শ্রেণিকক্ষ সংকটে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান
নরসিংদী শহরের ভেলানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষ সংকটে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। পর্যাপ্ত শিক্ষক আর অধিক শিক্ষার্থী থাকলেও প্রয়োজনীয় শ্রেণিকক্ষ না থাকায় গাদাগাদি করে বসতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এ ছাড়া পরিত্যক্ত ভবনে ঝুঁকি নিয়ে দেওয়া হচ্ছে পাঠদান। আর পরীক্ষা নেওয়া হয় পাশের রিসোর্স সেন্টার ও মাঠে। কর্তৃপক্ষ বলছেন ব্যবস্থা নেয়ার জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে।
নরসিংদী শহরের অত্যাধিক ঘনবসতি এলাকা ভেলানগর। এই এলাকায় ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ভেলানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এতে বর্তমানে প্রায় ৬০০ শিক্ষার্থীদের পাঠদান দিচ্ছেন ৮ জন শিক্ষক। গত বছর একটি অফিস কক্ষ ও দুই শ্রেণিকক্ষ বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। তাতে সরকারিভাবে দেওয়া হয়নি বেঞ্চ। পুরাতন বেঞ্চ দিয়েই দুটি শ্রেণি কক্ষে দেওয়া হচ্ছে পাঠদান। এ ছাড়া পাশের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের ফ্লোরে বসে ও সীমিত বেঞ্চে গাদাগাদি করে চলছে পাঠদান।
তুলনামূলকভাবে লেখাপড়ার মান ভালো হওয়ায় এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু শিক্ষার্থী অনুপাতে পর্যাপ্ত শিক্ষক, শ্রেণিকক্ষ ও বেঞ্চ না থাকায় বিপাকে বিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবরা। এ ছাড়া স্কুলের শিক্ষার্থীদের সমায়িক পরীক্ষা নিতে গিয়ে ব্যবহার করতে হচ্ছে পাশের উপজেলা রিসোর্স সেন্টার। তাতেও স্থান সংকোলান না হওয়ায় চেয়ার টেবিল ভাড়া করে মাঠে খোলা আকাশের নিচে নিতে হচ্ছে পরীক্ষা। তাই শিক্ষার মান বৃদ্ধি ও সুষ্ঠ্য পরিবেশের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় শ্রেণিকক্ষ নির্মাণের দাবি শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের।
এ বিষয়ে স্কুল অভিভাবক কমিটির সভাপতি মো. কাইয়ুম মিয়া জানান, বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থী অনুপাতে পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ না থাকায় ব্যক্তিগত অর্থায়নে জরাজীর্ণ ভবন সংস্কার করে দেওয়া হয়। এতেও সমস্যা দূর না হওয়ায়
চেয়ার-টেবিল ভাড়া করে খোলা মাঠে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। এতে সুষ্ঠ লেখাপড়া ব্যাহত হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে ভেলানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলতাফ হোসেন জানান, ৬০০ শিক্ষার্থী নিয়ে যদি এক শিফটে বিদ্যালয় পরিচালনা করতে হয় তাহলে কমপক্ষে ১২টি শ্রেণিকক্ষের প্রয়োজন। একতলা একটি ভবনে একটি অফিস কক্ষ ও মাত্র দুটি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। বাধ্য হয়ে অপর একটি ঝুঁকিপূর্ণ একতলা ভবনের ৩টি শ্রেণিকক্ষ সংস্কার করে পাঠদান করা হচ্ছে। এতেও শিক্ষার্থীদের বসতে সমস্যা হচ্ছে। এ ছাড়া পরীক্ষা চলাকালীন অফিসের মেঝেতে, বিদ্যালয় মাঠে, পাশের ইউআরসি ভবন ব্যবহার করে পরীক্ষা গ্রহণ করতে হয়।
এ ব্যাপারে নরসিংদী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: বায়েজিদ খান বলেন, সমস্যা দূর করতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত পত্র পাঠানো হয়েছে। বিদ্যালয়টিতে নতুন ভবন নির্মাণের মাধ্যমে দূর হবে শ্রেণিকক্ষের সংকট। বজায় থাকবে শিক্ষার মান। এমন প্রত্যাশা স্থানীয়দের।
এসআইএইচ