে হিমালয় পড়েছে ইউরেশিয়ান প্লেটে আর আমাদের পূর্বে হচ্ছে মিয়ানমার মাইক্রো প্লেট। সবগুরো প্লেটই আমাদের কানেক্টেড এবং সক্রিয়। এগুলোর মুভমেন্ট আছে। প্লেটগুলো প্রতি বছর ৫ সেন্টিমিটার মুভমেন্ট করে। অর্থাৎ, আমার প্রতি বছর ৫ সেন্টিমিটার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মুভমেন্ট করছি। একইভাবে পুরো পৃথিবীও মুভ করছে।’

তিনি বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কাছে শুধু ইক্যুইপমেন্টস আছে। শুধু ইক্যুইপমেন্টস দিয়ে হবে না। কারণ, ভবন মেরামত না করলে ভবন চাপা পড়ে মানুষ মারা যাবেই। এছাড়া গ্যাস-বিদ্যুতের অপরিকল্পিত লাইন ঢাকা শহরে ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েক গুণ।’

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দাবানলে পুড়ছে লস অ্যাঞ্জেলেস, নিয়ন্ত্রনের উপায়ান্তরেও লাভ হচ্ছে না  
আসছে মৌসুমের দীর্ঘস্থায়ী শৈত্যপ্রবাহ, ফের শীতে কাঁপবে দেশ  
ভূমিকম্পে ঝুঁকিপূর্ণ ২০টি শহরের তালিকায় ঢাকাসহ বাংলাদেশের ৫ শহর
বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ ঘিরে উত্তেজনা, বিজিবির সতর্ক অবস্থান  
খালেদা জিয়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বার্তা দিয়ে গেছেন: মির্জা ফখরুল  
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জামায়াত আমিরের বৈঠক  
মেটা প্ল্যাটফর্মে থাকছে না ফ্যাক্টচেকার, বাড়বে রাজনৈতিক কনটেন্ট: জাকারবার্গ  
হাসিনাকে দীর্ঘমেয়াদি থাকার অনুমতি দিলো ভারত  
ইউরোপে পোঁছানোর চেষ্টায় সাগরে প্রাণ গেলো ২,২০০ অভিবাসীর  
ই-সিগারেট আমদানি নিষিদ্ধ করল সরকার  
ঢাবি থেকে সাত কলেজকে আলাদা করতে কমিশন ও শিক্ষার্থীদের বৈঠক বুধবার
প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে ৯৮ কোটি টাকার অনুদান সংগ্রহ
এবার শাহীনকে ধরা হলো বিমানবন্দরে! আদালতে সোপর্দ
হৃদয়-মেয়ার্সের জুটিতে বরিশালের সহজ জয়
‘ফিরোজা’ থেকে বিমানবন্দরের পথে খালেদা জিয়া
কানাডার অনেকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হিসেবে তাঁদের দেশকে দেখতে চান: ট্রাম্প
ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনাসহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল
পাঁচদশক আড়ালে থাকা মেজর ডালিম বাংলাদেশে ফিরছেন!
সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের ছোট ভাই মৃদুল গ্রেপ্তার
জুলাই-আগস্ট গণহত্যার ন্যায়বিচার দেখতে চান প্রধান বিচারপতি