বিএনপির নেতাকর্মীরা কি ঘুমে!
সিলেটে বিভাগীয় গণ সমাবেশে কয়েক লাখ লোকের উপস্থিতির প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন স্থানীয় নেতারা। বৃহস্পতি ও শুক্রবার সমাবেশমুখী মানুষের উত্থাল স্রোত দেখে সাধারণ মানুষের ধারণাও ছিল তাই। তবে শনিবার মাঠের পরিস্থিতি ছিল পুরোটাই ভিন্ন। কাকডাকা ভোর থেকে সমাবশেমুখী মানুষের ঢল থাকলেও বেলা গড়ানোর সাথে কমতে থাকে লোকজন।
সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে শুরু হয়েছে বিএনপির সিলেট বিভাগীয় গণসমাবেশ। শনিবার বেলা ১১টায় শুরু হয় এ গণসমাবেশ। সমাবেশের শুরুতেই প্রায় ৭০ হাজার মানুষের ধারণ ক্ষমতার এই মাঠের অধিকাংশ ফাঁকা ছিল। আস্তে আস্তে মাঠে জনসমাগম বাড়লেও মাঠটি কিন্তু ভরেনি। মাঠের তিনদিকের প্রচুর জায়গা খালি ছিল। মাঠ খালি থাকলেও উৎসুক মানুষের ভিড় লেগেছিল মাঠ সংলগ্ন চৌহাট্টা-রিকাবিবাজার সড়কে।
শনিবার বেলা দেড়টার দিকে সরেজমিনে এমন দৃশ্য দেখা যায়। তবে, শুক্রবার রাতে মাঠে ছিল ভিন্ন চিত্র। মধ্যরাত পর্যন্ত মাঠজুড়ে নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতি দেখে মনে হয়েছিল সমাবেশে মাঠে পরিপূর্ণ হয়ে মাঠে পার্শ্ববর্তী এলাকায় মানুষের দাঁড়ানো জায়গা হবে না। কিন্তু তার উল্টো চিত্র দেখা গেল সমাবেশ শুরুর ঘন্টা আড়াই ঘন্টা পর।
মাঠে দক্ষিণপার্শ্বে চৌহাট্টা সড়কে দাঁড়ানো বেশ কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল তারা জনসমাবেশ দেখতে এসেছেন। এ দের মধ্যে নগরীর রিকাবিবাজার খেকে আসা সবজি বিক্রেতা আমিন আলী বলেন, রাইতে মাঠ থাকা অতো মানুষ গেলা কই। একই প্রশ্ন নগরীর মজুমদারপাড়ার বাসিন্দা রিকশা চালক রমজান আলীর। তিনি বলেন, রাতের অবস্থা দেখে মনে হয়েছিল রাস্তায় দাঁড়ানোরও জায়গা মিলবে না। কিন্তু এখন দেখি মাঠও ভরেনি। বিএনপির নেতাকর্মীরা কি ঘুমে!।
বিভাগীয় গণ সমাবেশের প্রধান অতিথি হিসেবে রয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রধান বক্তা হিসেবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখবেন আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ড. আবদুল মঈন খান, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, চাল-ডাল, জ্বালানি তেল, গ্যাস-বিদ্যুৎ, সারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, দুর্নীতি, গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে হত্যার প্রতিবাদে এবং নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারে দাবিতে এই গণসমাবেশের আয়োজন করেছে বিএনপি। ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল ও ফরিদপুর বিভাগে গণসমাবেশ করা হয়েছে। সামনে আরও তিনটি গণসমাবেশ এবং ঢাকায় মহাসমাবেশ কর্মসূচি রয়েছে দলটির। এর মধ্যে আগামী ২৬ নভেম্বর কুমিল্লা, ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী ও ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় এই কর্মসূচি রয়েছে।
এএজেড