শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

অন্যের এনআইডিতে শতাধিক কৃষকের নামে ঋণ!

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার তাহেরহুদা গ্রামের মোজাম্মেল হক একজন পানচাষি। তিনি আলু চাষের জন্য ঋণ নিয়েছিলেন ৫০ হাজার টাকা। পরবর্তীতে তিনি ঋণ পুনঃ তফসিলীকরণ করে নেন আরো এক লক্ষ টাকা। কিন্তু ব্যাংকের খাতায় তার নামে আড়াই লক্ষ টাকার ঋণ বকেয়া দেখানো হয়।

একই গ্রামের মজনু জোয়ারদার ২০২০ সালের ২৪ ডিসেম্বর জনতা ব্যাংক থেকে এক লক্ষ ১৫ হাজার টাকা আলু চাষের জন্য ঋণ গ্রহন করেন। ঋণের গোটা অর্থ পরিশোধ করে ২০২২ সালের ১০ ফেব্রয়ারি আবারো তিনি এক লক্ষ ৬০ হাজার টাকা নতুন ঋণ নেন। কিন্তু তার আগের ঋণের ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকার মধ্যে ৬০ হাজার টাকা বকেয়া দেখানো হয়।

মোজাম্মেল কিংবা মজনু নয়, ওই এলাকাসহ ঝিনাইদহ ও শৈলকুপার মানুষের এনআইডি ব্যবহার করে শতাধিক কৃষকের নামে ভৌতিক ঋণ দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। তবে কত টাকা আত্মসাৎ হয়েছে তা খোলসা করে বলতে পারেননি ব্যাংকের বর্তমান শাখা ব্যবস্থাপক মলয় কুমার রায়। তিনি একটি আনুমানিক ধারনা দিয়ে জানিয়েছেন, শতাধিক কৃষকের নামে ৭০ লক্ষ থেকে এক কোটি টাকা আত্মসাৎ হতে পারে। ঢাকা অফিসের তদন্ত শেষে বিষয়টি জানা যাবে বলেও মলয় জানান।

এদিকে অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইদহ জনতা ব্যাংকের এরিয়া অফিসের ডিজিএম মোঃ হামিদুল্লাহ ঋণ জালিয়াতির তথ্যটি ধামাচাপা দিয়ে দায়ি ব্যক্তিদের রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাছাড়া তিনি প্রতি অর্থ বছরে চাহিদার বেশি পরিমান টাকা শাখাগুলোতে বরাদ্দ দিলেও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারেননি। অভিযোগ উঠেছে ডিজিএমের নেতৃত্বে ঝিনাইদহে একটি বড় জালিয়াতি চক্র জনতা ব্যাংকে বাসা বেঁধেছে। তদন্ত করলে অনেক শাখায় এমন লুটপাটের তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে।

এদিকে ভবানীপুর শাখায় ঋণ জালিয়াতির বিষয়টি জানাজানি হলে, গত সেপ্টেম্বর মাসে জনতা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার লুৎফর রহমানের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি সরেজমিন তদন্ত করে ঋণ জালিয়াতির সত্যতা পান।

এ ঘটনায় শাস্তির পরিবর্তে বদলী করা হয় ভবানীপুর ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক জালিয়াতি চক্রের মুল হোতা ইউনুস আলী ও রুরাল ক্রেডিট অফিসার আব্দুল আজিজকে। তারা এখনো বহাল তবিয়তে দাপটের সঙ্গে চাকরী করে যাচ্ছেন।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, শাখা ব্যবস্থাপকের সহায়তায় জাল কাগজপত্র তৈরী ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর জাল করে দীর্ঘদিন ধরে ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। শৈলকুপার আবু হুরাইয়া ও ঝিনাইদহ পৌরসভার কর্মচারি চাঁদ আহম্মেদের এনআইডি ব্যবহার করে ক্রেডিট অফিসার আব্দুল আজিজ ঋণ উত্তোলন করেন বলে অভিযোগ।

ঋণ পরিশোধের জন্য জনতা ব্যাংক থেকে ওই দুই ব্যক্তির কাছে ফোন করা হলে তারা কিংকর্তব্যবিমুড় হয়ে যান। পরে আবু হুরাইরা ও চাঁদ আহম্মেদের নামে তোলা ঋণ পরিশোধ করেন আব্দুল আজিজ।

এদিকে ব্যাংকের অফিসার বদল হলে কৃষকদের বাড়ি বাড়ি যাওয়া হয় ঋণ আদায়ের জন্য। আর তখনই ধরা পড়ে এই ঋণ জালিয়াতির কারবার। হরিণাকুন্ডু উপজেলার তাহেরহুদা গ্রামের আবু মুছাব ওরফে মোশাররফ জানান, তিনি ভবানীপুর ব্যাংক থেকে ৩০ হাজার টাকা গ্রহণ করেছিলেন। সব টাকা পরিশোধও করেছিলেন। কিন্তু সুদের ৭ হাজার ৭০০ টাকা জমা করেনি আদায়কারী আব্দুল আজিজ। পরে ব্যাংকের তদন্ত কর্মকর্তারা সেটা ঠিক করে দিয়েছেন।

কৃষক বাহার আলী জানান, তিনি ৩৫ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। তাকে ৭০ হাজার টাকা পরিশোধের নোটিশ দেওয়া হয়। তিনি জানান, তার নামে ৩৫ হাজারের স্থলে জালিয়াতির মাধ্যমে ৭০ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়। এভাবে ব্যাংক এলাকার ধুলিয়া, শ্রীপুর, ভবানীপুর ও তাহেরহুদাসহ ৮/১০টি গ্রামের কৃষকের নামে মিলেছে ভৌতিক ঋণ, যা তারা গ্রহন করেননি।

এদিকে তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ভবানীপুর ব্যাংকের সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক ইউনুস আলীর ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুরে দুইটি ও ঢাকায় একটি ফ্ল্যাট আছে। মুন্সিগঞ্জ ও শৈলকুপাসহ বিভিন্ন শাখায় তিনি এভাবে ঋণ জালিয়াতি ও বড় ঋণের বিপরীতে ঘুষ নিয়ে অঢেল সম্পদ গড়ে তুলেছেন। তার এই আয় বহির্ভুত সম্পদ নিয়ে জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা কর্মচারিদের মাঝে এখন কানাঘুষা শুরু হয়েছে। দুর্নীতির পাহাড়সম অভিযোগ থাকলেও তাকে ভবানীপুর শাখা থেকে সরিয়ে এরিয়া অফিসে এনে জামায় আদরে রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে ভবানীপুরের সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক ইউনুস আলী ঋণ জালিয়াতির খবর অস্বীকার করে জানান, তিনি ওই শাখায় মাত্র এক বছর ছিলেন। তার আগে আরো দুই ম্যানেজার দায়িত্ব পালন করেছেন। তাদের সময় থেকে এই জালিয়াতি চলে আসছে। ম্যানেজারের সিল ও স্বাক্ষর জাল করে রুরাল ক্রেডিট অফিসার আব্দুল আজিজ এই অপকর্ম করেছেন বলে ইউনুস আলী দাবী করেন।

অন্যদিকে রুরাল ক্রেডিট অফিসার আব্দুল আজিজ জানান, আমি এ ঘটনার সঙ্গে মোটেও জড়িত নয়। বরং আমার স্বাক্ষর জাল করে ব্যবস্থাপক ইউনুস আলী ঋণ জালিয়াতি করেছেন। ঘটনাটি তদন্তে ধরাও পড়েছে।

তিনি বলেন, এ ঘটনার পর ডিজিএম হামিদুল্লাহ আমার গ্রামের বাড়িতে এসে ও লোক পাঠিয়ে হুমকি দিচ্ছেন। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমাকে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে জনতা ব্যাংকের খুলনা অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, দুর্ঘটনায় আমার দুইবার পা ভেঙ্গেছে। এই অবস্থায় আমাকে বাগেরহাট বদলী করে অবিচার করা হয়েছে। বর্তমান আমাকে মাগুরার গঙ্গারামপুর শাখায় বদলী করা হয়েছে। কিন্তু পা ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে আমি গ্রামের বাড়িতে আছি।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ জনতা ব্যাংকের এরিয়া অফিসের ডিজিএম মোঃ হামিদুল্লাহ জানান, হরিণাকুন্ডুর ভবানীপুর শাখায় এমন অনিয়ম ধরা পড়েছে। কর্তৃপক্ষ তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তারা ঘটনাস্থল তদন্ত করে গেছেন। ওই ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাকে আপাতত বদলী করা হয়েছে। তদন্তের পর দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে ডিজিএম মোঃ হামিদুল্লাহ জানান।
এএজেড

Header Ad

নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নেবে রোববার

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন। ছবি: সংগৃহীত

আউয়াল কমিশনের পদত্যাগের আড়াই মাস যেতেই অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনকে প্রধান করে বেছে নেওয়া হয়েছে নতুন নির্বাচন কমিশন। আগামী রোববার শপথ নিতে যাচ্ছে এ কমিশন।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) নতুন নির্বাচন কমিশন বেছে নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর এ তথ্য জানান সুপ্রিম কোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম।

সিদ্ধান্ত মোতাবেক রোববার (২৪ নভেম্বর) বেলা দেড়টায় নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চার কমিশনারকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণ অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের এক মাস পর গত ৫ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করে হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। এর আড়াই মাস যেতেই এবার অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আগামী জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ভার ন্যস্ত থাকবে এ কমিশনের ওপর।

নতুন নির্বাচন কমিশনে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দীন ছাড়াও কমিশনার হিসেবে থাকছেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাসুদ, সাবেক যুগ্ম সচিব বেগম তহমিদা আহমদ এবং অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে করা বিধান অনুযায়ী সার্চ কমিটি গঠন করার পর ওই কমিটির প্রস্তাবিত ১০ নামের তালিকা থেকে এই নির্বাচন কমিশন বেছে নিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।

দেশের চতুর্দশ সিইসি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া নাসির উদ্দীনক স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার।

নিয়োগ পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নাসির উদ্দীন বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার, তা তা করব, ইনশাআল্লাহ। যে দায়িত্ব এসেছে, তা আমাদের সুষ্ঠুভাবে পালন করতে হবে সবার সহযোগিতা নিয়ে।

Header Ad

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার

ছবি: সংগৃহীত

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭১ জন নিহত হয়েছেন। এতে চলমান যুদ্ধে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা ৪৪ হাজার ছাড়িয়ে গেল।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে আনাদোলু এজেন্সি জানায়, দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ৪৪ হাজার ৫৬ জন নিহত এবং ১ লাখ ৪ হাজার ২৬৮ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বোমা ও গুলিতে ৭১ জন নিহত এবং ১৭৬ জন আহত হয়েছেন।

তবে প্রকৃত নিহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে, কারণ অনেক মৃতদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে এবং সেগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়।

এদিকে, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থার কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি এক্স পোস্টে বলেছেন, গাজা উপত্যকার ৮০ শতাংশই এখন উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। ওইসব এলাকার মানুষেরা নিরাপত্তা ও অস্তিত্বহীনতার মধ্যে বসবাস করছেন।

অনিরাপদ রুটের কারণে গাজাজুড়ে সামান্য ত্রাণ সরবরাহ করা ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছে জানিয়ে ফিলিপ লাজারিনি বলেন, গাজার উত্তরাঞ্চলে মানুষ কঠোর অবরোধের মধ্যে রয়েছে। যুদ্ধের দুষ্টচক্রে পড়ে তারা জীবন বাঁচাতে ছুটাছুটির মধ্যে রয়েছেন। ৪০ দিনেরও বেশি সময় ধরে ওই অঞ্চলটি মানবিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। উপত্যকায় নাগরিক শৃঙ্খলা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসসাম ব্রিগেডের দীর্ঘদিনের নেতা মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।

আইসিসির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আদালত দুই ব্যক্তি বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং ৮ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে ২০ মে, ২০২৪ পর্যন্ত সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের জন্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করছে।

বিবৃতি অনুযায়ী, নেতানিয়াহু ও গ্যালান্ত ‘ইচ্ছাকৃতভাবে ও জ্ঞাতসারে গাজার বেসামরিক জনগণকে খাদ্য, পানি, ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহের পাশাপাশি জ্বালানি ও বিদ্যুৎসহ তাদের বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য বস্তু থেকে বঞ্চিত করেছেন বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে’।

পৃথক এক বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত জানায়, দেইফ, পুরো নাম মোহাম্মদ দিয়াব ইব্রাহিম আল-মাসরিও গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আসামি। বিবৃতি মতে, আদালত ‘সর্বসম্মতভাবে’ তার বিরুদ্ধে ৭ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে ইসরাইল ও ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

দেইফের বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে আরও রয়েছে- ইসরাইলি ভূখণ্ডে রকেট নিক্ষেপ এবং ৭ অক্টোবর হামলা চালানো হামলায় সহস্রাধিক ইসরাইলি নিহত হয়। তবে৭ অক্টোবর হামলার কয়েক মাস পর চলতি বছরের জুলাইয়ে হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসসাম ব্রিগেডের দীর্ঘদিনের নেতা দেইফকে এক বিমান হামলায় হত্যার দাবি করেছে ইসরাইল। বিমান হামলাটি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের তাঁবুতে এবং একটা পানি শোধনাগারে আঘাত হানে। এতে কমপক্ষে ৯০ জন নিহত ও ৩০০ জন আহত হয়।

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নেবে রোববার
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী